এখানে হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর শেয়ার করা হলো। / মাধ্যমিক বাংলা হারিয়ে যাওয়া কালি কলম / শ্রীপান্থ (নিখিল সরকার)
মাধ্যমিক বাংলা
হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধের বড়ো প্রশ্ন উত্তর
১. ‘আমরা কালিও তৈরি করতাম নিজেরাই।’— কারা কালি তৈরি করতেন? তাঁরা কীভাবে কালি তৈরি করতেন?
উত্তর: এই উদ্ধৃতিটি শ্রীপান্থ রচিত ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধ থেকে নেওয়া হয়েছে। লেখক শ্রীপান্থ ও তাঁর সতীর্থরাই কালি তৈরি করতেন। এই কাজে তাঁদের মা, পিসি ও দিদিরা সাহায্য করতেন।
শ্রীপান্থ রচিত ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে লেখক কালি-কলমের অতীত সম্পর্কে বিশদে আলোচনা করেছেন। তিনি বাঁশের কঞ্চির কলম তৈরির প্রসঙ্গে যেমন বলেছেন, তেমনি সেই কঞ্চির কলমে ব্যবহৃত কালি কীভাবে তৈরি করা হত তাও বর্ণনা করেছেন।
লেখকের মতে, কালি তৈরির দুটি পদ্ধতি ছিল—
১. আয়োজন-নির্ভর প্রাচীন পদ্ধতি:
এই পদ্ধতিতে তিল, ত্রিফলা (হরীতকী, বহেড়া, আমলকী) লোহার পাত্রে ছাগলের দুধে ভিজিয়ে রেখে একটি লোহার দণ্ড দিয়ে সেসব ভালোভাবে ঘষতে হত। এতে যে কালি তৈরি হত তা ছিল অত্যন্ত টেকসই; এমনকি পাতার কাগজ ছিঁড়লেও কালি উঠত না। তবে এই পদ্ধতির উপকরণ সংগ্রহ করা লেখকদের পক্ষে কঠিন ছিল।
২. সাধারণ ঘরোয়া পদ্ধতি:
এই পদ্ধতিতে লেখক ও তাঁর সতীর্থরা নিজেদের প্রয়োজনে কালি তৈরি করতেন এবং সেই কাজে তাঁদের মা, পিসি ও দিদিরা সাহায্য করতেন। রান্নার কাঠের উনুনে কড়াইয়ের নিচে জমে থাকা কালি লাউপাতা দিয়ে ঘষে তুলে জলে গুলে নেওয়া হত। তাতে কখনো হরীতকী ঘষে, আবার কখনো আতপ চাল ভিজিয়ে পুড়িয়ে বেটে জলে মিশিয়ে খুন্তির গোড়া পুড়িয়ে ছ্যাঁকা দিয়ে, শেষে ন্যাকড়ায় ছেঁকে দোয়াতে ঢেলে কালি তৈরি করা হত।
এইভাবে লেখক অতীতের কালি তৈরির রীতিনীতি ও প্রক্রিয়াকে জীবন্তভাবে তুলে ধরেছেন।
২. ‘তাই দিয়ে আমাদের প্রথম লেখালেখি’ — লেখকের প্রথম লেখালেখির আয়োজনের পরিচয় দাও।
উত্তর: শ্রীপান্থ তাঁর রচনায় শৈশবের প্রথম লেখালেখির স্মৃতিচারণা করেছেন। তাঁর লেখালেখির আয়োজন ছিল সম্পূর্ণ ঘরোয়া এবং সহজলভ্য উপকরণনির্ভর। কলম তৈরি হত রোগা বাঁশের কঞ্চি কেটে। কঞ্চির মুখ ছুঁচোলো করার পাশাপাশি সেখানে চিরে দেওয়া হত, যাতে কালি সহজে গড়িয়ে না-পড়ে।
কালি তৈরির জন্য লেখক দু’ধরনের পদ্ধতির কথা বলেছেন। প্রথম পদ্ধতিটি ছিল বেশ জটিল ও আয়োজনসাপেক্ষ। এই পদ্ধতিতে তিল ও ত্রিফলা (হরীতকী, বহেড়া, আমলকী) লোহার পাত্রে ছাগলের দুধে ভিজিয়ে রেখে, পরে লোহার দণ্ড দিয়ে ঘষে কালি তৈরি করা হত। এই কালি খুব টেকসই ছিল—লেখা পাতার কাগজ ছিঁড়ে গেলেও কালি মুছত না।
দ্বিতীয় পদ্ধতিটি তুলনায় সহজ। বাড়ির কাঠের উনুনের নিচে জমে থাকা কালি লাউপাতা দিয়ে ঘষে তুলে পাথরের বাটিতে রাখা জলে গুলে নেওয়া হত। কেউ কেউ এর সঙ্গে হরীতকী মেশাতেন বা পোড়া আতপ চাল গুঁড়ো করে দিতেন। এরপর খুন্তিকে আগুনে পুড়িয়ে সেই গরম খুন্তি জলে ডুবিয়ে দিলে রং আরও গাঢ় হত। ঠান্ডা হলে জল ছেঁকে তা দোয়াতে ভরা হত।
লেখার জন্য ব্যবহৃত হত কলাপাতা। কলাপাতাকে কাগজের মতো কেটে তার ওপর লেখক ‘হোম টাস্ক’ করতেন।
এই ভাবেই লেখকের শৈশবজুড়ে লেখালেখির প্রথম আয়োজন ও অভ্যাস তৈরি হয়েছিল।
