এখানে বহুরূপী গল্পের প্রশ্ন উত্তর শেয়ার করা হলো// দশম শ্রেণী বাংলা / বহুরূপী সুবোধ ঘোষ
মাধ্যমিক বাংলা
বহুরূপী গল্পের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
১) হরিদা ছিলেন পেশায় একজন-
উত্তর: বহুরূপী
২) যাঁর বাড়িতে সন্ন্যাসী এসেছিলেন, তাঁর নাম-
উত্তর: জগদীশবাবু
৩) সন্ন্যাসী জগদীশবাবুর বাড়িতে ছিলেন-
উত্তর: সাত দিন
৪) সন্ন্যাসী থাকেন-
উত্তর: হিমালয়ের গুহাতে
৫) জগদীশবাবুর বাড়িতে আগত সন্ন্যাসীর বয়স-
উত্তর: হাজার বছরের বেশি
৬) জগদীশবাবু একজোড়া কাঠের খড়মে যা লাগিয়ে সন্ন্যাসীর পায়ের কাছে ধরলেন, তা হল-
উত্তর: সোনার বোল
৭) সন্ন্যাসীকে বিদায় দেওয়ার সময় জগদীশবাবু তাঁকে জোর করে দিয়েছিলেন-
উত্তর: একটা একশো টাকার নোট
৮) হরিদার ঘরে আড্ডা দিত-
উত্তর: চার জন
৯) লেখক ও তাঁর বন্ধুরা কোন্ কোন্ সময়ে আড্ডা দিতেন?
উত্তর: সকাল সন্ধে
১০) হরিদার কাছে যা অসম্ভব, তা হল-
উত্তর: রোজই একটা চাকরির কাজ করে যাওয়া
১১) হরিদার ছোট্ট ঘরটির অবস্থান-
উত্তর: শহরের সবচেয়ে সরু গলির ভিতরে
১২) হরিদার জীবনজুড়ে ছিল-
উত্তর: নাটকীয় বৈচিত্র্য
১৩) মাঝে মাঝে সত্যিই হরিদা যা করতেন, তা হল-
উত্তর: উপোস
১৪) যারা বহুরূপীর সাজে হরিদাকে চিনতে পারে তারা বকশিশ দেয়-
উত্তর: এক-আনা দু-আনা
১৫) দুপুরবেলায় আতঙ্কের হল্লা বেজে উঠেছিল-
উত্তর: চকের বাস স্ট্যান্ডে
১৬) চকের বাস স্ট্যান্ডে আতঙ্কের হল্লা বেজে ওঠার কারণ ছিল-
উত্তর: একটি উন্মাদ পাগল
১৭) পাগলটা যা হাতে তুলে নিয়ে বাসের যাত্রীদের দিকে তেড়ে যাচ্ছিল, তা হল-
উত্তর: একটা থান ইট
১৮) বাসের ড্রাইভারের নাম ছিল-
উত্তর: কাশীনাথ
১৯) ’খুব হয়েছে হরি, এইবার সরে পড়ো। অন্যদিকে যাও।’-এ কথা বলেছে-
উত্তর: কাশীনাথ
২০) প্রায় নাচতে নাচতে চলে যাচ্ছিল-
উত্তর: একজন বাইজি
দশম শ্রেণী বাংলা
বহুরূপী গল্পের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
২১) জগদীশ বাবুর বাড়িতে আগত সন্ন্যাসীর সারা বছর খান-
উত্তর: একটিমাত্র হরিতকী
২২) জগদীশ বাবু সন্ন্যাসীর ঝোলার মধ্যে কত টাকা ফেলেছিলেন-
উত্তর: ১০০ টাকা
২৩) বহুরূপী বেশে হরিদাকে যারা চিনতে পারতো তারা কি/কত অর্থ দিত-
উত্তর: এক আনা বা দু আনা
২৪) চকের বাসস্ট্যান্ডে কখন আতঙ্কের হল্লা বেজে ছিল-
উত্তর: দুপুরবেলায়
২৫) কোন দেশে হরিদার সবচেয়ে বেশি উপার্জন হয়েছিল-
উত্তর: বাইজি
২৬) হরিদা পুলিশ সেজে কোথায় দাঁড়িয়েছিল-
উত্তর: দয়ালবাবুর লিচু বাগানে
২৭) বিরাগির ঝোলার মধ্যে কি ছিল-
উত্তর: গীতা
২৮) বিরাগী জগদীশবাবুর কাছে কি চেয়েছিলেন-
উত্তর: ঠান্ডা জল
২৯) “সে কথা কি ভুলে গেলেন”- কোন কথা?-
উত্তর: জবর খেলা দেখানোর কথা
৩০) হরিদা সপ্তাহে কতদিন বিরাগী সাজেন?-
উত্তর: বড়জোর একদিন
৩১) কথকের মতে, হরিদার ভুল কে ক্ষমা করবে না?-
উত্তর: অদৃষ্ট
৩২) বিরাগী কে জগদীশবাবু কত টাকা প্রণামী দিতে চেয়েছিলেন?-
উত্তর: ১০১ টাকা
৩৩) বিরাগী কে জগদীশবাবু কেন প্রণামী দিতে চেয়েছিলেন-
উত্তর: তীর্থ ভ্রমণের জন্য
৩৪) বিরাগীর সাদা উত্তরীয়তা হরিদার ঘরের কোথায় পড়েছিল?-
উত্তর: চুলার পাশে
৩৫) বহুরূপী কাকে বলে?
