এখানে অভিষেক কবিতার প্রশ্ন উত্তর শেয়ার করা হলো। / মাধ্যমিক বাংলা WBBSE / মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
মাধ্যমিক বাংলা
অভিষেক কবিতার 3 মার্কের প্রশ্ন উত্তর
১. “হায়! পুত্র, কি আর কহিব/ কনক লঙ্কার দশা!”— বক্তা কে? তিনি এমন আক্ষেপ কেন করেছেন?
উত্তর: কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘অভিষেক’ কাব্যাংশের অন্তর্গত উদ্ধৃত উক্তিটির বক্তা হলেন মেঘনাদের ধাত্রীমাতা প্রভাষার ছদ্মবেশে আবির্ভূত দেবী লক্ষ্মী।
প্রভাষা ছদ্মবেশে দেবী লক্ষ্মী মেঘনাদের কুশল প্রশ্নের উত্তরে আক্ষেপ করে বলেন, “হায়! পুত্র, কি আর কহিব/ কনক লঙ্কার দশা!” অর্থাৎ স্বর্ণলঙ্কার আজ করুণ পরিণতি—এ কথা বলাও দুঃখের। তিনি জানান, রামচন্দ্র পুনর্জীবন লাভ করে আবার যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন এবং সেই যুদ্ধে বীরবাহু নিহত হয়েছেন। পুত্রশোকে মণ্ডিত রাবণ এখন নিজেই যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। লঙ্কার এ দুরবস্থা ও ভবিষ্যৎ বিপর্যয়ের আশঙ্কায় দেবী লক্ষ্মী এমন করুণ আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন।
২. “ছদ্মবেশী অম্বুরাশি-সুতা”— ‘অম্বুরাশি-সুতা’ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে? তাকে ‘অম্বুরাশি-সুতা’ কেন বলা হয়েছে?
উত্তর: কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘মেঘনাদবধ’ কাব্যের অন্তর্গত ‘অভিষেক’ কাব্যাংশে
‘অম্বুরাশি-সুতা’ বলতে বোঝানো হয়েছে ছদ্মবেশী দেবী লক্ষ্মীকে।
‘অম্বুরাশি’ শব্দের অর্থ জলরাশি বা সমুদ্র এবং ‘সুতা’ অর্থ কন্যা। দেবাসুর মন্থনের সময় দেবী লক্ষ্মী সমুদ্র থেকে উৎপন্ন হয়েছিলেন। সেই কারণেই তাঁকে ‘সমুদ্রের কন্যা’ বা ‘অম্বুরাশি-সুতা’ বলা হয়। এখানে তিনি প্রভাষা রূপে মেঘনাদের সঙ্গে কথা বলছেন।
৩. “এ অদ্ভুত বারতা, জননি/ কোথায় পাইলে তুমি,…” — অদ্ভুত বার্তাটি কী? বার্তাটিকে বক্তা অদ্ভুত কেন বলেছেন?
উত্তর: ‘অভিষেক’ কাব্যাংশে প্রভাষা ছদ্মবেশী দেবী লক্ষ্মী মেঘনাদকে লঙ্কার কুশল বার্তা দিতে গিয়ে জানিয়েছেন, মেঘনাদের প্রিয় ভাই বীরবাহু রামচন্দ্রের সঙ্গে যুদ্ধে নিহত হয়েছেন। এই বার্তাটিকেই কাব্যাংশে অদ্ভুত বলা হয়েছে।
ছদ্মবেশী দেবী লক্ষ্মীর কাছে রামচন্দ্রের হাতে প্রিয় ভাই বীরবাহুর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে মেঘনাদ বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যান। কারণ তিনি পূর্বেই নিশা-রণে যে রামচন্দ্রকে পরাজিত করে হত্যা করেছিলেন, সেই মৃত রামচন্দ্রের হাতে বীরবাহুর মৃত্যু সম্ভব নয় বলেই মেঘনাদের মনে হয়েছে। তাই ইন্দ্রজিৎ বীরবাহুর মৃত্যু সংবাদকে অদ্ভুত বলেছেন।
৪. “জিজ্ঞাসিলা মহাবাহু বিস্ময় মানিয়া;”– কাকে ‘মহাবাহু’ বলা হয়েছে? তার বিস্ময়ের কারণ কী?
