এখানে বিচিত্র সাধ কবিতার প্রশ্ন উত্তর শেয়ার করা হলো। / চতুর্থ শ্রেণী বাংলা / West Bengal Primary Board / বিচিত্র সাধ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ক্লাস 4 বাংলা
বিচিত্র সাধ কবিতার হাতেকলমে প্রশ্ন উত্তর
সারমর্ম
“বিচিত্র সাধ” কবিতায় একজন শিশুমনের মুক্ত জীবনের আকাঙ্ক্ষাকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। কথক প্রতিদিন পাঠশালায় যাওয়ার পথে ফেরিওয়ালাদের carefree জীবন দেখে মুগ্ধ হন। তারা যেভাবে বাধাহীনভাবে পথ চলে, যখন ইচ্ছে খায়, নিজের ইচ্ছেমতো ঘোরে, তা দেখে তার মনে হয় যদি সেও এমন স্বাধীন জীবন পেত।
পাঠশালা থেকে ফেরার সময় ফুলের মালি মাটি কোপাচ্ছে—তাকেও কেউ বারণ করছে না। তখন তার মনে হয়, মালি হওয়াটাই ভালো।
রাত্রে পাহারাওয়ালাকে দেখে তাঁর আরও এক নতুন ইচ্ছা জাগে—সে যদি পারত, গলির ধারে নিজের মতো জেগে থাকতে, পাহারা দিতে।
এই কবিতার মাধ্যমে শিশুমনের নানারকম আকাঙ্ক্ষা, স্বাধীন জীবনের প্রতি আকর্ষণ এবং বাধাহীন জীবনযাপনের স্বপ্ন প্রতিফলিত হয়েছে।
চতুর্থ শ্রেণী বাংলা
বিচিত্র সাধ কবিতার হাতেকলমে প্রশ্ন উত্তর
[১] নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও।
১.১ সহজপাঠ বইটির লেখকের নাম কী?
উত্তর: সহজপাঠ বইটির লেখক হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
১.২ কবি রবীন্দ্রনাথ কত সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান?
উত্তর: কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান।
[২] একটি বাক্যে উত্তর দাও।
২.১ ‘পাঠশালা’ শব্দটির একটি সমার্থক শব্দ লেখো।
উত্তর: ‘পাঠশালা’ শব্দটির একটি সমার্থক শব্দ হল বিদ্যালয়।
২.২ কবিতার কথক বাড়ির গলি দিয়ে কোথায় যায়?
উত্তর: কবিতার কথক বাড়ির গলি দিয়ে পাঠশালায় যায়।
২.৩ পাঠশালায় যাওয়ার পথে কথকের মনে কোন কল্পনা জেগে ওঠে?
উত্তর: পাঠশালায় যাওয়ার পথে কথকের মনে ফেরিওয়ালার মতো ফেরি করার কল্পনা জাগে।
২.৪ সারাদিনের শেষে বাড়ি ফেরার পথে সে কী দেখতে পায়?
উত্তর: সারাদিনের শেষে বাড়ি ফেরার পথে কথক দেখতে পায় বাবুদের ফুলবাগানের মালি বাগানের মাটি কোপাচ্ছে।
২.৫ ‘ফেরিওয়ালা’, ‘মালি’ কিংবা ‘পাহারাওয়ালা’-র জীবনের স্বাধীনতা কথককে কীভাবে আকর্ষণ করে?
উত্তর: ‘ফেরিওয়ালা’, ‘মালি’ কিংবা ‘পাহারাওয়ালা’-র জীবনের স্বাধীনতা কথককে তার বাধাধরা জীবনের বাইরে মুক্ত জীবনের আকর্ষণ অনুভব করায়।
২.৬ রাতের বেলা জানালা দিয়ে বক্তা কাকে দেখে?