উত্তর: বহুরূপী বলতে সেই ব্যক্তিকে বোঝানো হয়, যিনি বিভিন্ন ধরনের সাজ-সজ্জা করে বা বিভিন্ন ভূমিকায় অভিনয় করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
৩৬) “তাতে যে আমার ঢং নষ্ট হয়ে যায়” – কিসে বক্তা ঢং নষ্ট হয়?
উত্তর: বক্তার ঢং নষ্ট হয়, যদি তিনি অর্থ গ্রহণ করেন, কারণ বিরাগী সন্ন্যাসী হলে তার শিল্পীসত্তা নষ্ট হয়ে যাবে।
৩৭) জগদীশ বাবুর সম্পত্তির পরিমাণ কত?
উত্তর: ১১ লক্ষ টাকা
৩৮) “আপনি কি ভগবানের চাইতেও বড়?” কেন এই মন্তব্য?
উত্তর: এই মন্তব্যটি বিরাগী হরিদা জগদীশবাবুকে বলেন, কারণ তিনি সন্ন্যাসীকে অবজ্ঞা করে নিজেকে ঈশ্বরের সমকক্ষ ভাবেন এবং সন্ন্যাসীকে অবহেলিত অবস্থায় দাঁড় করান।
মাধ্যমিক বাংলা
বহুরূপী গল্পের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
১. “হরিদার কাছে আমরাই গল্প করে বললাম।”— কিসের গল্প?
উত্তর: বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সুবোধ ঘোষ রচিত বহুরূপী গল্পে জগদীশবাবুর বাড়িতে এক সন্ন্যাসী এসেছিলেন। হরিদার কাছে সেই সন্ন্যাসীর কথা এবং তাঁর সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর গল্প করা হয়েছিল।
২. “সে ভয়ানক দুর্লভ জিনিস”— দুর্লভ জিনিসটি কী?
উত্তর: সুবোধ ঘোষের বহুরূপী গল্পে দুর্লভ জিনিসটি ছিল জগদীশবাবুর বাড়িতে উপস্থিত সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো।
৩. হরিদা সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে তাকে কী বলা হয়েছিল?
উত্তর: হরিদা সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো নিতে চাওয়ায় তাকে বলা হয়েছিল যে এটি অত্যন্ত দুর্লভ। জগদীশবাবু ছাড়া আর কেউই সেই পায়ের ধুলো পাননি।
৪. কীভাবে জগদীশবাবু সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো পেয়েছিলেন?
উত্তর: জগদীশবাবু সন্ন্যাসীর জন্য একটি কাঠের খড়ম তৈরি করেন, যাতে সোনার বল লাগানো ছিল। খড়মটি সন্ন্যাসীর পায়ের কাছে ধরলে, তিনি বাধ্য হয়ে পা এগিয়ে দেন। সেই সময়ে জগদীশবাবু সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো সংগ্রহ করেন।
৫. সন্ন্যাসী চলে যাওয়ার আগে জগদীশবাবু কী করেছিলেন?
উত্তর: সন্ন্যাসী বিদায় নেওয়ার আগে জগদীশবাবু তাঁকে কাঠের খড়ম উপহার দেন এবং তাঁর ঝোলায় একশো টাকার একটি নোট রেখে দেন।
৬. “সন্ন্যাসী হাসলেন আর চলে গেলেন”— সন্ন্যাসী কী দেখে হাসলেন?
উত্তর: জগদীশবাবু বিদায়ের সময় সন্ন্যাসীর ঝোলায় একশো টাকার নোট জোর করে ফেলে দেন। এই কাণ্ড দেখে সন্ন্যাসী হাসলেন এবং চলে গেলেন।
৭. হরিদার ঘরটা কেমন ছিল এবং সেখানে কী হত?
উত্তর: শহরের একটি সরু গলিতে হরিদার ছোট্ট একটি ঘর ছিল। সেই ঘরে সকাল-সন্ধ্যা লেখকদের আড্ডা বসত। আড্ডার জন্য চা, চিনি, দুধ আনার দায় লেখকরাই নিতেন। হরিদা শুধু জল ফুটিয়ে দিতেন।
৮. কোন ধরনের কাজ হরিদার পছন্দ ছিল না?