উত্তর: কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘মেঘনাদবধ’ কাব্যের অন্তর্গত ‘অভিষেক’ কাব্যাংশে মেঘনাদকে ‘মহাবাহু’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিষেক’ কাব্যাংশে প্রভাষার ছদ্মবেশে দেবী লক্ষ্মী যখন মেঘনাদকে জানান যে তাঁর প্রিয় ভাই বীরবাহু রামচন্দ্রের সঙ্গে যুদ্ধে নিহত হয়েছে, তখন মেঘনাদ বিস্মিত হয়ে যান। কারণ, তিনি মনে করেন যে তিনি নিশাযুদ্ধে রামচন্দ্রকে পূর্বেই হত্যা করেছিলেন। সেই মৃত রামের হাতে বীরবাহুর মৃত্যু তাঁর কাছে অসম্ভব মনে হয়। এই অসম্ভব ও আশ্চর্যজনক ঘটনার কথাই তাঁর বিস্ময়ের কারণ।
৫. “এ মায়া, পিতঃ, বুঝিতে না পারি!” – বক্তা কে? কোন্ মায়া তার বোধের অগম্য?
উত্তর: কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘মেঘনাদবধ’ কাব্যের অন্তর্গত ‘অভিষেক’ কাব্যাংশ থেকে গৃহীত উদ্ধৃত উক্তিটির বক্তা হলেন রাবণ পুত্র ইন্দ্রজিৎ বা মেঘনাদ।
‘মেঘনাদবধ’ কাব্যের ‘অভিষেক’ অংশে মেঘনাদ প্রমোদ উদ্যান থেকে ফিরে এসে পিতা রাবণের কাছে আক্ষেপের সুরে বলেন যে, তিনি নিশাযুদ্ধে রামচন্দ্রকে দু’বার পরাজিত ও হত্যা করেছিলেন। কিন্তু সেই রাম দৈবশক্তিতে পুনর্জীবন লাভ করে আবার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করছেন এবং বীরবাহুর মতো বীরদের হত্যা করছেন। এই অদ্ভুত ও অলৌকিক ঘটনাগুলি মেঘনাদের কাছে রহস্যময় ও বোধগম্যতার বাইরে মনে হয়েছে। তাই তিনি একে “মায়া” বলে আখ্যায়িত করেছেন।
৬. “হায়, বিধি বাম মম প্রতি।”- বক্তা কে? তার এমন মনে হওয়ার কারণ কী?
উত্তর: কবি মধুসূদন দত্ত রচিত ‘অভিষেক’ কাব্যাংশের অন্তর্গত উদ্ধৃত উক্তিটির বক্তা হলেন লঙ্কাধিপতি রাবণ
পুত্র মেঘনাদ রামচন্দ্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রায় উদ্যত হলে লঙ্কাপতি রাবণ আক্ষেপের সুরে উদ্ধৃত উক্তিটি করেছিলেন। কারণ ইন্দ্রজিৎ পূর্বে দু’বার রামচন্দ্রকে পরাজিত ও হত্যা করেছিল কিন্তু দৈবী কৃপায় তিনি পুনরায় জীবিত হয়ে ওঠেন এবং লঙ্কা আক্রমন করে যুদ্ধে বীরবাহুকে হত্যা করেন। বিধাতা বিরূপ বলেই অলঙ্ঘ্য সমুদ্র রামচন্দ্রের দ্বারা সেতুবন্ধনে বাঁধা পড়েছে।
মাধ্যমিক বাংলা
অভিষেক কবিতার বড়ো প্রশ্ন উত্তর
১. “ধিক মোরে!” – বক্তা কে? বক্তা কেন নিজেকে ধিক্কার জানিয়েছেন?