৩. ‘তাই কেটে কাগজের মতো সাইজ করে নিয়ে আমরা তাতে “হোম-টাস্ক” করতাম।’ কীসে ‘হোম-টাস্ক’ করা হত? ‘হোম-টাস্ক’ করার সম্পূর্ণ বিবরণ দাও।
উত্তর: কলাপাতায় ‘হোম-টাস্ক’ করা হত।
লেখক শ্রীপান্থ তাঁর শৈশবে কলাপাতা কেটে কাগজের আকারে তৈরি করে তাতে হোম-টাস্ক করতেন। লেখার জন্য কলম তৈরি করা হত রোগা বাঁশের কঞ্চি কেটে। কঞ্চির মুখ ছুঁচোলো করার পাশাপাশি চিরে দেওয়া হত, যাতে কালি গড়িয়ে না-পড়ে। এরপর সেই কঞ্চির কলমে ঘরোয়া উপায়ে তৈরি কালি ব্যবহার করে কলাপাতায় লেখার কাজ করা হত।
ছাত্ররা তাদের লেখা কলাপাতা বান্ডিল করে বেঁধে স্কুলে নিয়ে যেত। শিক্ষকরা সেগুলি দেখে আড়াআড়ি টানে ছিঁড়ে দিতেন। তারপর ছাত্ররা সেই ছেঁড়া কলাপাতাগুলি পুকুরে ফেলে দিত। কারণ, যদি অন্য কোথাও ফেলা হত, তবে গোরু খেয়ে নিতে পারত। আর বিশ্বাস ছিল, গোরুকে অক্ষর খাওয়ানো পাপ এবং তা অমঙ্গল বয়ে আনে। এই ভাবনাই লেখকের লেখায় উঠে এসেছে।
মাধ্যমিক বাংলা
হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধের বড়ো প্রশ্ন উত্তর
৪. ‘বিমর্ষ ওয়াটারম্যান মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলেন’—
ওয়াটারম্যান কে? তিনি বিমর্ষ কেন? তাঁর প্রতিজ্ঞার ফল কী হয়েছিল?
অথবা, ওয়াটারম্যান কীভাবে কালির ফোয়ারা খুলে দিয়েছিলেন, প্রবন্ধ অনুসারে লেখো।
অথবা, ‘তার নাম—লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যান।’ লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যান কে? কলমের দুনিয়ায় তাঁর অবদান আলোচনা করো।
উত্তর: লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যান ছিলেন একজন মার্কিন ব্যবসায়ী এবং আধুনিক ফাউন্টেন পেনের আবিষ্কর্তা। একবার তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক চুক্তি করতে গিয়ে কলমে কালি না থাকায় এবং দোয়াত উপুড় হয়ে কাগজ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সেই চুক্তি হাতছাড়া করেন। এই ব্যর্থতায় তিনি খুব বিমর্ষ হয়ে পড়েন এবং প্রতিজ্ঞা করেন এমন একটি কলম তৈরি করবেন, যাতে আলাদা দোয়াতের প্রয়োজন না হয়।
এই প্রতিজ্ঞা থেকেই তিনি আবিষ্কার করেন ফাউন্টেন পেন—যাতে নিজস্ব কালি ধারক (রিজার্ভার) থাকে এবং ধীরে ধীরে কালি নিবে পৌঁছে লেখা সম্ভব হয়। তাঁর এই আবিষ্কার কলমের জগতে বিপ্লব এনে দেয়। লেখক রূপকভাবে বলেন, ওয়াটারম্যান যেন সত্যিই ‘কালির ফোয়ারা খুলে দিয়েছিলেন’। তাঁর এই উদ্ভাবনের ফলে পার্কার, শেফার্ড, সোয়ান প্রভৃতি কোম্পানি নানা ধরনের ফাউন্টেন পেন তৈরি করতে শুরু করে, যা লেখকদের মধ্যে লেখার প্রতি নেশাও বাড়িয়ে দেয়।
৫. ফাউন্টেন পেনের জন্ম ইতিহাস আলোচনা করো।
উত্তর: আলোচ্য প্রবন্ধে লেখক শ্রীপান্থ কালি ও কলমের বিবর্তনের ইতিহাস তুলে ধরেছেন। প্রাচীনকালে মানুষ বাঁশের কঞ্চি, খাগের কলম, পশুর হাড়, পাখির পালক, স্টাইলাস ও তুলির সাহায্যে কালি ডুবিয়ে লিখতেন। এসব কলমে কালি রিজার্ভ থাকত না, প্রতিবার দোয়াতে ডুবিয়ে নিতে হতো। পরে রিজার্ভার পেনের আবিষ্কার হয়, যাতে কিছুটা কালি সংরক্ষিত থাকত। সেই রিজার্ভার পেনকে আরও উন্নত করে লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যান আবিষ্কার করেন ফাউন্টেন পেন।