উত্তর: রাতের বেলা বক্তা জানালা দিয়ে পাহারাওয়ালাকে পাহারা দিতে দেখে।
[৩] তিন-চারটি বাক্যে উত্তর দাও।
৩.১ মালির জীবনের সঙ্গে বক্তার নিজের জীবনের অমিলগুলি কী?
উত্তর: মালি নিজের ইচ্ছেমতো বাগানের মাটি কোপায়, কিন্তু বক্তার সেই স্বাধীনতা নেই। মালি ধুলো-মাটি নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করলেও তাকে কেউ বকেন না, অথচ বক্তা এমন কিছু করলে মা-বাবার বকুনি খেতে হয়। এই কারণে মালির জীবনকে সে ঈর্ষা করে।
৩.২ ফেরিওয়ালার জীবনের কোন বিষয়গুলি বক্তাকে আকর্ষণ করে?
উত্তর: ফেরিওয়ালা নিজের ইচ্ছেমতো যে কোনো পথ ধরে চলে। সে যখন খুশি খায়, কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম মানে না। তার কোনো তাড়া নেই। এই স্বাধীনতাগুলিই বক্তাকে আকর্ষণ করে।
৩.৩ বক্তার দৃষ্টি অনুযায়ী রাতের দৃশ্য বর্ণনা করো।
উত্তর: বক্তা জানলা দিয়ে দেখেন পাগড়ি পরা পাহারাওয়ালা গলির মধ্যে হাঁটছে। গলি তখন অন্ধকার, লোকজন খুব একটা চলাফেরা করে না। রাস্তার গ্যাসের আলো মিটমিট করে জ্বলছে। পাহারাওয়ালা লণ্ঠন হাতে নিয়ে একটি দরজার সামনে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে।
৩.৪ কবিতায় কথকের নানারকম সাধের যে পরিচয় পাও তা উল্লেখ করো।
উত্তর: কবিতার কথক প্রতিদিন পাঠশালায় যাওয়ার পথে ফেরিওয়ালাকে দেখে ফেরি করে বেড়ানোর সাধ জাগায়। ফিরে আসার সময় মালিকে নিজের খুশিমতো বাগানে কাজ করতে দেখে তারও মালি হতে ইচ্ছে করে। রাতে জানলা দিয়ে পাহারাওয়ালার স্বাধীনভাবে কাজ করা দেখে কথকের মনে পাহারাওয়ালা হওয়ার বাসনা জাগে। এভাবে নানা চরিত্রের স্বাধীনতা ও মুক্ত জীবনযাপন দেখে তার মনে বিচিত্র সাধ জাগে।
ক্লাস 4 বাংলা
বিচিত্র সাধ কবিতার হাতেকলমে প্রশ্ন উত্তর
[৪] বাক্য রচনা করো:
কোদাল: মালিটি কোদাল দিয়ে বাগানের শুকনো মাটি খুঁড়ছিল।
পাগড়ি: মেলা থেকে বাবা আমার জন্য একটি লাল রঙের পাগড়ি কিনে এনেছেন।
গলি: আমাদের বাড়ির সামনের গলিটা বর্ষায় কাদা হয়ে যায়।
খুশি: আজ রেজাল্টে ভালো নম্বর পেয়ে আমি খুব খুশি হয়েছি।
ফেরিওয়ালা: দুপুরবেলা ফেরিওয়ালা “খেলনা! খেলনা!” বলে হেঁকে গেল।
[৫] এই কবিতায় এক শিশুর অনেক সাধের কথা আছে। তেমনই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরই লেখা যে কবিতায় ফুল, প্রদীপের আলো, পুকুরের জল এদের সাধের কথা আছে সেই কবিতাটির বিষয়ে নিজের ভাষায় ছয়টি বাক্য লেখো। এখানে প্রয়োজনে শিক্ষক/শিক্ষিকার সাহায্য নাও।
উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সহজপাঠ বইয়ের একটি কবিতায় ফুল, প্রদীপের আলো, পুকুরের জল—তাদের ইচ্ছার কথা বলা হয়েছে।
ফুল চায় প্রজাপতির মতো ডানা মেলে যেদিকে খুশি সেদিকে উড়ে যেতে।
প্রদীপের আলো আকাশে উড়ে বেড়াতে চায় এবং একসময় জোনাকির মতো উড়ে বেড়ায়।
পুকুরের জলও এক জায়গায় স্থির থেকে দুঃখ পায়, সে আকাশের মেঘ হয়ে উড়ে যেতে চায়।
এইসব দেখে কথকও পাখি, ঘোড়া বা মাছ হয়ে পালিয়ে যেতে চায়।
শেষে সে প্রশ্ন তোলে—“কখনও হবে না সে কি ভাবি যাহা মনে?”
