এখানে অরণ্য সপ্তাহ পালন সম্পর্কে ৫ টি প্রতিবেদন রচনা লিখে দেওয়া হলো।
অরণ্য সপ্তাহ পালন প্রতিবেদন রচনা: ১
অরণ্য সপ্তাহ উদযাপন
নিজস্ব সংবাদাতা, বারাসাত, ৭ ই আগস্ট : বারাসাতের বিভিন্ন স্কুল, কলেজের ছাত্রছাত্রীরা ক্লাবের সদস্যরা গত ৩০ জুলাই থেকে ৫ আগষ্ট পর্যন্ত অরণ্য সপ্তাহ দিবস উদযাপন করলো। এই অনুষ্ঠানে তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এলাকার বিধায়ক, স্থানীয় চেয়ারম্যান, শিক্ষক শিক্ষিকা মন্ডলী, বহু সচেতন অভিভাবকরা। ৩০ শে জুলাই পোস্টার নিয়ে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। শোভাযাত্রা পুরো পৌরসভা প্রদক্ষিণ করেছিল। ৩০ জুলাই থেকে ৫ আগষ্ট পর্যন্ত প্রতিদিন ১০০ টা করে গাছ লাগানো হয়েছে।
সপ্তাহর মাঝে অরণ্যের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে পথনাটিকার আয়োজন করেছিল একটি স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা। সেখানে গাছ আমাদের জীবনে কতোটা অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত সেটা দেখানো হয়েছে। সপ্তাহ শেষে ৫ আগষ্ট পরিবেশ অধিদপ্তরের থেকে রবীন্দ্র ভবনে একটি সচেতনতা সভার আয়োজন করেছিল। পরিবেশবিদ শ্যামল মুখার্জী বক্তব্য রাখেন মাটির ক্ষয় রোধ করা থেকে, ঝড়ের গতিবেগ কমিয়ে দেওয়া, পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন যোগান দেওয়া, পরিবেশে জলোচক্রের ভারসাম্য বজায় রাখতে গাছ কতটা সাহায্য করে। এছাড়া বক্তব্য রাখেন পৌরপিতা অধীর গুচাইত ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গগণ।
অরণ্য সপ্তাহ পালন প্রতিবেদন রচনা: ২
প্রশ্ন: তোমার এলাকায় অরণ্য সপ্তাহ পালন হল এই বিষয়ে প্রতিবেদন রচনা করো।
অরণ্য সপ্তাহ পালন
নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুর, ১২ ই জুলাই: বিগত বছরগুলোর মতো এই বছর মেদিনীপুর রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা’ সবুজ বাঁচাও কমিটি’র উদ্যোগে ৬ই জুলাই থেকে ১২ই জুলাই পর্যন্ত মহা আড়ম্বরে অরণ্য সপ্তাহ পালন হয়ে গেল। এলাকার মানুষের পাশাপাশি বহু বাইরের মানুষ এই মহৎ কাজে আগ্রহের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছিল।
অরণ্য সপ্তাহ ৬ই জুলাই সূচনা করেন বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রী। তিনি এই অরণ্য সপ্তাহ পালন এর তাৎপর্য সকলের সামনে তাঁর বক্তব্য তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে এই সংস্থার এই কর্মপ্রয়াসকে সাধুবাদ জানান। সংস্থার সম্পাদিকা মিতালী সেন অরণ্য সপ্তাহ পালন পরিবেশ রক্ষায় কতখানি জরুরি তা জানান। এই অনুষ্ঠানে ৮ই জুলাই যোগ দেন মাননীয় সাংসদ। সংস্থার উদ্যোগে প্রতিদিন এখান থেকে সাধারণ মানুষদের বিভিন্ন চারাগাছ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। রাস্তার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এই সাতদিনে তারা প্রায় ১৫০০ চারাগাছ বিলির ব্যবস্থা করেছিল। এই অনুষ্ঠানের শেষ দিন মাননীয় বিধায়ক এর উপস্থিতিতে ‘গাছ তুলে এনে বাগানে বসাও’ বিষয়ের উপর একটি নিত্যনাট্যও পরিবেশিত হয়। ‘সবুজ বাচাও কমিটি’র এই কর্মপ্রয়াস ও উদ্যোগ এলাকায় প্রচুর উদ্দীপনা ও সাড়া ফেলায়।
অরণ্য সপ্তাহ পালন প্রতিবেদন রচনা: ৩
খুদরুন ডিগ্রি কলেজে অরণ্য সপ্তাহ উদযাপন
নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট থানার অন্তর্গত খুদরুন গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজে অরণ্য সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল, যা সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। অরণ্য বা বৃক্ষ ছাড়া প্রাণিকুলের অস্তিত্ব অসম্ভব—এই সত্যকে জনসমক্ষে তুলে ধরতে এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে কলেজের ছাত্রছাত্রীরা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
গত সোমবার এই অনুষ্ঠান সূচনা হয় এবং সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষরোপণসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে অরণ্য সপ্তাহ উদযাপন করা হয়। কলেজের প্রিন্সিপাল, বিশ্বনাথ দত্ত, কলেজ ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন। কলেজের ছাত্রছাত্রীরা কলেজের রাস্তা থেকে অজয় নদীর তীর পর্যন্ত এক হাজার বৃক্ষরোপণ করেছে।