ওয়াটারম্যান ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। একবার তিনি দোয়াত-কলম নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতে গিয়েছিলেন। দলিল লেখার সময় হঠাৎ করে দোয়াত উল্টে কালি পড়ে কাগজ নষ্ট হয়। কালির সন্ধানে গিয়ে ফিরে এসে দেখেন, আরেকজন ব্যবসায়ী সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে চুক্তি সম্পন্ন করে ফেলেছে। এই ঘটনায় তিনি বিমর্ষ হয়ে পড়েন এবং প্রতিজ্ঞা করেন, এমন একটি কলম তৈরি করবেন যাতে আলাদা দোয়াতের প্রয়োজন না পড়ে।
তারই ফলস্বরূপ ওয়াটারম্যানের নিরলস প্রচেষ্টায় জন্ম নেয় আধুনিক ফাউন্টেন পেন। এই কলমে নিজস্ব কালি ধারক (রিজার্ভার) থাকে এবং সহজে লেখা যায়। ওয়াটারম্যানের আবিষ্কার কলমের জগতে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আনে এবং লেখালিখিকে আরও সহজ ও সুলভ করে তোলে।
৬. “দোয়াত যে কত রকমের হতে পারে, তা না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না ” — ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে শ্রীপান্থ দোয়াতের যে বৈচিত্র্যের কথা লিখেছেন, তা আলোচনা করো।
উত্তর: শ্রীপান্থ রচিত ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে দোয়াতের নানান বৈচিত্র্যের কথা অত্যন্ত রসপূর্ণভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। লেখক জানান, দোয়াত বিভিন্ন ধাতু ও উপাদানে তৈরি হতো— যেমন কাচের, কাটলাসের, পোর্সেলিনের, শ্বেতপাথরের, জেডের, পিতলের, ব্রোঞ্জের, এমনকি ভেড়ার শিং ও সোনার দোয়াত পর্যন্ত ছিল।
এক সময় পরীক্ষায় ভালো ফল করলে গুরুমশায় ছাত্রদের আশীর্বাদ করতেন— “সোনার দোয়াত-কলম হোক।” প্রাবন্ধিক নিজে সুভো ঠাকুরের সংগ্রহে সোনার দোয়াত দেখেছেন। শুধু তাই নয়, সেইসব দোয়াতে সাহিত্য ও ইতিহাসের নানা চরিত্রের ছাপ ছিল— যেন সাহিত্যের সোনালি অতীত ধরা পড়ে।
এই দোয়াতগুলিকে দেখে লেখকের মনে পড়েছিল শেক্সপিয়ার, দান্তে, মিল্টন, কালিদাস, কাশীরাম দাস, কৃত্তিবাস, রবীন্দ্রনাথ, বঙ্কিমচন্দ্র, শরৎচন্দ্র প্রমুখ মনীষীদের কথা, যাঁরা হয়তো এমনই কোনো দোয়াত থেকে আঁকা কালি দিয়ে সৃষ্টি করেছিলেন অমর সাহিত্য। এই ভাবনাতেই লেখক রোমাঞ্চিত হয়ে পড়েন।
দশম শ্রেণী বাংলা
হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধের বড়ো প্রশ্ন উত্তর
৭. “কলমকে বলা হয় তলোয়ারের চেয়েও শক্তিধর।” — এমন কথা বলার কারণ কী?
উত্তর: শ্রীপান্থ রচিত ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে উদ্ধৃত বাক্যটি একটি প্রবাদপ্রতিম উক্তি। লেখক এটিকে ঈষৎ রসিকতা করে ব্যবহার করলেও এর গভীরে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য।
কলমের বিভিন্ন অংশের নাম যেমন ‘ব্যারেল’, ‘কার্টিজ’ ইত্যাদি— এগুলোর সঙ্গে বন্দুকের পার্টসের মিল থাকায় লেখক ব্যঙ্গাত্মকভাবে বলছেন, কলমই যেন বন্দুকের মতো শক্তিশালী। যদিও কলমে বারুদের গন্ধ নেই, তবু ইতিহাসে অনেক লেখকের কলমের লেখা মানুষের চেতনা ও রাজনীতি বদলে দিয়েছে। সেই অর্থেই কলম হয় ‘তলোয়ারের চেয়েও শক্তিধর’।
তলোয়ার বা বন্দুক মানুষকে হত্যা করতে পারে, কিন্তু কলমের লেখনী মানুষকে ভাবতে শেখায়, জাগিয়ে তোলে, কখনো বিপ্লব ঘটায়। লেখনীর প্রভাব স্থায়ী, গভীর এবং বৃহৎ— তাই কলমকে তলোয়ারের চেয়েও শক্তিশালী বলা হয়।
৮. “আশ্চর্য, সবই আজ অবলুপ্তির পথে।” — কোন্ জিনিস আজ অবলুপ্তির পথে? এই অবলুপ্তির কারণ কী? এ বিষয়ে লেখকের মতামত কী?
উত্তর: কোন্ জিনিস আজ অবলুপ্তির পথে?