[৬] ‘ওলা/ওয়ালা’ যোগে পাঁচটি শব্দ তৈরি করো।
উদাহরণ: ফেরিওয়ালা, বাঁশিওয়ালা
উত্তর:
(ক) দইওয়ালা
(খ) রিকশাওয়ালা
(গ) পানওয়ালা
(ঘ) ফুলওয়ালা
(ঙ) বাড়িওয়ালা
[৭] সূত্র অনুযায়ী শব্দছক পূরণ (সঠিক বিন্যাস সহ):
পাশাপাশি:
১. কোদাল
৫. লোবা (যেটা ঝাঁটার ছাবি বা ধুলোর অর্থে প্রাসঙ্গিক হতে পারে)
৮. পাহারাওয়ালা
১০. দেরি
১১. সাফজামা
১৩. লাগি
ওপর-নীচ:
১. কোদাল
২. আলো
৩. বাতি
৪. মালি
৬. বাগান
৭. এখন
৮. পাঠশালা
৯. ফেরিওয়ালা
১২. মাটি
[৮] নীচের বাক্যগুলি থেকে কর্তা, কর্ম এবং ক্রিয়া নির্দিষ্ট স্থানে বসাও।
বাক্য | কর্তা | কর্ম | ক্রিয়া |
---|---|---|---|
৮.১ মা তারে তো পরায় না সাফজামা। | মা | তারে, সাফজামা | পরায় না |
৮.২ চিনের পুতুল ঝুড়িতে তার থাকে। | তার | চিনের পুতুল, ঝুড়িতে | থাকে |
৮.৩ জানালা দিয়ে দেখি চেয়ে পথে। | আমি | জানালা দিয়ে, পথে | চেয়ে দেখি |
৮.৪ ইচ্ছে করে পাহারাওয়ালা হয়ে গলির ধারে জাগি। | আমি | পাহারাওয়ালা হয়ে, গলির ধারে | জাগি |
ক্লাস 4 বাংলা
বিচিত্র সাধ কবিতার হাতেকলমে প্রশ্ন উত্তর
[9] কবিতার কথক কোন সময়ে কী কী ঘটতে দেখে তা লেখো। একই সঙ্গে এই সময়গুলোতে তুমি কী করো এবং কী দেখতে পাও, তা লেখো।
উত্তর: ‘বিচিত্র সাধ’ কবিতায় দেখা যায়, সকালবেলা কথক পাঠশালায় যাওয়ার সময় ফেরিওয়ালাকে ফেরি করতে যেতে দেখেন।
সকাল সাড়ে দশটার দিকে আমি স্কুলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হই। এই সময় বাবা-মা অফিসে বের হন। রাস্তায় নানা যানবাহনের ভিড় লেগে থাকে—রিকশা, অটো, বাস চলতে থাকে, রাস্তার পাশে দোকানে কেনাকাটা করতে লোকজনও থাকে।
বিকেল চারটের দিকে কথক পাঠশালা থেকে বাড়ি ফেরেন এবং মালিকে বাগানের কাজে ব্যস্ত দেখেন। আমিও এই সময়ে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরি। রাস্তায় ছেলেমেয়েদের খেলতে দেখি। গরমকালে আইসক্রিম খাওয়ার লোভ সামলাতে পারি না।