উত্তর: কবি মধুসূদন দত্ত রচিত ‘মেঘনাদবধ কাব্য’-এর অন্তর্গত ‘অভিষেক’ কাব্যাংশ থেকে গৃহীত উদ্ধৃত উক্তিটির বক্তা হলেন স্বয়ং মেঘনাদ বা ইন্দ্রজিৎ।
মেঘনাদ প্রিয়তমা স্ত্রী প্রমীলার সাথে অবসর যাপনের জন্য যখন প্রমোদ উদ্যানে ভ্রমণ করেছিলেন, তখন প্রভাষার ছদ্মবেশে দেবী লক্ষ্মী তাকে লঙ্কার সংবাদ জানিয়েছেন। ছদ্মবেশী দেবী লক্ষ্মীর কাছে মেঘনাদ জানতে পারেন, তার হাতে হত রামচন্দ্র পুনর্জীবন লাভ করে লঙ্কা আক্রমণ করেছেন এবং রামচন্দ্রের সাথে যুদ্ধে তার প্রিয় ভাই বীরবাহু নিহত হয়েছে। লঙ্কার এমন দুর্দশার কথা শুনে মেঘনাদ রুষ্ট হয়ে ওঠেন ও নিজের পুষ্পমালা ছিঁড়ে ফেলেন। দেবী লক্ষ্মীর কাছে তিনি আরও জানতে পারেন, বীরশূন্য লঙ্কাপুরীতে স্বয়ং লঙ্কাধিপতি যুদ্ধযাত্রার উদ্যোগ করছেন। মেঘনাদ জীবিত থাকতে তুচ্ছ মানব রামচন্দ্রের দ্বারা লঙ্কার এই অবস্থা রাক্ষসকুলের জন্য লজ্জাজনক বলে মনে হয়। লঙ্কার এমন সংকটময় মুহূর্তে সে নিজে প্রমোদ উদ্যানে স্ত্রীর সঙ্গে ভ্রমণে ব্যস্ত — তার মতো বীরের পক্ষে যা শোভনীয় নয় বলেই তাঁর মনে হয়েছে। স্বদেশের বিপদে তাঁর নিজের এমন স্বার্থপর আচরণের জন্য ইন্দ্রজয়ী মেঘনাদ নিজেকে ধিক্কার জানিয়েছেন।
২. “নমি পুত্র পিতার চরণে, করজোড়ে কহিলা;”— পিতা ও পুত্রের পরিচয় দাও। পাঠ্যাংশ অবলম্বনে পিতা ও পুত্রের কথোপকথন নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তর: কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘মেঘনাদবধ কাব্য’-এর অন্তর্গত ‘অভিষেক’ কাব্যাংশ থেকে গৃহীত উদ্ধৃত উক্তিটিতে পিতা হলেন লঙ্কাধিপতি রাবণ এবং পুত্র হলেন ইন্দ্রজয়ী মেঘনাদ।
বীরশূন্য লঙ্কাপুরীতে যখন স্বয়ং রাবণ যুদ্ধযাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখন প্রমোদ উদ্যান থেকে স্বর্ণরথে চড়ে ফিরে আসে মেঘনাদ। পিতার চরণে প্রণাম জানিয়ে সে তাঁকে আশ্বস্ত করে বলে— যদি পিতা আজ্ঞা দেন, তবে সে তুচ্ছ মানব রামচন্দ্রকে আজই সমূলে ধ্বংস করে ফেলতে পারে— “সমূলে নির্মূল করিব পামরে আজি!” এমনকি সে রামচন্দ্রকে বায়ু অস্ত্রে উড়িয়ে দিতে পারে কিংবা বেঁধে এনে রাবণের চরণে সমর্পণ করতেও প্রস্তুত।
কিন্তু রাবণ পুত্র বীরবাহু এবং ভাই কুম্ভকর্ণের মৃত্যুতে শোকাহত ও শঙ্কিত। তিনি মেঘনাদকে আর যুদ্ধে পাঠাতে চান না। পিতৃস্নেহ ও দুশ্চিন্তার প্রতিধ্বনি শোনা যায় তাঁর কণ্ঠে— “এ কাল সমরে, নাহি চাহে প্রাণ মম পাঠাইতে তোমা বারম্বার।” তিনি আক্ষেপ করে বলেন— “হায়, বিধি বাম মম প্রতি।” অর্থাৎ, বিধাতা তাঁর প্রতি বিরূপ; রামচন্দ্র যাকে মেঘনাদ নিশা-রণে হত্যা করেছিল, সেই রামচন্দ্রই আজ পুনর্জীবিত হয়ে বীরবাহুকে হত্যা করেছে এবং অলঙ্ঘ্য সমুদ্রে ভাসমান শিলায় সেতুবন্ধন করে লঙ্কা আক্রমণ করছে।
মেঘনাদ এসব শুনে রুষ্ট ও হতবাক হয়ে ওঠেন। তিনি মনে করেন, জীবিত থাকা সত্ত্বেও পিতা রাবণকে তুচ্ছ মানব রামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হচ্ছে, যা তাঁর পক্ষে কলঙ্কজনক। তিনি প্রমোদ উদ্যানে অবস্থান করায় নিজেকে অপরাধী মনে করেন এবং বলেন— “ধিক মোরে!” এইভাবে পিতা-পুত্রের কথোপকথনের মাধ্যমে তাঁদের মানসিক দ্বন্দ্ব, পিতার স্নেহ ও পুত্রের কৃতজ্ঞতা-দায়বোধ প্রকাশ পেয়েছে।
৩. “ঘুচাব এ অপবাদ, বধি রিপুকুলে।”– বক্তা কে? অপবাদটি কী? তিনি কীভাবে তা ঘোচাবেন?