উত্তর: কালি-কলম বা হাতে লেখার রেওয়াজ আজ অবলুপ্তির পথে।
বল-পেন ও কম্পিউটারের ব্যবহারই কালি-কলমের অবলুপ্তির প্রধান কারণ।
লেখক শ্রীপান্থ আধুনিক প্রযুক্তির অগ্রগতিতে কলমের গুরুত্ব হারিয়ে যাওয়ায় গভীর বিস্ময় ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি মনে করেন, কলম একসময় মানুষের চিন্তা প্রকাশের অবিচ্ছেদ্য মাধ্যম ছিল। অথচ আজ সেই কলম বল-পেনের কাছে হার মানছে, আর বল-পেনও হারিয়ে যাচ্ছে কম্পিউটারের দাপটে। লেখকের মতে, কম্পিউটার যেন এক অভিনব প্রতিজ্ঞায় কলমকে জাদুঘরে পাঠাতে উদ্গ্রীব। লেখার শিল্প হারিয়ে গেলে হাতে লেখার যে মানবিকতা ও সৃজনশীলতা তা-ও হারিয়ে যাবে—এই আশঙ্কায় লেখক আতঙ্কিত ও মর্মাহত হয়েছেন।
৯. “আমার মনে পড়ে প্রথম ফাউন্টেন কেনার কথা।”
বক্তার আসল নাম কী? তাঁর ফাউন্টেন কেনার ঘটনাটি সংক্ষেপে বিবৃত করো।
উত্তর: বক্তার আসল নাম নিখিল সরকার। সাহিত্যজগতে তিনি ‘শ্রীপান্থ’ নামে পরিচিত।
দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের কয়েক বছর পরে লেখক কলেজ স্ট্রিটে একটি নামী দোকানে ফাউন্টেন পেন কিনতে যান। দোকানি লেখকের মুখের দিকে তাকিয়ে পকেটের অবস্থা বুঝে একটি ‘পাইলট’ পেনের পরামর্শ দেন। পেনটির টেকসই প্রকৃতি বোঝাতে দোকানি সেটিকে সার্কাসের ছুরির মতো কার্ডবোর্ডে ছুড়ে মারেন। তারপর সেটি অক্ষত অবস্থায় তুলে দেখান। লেখক সেই জাপানি পাইলট পেনে মুগ্ধ হয়ে তা কিনে নেন। বহু নামিদামি পেনের মাঝেও তিনি সেই পেনটি দীর্ঘদিন যত্নে রেখে দিয়েছিলেন। তাঁর কাছে সেটি যেন এক জাদুকরী ফাউন্টেন পেন ছিল।
১০. ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে কালি কলমের প্রতি ভালোবাসা কীভাবে ফুটে উঠেছে? কালি কলম হারানোর বেদনা কীভাবে ব্যক্ত হয়েছে?
উত্তর : শ্রীপান্থ রচিত ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে লেখক কালি ও কলমের প্রতি তাঁর শৈশবের স্মৃতিজড়িত ভালোবাসা গভীর আবেগের সঙ্গে তুলে ধরেছেন। ছোটবেলায় তিনি নিজের হাতে বাঁশ কেটে কলম তৈরি করতেন, রান্নাঘরের উনুন থেকে কালি সংগ্রহ করতেন, কলাপাতায় লিখতেন—এই সমস্ত অভিজ্ঞতার মধ্যে লেখকের যত্ন, শ্রম ও ভালোবাসা জড়িয়ে রয়েছে।
লেখক জানান, কলম তাঁর কাছে কেবল লেখার যন্ত্র নয়, বরং একান্ত নিজস্ব সঙ্গী। অফিসে কম্পিউটারে লেখার সুযোগ থাকলেও তিনি কলম ছাড়া কিছুই লিখতে পারেন না। তাঁর ভাষায়, কলমে লেখার মধ্যে রয়েছে এক রকম সৃষ্টির আনন্দ, যা প্রযুক্তির মাধ্যমে লেখা থেকে পাওয়া যায় না। লেখক যখন ফাউন্টেন পেনের ইতিহাস আলোচনা করেন, তখনও বোঝা যায়, কলমের প্রতি তাঁর গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে। তিনি কলমকে সৃষ্টিশীলতার প্রতীক হিসেবে দেখেছেন।
কালি কলম হারানোর বেদনা:
কালি কলম হারানোর বেদনা কীভাবে ব্যক্ত হয়েছে?
লেখক এই প্রবন্ধে কালি কলম হারানোর যে বেদনা অনুভব করেন, তা অত্যন্ত সংবেদনশীলভাবে তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, আগে যে কালি কলম তাঁর জীবনযাপনের অঙ্গ ছিল, আজ তা প্রায় হারিয়ে গিয়েছে। এখন আর হাতে তৈরি কলম, দোয়াত বা পালকের কলম দেখা যায় না; তারা কেবল সরস্বতী পুজোর অলঙ্কার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
লেখক আফসোস করে বলেন, “এত বছর পরে সেই কলম যখন হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম, তখন মনে কষ্ট হয় বইকি।” এর মাধ্যমে বোঝা যায়, কলমের অস্তিত্ব হারিয়ে যাওয়ায় তিনি এক গভীর শূন্যতা অনুভব করছেন।
বর্তমান প্রযুক্তিনির্ভর যুগে কলমকে কেউ আর গুরুত্ব দেয় না—এই অবহেলার চিত্র লেখক ব্যঙ্গাত্মকভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন এই বলে যে পকেটমাররাও এখন আর কলম চুরি করে না। এর মধ্য দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, কালি কলম আজ বিস্মৃতির পথে। এই হারিয়ে যাওয়ার মধ্যে লেখকের এক প্রকার সাংস্কৃতিক ও মানসিক ক্ষয় প্রতিফলিত হয়েছে।
মাধ্যমিক বাংলা
হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
১. ‘… লেখে তিনজন।’ – এই তিনজন কে কে?