উত্তর: হরিদা অফিসে কাজ করা বা দোকানে জিনিস বিক্রি করার মতো কাজ একদমই পছন্দ করতেন না।
৯. হরিদার জীবনের নাটকীয় বৈচিত্র্য কী ছিল?
উত্তর: হরিদা পেশায় বহুরূপী ছিলেন। তিনি কখনো পাগল, কখনো বাউল, কখনো কাপালিক, আবার কখনো বুড়ো কাবুলিওয়ালার বেশ ধারণ করতেন। তার এই জীবন ছিল নাটকীয় বৈচিত্র্যে পূর্ণ।
১০. পাগলকে বহুরূপী বুঝতে পেরে লোকজন কী করত?
উত্তর: পাগল আসলে বহুরূপী, তা বুঝতে পারলে বাসের যাত্রীরা কেউ হাসত, কেউ বিরক্ত হত, আবার কেউ এমন দক্ষ সাজগোজ দেখে অবাক হয়ে যেত।
১১. “কিন্তু দোকানদার হেসে ফেলে—হরির কাণ্ড”— হরির কাণ্ডটি কী?
উত্তর: সুবোধ ঘোষের বহুরূপী গল্পে আলোচ্য অংশে হরিদার যে কাণ্ডের কথা বলা হয়েছে তা হলো শহরের পথে বাইজি সেজে লেজে ঘুঙুরের আওয়াজ তুলে নাচতে নাচতে যাওয়া।
১২. বাইজি ছদ্মবেশে হরিদা কত টাকা উপার্জন করেছিলেন?
উত্তর: বিশিষ্ট গল্পকার সুবোধ ঘোষ রচিত বহুরূপী গল্পে রুপসি বাইজির ছদ্মবেশে হরিদা আট টাকা দশ আনা উপার্জন করেছিলেন।
১৩. কোন বহুরূপীর বেশে হরিদার রোজগার বেশি হয়েছিল?
উত্তর: বহুরূপী গল্পে রুপসি বাইজি সেজে হরিদার রোজগার বেশি হয়েছিল। বাইজি সেজে দোকানে দোকানে ফুলসাজি এগিয়ে দিচ্ছিলেন তিনি। দোকানদাররা সেই সাজিতে এক সিকি করে দিত, যার ফলে হরিদা সেদিন মোট আট টাকা দশ আনা পেয়েছিলেন।
১৪. পুলিশ সেজে হরিদা কী করেছিলেন?
উত্তর: প্রখ্যাত গল্পকার সুবোধ ঘোষের লেখা বহুরূপী গল্পে হরিদা একবার পুলিশ সেজে দয়ালবাবুর লিচু বাগানে দাঁড়িয়ে ছিলেন আর সেখান থেকে স্কুলের চারটি ছেলেকে ধরেছিলেন।
১৫. পুলিশ সেজে হরিদা কোথায় দাঁড়িয়ে ছিলেন?
উত্তর: প্রখ্যাত গল্পকার সুবোধ ঘোষের লেখা বহুরূপী গল্পে পুলিশ সেজে হরিদা দয়ালবাবুর লিচু বাগানে দাঁড়িয়েছিলেন।
ক্লাস 10 বাংলা
বহুরূপী গল্পের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
১৬. “তোমরা সেখানে থেকো”— কোথায় থাকতে বলা হয়েছে?
উত্তর: বিশিষ্ট গল্পকার সুবোধ ঘোষ রচিত বহুরূপী গল্পের আলোচ্য অংশে হরিদা বহুরূপী সেজে জগদীশবাবুর বাড়িতে যাবেন—সেখানেই কথক ও তার বন্ধুদের থাকতে বলা হয়েছে।
১৭. “হরিদার জীবন এরকম বহু রূপের খেলা দেখিয়েই একরকম চলে যাচ্ছে।”— কিরকম খেলা দেখিয়ে হরিদার জীবন চলে যাচ্ছে?
উত্তর: সুবোধ ঘোষ রচিত বহুরূপী গল্পে নানা রকম ছদ্মবেশ ধারণ করে বহুরূপী সেজে খেলা দেখিয়ে হরিদার জীবন চলে যাচ্ছে।
১৮. “সপ্তাহে বড়জোর একটা দিন বহুরূপী সেজে পথে বের হন হরিদা”— বহুরূপী কাকে বলে?
উত্তর: বহুরূপী হল এক ধরনের লোকশিল্পী যারা বিচিত্র সাজ ধারণ করে জীবিকা নির্বাহ করে।
১৯. কোন সময় এবং কী বেশে হরিদা জগদীশবাবুর বাড়ি গিয়েছিলেন?
উত্তর: বহুরূপী গল্পে হরিদা সন্ধ্যার সময় গায়ে আদুর, তার ওপরে ধবধবে সাদা উত্তরীয় আর ছোট থান পরে বিরাগী সেজে জগদীশবাবুর বাড়ি গিয়েছিলেন।
২০. “চমকে উঠলেন জগদীশবাবু।”— জগদীশবাবুর চমকে ওঠার কারণ কী?
