এখানে আমি সাগর পাড়ি দেবো কবিতার প্রশ্ন উত্তর শেয়ার করা হলো। / ক্লাস 4 পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ / চতুর্থ শ্রেণী বাংলা আমি সাগর পাড়ি দেবো কাজী নজরুল ইসলাম
আমি সাগর পাড়ি দেবো কবিতার প্রশ্ন উত্তর
সারমর্ম
কাজী নজরুল ইসলামের এই কবিতায় কথক নিজেকে একজন সাহসী সওদাগর রূপে কল্পনা করেন। তিনি তাঁর সপ্ত মধুকর ডিঙা ভাসিয়ে দিয়ে সাগরে পাড়ি জমাতে চান। তিনি সারা পৃথিবীর ঘাটে ঘাটে গিয়ে বাণিজ্য করবেন, আর সমুদ্রের ঢেউয়ে ভাসতে ভাসতে দুর্লভ রত্ন-মানিক সংগ্রহ করবেন। দ্বীপের বাসিন্দারা অপেক্ষায় থাকবে তাঁর আগমনের, ঝিনুক-মুক্তো তাঁকে উপহার দেবে। গাঙচিলেরা এসে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাবে আর নতুন নতুন দেশের তীরভূমি তাঁকে হাতছানি দিয়ে ডাকবে।
হাঙর, কুমির, তিমির মতো ভয়ঙ্কর প্রাণীর আক্রমণ প্রতিহত করে তিনি ‘সপ্ত সাগর’ পাড়ি দেবেন। মোল্লামাঝি ও জেলেদের তিনি সেই দায়িত্ব দিয়ে যাবেন। ‘বণিক বীর’ হিসেবে তিনি বাণিজ্যের মাধ্যমে দেশ-দেশান্তরের ভেদাভেদ দূর করবেন, সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধির সম্পর্ক গড়ে তুলবেন। সবশেষে তিনি মাকে বলবেন, এই বাণিজ্য থেকে প্রাপ্ত রত্ন-মণি দিয়ে তিনি মায়ের লজ্জা ঢাকবেন, মা হবেন ‘রাজরানি’ আর তিনি হবেন ‘রাজকুমার’।
চতুর্থ শ্রেণী বাংলা
আমি সাগর পাড়ি দেবো কবিতার হাতেকলমে প্রশ্ন উত্তর
১. নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও।
১.১ কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা কাব্যজগতে কী অভিধায় অভিহিত?
উত্তর: কবি নজরুল ইসলাম বাংলা কাব্যজগতে ‘বিদ্রোহী কবি’ অভিধায় অভিহিত।
১.২ তাঁর লেখা দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখো।
উত্তর: কাজী নজরুল ইসলামের লেখা দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম অগ্নিবীণা ও সর্বহারা।
২. কবিতায় উল্লিখিত ‘বিভেদ’ শব্দটি দ্যাখো। ‘ভেদ’ শব্দটির আগে ‘বি’ বসে তৈরি হয়েছে নতুন শব্দ ‘বিভেদ’। নীচে বেশ কিছু শব্দ দেওয়া হল। নীচের শব্দগুলির আগে ‘বি’ যোগ করে নতুন নতুন শব্দ তৈরি করো।
ভাগ, তৃয়া, চার, হার, জ্ঞান, ক্রয়
উত্তর: ভাগ-বিভাগ, তৃয়া-বিতৃয়া, চার-বিচার,
হার-বিহার, জ্ঞান-বিজ্ঞান, ক্রয়-বিক্রয়
৩. নির্দেশ অনুসারে লেখো।