উত্তর: এই তিনজন হল – কালি, কলম এবং মন।
২. ‘আমি যেখানে কাজ করি’ – লেখক কোথায় কাজ করতেন?
উত্তর: লেখক একটি সংবাদপত্র অফিসে সাংবাদিকতার কাজ করতেন।
৩. ‘কিন্তু আমি ছাড়া কারও হাতে কলম নেই।’ – কেন?
উত্তর: কারণ লেখক ছাড়া অফিসের সবাই কম্পিউটারে লেখেন। তাই একমাত্র লেখকের হাতেই কলম থাকত।
৪. ‘বাংলায় একটা কথা চালু ছিল’ – কথাটি কী?
উত্তর: কথাটি হল – “কালি নেই, কলম নেই, বলে আমি মুনশি!”
৫. ‘কালগুণে বুঝি বা আজ আমরাও তা-ই’ – এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দাও।
উত্তর: লেখক বলতে চেয়েছেন, আজকাল কলম ছাড়াই লেখক সেজে বসা হয়। তাই পূর্বে প্রচলিত প্রবাদটি আজও সত্যি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
৬. ‘তাঁরা হয়তো বুঝবেন কলমের সঙ্গে আমাদের কী সম্পর্ক’ – ‘তাঁরা’ বলতে কার কথা বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: যাঁরা ৫০-৬০ বছর আগে বাংলার গ্রামে জন্মেছেন, তাঁরাই কলমের সঙ্গে সম্পর্ক বুঝবেন।
৭. লেখক ছোটোবেলায় কেমন করে কলম তৈরি করতেন?
উত্তর: লেখক রোগা বাঁশের কঞ্চি কেটে মুখ চিরে কলম তৈরি করতেন।
৮. ‘বড়োরা শিখিয়ে দিয়েছিলেন’ – কী শিখিয়ে দিয়েছিলেন?
উত্তর: বড়োরা শিখিয়েছিলেন কঞ্চির মুখ চিরে দিতে, যাতে কালি সহজে বের হয়।
৯. লেখক ছোটোবেলায় কীসে ‘হোম-টাস্ক’ করতেন?
উত্তর: কলাপাতা কেটে কাগজের আকারে বানিয়ে তাতে ‘হোম-টাস্ক’ করতেন।
১০. ‘আর সেগুলি বান্ডিল করে নিয়ে যেতাম স্কুলে।’ – ‘সেগুলি’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: কলাপাতার ওপর লেখা ‘হোম-টাস্ক’-এর পাতাগুলিকে বোঝানো হয়েছে।
১১. লেখক কোথা থেকে তাঁর জীবনের প্রথম ফাউন্টেন পেনটি কিনেছিলেন?
উত্তর: লেখক শ্রীপান্থ দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের বেশ কয়েক বছর পরে কলকাতার কলেজ স্ট্রিটের এক নামি দোকান থেকে তাঁর জীবনের প্রথম ফাউন্টেন পেনটি কিনেছিলেন।
১২. দোকানদার লেখককে কলম বিক্রি করার আগে কী জাদু দেখিয়েছিলেন?
উত্তর: দোকানদার টেবিলের একপাশে দাঁড় করানো একটা কাঠের বোর্ডে সস্তার জাপানি পাইলট পেনটি নিক্ষেপ করলেন। তারপর সেটা খুলে নিয়ে লেখককে দেখালেন যে, নিবটা অক্ষত আছে আর তার নিব কত মজবুত।
১৩. দুজন সাহিত্যিকের নাম করো যাঁদের নেশা ছিল ফাউন্টেন পেন সংগ্রহ করা।
উত্তর: শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায় এবং শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় হলেন সেই দুজন সাহিত্যিক, যাঁদের নেশা ছিল ফাউন্টেন পেন সংগ্রহ করা।
১৪. শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়ের মধ্যে কে ফাউন্টেন পেনের নেশা ধরিয়েছিলেন?
উত্তর: শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়ের মধ্যে ফাউন্টেন পেনের নেশা ধরিয়েছিলেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
১৫. ‘রিজার্ভার পেন’ কী?
উত্তর: ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনা অনুসারে আদিতে ফাউন্টেন পেনের নাম ছিল ‘রিজার্ভার পেন’। লুইস ওয়াটারম্যান তাকেই অনেক উন্নত করে ফাউন্টেন পেন তৈরি করেন।
১৬. ‘কলম তাদের কাছে অস্পৃশ্য।’ — কাদের কাছে অস্পৃশ্য?
উত্তর: বর্তমানে পকেটমারদের কাছে হাতসাফাইয়ের বস্তু হিসেবে কলম অস্পৃশ্য।
১৭. ‘এক সময় বলা হতো’ — কী বলা হত?
উত্তর: এক সময় বলা হত — ‘কলমে কায়স্থ চিনি, গোঁফেতে রাজপুত।’
১৮. ‘কলম তাদের কাছে আজ অস্পৃশ্য।’ — কেন?