উত্তর: গল্পকার সুবোধ ঘোষ রচিত বহুরূপী গল্পে আদুর গা, তার ওপরে সাদা উত্তরীয় আর ছোট বহরের সাদা থান পরা বিরাগী বেশে হরিদাকে দেখে জগদীশবাবু চমকে গিয়েছিলেন।
২১. “আমার অপরাধ হয়েছে”- বক্তার অপরাধ কী ছিল?
উত্তর: বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সুবোধ ঘোষ রচিত বহুরূপী গল্পের আলোচ্য অংশে বিরাগী সাজে হরিদাকে দেখে জগদীশবাবু উপর থেকে নিচে নেমে আসেননি। এটাই ছিল তার অপরাধ।
২২. “তিনি আপনার চেয়ে কিছু কম নয়”- ‘তিনি’ বলতে বক্তা কাকে বুঝিয়েছেন?
উত্তর: প্রখ্যাত গল্পকার সুবোধ ঘোষ রচিত বহুরূপী গল্পের আলোচ্য অংশে ‘তিনি’ বলতে বক্তা পরম করুণাময় ঈশ্বরকে বুঝিয়েছেন।
২৩. বিরাগী মতে ‘পরম সুখ’ আসলে কী?
উত্তর: বিশিষ্ট গল্পকার সুবোধ ঘোষের বহুরূপী গল্পে বিরাগীর মতে পরম সুখ হলো সমস্ত সুখের বন্ধন থেকে মুক্ত হওয়া।
২৪. জগদীশবাবু তীর্থভ্রমণের জন্য কত টাকা দিতে চেয়েছিলেন?
উত্তর: সুবোধ ঘোষের বহুরূপী গল্পে জগদীশবাবু তীর্থভ্রমণের জন্য বিরাগীকে একশো এক টাকা দিতে চেয়েছিলেন।
২৫. “বলতে বলতে সিঁড়ি থেকে নেমে গেলেন বিরাগী”- কী বলতে বলতে নেমেছিলেন?
উত্তর: “আমি যেমন অনায়াসে ধুলো মাড়িয়ে চলে যেতে পারি, তেমনি অনায়াসে শোনাও মাড়িয়ে চলে যেতে পারি।” এই কথা বলতে বলতেই বিরাগী সিঁড়ি দিয়ে নেমে যান।
২৬. হরিদার ঘরে গিয়ে কথক কী দেখেছিলেন?
উত্তর: হরিদার ঘরে গিয়ে কথক দেখেন, ওনানের গনগনে আগুনে হাঁড়িতে চাল ফুটছে, আর হরিদা একটা বিড়ি ধরিয়ে নিয়ে চুপ করে বসে আছেন।
২৭. “এটা কী কাণ্ড করলেন”- কে কী কাণ্ড করেছিলেন?
উত্তর: হরিদা বিরাগী সেজেছিলেন। জগদীশবাবু তাকে তীর্থভ্রমণের টাকা দিতে গেলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। এই কাণ্ডের কথাই এখানে বলা হয়েছে।
২৮. “তাতে যে আমার ঢং নষ্ট হয়ে যায়”- কিসে ঢং নষ্ট হয়ে যেতে পারতো?
উত্তর: সুবোধ ঘোষ রচিত বহুরূপী গল্পে জগদীশবাবুর বাড়িতে টাকা স্পর্শ করলে হরিদার ঢং নষ্ট হয়ে যেতে পারত।
২৯. “অতিষ্ঠ কখনো হরিদার এই ভুল ক্ষমা করবে না”- হরিদার কোন ভুলের কথা এখানে বলা হয়েছে?
উত্তর: হরিদা বিরাগী সেজে জগদীশবাবুর কাছ থেকে অনেকগুলো টাকা পেয়েও গ্রহণ করেননি। এখানে তার টাকা না নেওয়াকেই ভুল বলা হয়েছে।
৩০. “কি অদ্ভুত কথা বললেন হরিদা”- হরিদার অদ্ভুত কথাটি কী ছিল?
উত্তর: হরিদার অদ্ভুত কথাটি ছিল, একজন বিরাগী সন্ন্যাসী যেহেতু টাকা স্পর্শ করতে পারেন না, তাই টাকা স্পর্শ করলে তার বহুরূপীর ঢং নষ্ট হয়ে যায়।
৩১. হরিদা জগদীশবাবুর বাড়িতে কত বকশিশ পেতে পারতেন?
উত্তর: হরিদা জগদীশবাবুর বাড়িতে খুব বেশি হলে আট আনা কিংবা দশ আনা বকশিশ পেতে পারতেন।
৩২. হরিদা বিরাগী সেজে কী বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন?