রাতে, যখন সবাই ঘুমিয়ে পড়ে, তখন কথক পাহারাওয়ালার বাঁশির শব্দ শুনে তাকে দেখে তার মতো হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। রাত এগারোটার দিকে আমার পাড়াও নিস্তব্ধ হয়ে পড়ে। মাঝেমধ্যে একটি-দুটি বাইক বা সাইকেল শব্দ করে চলে যায়। আমি তখন পড়াশোনা গুটিয়ে গল্পের বই নিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ি। মাঝে মাঝে বই পড়তে পড়তে আলো জ্বালিয়েই ঘুমিয়ে পড়ি।
[১০] জীবিকার প্রয়োজনে নানা মানুষ কীভাবে কাজ করেন, তা একটি তালিকা ও বিবরণে লেখো।
উত্তর: আমার পাড়ায় প্রতিদিন নানা জীবিকার মানুষদের দেখতে পাই। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তারা নানারকম হাঁকডাক দিয়ে পণ্য বিক্রি করেন।
চুড়িওয়ালির পিঠে থাকে একটা বোঁচকা, আর হাতে থাকে রঙিন চুড়ির তোড়া। তিনি ‘চুড়ি নিবে গো-ও-ও-ও’ বলে হাঁক দিয়ে এগিয়ে যান।
দইওয়ালা সাইকেলে চেপে আসেন। তার কাছে থাকে বিভিন্ন আকারের ভাঁড়ে ভরা মিষ্টি ও টক দই। তিনি হাঁক দেন—‘ভালো দই চাই? মিষ্টি দই, টক দই…’
ফেরিওয়ালারা প্লাস্টিকের সামগ্রী, বাসন-কোসন, মাদুর, খেলনা, জামাকাপড় ইত্যাদি বিক্রি করেন। গরমকালে আম-জাম বিক্রেতারা মিষ্টি গলায় হাঁক দেন। তাদের হাঁকডাক ও চলাফেরা পাড়ার পরিবেশকে জীবন্ত করে তোলে।
[১১] ছবি দেখে লেখো—তোমার কী হতে সাধ হয় ও কেন।
উত্তর: যখন আমি বই হাতে পাঠশালায় যাচ্ছি, তখন যদি পথে ফেরিওয়ালাকে দেখি, আমার ইচ্ছে করে লেখাপড়ার ঝামেলা ফেলে তার সঙ্গে ঘুরে বেড়াতে। দূরে দূরে গিয়ে নানা কিছু বিক্রি করব—এই ভাবনাতেই ভালো লাগে।
পাঠশালা থেকে ফিরে মালিকে কাজ করতে দেখে আমার মনে হয় আমি যদি মালি হতে পারতাম! মাটিতে নেমে গাছপালা লাগানো, কোদাল চালানো—এসব কেউ বারণ করত না।
রাতে পাহারাদারকে গলির ধারে ঘুরতে দেখে আমারও পাহারাওয়ালা হতে সাধ হয়। তাহলে কেউ জোর করে ঘুম পাড়াতে চাইত না, আমি ইচ্ছেমতো জেগে থাকতাম।
ক্লাস 4 বাংলা
বিচিত্র সাধ কবিতার অতিরিক্ত MCQ প্রশ্ন উত্তর
১. কথক কখন পাঠশালায় যান?
A) সকাল ৯টা
B) সকাল ১০টা
C) সকাল ১১টা
D) দুপুর ১২টা
উত্তর: B) সকাল ১০টা
২. কথক যখন পাঠশালায় যান, তখন কাকে দেখতে পান?