উত্তর: বর্তমানে ডট-পেন বা বল-পেনের রমরমার যুগে কলম অত্যন্ত সস্তা ও সর্বভোগ্য হয়ে পড়েছে। পকেটমারদের কাছে তাই হাতসাফাইয়ের বস্তু হিসেবে কলম অস্পৃশ্য।
১৯. যার পোশাকি নাম স্টাইলাস – ‘স্টাইলাস’ বলতে কী বা ‘স্টাইলাস’ কী?
উত্তর: রোম সাম্রাজ্যের অধীশ্বর জুলিয়াস সিজার যে ব্রোঞ্জের শলাকা বা কলম ব্যবহার করতেন, তার পোশাকি নাম ছিল ‘স্টাইলাস’।
ক্লাস 10 বাংলা
হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
১. ‘সম্ভবত শেষ পর্যন্ত নিবের কলমের মানমর্যাদা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন একমাত্র’ — কে?
ক) অন্নদাশঙ্কর রায়
খ) মুখোপাধ্যায়
গ) ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়
ঘ) সত্যজিৎ রায়
উত্তর: ঘ) সত্যজিৎ রায়
২. সত্যজিৎ রায়ের সুস্থ সুন্দর নেশার মধ্যে অন্যতম ছিল—
ক) লিপিশিল্প
খ) বয়ন শিল্প
গ) হস্তশিল্প
ঘ) মৃৎশিল্প
উত্তর: ক) লিপিশিল্প
৩. রবীন্দ্রনাথের ছবি আঁকার সূচনা হয়—
ক) বড়ো ক্যানভাসে
খ) খাজনার খাতায়
গ) পান্ডুলিপির পাতায়
ঘ) শান্তিনিকেতনের কলাভবনে
উত্তর: গ) পান্ডুলিপির পাতায়
৪. ‘কঙ্কাবতী’ ও ‘ডমরুধর’-এর স্বনামধন্য লেখকের নাম—
ক) তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
খ) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
গ) ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়
ঘ) বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
উত্তর: গ) ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়
৫. নিজের হাতের কলমের আঘাতে মৃত্যু হয়েছিল যে লেখকের, তাঁর নাম—
ক) বনফুল
খ) পরশুরাম
গ) ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়
ঘ) শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়
উত্তর: গ) ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়
৬.ফাউন্টেন পেনের বাংলা নাম ‘ঝরনা কলম’ দেন-
ক) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
খ) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
গ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ঘ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
উত্তর: গ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৭.ফাউন্টেন পেনের স্রষ্টা-
ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
খ) লুইস অ্যাডসন
গ) পিটার পার্কার
ঘ) লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যান
উত্তর: ঘ) লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যান
৮.’সস্তার একটা পাইলট পেন নিয়ে যাও’-পেনটি ছিল-
ক) জাপানি কলম
খ) জার্মান কলম
গ) চিনা কলম
ঘ) ভারতীয় কলম
উত্তর: ক) জাপানি কলম
৯. শ্রীপান্থের কেনা প্রথম ফাউন্টেন পেনটি ছিল-
ক) সোয়ান
খ) শেফার্ড
গ) পার্কার
ঘ) জাপানি পাইলট
উত্তর: ঘ) জাপানি পাইলট
১০.ফাউন্টেন পেন সংগ্রহ করতেন-
ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
খ) শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়
গ) জীবনানন্দ দাশ
ঘ) সত্যজিৎ রায়
উত্তর: খ) শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়
১১.’এই নেশা পেয়েছি আমি শরৎদার কাছ থেকে’-বক্তা কে?
ক) রত্নাকর
খ) শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়
গ) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
ঘ) শ্রীপান্থ
উত্তর: খ) শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়
১২.বিখ্যাত লেখক শৈলজানন্দের ফাউন্টেন পেনের সংগ্রহ ছিল-
ক) ডজন খানেক
খ) হাফ ডজন
গ) ডজন দুয়েক
ঘ) ডজন তিনেক
উত্তর: গ) ডজন দুয়েক
১৩.’তাঁরও ছিল ফাউন্টেন পেনের নেশা’-কার?
ক) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
খ) রাজশেখর বসু
গ) সুবোধ ঘোষ
ঘ) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
উত্তর: ঘ) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১৪.আদিতে ফাউন্টেন পেনের নাম ছিল-
ক) ফাউন্টেন পেন
খ) রিজার্ভার পেন
গ) ঝরনা কলম
ঘ) পার্কার পেন
উত্তর: খ) রিজার্ভার পেন
১৫.উন্নতমানের ফাউন্টেন পেনের নির্মাতা কে ছিলেন?