৩.১ ‘তালে তালে’ শব্দটিতে একই শব্দ পরপর দু-বার বসেছে। তোমাদের কবিতায় দ্যাখো তো এরকম একই শব্দ পাশাপাশি দু-বার বসে কী কী শব্দ তৈরি হয়েছে।
উত্তর: (ক) দুলে দুলে (খ) দ্বীপে দ্বীপে
৩.২ ‘তালে তালে’ শব্দটিতে যেমন একই বর্ণ ‘ল’ দু-বার বসেছে তেমনি ‘ল’ ধ্বনিকে দু-বার ব্যবহার করে আরও একটি শব্দ লেখো।
উত্তর: দুলে দুলে
৩.৩ উপরের প্রশ্ন দুটিতে ব্যবহৃত শব্দটির মতো পাঁচটি শব্দ তুমি নিজে তৈরি করো।
উত্তর: (ক) ফুলে ফুলে (খ) মাসে মাসে (গ) ঘাটে ঘাটে
(ঘ) গাছে গাছে (ঙ) ঘরে ঘরে
৩.৪ ‘র’ ধ্বনিকে দু-বার ব্যবহার করে দ্যাখো তো কোন্ কোন্ শব্দ পাও। একটি করে দেওয়া হল। যেমন-থরথর
উত্তর: পরপর, তরতর, ঝরঝর
৪. কোন্ কোন্ শব্দগুলির অন্ত্যমিল আছে তাদের
উত্তর:
সওদাগর – মধুকর,
আজ-লাজ,
বদর-গাজি – মাল্লামাঝি,
সিন্ধু – বন্ধু
৫. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও।
৫.১ সওদাগর কোথায় পাড়ি দিতে চায়?
উত্তর: সওদাগর সাগর পাড়ি দিতে চায়।
৫.২ ময়ূরপঙ্খি বজরা কীসের মতো দুলে দুলে চলবে?
উত্তর: ময়ূরপঙ্খি বজরা মরাল বা রাজহাঁসের মতো দুলে দুলে চলবে।
৫.৩ শুক্তি সওদাগরকে কী নজরানা দেবে?
উত্তর: শুক্তি সওদাগরকে মুক্তোমালা নজরানা দেবে।
৫.৪ কথক সওদাগর হয়ে কাদের ভয় পান না?
উত্তর: কথক সওদাগর হয়ে হাঙর, কুমির বা তিমির মতো হিংস্র জলজ জন্মদের ভয় পাবেন না বলে জানিয়েছেন।
৫.৫ কথক সওদাগর কীভাবে বিভেদ ভেঙে সমস্তকে একাকার করতে চান?
উত্তর: কথক সওদাগর দেশগুলির মধ্যে তৈরি করা বিভেদের প্রাচীর বন্যা এনে ভাঙতে চান।
৫.৬ কথক কাদের জলদস্যু বলেছেন? তাদের জন্য তিনি কাদের পাহারায় রেখে যেতে চান?
উত্তর: কথক হাঙর, কুমির ও তিমিকে জলদস্যু বলেছেন। তাদের জন্য তিনি মোল্লামাঝি ও জেলেকে পাহারায় রেখে যেতে চান।
৫.৭ “দেশে দেশে দেয়াল গাঁথা” বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? কীভাবে তিনি এর প্রতিকার করবেন?
উত্তর: “দেশে দেশে দেয়াল গাঁথা” বলতে কবি বোঝাতে চেয়েছেন—বিদ্বেষ, হানাহানি ও হিংসার কারণে দেশগুলোর মধ্যে যে বিভেদ ও দূরত্ব তৈরি হয়েছে।
কবি বাণিজ্যের মাধ্যমে এক দেশ থেকে আরেক দেশে যাত্রা করে, ঐশ্বর্য ও সংস্কৃতি ভাগ করে দিয়ে সেই বিভেদের দেয়াল ভাঙতে চান।
৫.৮ কবিতায় কথক কোন্ কোন্ জিনিসকে ‘সাত সংখ্যা’ দিয়ে উল্লেখ করেছেন?