A) মালিকে
B) ফেরিওয়ালাকে
C) পাহারাওয়ালাকে
D) মালি বাবুকে
উত্তর: B) ফেরিওয়ালাকে
৩. ফেরিওয়ালা কী হাঁকতে হাঁকতে জিনিস ফেরি করে?
A) ‘ভালো দই চাই’
B) ‘চুড়ি চা-ই, চুড়ি চা-ই’
C) ‘এলাকার মাল কেমন’
D) ‘সব কিছু কিনো, সব কিছু কিনো’
উত্তর: B) ‘চুড়ি চা-ই, চুড়ি চা-ই’
৪. কবি কখন ফুলবাগানের মালির কাজ দেখতে পান?
A) সকাল ১০টায়
B) বিকেল সাড়ে ৪টায়
C) বিকেল ৫টায়
D) রাত ৯টায়
উত্তর: B) বিকেল সাড়ে ৪টায়
৫. মালি কোথায় মাটি কোপায়?
A) খেলার মাঠে
B) ফুলবাগানে
C) নদীর পাড়ে
D) রাস্তায়
উত্তর: B) ফুলবাগানে
৬. পাহারাওয়ালা কখন গলির ধারে দাঁড়িয়ে থাকে?
A) সকাল ১০টা
B) দুপুর ১২টা
C) রাত ১০টা-১১টা
D) রাত ২টা
উত্তর: C) রাত ১০টা-১১টা
৭. ফেরিওয়ালার কাছে কথক কী ইচ্ছে করেন?
A) ফেরিওয়ালার মতো ঘুরতে
B) মালির মতো কাজ করতে
C) পাহারাওয়ালার মতো থাকতে
D) লেখাপড়া করতে
উত্তর: A) ফেরিওয়ালার মতো ঘুরতে
৮. কথকের মা কখন কথককে ঘুম পাড়াতে চান?
A) সকালবেলা
B) বিকেলবেলা
C) রাত ১০টা-১১টা
D) রাত ১টার পর
উত্তর: C) রাত ১০টা-১১টা
৯. কবি কীভাবে পাহারাওয়ালার কাজ সম্পর্কে অনুভব করেন?
A) তিনি মনে করেন পাহারাওয়ালা খুব কঠিন কাজ করে
B) তিনি চান পাহারাওয়ালা হয়ে রাতে জেগে থাকতে
C) তিনি মনে করেন পাহারাওয়ালা খুব বিরক্তিকর
D) তিনি চান পাহারাওয়ালা তার সাথে কাজ করুক
উত্তর: B) তিনি চান পাহারাওয়ালা হয়ে রাতে জেগে থাকতে
১০. ‘সেলেট ফেলে দিয়ে’ কথক কী ইচ্ছে করেন?
A) পড়াশোনা বন্ধ করে দিতে
B) মাঠে কাজ করতে
C) ফেরি করতে বেরিয়ে পড়তে
D) ঘুমিয়ে পড়তে
উত্তর: C) ফেরি করতে বেরিয়ে পড়তে
ক্লাস 4 বাংলা
বিচিত্র সাধ কবিতার অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর
১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:
১.১. কথক কখন পাঠশালায় যান?
উত্তর: কথক সকাল দশটার সময় পাঠশালায় যান।
১.২. কথক পাঠশালায় যাওয়ার পথে কাকে দেখতে পান?
উত্তর: পাঠশালায় যাওয়ার পথে কথক ফেরিওয়ালাকে দেখতে পান।
১.৩. ফেরিওয়ালা কী হাঁকতে হাঁকতে জিনিস ফেরি করে?
উত্তর: ‘চুড়ি চা-ই, চুড়ি চা-ই’ হাঁকতে হাঁকতে ফেরিওয়ালা জিনিস ফেরি করে।
১.৪. মালি কোথায় মাটি কোপায়?
উত্তর: মালি বাবুদের ফুলবাগানের মাঝে দাঁড়িয়ে মাটি কোপায়।
১.৫. পাহারাওয়ালা কী হাতে দাঁড়িয়ে থাকে?