ক) ওয়াটারম্যান
খ) লুইস ওয়াল্টার
গ) অ্যান্ডারসন
ঘ) স্টিভেনসন
উত্তর: ক) ওয়াটারম্যান
১৬.বিদেশে উন্নত ধরনের টেকসই নিব তৈরি হত-
ক) বাঁশ বা কঞ্চি কেটে
খ) পালক কেটে
গ) গোরুর শিং বা কচ্ছপের খোল কেটে
ঘ) প্ল্যাটিনাম কেটে
উত্তর: গ) গোরুর শিং বা কচ্ছপের খোল কেটে
১৭.কখনও শিঙের নিবের মুখে বসানো হত-
ক) সোনা
খ) হিরে
গ) প্ল্যাটিনাম
ঘ) প্লাস্টিক
উত্তর: খ) হিরে
১৮.লেখক ও তাঁর সহপাঠীরা যখন কলেজে পড়তেন তখন সব পড়ুয়ার পকেটেই থাকত-
ক) খাগের কলম
খ) ফাউন্টেন পেন
গ) বল-পেন
ঘ) বাঁশের কঞ্চি কেটে তৈরি কলম
উত্তর: খ) ফাউন্টেন পেন
১৯.প্রথম দিকে লেখা শুকনো করা হত-
ক) বালি দিয়ে
খ) ব্লটিং পেপার দিয়ে
গ) চক দিয়ে
ঘ) কাপড়ের টুকরো দিয়ে
উত্তর: ক) বালি দিয়ে
২০.সোনার দোয়াত কলমের সত্যতা লেখক জেনেছিলেন-
ক) অবনীন্দ্রনাথের দোয়াত সংগ্রহ থেকে
খ) শৈলজানন্দের কাছ থেকে
গ) সুভো ঠাকুরের দোয়াত সংগ্রহ দেখে
ঘ) শরৎচন্দ্রের কলম সংগ্রহ থেকে
উত্তর: গ) সুভো ঠাকুরের দোয়াত সংগ্রহ দেখে
মাধ্যমিক বাংলা
হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধের MCQ প্রশ্ন উত্তর
২১.’ওঁদের তহবিলে নাকি নিব রয়েছে’- কত নিব?
ক) সাতশো
খ) সাড়ে সাতশো
গ) সাড়ে আটশো
ঘ) দু-হাজার
উত্তর: ক) সাতশো
২২.’লাঠি তোমার দিন ফুরাইয়াছে,’ বলেছিলেন-
ক) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
খ) নিখিল সরকার
গ) সুভাষ মুখোপাধ্যায়
ঘ) অন্নদাশঙ্কর রায়
উত্তর: ক) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
২৩.যারা ওস্তাদ কলমবাজ তাদের বলা হত-
ক) ক্যালিগ্রাফিস্ট
খ) স্টেনোগ্রাফার
গ) টাইপিস্ট
ঘ) জার্নালিস্ট
উত্তর: ক) ক্যালিগ্রাফিস্ট
২৪.চারখণ্ড রামায়ণ কপি করে একজন লেখক অষ্টাদশ শতকে কত টাকা পেয়েছিলেন-
ক) সাত টাকা
খ) আট টাকা
গ) দশ টাকা
ঘ) ন-টাকা
উত্তর: ক) সাত টাকা
২৫.উনিশ শতকে বত্রিশ হাজার অক্ষর লেখানো যেত-
ক) পনেরো আনায়
খ) বারো আনায়
গ) ষোলো আনায়
উত্তর: খ) বারো আনায়
২৬.কলমের শক্তিকে কীসের শক্তির সঙ্গে তুলনা করা হয়ে থাকে?
ক) বক্তব্যের
খ) বন্দুকের
গ) তলোয়ারের
ঘ) কামানের
উত্তর: গ) তলোয়ারের
২৭.’অনেক ধরে ধরে টাইপরাইটারে লিখে গেছেন মাত্র একজন।’ তিনি হলেন-
ক) সত্যজিৎ রায়
খ) অন্নদাশঙ্কর রায়
গ) রাজশেখর বসু
ঘ) সুবোধ ঘোষ
উত্তর: খ) অন্নদাশঙ্কর রায়
মাধ্যমিক বাংলা
হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধের MCQ প্রশ্ন উত্তর
১. কলমের কালি ধীরে ধীরে চুইয়ে পড়ার জন্য করণীয় কী?
(ক) কলমের মুখটা চিরে দিতে হবে
(খ) কলমের মুখটা সার্প করতে হবে
(গ) কলমের মুখটা ঘষে নিতে হবে
(ঘ) কলমের মুখটা একটু ভোঁতা হতে হবে
উত্তর: (ক) কলমের মুখটা চিরে দিতে হবে
২. লেখকরা হোম-টাস্ক করতেন—
(ক) শুকনো তালপাতায়
(খ) কলাপাতায়
(গ) পদ্মপাতায়
(ঘ) শালপাতায়
উত্তর: (খ) কলাপাতায়
৩. ‘লেখার পাত’ বলতে বোঝায়—
(ক) কলাপাতা
(খ) শালপাতা
(গ) লেখার কাগজ
(ঘ) তালপাতা
উত্তর: (ক) কলাপাতা
৪. অক্ষরজ্ঞানহীনকে লোকে বলে—
(ক) অন্ধের কিবা দিন কিবা রাত
(খ) ক’অক্ষর গোমাংস
(গ) কুয়োর ব্যাঙ
(ঘ) চোখ থাকতেও অন্ধ
উত্তর: (খ) ক’অক্ষর গোমাংস
৫. ত্রিফলা বলতে বোঝায়—
(ক) হরীতকী, সুপারি, এলাচ
(খ) হরীতকী, সুপারি, আমলকী
(গ) বহেড়া, হরীতকী, আমলকী
(ঘ) বহেড়া, সুপারি, আমলকী
উত্তর: (গ) বহেড়া, হরীতকী, আমলকী
৬. ‘ছিঁড়ে পত্র না ছাড়ে মসি’— এখানে ‘মসি’ শব্দের অর্থ—
(ক) লোহা
(খ) ধূলো
(গ) কালি
(ঘ) পেন
উত্তর: (গ) কালি
৭. লেখক প্রাচীন মিশরে জন্মালে কী দিয়ে লিখতেন?