উত্তর: কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘মেঘনাদবধ কাব্য’-এর ‘অভিষেক’ কাব্যাংশে উক্ত উক্তিটির বক্তা হলেন ইন্দ্রজয়ী মেঘনাদ।
রামচন্দ্রের আক্রমণে যখন লঙ্কা সংকটে, তখন মেঘনাদ প্রমোদ উদ্যানে স্ত্রী প্রমীলার সঙ্গে বিলাস যাপনে ব্যস্ত ছিলেন। স্বদেশের এমন দুঃসময়ে নিজের এই বিলাসিতা ও যুদ্ধ থেকে সরে থাকা আচরণকেই তিনি অপবাদ বলে বিবেচনা করেছেন।
এই অপবাদ ঘোচানোর জন্য মেঘনাদ বিলাসসজ্জা পরিত্যাগ করেন। তিনি কর্ণকুন্ডল ও পুষ্পমালা ছিঁড়ে ফেলেন এবং বীরযোদ্ধার বেশে নিজেকে সাজান। হিমালয়কন্যা উমার পুত্র কার্তিকের তারকাসুর বধের জন্য যেভাবে বীররূপে সজ্জিত হয়েছিলেন, কিংবা বৃহন্নলারূপী অর্জুন যেভাবে গান্ডীব ধারণ করে গোধন উদ্ধারে বের হয়েছিলেন— মেঘনাদও তেমনভাবেই বীরবেশ ধারণ করেন। এরপর তিনি স্ত্রী প্রমীলার অনুরোধ উপেক্ষা করে তাকে প্রমোদ কাননে রেখে স্বদেশ রক্ষায় রথে চড়ে লঙ্কার উদ্দেশ্যে রওনা হন। লঙ্কায় পৌঁছে তিনি পিতা রাবণকে আশ্বস্ত করেন যে, তিনি আজ্ঞা পেলে শত্রু রামচন্দ্রকে বায়ু অস্ত্রে তিরবিদ্ধ করে ভস্মে পরিণত করতে পারেন, অথবা বেঁধে এনে রাবণের চরণে সমর্পণ করতে পারেন।
৪. “ছিঁড়িলা কুসুমদাম রোষে মহাবলী”— ‘মহাবলী’ কে? তিনি রুষ্ট কেন?
অথবা, “ছিঁড়িলা কুসুমদাম রোষে মহাবলী মেঘনাদ।” — মেঘনাদ রুষ্ট হয়েছেন কেন?