উত্তর: পাহারাওয়ালা হাতে লণ্ঠন ঝুলিয়ে দরজায় দাঁড়িয়ে থাকে।
১.৬. কথকের মা একটু বেশি রাত হতে না হতে কী করতে চান?
উত্তর: একটু বেশি রাত হতে না হতেই কথকের মা কথককে ঘুম পাড়াতে চান।
১.৭. ফেরিওয়ালা কখন বাড়ি যায়?
উত্তর: ফেরিওয়ালা নিজের ইচ্ছেমতো বাড়ি যায় ও খাবার খায়।
১.৮. কথক কখন পাঠশালা থেকে ফিরে আসেন?
উত্তর: কথক বিকেল সাড়ে চারটের সময়ে পাঠশালা থেকে ফিরে আসেন।
১.৯. রাতের বেলা জানালা দিয়ে কবি কাকে দেখেন?
উত্তর: কবি রাতে জানালা দিয়ে পাহারাওয়ালাকে দেখতে পান।
১.১০. ফেরিওয়ালার হাঁক শোনার পর কথকের কী ইচ্ছে হয়?
উত্তর: ফেরিওয়ালার হাঁক শুনে কথকের ইচ্ছে হয় সেলেট ফেলে দিয়ে তিনিও ফেরি করতে বেরিয়ে পড়েন।
১.১১. কথক ফেরিওয়ালার কোন আচরণে আকৃষ্ট হন?
উত্তর: ফেরিওয়ালার স্বাধীনভাবে চলাফেরা ও নিজের খুশিমতো খাওয়া-দাওয়া করার আচরণে কথক আকৃষ্ট হন।
১.১২. কথক পাঠশালা থেকে ফিরে আসার সময় কী অবস্থায় থাকেন?
উত্তর: কথক পাঠশালা থেকে ফিরে আসেন হাতে কালি মেখে।
১.১৩. পাহারাওয়ালার মাথায় কী থাকে?
উত্তর: পাহারাওয়ালার মাথায় পাগড়ি থাকে।
১.১৪. গলির অবস্থা কেমন ছিল যখন পাহারাওয়ালা হাঁটতেন?
উত্তর: গলিটি ছিল অন্ধকার, লোকজন কম চলাচল করত, আর গ্যাসের আলো মিটমিটিয়ে জ্বলত।
২. সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাভিত্তিক প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:
২.১. আলোচ্য কবিতায় কথকের সাধটিকে ‘বিচিত্র’ বলা হয়েছে কেন?
উত্তর: আলোচ্য কবিতায় কথকের ইচ্ছেগুলি সকলের আকাঙ্ক্ষার সমতুল্য নয়। সাধ করে কেউ মালি বা পাহারাওয়ালা কিংবা ফেরিওয়ালা হতে চায় না। সকলেই চায় লেখাপড়া শিখে উঁচু পদের কোনো চাকরি করতে। সেটা করতে পারলে জুটবে সম্মান, খ্যাতি, প্রতিপত্তি ও অর্থ। কিন্তু কথক যাদের কথা বলেছেন, যাদের মতো হতে চান বলেছেন, তাদের কাজকে কেউ সম্মানের চোখে দেখে না। এই কারণেই কথকের সাধটিকে ‘বিচিত্র’ বলা হয়েছে।
২.২. তুমি জীবনে কী হতে চাও সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর: আমি ভবিষ্যতে একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে চাই। শিক্ষকের কাজই হচ্ছে দেশের নতুন প্রজন্মকে পুথিগত আন ও বিদ্যার পাশাপাশি আদর্শ, মূল্যবোধ ও নৈতিকতার শিক্ষা দেওয়া। দেশ ও সমাজকে উন্নতির দিশা দেখাতে শিক্ষকতার ব্রত অবলম্বন করতে চাই।
২.৩. ফেরিওয়ালার জীবনের কোন দিকটি কথকের ভালো লাগে?