(ক) বাঁশের কঞ্চি
(খ) নলখাগড়ার কলম
(গ) হাড়ের কলম
(ঘ) পালক
উত্তর: (খ) নলখাগড়ার কলম
৮. ফিনিসীয়রা কলম বানাত—
(ক) ব্রোঞ্জ দিয়ে
(খ) নলখাগড়া দিয়ে
(গ) হাড় দিয়ে
(ঘ) পাখির পালক দিয়ে
উত্তর: (গ) হাড় দিয়ে
৯. ‘স্টাইলাস’ আসলে কী?
(ক) প্ল্যাটিনাম শলাকা
(খ) লৌহ শলাকা
(গ) ব্রোঞ্জের শলাকা
(ঘ) তামার শলাকা
উত্তর: (গ) ব্রোঞ্জের শলাকা
১০. সিজার কলম দিয়ে কাকে আঘাত করেছিলেন?
(ক) রোমুলাসকে
(খ) কাসকাকে
(গ) হেনরিয়েটাকে
(ঘ) ডরোথিকে
উত্তর: (খ) কাসকাকে
১১. সিজার যে কলম দিয়ে কাসকাকে আঘাত করেছিলেন, তার পোশাকি নাম—
(ক) রিজার্ভার
(খ) স্টাইলাস
(গ) পার্কার
(ঘ) পাইলট
উত্তর: (খ) স্টাইলাস
১২. চিনারা চিরকালই লেখার জন্য ব্যবহার করে আসছে—
(ক) তুলি
(খ) ব্রোঞ্জের শলাকা ও হাড়
(গ) কুইল
(ঘ) নলখাগড়া
উত্তর: (ক) তুলি
১৩. ‘জ্ঞানাগুণ-শলাকা’ আসলে—
(ক) কাজল পরার কাঠি
(খ) কলম
(গ) পেনসিল
(ঘ) হাড় থেকে তৈরি পেন
উত্তর: (খ) কলম
১৪. খাগের কলম কখন দেখা যায়?
(ক) হাতেখড়ির সময়
(খ) সরস্বতী পূজার সময়
(গ) হালখাতার সময়
(ঘ) নববর্ষের সময়
উত্তর: (খ) সরস্বতী পূজার সময়
১৫. পালকের কলমের ইংরেজি নাম হল—
(ক) স্টাইলাস
(খ) ফাউন্টেন পেন
(গ) কুইল
(ঘ) রিজার্ভার পেন
উত্তর: (গ) কুইল
মাধ্যমিক বাংলা
হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধের MCQ প্রশ্ন উত্তর
১৬. বাঙালি সাংবাদিকদের বাবু কুইল ড্রাইভারস বলতেন—
(ক) লর্ড বেন্টিঙ্ক
(খ) লর্ড আমহার্স্ট
(গ) লর্ড কার্জন
(ঘ) লর্ড ওয়েলেসলি
উত্তর: (গ) লর্ড কার্জন
১৭. কানে কলম গুঁজে দুনিয়া খোঁজেন—
(ক) প্রাবন্ধিক
(খ) দার্শনিক
(গ) গল্পকার
(ঘ) নাট্যকার
উত্তর: (খ) দার্শনিক
১৮. বিশ্বকর্মা পুজোর পালকের কলম এখন দেখা যায়—
(ক) পত্রিকার অফিসে
(খ) সরস্বতী পুজোর সময়
(গ) পুরোনো দিনের তৈলচিত্রে ও ফোটোগ্রাফে
(ঘ) দোকানের হালখাতায়
উত্তর: (গ) পুরোনো দিনের তৈলচিত্রে ও ফোটোগ্রাফে
১৯. কার ছবিতে সামনে দোয়াতে গোঁজা পালকের কলম দেখা যায়?
(ক) দেবী সরস্বতীর
(খ) রবীন্দ্রনাথের
(গ) উইলিয়াম জোন্স কিংবা কেরি সাহেবের
(ঘ) বিদ্যাসাগরের
উত্তর: (গ) উইলিয়াম জোন্স কিংবা কেরি সাহেবের
২০. লেখক শ্রীপান্থের ছেলেবেলায় দেখা দারোগাবাবুর কলম থাকত—
(ক) কলারের ভাঁজে আঁটা
(খ) কোমরের বেল্টে আটকানো
(গ) কাঁধের ছোট্ট পকেটে সাজানো
(ঘ) পায়ের মোজায় গোঁজা
উত্তর: (ঘ) পায়ের মোজায় গোঁজা
২১. ‘কালির অক্ষর নাইকো পেটে, চন্ডী পড়েন’—
(ক) কালীঘাটে
(খ) বাবুঘাটে
(গ) গঙ্গাঘাটে
(ঘ) খেয়াঘাটে
উত্তর: (ক) কালীঘাটে
২২. কলমের দুনিয়ায় সত্যিকারের বিপ্লব ঘটায়—
(ক) ব্রোঞ্জের শলাকা
(খ) বল-পেন
(গ) ফাউন্টেন পেন
(ঘ) কুইল
উত্তর: (গ) ফাউন্টেন পেন
আরও দেখো: পথের দাবী গল্পের প্রশ্ন উত্তর