এখানে শুধু বৃক্ষরোপণই নয়, অরণ্যের উপযোগিতা বিষয়ে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছিল। মাননীয় বনমন্ত্রী চন্দন সেন স্বয়ং এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের উদ্যোগ ও সহায়তায় ৫ হাজার চারাগাছ সংগ্রহ করা হয়েছিল। ব্যানার ও বিজ্ঞাপনের সাহায্যে গাছের গুরুত্ব সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে তারা পূর্ণ উদ্যোগ নেয়। তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সোমা ঘোষ বলেছেন, এই কর্মসূচি সমাজসেবার অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা ভবিষ্যতে আরও ব্যাপক পরিসরে করা হবে।
অরণ্য সপ্তাহ পালন প্রতিবেদন রচনা: ৪
অরণ্য সপ্তাহ উদযাপন: বাঁকুড়ায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁকুড়া, ২১ মার্চ ২০২৪: বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে সারা বিশ্ব যখন অতিষ্ঠ, তখন প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় বাঁকড়ার বি.এ, ডি, পি বিদ্যাপীঠ উদ্যোগ নিয়েছে অরণ্য সপ্তাহ উদযাপনের। ২১ মার্চ ২০২৪ তারিখে এই উপলক্ষে বিদ্যাপীঠের প্রাঙ্গণ থেকে চৌরঙ্গী রোড পর্যন্ত এক প্রভাতফেরি এবং পথ নাটিকার মাধ্যমে বিশ্ব উষ্ণায়নের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করা হয়।
এই অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল পথ নাটিকা, যেখানে বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব এবং অরণ্য সংরক্ষণে জনসাধারণের অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়। বাঁকুড়া বন দপ্তরের আধিকারিক এস. কে. সেন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন এবং বিদ্যাপীঠের ছাত্রছাত্রীদের হাতে ২০টি চারাগাছ তুলে দেন। অনুষ্ঠানে জাম, কাঁঠাল, হরতকি, তেঁতুল, বট প্রভৃতি গাছের চারা বিতরণ করা হয়।
গ্রামবাসীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে এলাকায় আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয় এবং বিনামূল্যে চারাগাছ বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়। অনুষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীরা সঙ্গীত ও নৃত্যের মাধ্যমে অরণ্য সংরক্ষণের বার্তা পৌঁছে দেয়। জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি পরিসমাপ্তি ঘটে।
অরণ্য সপ্তাহ পালন প্রতিবেদন রচনা: ৫
অরণ্য সপ্তাহ উদযাপনে জয়নগর
নিজস্ব সংবাদদাতা, জয়নগর, ২৯ শে জুলাই: প্রতি বছরের মতো এবারও ২০ শে জুলাই থেকে ২৬ শে জুলাই জয়নগর গ্রামে বনমহোৎসব পালন করা হয়। অরণ্য সপ্তাহকে কেন্দ্র করে গ্রামে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে, যা মহাড়ম্বরের সঙ্গে পালিত হয়েছে।
এই সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় গ্রামের সমস্ত ছাত্রছাত্রী এবং অন্যান্য ছেলেমেয়েদের অংশগ্রহণে প্রবন্ধ, তাৎক্ষণিক বক্তৃতা, কবিতা আবৃত্তি, অঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং নাটকের আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়াও, ৭০০টি চারা গাছ রোপণ করা হয়, যা গ্রামের পরিবেশকে সবুজায়নের পথে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে গ্রামের প্রধান, স্কুলের প্রধান শিক্ষক, বিধায়ক, এবং বনদপ্তরের বিভিন্ন আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের বক্তব্যে গাছের গুরুত্ব সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাঁর বক্তব্যে বলেন, “দিন দিন যেভাবে গরমের দাপট বাড়ছে, তার মূল কারণ হলো বৃক্ষনিধন। তাই আমাদের গাছ কাটার পরিবর্তে আরও বেশি করে গাছ লাগিয়ে পৃথিবীকে সবুজ, সতেজ ও প্রাণবন্ত করে তুলতে হবে।” এই ধরনের সচেতনতা মূলক কর্মসূচি গ্রামের পরিবেশ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরও দেখো: নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি সম্পর্কে প্রতিবেদন রচনা