উত্তর: হরিদা বিরাগী সেজে ত্যাগের আদর্শ ও পারমার্থিক জীবনের গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন।
৩৩. বহুরূপী গল্পের কথক কার বাড়িতে গিয়েছিলেন?
উত্তর: বহুরূপী গল্পের কথক জগদীশবাবুর বাড়িতে গিয়েছিলেন।
৩৪. হরিদার বিড়ি ধরানো দেখে কথকের কী মনে হয়েছিল?
উত্তর: হরিদার বিড়ি ধরানো দেখে কথকের মনে হয়েছিল যে হরিদা তার রূপের আড়ালে এক সাধারণ মানুষ।
৩৫. জগদীশবাবু হরিদাকে কোন সাজে মুগ্ধ হয়েছিলেন?
উত্তর: জগদীশবাবু হরিদাকে বিরাগী সাজে দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন।
মাধ্যমিক বাংলা
বহুরূপী গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
১. “… এক সন্ন্যাসী এসে জগদীশ বাবুর বাড়িতে ছিলেন।”- জগদীশবাবুর বাড়িতে যে সন্ন্যাসী এসেছিলেন তার বর্ণনা দাও।
উত্তর: গল্পকার সুবোধ ঘোষ রচিত বহুরূপী গল্পে জগদীশ বাবুর বাড়িতে সাতদিন ধরে এক সন্ন্যাসী ছিলেন। উঁচুদরের এই সন্ন্যাসী হিমালয়ের গুহায় থাকতেন। তিনি ছাড়া বছরে শুধু একটি হরিতকি খেতেন। এছাড়া তিনি আর কিছুই খেতেন না। অনেকে মনে করত, সন্ন্যাসীর বয়স হাজার বছরেরও বেশি। তার পায়ের ধুলো ছিল অত্যন্ত দুর্লভ, যা সবাই পেতেন না। একমাত্র জগদীশবাবুই সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো পেয়েছিলেন।
২. “এ ভয়ানক দুর্লভ জিনিস।”- দুর্লভ জিনিসটা কী? কে, কীভাবে তা লাভ করেছিল?
উত্তর: সুবোধ ঘোষ রচিত বহুরূপী গল্পে দুর্লভ জিনিসটি হল সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো।
জগদীশ বাবুর বাড়িতে একবার এক সন্ন্যাসী সাত দিন ছিলেন। পায়ের ধুলো অত্যন্ত দুর্লভ ছিল। জগদীশবাবু একজোড়া কাঠের খড়মে সোনার বল লাগিয়ে তা সন্ন্যাসীর পায়ের কাছে ধরেছিলেন। বাধ্য হয়ে সন্ন্যাসী তার পা এগিয়ে দেন, তখন জগদীশবাবু সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো নিয়েছিলেন।
৩. “গল্প শুনে খুব গম্ভীর হয়ে গেলেন হরিদা।” – হরিদা কে ছিলেন? কোন গল্প শুনে হরিদা গম্ভীর হয়ে গিয়েছিলেন?
উত্তর: বহুরূপী গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হরিদা পেশায় বহুরূপী ছিলেন।
লেখক ও তার বন্ধুরা হরিদাকে বলেছিলেন, জগদীশবাবুর বাড়িতে এক সন্ন্যাসী সাত দিন ছিলেন। তিনি সারা বছরে একটি হরিতকি খান এবং তার বয়স হাজার বছরেরও বেশি। সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো ছিল দুর্লভ। জগদীশ বাবু কাঠের খড়মে সোনার বল লাগিয়ে সন্ন্যাসীর পায়ের কাছে ধরেন এবং পায়ের ধুলো নেন। এই গল্প শুনে হরিদা গম্ভীর হয়ে গিয়েছিলেন।
৪. “খুবই গরীব মানুষ হরিদা”- হরিদার দারিদ্র্যের পরিচয় দাও।
উত্তর: সুবোধ ঘোষের বহুরূপী গল্পে শহরের সবচেয়ে সরু গলির ভিতরে হরিদার ঘর। কোনো অফিস বা দোকানে কাজ করা তার পছন্দ নয়। তার উনুনে অনেক সময় শুধু জল ফোটে, ভাত নয়। বহুরূপী সেজে সামান্য যা রোজগার হয়, তাতেই কখনো একবেলা, কখনো উপোস করে তার দিন কেটে যায়।
৫. “হরিদার জীবনে সত্যিই একটা নাটকীয় বৈচিত্র আছে।”- হরিদার জীবনের নাটকীয় বৈচিত্রটি কী ছিল?