উত্তর: ফেরিওয়ালার স্বাধীনভাবে ঘোরা ও নিজের ইচ্ছেমতো কাজ করা কথকের ভালো লাগে।
২.৪. কবিতায় বর্ণিত মালির জীবন থেকে কী শিক্ষার ইঙ্গিত পাওয়া যায়?
উত্তর: এই জীবন থেকে বোঝা যায়, যে কোনো কাজ যদি মন দিয়ে করা হয়, তাতে স্বাধীনতা ও তৃপ্তি পাওয়া যায়, সম্মানের চেয়ে আনন্দ বেশি মূল্যবান।
২.৫. পাহারাওয়ালার জীবনের কোন দিকটি কথকের ভালো লাগে?
উত্তর: পাহারাওলা স্বাধীনভাবে রাতে জেগে থাকে, কেউ তাকে বাধা দেয় না—এই স্বাধীনতা কথকের ভালো লাগে।
২.৬. ‘ইচ্ছে করে সেলেট ফেলে দিয়ে’— এই লাইনটি কথকের মনোভাবের কোন দিকটি প্রকাশ করে?
উত্তর: এই লাইনটি থেকে বোঝা যায়, কথক লেখাপড়ার বাঁধা নিয়মে বিরক্ত এবং স্বাধীন পেশার প্রতি আকৃষ্ট।
২.৭. আলোচ্য কবিতায় শিশুমনের কোন স্বাভাবিক প্রবণতা প্রতিফলিত হয়েছে?
উত্তর: শিশুমন সাধারণত নিয়ম-কানুনের বাইরে গিয়ে স্বাধীনভাবে চলতে চায় এবং নতুন কিছু দেখে অনুকরণ করতে চায়—এই প্রবণতা কবিতায় দেখা যায়।
ক্লাস 4 বাংলা
বিচিত্র সাধ কবিতার অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর
৩. কাব্যাংশভিত্তিক অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর:
৩.১. ‘সেলেট ফেলে দিয়ে’— এখানে ‘সেলেট’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘সেলেট’ শব্দের অর্থ লেখার পাথরের টুকরো, যা শিশুরা পাঠশালায় লেখার জন্য ব্যবহার করে।
৩.২. ‘মাটি কোপায় মালি’ — এই কাজটি কোন সময়ে ঘটছে?
উত্তর: বিকেল সাড়ে চারটের সময়ে এই কাজটি ঘটছে।
৩.৩. ‘লণ্ঠনটি ঝুলিয়ে নিয়ে হাতে’ — এখানে কোন যন্ত্রের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: এখানে আলো দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত লণ্ঠনের কথা বলা হয়েছে।
৩.৪. ‘আপন মনে জাগি’ — এই লাইনের মধ্যে কথকের কোন ইচ্ছা প্রকাশ পেয়েছে?
উত্তর: কথক ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন যেন তিনিও পাহারাওয়ালার মতো নিজের মনে জেগে থাকতে পারেন, কারো বাধা ছাড়া।
৩.৫. ‘নাইকো তাড়া হয় বা পাছে দেরি’ — কে এমন জীবনে অভ্যস্ত?
উত্তর: ফেরিওয়ালা এমন তাড়াহীন ও স্বাধীন জীবনে অভ্যস্ত।
৩.৬. ‘মালি বাবুদের ওই ফুল-বাগানের মাঝে’ — এখানে ‘মালি’ শব্দটির গুরুত্ব কী?
উত্তর: ‘মালি’ শব্দটি দিয়ে কবি এমন একজন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করছেন, যিনি ফুল বাগানে কাজ করেন এবং তাঁর কাজটি স্বাধীন ও মনোরঞ্জক।
আরও দেখো: নরহরি দাস গল্পের প্রশ্ন উত্তর