উত্তর: আলোচ্য কবিতায় কথক তাঁর ‘মধুকর ডিঙা’ ও ‘সাগর’-কে ‘সপ্ত’ বা সাত সংখ্যা দিয়ে উল্লেখ করেছেন।
৫.৯ দুঃখিনী মায়ের দুঃখ ঘোচাতে কবি কী করতে চান?
উত্তর: দুঃখিনী মায়ের দুঃখ ঘোচাতে কবি সারা পৃথিবী ঘুরে বাণিজ্য করতে চান এবং সেখান থেকে রত্ন-মণি এনে মায়ের দারিদ্র ও লজ্জা দূর করতে চান।
৫.১০ কবিতায় কোন্ কোন্ রত্নের উল্লেখ আছে খুঁজে বার করো।
উত্তর: কবিতায় মুস্তামালা, লাল জহরত, পান্না ও চুনির উল্লেখ আছে।
৫.১১ কবিতায় কোন্ কোন্ জলজ প্রাণীর উল্লেখ আছে?
উত্তর: কবিতায় রাজহাঁস, ঝিনুক, হাঙর, কুমির ও তিমি-র মতো জলজ প্রাণীর উল্লেখ আছে।
৬. কবিতায় ‘বেচাকেনা’ শব্দ দুটি একসঙ্গে বসলেও শব্দ দুটি বিপরীতার্থক। পাশের শব্দঝুড়ির সাহায্যে এরকম কিছু শব্দের বিপরীত শব্দ লেখো।
উত্তর:
বাঁচন – মরণ
পাতাল – আকাশ
দেনা – পাওনা
দুঃখ – সুখ
অগ্র – পশ্চাৎ
ওঠা – নামা
আঁধার – আলো
গোড়া – আগা
৭. মনে করো, তুমি সওদাগর। বিভিন্ন দেশে জিনিসপত্র বেচাকেনা করতে যাও। জিনিসপত্র ছাড়া আর কী কী তুমি বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে দেবে? তাদের দেশ থেকে কী কী তোমার সঙ্গে আনবে?
উত্তর: আমি যদি সওদাগর হতাম, তবে বেচাকেনার পাশাপাশি বিদেশে আমার দেশের ঔদার্য, সম্প্রীতি, ভালোবাসা ও শুভচেতনার বার্তা ছড়িয়ে দিতাম। মানুষে-মানুষে হৃদ্যতা গড়ে তোলার প্রয়াস নিতাম।
পুনরায় দেশে ফেরার সময়, আমি বিভিন্ন দেশের ধর্মীয় বৈচিত্র্য, সামাজিক মূল্যবোধ, ভাষা, সংগীত, খেলাধুলা, পোশাক ও খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে শিক্ষা নিয়ে আসতাম এবং সেগুলোর সৌন্দর্য আমার দেশের মানুষের সঙ্গে ভাগ করে নিতাম।
চতুর্থ শ্রেণী বাংলা
আমি সাগর পাড়ি দেবো কবিতার অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর
১. সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো:
১.১ কবিতার কথক নিজেকে কী হিসেবে কল্পনা করেছেন?
ক) রাজপুত্র
খ) যোদ্ধা
গ) সওদাগর
ঘ) কবি
উত্তর: গ) সওদাগর
১.২ ‘সপ্ত মধুকর’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
ক) সাতটি পাখি
খ) সাতটি বজরা
গ) সাতটি ফুল
ঘ) সাতটি মণি
উত্তর: খ) সাতটি বজরা
১.৩ ‘ময়ূরপঙ্খি বজরা’ কেমনভাবে চলে?
ক) ঢেউ ঠেলে
খ) মরাল সম দুলে দুলে
গ) রাজহাঁসের মতো
ঘ) সোজা পথে
উত্তর: খ) মরাল সম দুলে দুলে
১.৪ কবিতায় উপহার হিসেবে কী তোলা হয়?
ক) সোনা-রূপো
খ) জহরত ও সুধা
গ) রতন মানিক
ঘ) চাল-ডাল
উত্তর: গ) রতন মানিক
১.৫ ‘সিন্ধু-গাজি মোল্লামাঝি’ কারা?