উত্তর: বহুরূপী গল্পে হরিদার জীবনে নাটকীয় বৈচিত্র্য ছিল তার ছদ্মবেশধারণের দক্ষতা। বিচিত্র ছদ্মবেশে রাস্তায় বেরিয়ে তিনি মানুষের মনোরঞ্জন করতেন। কেউ চিনলে এক-দুই আনা দিত, না চিনলে বিরক্ত হয়ে সামান্য কিছু দিত। ছদ্মবেশে রাস্তায় বেরোনোই ছিল তার জীবনের বৈচিত্র্য।
৬. হরিদা পুলিশ সেজে কোথায় দাঁড়িয়েছিলেন? তিনি কীভাবে মাস্টারমশাইকে বোকা বানিয়েছিলেন?
উত্তর: হরিদা পুলিশ সেজে দয়ালবাবুর লিচু বাগানে দাঁড়িয়েছিলেন।
তিনি চারটি স্কুলছাত্রকে ধরেন। ভয়ে ছেলেরা কেঁদে ফেলে। পরে মাস্টারমশাই এসে আট আনা ঘুষ দিলে তিনি ছেলেদের ছাড়েন। এভাবেই মাস্টারমশাইকে বোকা বানান।
Class 10 Bengali
বহুরূপী গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
৭. “আমি বলছি, তোমরা সেখানে থেকো।”- এখানে বক্তা কাদের থাকতে বলেছেন? তাদের থাকতে বলার কারণ কী?
উত্তর: হরিদা কথক এবং তার বন্ধুদের থাকতে বলেছেন।
কথকেরা তাকে এক সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো সংগ্রহের গল্প শোনান। হরিদা তখন বলেন, তিনি এক অসাধারণ খেলা দেখাবেন। সেই খেলা দেখার জন্যই তিনি তাদের থাকতে বলেছিলেন।
৮. “এবার তো হাতি, লোঠি তো ভান্ডার।”- বক্তা কে? তিনি কোন উদ্দেশ্যে এই কথা বলেছেন?
উত্তর: প্রখ্যাত গল্পকার সুবোধ ঘোষের বহুরূপী গল্পে আলোচ্য অংশটির বক্তা হলেন বহুরূপী হরিদা।
বহুরূপী সেজে হরিদার উপার্জন ছিল অত্যন্ত সামান্য। জগদীশবাবুর বাড়িতে সন্ন্যাসীর খ্যাতি এবং তার অর্থপ্রাপ্তির কাহিনি শুনে হরিদা সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার উদ্দেশ্য ছিল প্রচুর অর্থ উপার্জন করা, যাতে সামান্য বকশিশ নয়, একবারে বড় অঙ্কের অর্থ উপার্জন করে তার সারা বছরের খরচ মিটে যায়।
৯. “আপনি কি ভগবানের চেয়েও বড়?”- কাকে এ কথা বলা হয়েছে? এ কথা বলার কারণ কী?
উত্তর: বিরাগী বেশে থাকা হরিদা এই কথাটি জগদীশবাবুকে বলেছিলেন।
বিরাগীর বেশে হরিদা যখন জগদীশবাবুর বাড়িতে যান, তখন জগদীশবাবু তাকে দেখে মুগ্ধ হন এবং স্বাগত জানান। কিন্তু জগদীশবাবু বারান্দা থেকে নেমে এসে তাকে সম্মান জানাননি। হরিদার মনে হয়, জগদীশবাবু তার ধনসম্পত্তির গর্বে নিজেকে ভগবানের চেয়েও বড় মনে করছেন। এই কারণেই তিনি এই মন্তব্য করেন।
১০. “ওসব হল সুন্দর সুন্দর এক একটি বঞ্চনা।”- ওসব বলতে কী বোঝানো হয়েছে? সেগুলোকে বঞ্চনা বলা হয়েছে কেন?
উত্তর: ওসব বলতে বোঝানো হয়েছে ধন, জন, যৌবন ইত্যাদি।
বিরাগী হরিদা সংসারত্যাগী মানুষ। তার কাছে এই জগতের ধন-সম্পদ বা সুখের কোনো স্থায়িত্ব নেই। এগুলো মানুষের মনকে চঞ্চল করে তোলে এবং অসহিষ্ণু করে তোলে। প্রাপ্তির পরেও লোভ শেষ হয় না। এই কারণে এগুলোকে তিনি বঞ্চনা বলেছেন।
১১. “তবে কিছু উপদেশ শুনিয়ে যান।”- বক্তা কে? তিনি কী উপদেশ শুনেছিলেন?
উত্তর: সুবোধ ঘোষ রচিত বহুরূপী গল্পে জগদীশবাবু এই কথাটি বলেছেন।
বিরাগী তাকে উপদেশ দিয়েছিলেন, ধন, যৌবন ইত্যাদি অস্থায়ী; এগুলোকে উপেক্ষা করে মন ও প্রাণকে ঈশ্বরের কাছে নিবেদন করতে হবে। ঈশ্বরের কাছে পৌঁছালে সৃষ্টির সমস্ত ঐশ্বর্য লাভ করা সম্ভব।
১২. “হরিদার উনানের আগুন তখন বেশ গনগনে হয়ে জ্বলছে।”- হরিদা কে? উক্তির মাধ্যমে লেখক পরোক্ষভাবে কী বোঝাতে চেয়েছেন?