উত্তর: কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘মেঘনাদবধ কাব্য’র অন্তর্গত ‘অভিষেক’ কাব্যাংশ থেকে উদ্ধৃত উক্তিটির ‘মহাবলী’ হলেন রাবণপুত্র ইন্দ্রজয়ী মেঘনাদ।
মেঘনাদ যখন স্ত্রী প্রমীলার সঙ্গে প্রমোদ উদ্যানে অবসর যাপন করছিলেন, তখন প্রভাষা রূপে আগত ছদ্মবেশী দেবী লক্ষ্মী তাকে লঙ্কার শত্রু-আক্রমণের সংবাদ দেন। তিনি জানান, শত্রু রামচন্দ্র দৈবকৃপায় পুনর্জীবিত হয়ে লঙ্কা আক্রমণ করেছেন এবং মেঘনাদের প্রিয় ভ্রাতা বীরবাহু তার সঙ্গে যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন। এমন সংবাদ শুনে মেঘনাদ রোষে ফুঁসতে থাকেন।
দেবী লক্ষ্মী আরও জানান, বীরশূন্য লঙ্কাপুরীতে লঙ্কাধিপতি রাবণ নিজেই যুদ্ধযাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মেঘনাদ জীবিত থাকতে পিতা রাবণকে এক তুচ্ছ মানব রামচন্দ্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হচ্ছে— এই ঘটনা তাকে ক্ষুব্ধ করে। তিনি মনে করেন, রাক্ষসকুলের জন্য এটি এক লজ্জাজনক ঘটনা।
লঙ্কার এমন সংকটময় মুহূর্তে তিনি নিজে স্ত্রীর সঙ্গে প্রমোদ উদ্যানে সময় কাটাচ্ছেন— এ উপলব্ধি তাকে আরও রুষ্ট করে তোলে। এই আত্মগ্লানির মুহূর্তে রোষে তিনি গলার পুষ্পমালা ছিঁড়ে ফেলেন এবং নিজেকে ধিক্কার জানান।
মাধ্যমিক বাংলা
অভিষেক কবিতার 3 মার্কের প্রশ্ন উত্তর
১. ‘মেঘনাদবধ’ কাব্যের প্রথম সর্গের নাম কী?
উত্তর— ‘অভিষেক’
২. “প্রণমিয়া ধাত্রীর চরণে,/কহিলা”— ইন্দ্রজিৎ কী বলেছিল?
উত্তর— লঙ্কার কুশল জানতে ও ধাত্রীর আগমনের কারণ জিজ্ঞেস করেছিল
৩. “ছদ্মবেশী অম্বুরাশি‑সুতা উত্তরিলা”— ‘অম্বুরাশি‑সুতা’ কে? এ নামের কারণ?
উত্তর— দেবী লক্ষ্মী; সমুদ্রমন্থনে জলরাশি থেকে জন্ম বলে তাঁকে ‘অম্বুরাশি‑সুতা’ বলা হয়
৪. ‘অম্বুরাশি‑সুতা’ কার ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন?
উত্তর— মেঘনাদের ধাত্রীমাতা প্রভাষার ছদ্মবেশ
৫. “সসৈন্যে সাজেন আজি যুঝিতে আপনি।” — কে সসৈন্যে সাজেন?
উত্তর— লঙ্কাধিপতি রাবণ
৬. “জিজ্ঞাসিলা মহাবাহু বিস্ময় মানিয়া;”— বিস্ময়ের কারণ কী?
উত্তর— রামকে হত্যা করেও বীরবাহু তাঁরই হাতে নিহত— এ সংবাদে ইন্দ্রজিৎ বিস্মিত
৭. ছদ্মবেশী লক্ষ্মী কোন সংবাদ এনেছিলেন?
উত্তর— বীরবাহুর মৃত্যু ও রাবণের শোক ও যুদ্ধপ্রস্তুতির সংবাদ
৮. “এ অদ্ভুত বারতা”— কোন বারতা?
উত্তর— বীরবাহুর রামচন্দ্রের হাতে মৃত্যুসংবাদ
৯. “শীঘ্র কহ দাসে”— ‘শীঘ্র’ কী বলতে বলা হয়েছে?
উত্তর— লক্ষ্মী কোথা থেকে এই বারতা পেলেন তা দ্রুত জানাতে
১০. “রত্নাকর রত্নোত্তমা ইন্দিরা সুন্দরী” — ‘ইন্দিরা সুন্দরী’ কে?
উত্তর— দেবী লক্ষ্মী
১১. “যাও তুমি ত্বরা করি”— শীঘ্র যাওয়ার প্রয়োজন কেন?
উত্তর— রাক্ষসকুলের মান রক্ষায় শত্রুবিনাশে দ্রুত যুদ্ধে যাওয়া জরুরি
১২. “… রোষে মহাবলী মেঘনাদ”— রুষ্ট হয়ে কী করেছিল?