ক) বণিকের সহযোগী যোদ্ধা
খ) রাজা ও রানি
গ) জলদস্যু
ঘ) দ্বীপবাসী
উত্তর: ক) বণিকের সহযোগী যোদ্ধা
১.৬ কবিতায় কতটি সাগরের কথা বলা হয়েছে?
ক) তিনটি
খ) চারটি
গ) সাতটি
ঘ) একটিই নয়
উত্তর: গ) সাতটি
১.৭ কথক মাকে কী উপহার দিতে চান?
ক) মুক্তামালা ও রাজত্ব
খ) রাজত্ব
গ) রত্ন ও রাজকীয় মর্যাদা
ঘ) সুখ ও শান্তির বার্তা
উত্তর: গ) রত্ন ও রাজকীয় মর্যাদা
চতুর্থ শ্রেণী বাংলা
আমি সাগর পাড়ি দেবো কবিতার অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর
১. নীচের এক কথায় উত্তর দাও:
১.১ কবিতার কথক নিজেকে কী কল্পনা করেছেন?
উত্তর: কবিতার কথক নিজেকে সওদাগর কল্পনা করেছেন।
১.২ কথকের বজরা কেমন?
উত্তর: কথকের বজরা ময়ূরপঙ্খি।
১.৩ কথক কী নিয়ে বিশ্বজোড়া হাটে যাবেন?
উত্তর: কথক তাঁর ঘাটের সওদা নিয়ে বিশ্বজোড়া হাটে যাবেন।
১.৪ কথকের বজরাটি কেমন?
উত্তর: কথকের বজরাটি ময়ূরপঙ্খি এবং ঢেউয়ের দোলায় দুলতে দুলতে চলে।
১.৫ সিন্ধু কথকের কীভাবে সাহায্য করবে?
উত্তর: সিন্ধু বন্ধু হয়ে কথকের তরি রত্ন-মানিক বোঝাই করে দেবে।
১.৬ দ্বীপবাসীরা কথককে কী দেবে?
উত্তর: দ্বীপবাসীরা কথককে নজরানা হিসেবে মুক্তামালা দেবে।
১.৭ গাঙচিলেরা কীভাবে কথককে অভ্যর্থনা জানাবে?
উত্তর: গাঙচিলেরা চারপাশে ভিড় করে কথককে অভ্যর্থনা জানাবে।
১.৮ জলদস্যুদের উদ্দেশ্যে কথক কী বলবেন?
উত্তর: কথক বলবেন, তিনি জলদস্যুদের ভয় পান না এবং মোকাবিলার জন্য সৈন্য রেখেছেন।
১.৯ কথক বিভেদরেখা দূর করতে কী করবেন?
উত্তর: কথক বন্যা এনে বিভেদরেখা ভেঙে দেশগুলিকে একাকার করবেন।
১.১০ কথক কীভাবে মায়ের দুঃখ ঘোচাতে চান?
উত্তর: কথক বিশ্বজুড়ে সুখ-সম্পদ কুড়িয়ে এনে মায়ের দুঃখ ঘোচাতে চান।
চতুর্থ শ্রেণী বাংলা
আমি সাগর পাড়ি দেবো কবিতার অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর
২. নীচের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাভিত্তিক প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:
২.১ মায়ের উদ্দেশে কথকের বক্তব্য কী?
উত্তর: কবি তাঁর মাকে ভয় না পেতে বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ‘বণিক বীর’ ছেলে বাণিজ্য করে বহু মণিমাণিক্য সংগ্রহ করবে এবং তা দিয়ে মায়ের দুঃখ ও লজ্জা দূর করবে।
২.২ জলদস্যুদের উদ্দেশে কবিতার কথকের বক্তব্য কী?