উত্তর: হরিদা ছিলেন একজন দরিদ্র ব্যক্তি, যিনি বহুরূপীর পেশায় জীবনযাপন করতেন।
হরিদার উনুনে অনেক সময় শুধু জল ফোটে, ভাত নয়। অভাব সত্ত্বেও তার সততা তাকে কোনো অন্যায় করতে দেয় না। জগদীশবাবুর বাড়িতে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি সন্ন্যাসীর প্রভাব নষ্ট হওয়ার ভয়ে প্রণামের টাকা নেননি। তার খিদের আগুন লেখক উনানের আগুনের প্রতীকের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন।
১৩. “টাকা ফাঁকা কী করে করছ হরি বল?”- কে বলেছিলেন? কেন এমন কথা বলেছিলেন?
উত্তর: হরিদা নিজেই এই কথাটি বলেছিলেন।
হরিদা সন্ন্যাসীর বেশে জগদীশবাবুর বাড়িতে গিয়ে প্রণামের জন্য একশো এক টাকা পান। কিন্তু তিনি সেই টাকা গ্রহণ করেননি, কারণ এতে সন্ন্যাসীর সম্মানহানি হতো। নিজেকে প্রবঞ্চিত করার জন্যই তিনি নিজেকে কটাক্ষ করে এই কথা বলেন।
১৪. “তাতে যে আমার ঢং নষ্ট হয়ে যায়।” – ঢং বলতে কী বোঝানো হয়েছে? কিসে ঢং নষ্ট হয়ে যায়?
উত্তর: ঢং বলতে এখানে অভিনয় বা চরিত্র ধারণকে বোঝানো হয়েছে।
হরিদা জগদীশবাবুর বাড়িতে গিয়েছিলেন বিরাগীর বেশ ধরে অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে। কিন্তু ধীরে ধীরে তিনি সেই সন্ন্যাসীর চরিত্রে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে মিশিয়ে দেন। লোভহীন এবং চাহিদাহীন জীবনদর্শনের কথা শুধু বলাই নয়, তার আচরণেও এর প্রতিফলন ঘটে। প্রণামের টাকা উদাসীনভাবে ফেলে রেখে তিনি দেখান যে তিনি সন্ন্যাসীর চরিত্রের প্রতি কতটা সৎ। হরিদা বলেন, বিরাগী সন্ন্যাসী হয়ে টাকা স্পর্শ করলে তার ঢং, অর্থাৎ তার চরিত্রের অভিনয় নষ্ট হয়ে যাবে।
মাধ্যমিক বাংলা
বহুরূপী গল্পের রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর
১. “সে ভয়ানক দুর্লভ জিনিস”- এখানে ‘সে’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? তা দুর্লভ কেন বলা হয়েছে?
উত্তর: সুবোধ ঘোষের ‘বহুরূপী’ গল্পে ‘সে’ দ্বারা সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো বোঝানো হয়েছে।
এই পায়ের ধুলোকে দুর্লভ জিনিস বলা হয়েছে কারণ, সন্ন্যাসী ছিলেন খুবই উঁচু দরের, এবং তার বয়স হাজার বছরেরও বেশি ছিল। তিনি হিমালয়ের গুহায় বাস করতেন এবং সারা বছর একমাত্র একটি হরিতকী খেয়ে জীবনধারণ করতেন। তার পায়ের ধুলো সংগ্রহ করা খুবই কঠিন ছিল, কারণ তিনি কাউকে তার পায়ের ধুলো নিতে দিতেন না। তবে জগদীশবাবু সোনার বোল লাগানো নতুন খড়ম পরিয়ে সন্ন্যাসীর পায়ের কাছে সেটা ধরলে, সন্ন্যাসী বাধ্য হয়ে তার পায়ের ধুলো দেন। এ কারণে সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলোকে ‘দুর্লভ’ বলা হয়েছে।
২. হরিদা পুলিশ সেজে কোথায় দাঁড়িয়ে ছিলেন? তিনি কিভাবে মাস্টারমশাইকে বোকা বানিয়েছিলেন?
উত্তর: হরিদা পুলিশ সেজে দয়ালবাবুর লিচু বাগানের ভেতরে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
হরিদা পুলিশ সেজে একবার দয়ালবাবুর লিচু বাগানে স্কুলের চারটি ছেলেকে ধরে ছিলেন। মাস্টারমশাই এসে সেই নকল পুলিশ হরিদার কাছে ক্ষমা চেয়ে ছেলেগুলোকে ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু নকল পুলিশ হরিদা মাস্টারমশাইয়ের কাছ থেকে আট আনা ঘোষ নিয়ে তার অনুরোধ রক্ষা করেছিলেন। হরিদা এভাবেই নকল পুলিশের বেশে মাস্টারমশাইকে বোকা বানিয়ে ছিলেন।
৩. “সে কথা কি ভুলে গেছেন?” – কে, কোন কথা ভুলে গেছেন বলে বলা হয়েছে? এ কথা কথকের কেন মনে হয়েছে?