উত্তর— ফুলমালা ছিঁড়ে, সোনার বালা ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল
১৩. “পদতলে পড়ি শোভিল কুণ্ডল।” — ‘কুণ্ডল’ অর্থ কী?
উত্তর— কর্ণভূষণ (কানের অলংকার)
১৪. “হা ধিক্ মোরে!” — ইন্দ্রজিৎ কেন নিজেকে ধিক্কার দিল?
উত্তর— লঙ্কা অবরুদ্ধ, তিনি却 প্রমোদ উদ্যানে বিলাস করছিলেন
১৫. “বৈরিদল বেড়ে স্বর্ণলঙ্কা”— ‘বৈরিদল’ কাদের?
উত্তর— রামচন্দ্র ও বানরসৈন্যদল
১৬. “হেথা আমি বামাদল মাঝে?” — কখন উক্তি?
উত্তর— শত্রুবাহিনী লঙ্কা ঘিরে, সে সময়ে উদ্যান‑বিলাসে লিপ্ত হয়ে
১৭. ‘হেথা’ বলতে কোন স্থান?
উত্তর— স্বর্ণলঙ্কার প্রমোদ উদ্যান
১৮. “এই কি সাজে আমারে”— কী সাজ অনুচিত?
উত্তর— যুদ্ধকালেও প্রমোদকাননে ভ্রমণ
১৯. “হৈমবতীসুত যথা …” — কোন কীর্তির উল্লেখ?
উত্তর— কার্তিকের তারকাসুর বধ‑প্রস্তুতির তুলনা
২০. “বৃহন্নলা‑রূপী কিরীটী” — কাকে বলা হয়েছে?
উত্তর— মহাভারতের অর্জুন, বৃহন্নলা রূপে যিনি কীরীটধারী নায়ক
মাধ্যমিক বাংলা
অভিষেক কবিতার MCQ প্রশ্ন উত্তর
১. নামাঙ্কিত পাঠ্য অংশটি কোন কাব্য থেকে নেওয়া?
(A) হেক্টরবধ
(B) তিলোত্তমাসম্ভব
(C) মেঘনাদবধ
(D) ব্রজাঙ্গনা
উত্তর — (C) মেঘনাদবধ কাব্য
২. ‘মেঘনাদবধ কাব্য’-এর প্রকাশকাল—
(A) ১৮৬২ খ্রি.
(B) ১৮৬৫ খ্রি.
(C) ১৮৬১ খ্রি.
(D) ১৮৭২ খ্রি.
উত্তর — (C) ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দ
৩. ‘অভিষেক’ অংশটি গৃহীত—
(A) প্রথম সর্গ
(B) নবম সর্গ
(C) চতুর্থ সর্গ
(D) সপ্তম সর্গ
উত্তর — (A) প্রথম সর্গ
৪. মধুসূদন দত্ত রচিত প্রহসন—
(A) একেই কি বলে সভ্যতা
(B) আনন্দ বিদায়
(C) সধবার একাদশী
(D) চিরকুমার সভা
উত্তর — (A) একেই কি বলে সভ্যতা
৫. ধাত্রী প্রভাষার ছদ্মবেশে এসেছিলেন—
(A) দেবী সরস্বতী
(B) দেবী দুর্গা
(C) দেবী লক্ষ্মী
(D) দেবী চণ্ডী
উত্তর — (C) দেবী লক্ষ্মী
৬. ‘অম্বুরাশি‑সুতা’ হলেন—
(A) দেবী লক্ষ্মী
(B) দেবী চণ্ডী
(C) দেবী মনসা
(D) দেবী দুর্গা
উত্তর — (A) দেবী লক্ষ্মী
৭. অম্বুরাশি‑সুতা যে মৃত্যুসংবাদ দিলেন—
(A) রাবণের
(B) বীরবাহুর
(C) বিভীষণের
(D) রাঘবের
উত্তর — (B) বীরবাহু
৮. “সসৈন্যে সাজেন আজি আপনি”‑এর ‘সাজেন’‑এর অর্থ—
(A) খেলিতে
(B) বধিতে
(C) মারিতে
(D) যুঝিতে
উত্তর — (D) যুঝিতে