উত্তর: জলদস্যু অর্থাৎ তিমি ও হাঙরের উদ্দেশে কথক বলেন—তাঁরা যেন আক্রমণ করার আগে ভাবেন, কারণ তিনি তাঁদের ভয় পান না। তাঁর সাহসী মাঝি ও জেলেরা তীক্ষ্ণ বর্শা দিয়ে তাদের প্রতিহত করবে।
২.৩ কবিতায় কথকের ‘বণিক বীর’ রূপটি কেমনভাবে প্রকাশ পেয়েছে?
উত্তর: কবিতায় কথক নিজেকে ‘বণিক বীর’ হিসেবে কল্পনা করেছেন। তিনি শুধু একজন ব্যবসায়ী নন, তিনি একজন সাহসী যোদ্ধাও। তাঁর ডিঙা সাত সাগরে ভাসবে এবং সমুদ্রের ঢেউয়ের দোলায় তাঁর ময়ূরপঙ্খি বজরা বাণিজ্য করে বেড়াবে। পথে তিনি ভয়ংকর জলদস্যু—তিমি, হাঙর, কুমিরদের সঙ্গে লড়াই করতেও প্রস্তুত। তিনি সিন্ধু-গাজি, মোল্লামাঝি ও জেলেদের দিয়ে পাহারা বসাবেন। সেইসঙ্গে তিনি বাণিজ্যের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর মধ্যে সম্প্রীতি ও মিলনের সেতুবন্ধন গড়তে চান। তাই তাঁর বণিক রূপের সঙ্গে সাহস, নেতৃত্ব ও আদর্শবোধও প্রকাশ পেয়েছে।
২.৪ ‘দেশে দেশে দেয়াল গাঁথা’ পংক্তিটির ভাবার্থ কী? কবি কীভাবে এই দেয়াল ভাঙতে চান?
উত্তর: ‘দেশে দেশে দেয়াল গাঁথা’ বলতে কবি বুঝিয়েছেন দেশগুলির মধ্যে বিদ্যমান হিংসা, বিদ্বেষ, ভেদাভেদ ও বিচ্ছিন্নতা। এই দেয়াল জাতি, ধর্ম, ভাষা ও সংস্কৃতির পার্থক্য থেকে তৈরি হয়েছে। কবি মনে করেন, এই মানসিক ও সামাজিক দেয়াল বিশ্বশান্তি ও সম্প্রীতির বড়ো বাধা। তিনি একজন ব্যবসায়ী হিসেবে নানা দেশে গিয়ে বাণিজ্যের মাধ্যমে ঐক্য স্থাপন করতে চান। দেশ থেকে দেশান্তরে সুখ-সমৃদ্ধির আদান-প্রদান করে তিনি এই বিভেদের প্রাচীর ভেঙে দিতে চান।
২.৫ কথক তাঁর মায়ের প্রতি কী অনুভব প্রকাশ করেছেন?
উত্তর: কথকের মায়ের প্রতি গভীর ভালবাসা, শ্রদ্ধা ও দায়িত্ববোধ প্রকাশ পেয়েছে কবিতায়। কথক যখন সমুদ্রযাত্রায় বেরোতে চান, তখন তিনি মাকে সাহস দিয়ে বলেন, ‘ভয় কী গো মা!’ তিনি জানান, তাঁর বাণিজ্যিক সাফল্যের মাধ্যমে মায়ের অভাব, কষ্ট ও লজ্জা দূর করবেন। তিনি এমন সমস্ত রত্ন সংগ্রহ করবেন, যা দিয়ে মা হবেন রাজরানি। মা যে দুঃখিনী, তা দূর করাই তাঁর প্রধান উদ্দেশ্য। এভাবেই কবি মায়ের প্রতি এক নিঃস্বার্থ, আদর্শ সন্তানসুলভ ভালোবাসার পরিচয় দিয়েছেন।
আরও দেখো: বিচিত্র সাধ কবিতার প্রশ্ন উত্তর