উত্তর: সাহিত্যিক সুবোধ ঘোষ রচিত “বহুরূপী” গল্পে বহুরূপী হরিদার জগদীশবাবুর বাড়িতে সেদিন সন্ধ্যায় জবর খেলা দেখানোর কথা ছিল। হরিদা সে কথা বলে গেছেন বলে গল্পকথকের মনে হয়েছে।
গল্পকথক এবং তার বন্ধুরা, জগদীশবাবুর বাড়িতে সন্ধ্যায় স্পোর্টসের চাঁদা নিতে গেলে সেখানে বিরাগী রূপী হরিদাকে দেখে তারা তাকে চিনতে পারেনি। বিরাগী রূপী হরিদার সাজ এবং মুখের ভাষা এতটাই নিখুঁত ছিল যে, কেউ তাকে হরিদা বলে চিনতে পারেনি। তাই গল্পকথক এবং তার বন্ধুদের মনে হয়েছে, হরিদা ওই সন্ধ্যায় জগদীশবাবুর বাড়িতে জবর খেলা দেখানোর কথা ভুলে গেছেন।
৪. “হরিদার জীবনের ভাতের হাড়ি মাঝে মাঝে শুধু জল ফুটিয়ে সারা হবে।”- বক্তার একথা মনে হওয়ার কারণ কী?
উত্তর: গল্পকার সুবোধ ঘোষ রচিত “বহুরূপী” নামক ছোট গল্প থেকে উদ্ধৃত উক্তিটি নেওয়া হয়েছে।
বহুরূপী গল্পের মূল চরিত্র হরিদা ছিলেন এক অত্যন্ত দরিদ্র বহুরূপী শিল্পী। মানুষকে আনন্দ দিয়ে যেটুকু বকশিস তিনি পেতেন, তাতে তার সংসার চলত না। তাই শহরের ধনী ব্যক্তি জগদীশ বাবুর বাড়িতে তিনি বিরাগী সন্ন্যাসী সেজে হাজির হন তার থেকে মোটা টাকা আদায় করার উদ্দেশ্যে। কিন্তু বিরাগী রূপী হরিদা কথায় ও রূপে মোহিত হয়ে জগদীশ বাবু ১০০ টাকা দিতে চাইলেও ছদ্মবেশী হরিদা তার শিল্পীসত্তা রক্ষার জন্য এবং বিরাগীর ঢং নষ্ট হয়ে যাবে বলে সেই অর্থ প্রত্যাখ্যান করেন। তাই গল্পকথক মনে করেছিলেন, এমন সুযোগ হাতছাড়া করার জন্য হরিদার জীবনের ভাতের হাড়ি মাঝে মাঝে শুধু জল ফুটিয়ে সারা হবে।
৫. “অদৃষ্ট কখনো হরিদ্বার এই ভুল ক্ষমা করবে না”- হরিদা কি ভুল করেছিলেন? অদৃষ্ট কেন সেই ভুল ক্ষমা করবে না বলে বক্তার মনে হয়েছে?
উত্তর: সুবোধ ঘোষ রচিত “বহুরূপী” গল্পে আমরা দেখি, বিরাগী সেজে হরিদা জগদীশ বাবুর দেওয়া ১০০ টাকা গ্রহণ না করে সেখান থেকে চলে যান। এই ঘটনাকেই গল্পে হরিদার ভুল বলা হয়েছে।
বহুরূপী হরিদা ছিলেন অত্যন্ত দরিদ্র। বহুরূপী সেজে সামান্য রোজগার হতো তার, তাতে তার সংসার চলত না। বিরাগীর সাজে জগদীশ বাবুর বাড়িতে তিনি উপস্থিত হলে, জগদীশ বাবু তাকে একশো এক টাকা দিতে চেয়েছিলেন। হরিদারও প্রথমে এমন মন ছিল যে সারা বছরের মতো কিছু রোজগার করে নেবেন। কিন্তু একজন প্রকৃত বহুরূপীর কাছে তার শিল্পের সার্থকতা সবকিছুর আগে। তাই বিরাগী ছদ্মবেশী হরিদা সেই অর্থ প্রত্যাখ্যান করে সেখান থেকে চলে যান। অদৃষ্টই তাকে এমন একটা সুযোগ দিয়েছিল, কিন্তু হরিদা তা গ্রহণ না করায় অদৃষ্ট হয়তো তার প্রতি বিরূপ হয়েছে, তাই কথকের মনে হয়েছে যে, অদৃষ্ট হরিদার এই ভুল কখনো ক্ষমা করবে না।
আরও দেখো: জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন ও উত্তর