৯. ‘মহাবাহু’ হলেন—
(A) রামচন্দ্র
(B) রাবণ
(C) ইন্দ্রজিৎ
(D) বীরবাহু
উত্তর — (C) ইন্দ্রজিৎ
১০. “_______ সংহারিনু আমি রঘুবরে।”
(A) নিশা‑রণে
(B) অপরাহ্ণ রণে
(C) দিবা‑রণে
(D) মধ্যাহ্ন রণে
উত্তর — (A) নিশা‑রণে
১১. “এ বারতা, এ অদ্ভুত বারতা—” এখানে সম্বোধন—
(A) জননী
(B) ভগবতী
(C) রাক্ষসী
(D) মাতঃ
উত্তর — (A) জননী
১২. “কোথায় পাইলে তুমি, শীঘ্র কহ দাসে” — ‘দাস’ হল—
(A) লক্ষ্মণ
(B) ইন্দ্রজিৎ
(C) রাবণ
(D) বিভীষণ
উত্তর — (B) ইন্দ্রজিৎ
১৩. “রক্ষ রক্ষঃকুলমান”— রক্ষকুলের মান রক্ষা করবেন—
(A) রাবণ
(B) লক্ষ্মণ
(C) ইন্দ্রজিৎ
(D) বিভীষণ
উত্তর — (C) ইন্দ্রজিৎ
১৪. ‘রক্ষঃ‑চূড়ামণি’ শব্দের অর্থ—
(A) রাক্ষসকুলের শিরোমণি
(B) ক্ষেত্রমণি
(C) রক্ষামণি
(D) সৈন্যমণি
উত্তর — (A) রাক্ষসকুলের শিরোমণি
১৫. রোষে কুসুমদাম ছিঁড়লেন—
(A) মেঘনাদ
(B) রামচন্দ্র
(C) কুম্ভকর্ণ
(D) রাবণ
উত্তর — (A) মেঘনাদ
১৬. “পদ‑তলে পড়ি শোভিল কুণ্ডল”— ‘কুণ্ডল’ অর্থ—
(A) কর্ণভূষণ
(B) নূপুর
(C) কণ্ঠহার
(D) কঙ্কণ
উত্তর — (A) কর্ণভূষণ
১৭. “_ বেড়ে স্বর্ণলঙ্কা”
(A) বামাদল
(B) কপূরদল
(C) বৈরীদল
(D) রাক্ষসদল
উত্তর — (A) বামাদল
১৮. “হেথা আমি বামাদল মাঝে?”— ‘বামা’ শব্দের অর্থ—
(A) রাক্ষস
(B) পুরুষ
(C) নারী
(D) দেবী
উত্তর — (C) নারী
১৯. ত্বরা করে আনতে বলা হয়েছে—
(A) রথ
(B) পালকি
(C) ঘোড়া
(D) হাতি
উত্তর — (A) রথ
২০. “ঘুচাব এ অপবাদ, বধি __”
(A) অসুরকুলে
(B) দেবকুলে
(C) বানরকুলে
(D) রিপুকুলে
উত্তর — (D) রিপুকুলে
২১. ‘সাজিলা রথীন্দ্রষভ’— ‘রথীন্দ্র’ অর্থ—
(A) এক শ্রেষ্ঠ বীর
(B) শ্রেষ্ঠ দেবতা
(C) শ্রেষ্ঠ রথী
(D) শ্রেষ্ঠ অসুর
উত্তর — (A) এক শ্রেষ্ঠ বীর
২২. ‘হৈমবতীসুত’ হলেন—
(A) গণেশ
(B) কার্তিকেয়
(C) অর্জুন
(D) গরুড়
উত্তর — (B) কার্তিকেয়
২৩. “উড়িছে কৌশিক‑ধ্বজ”— ‘ধ্বজ’ শব্দের অর্থ—
(A) দামামা
(B) পতাকা
(C) কনক
(D) আসন
উত্তর — (B) পতাকা
২৪. “মরে নাকি পুনরায় বেঁচে উঠেছে”— বোঝায়—
(A) লক্ষ্মণ
(B) বীরবাহু
(C) রাঘব
(D) পবন
উত্তর — (C) রাঘব
আরও দেখো: আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি
এখানে অভিষেক কবিতার প্রশ্ন উত্তর শেয়ার করা হলো। / মাধ্যমিক বাংলা WBBSE / মাইকেল মধুসূদন দত্ত।