নদীর তীরে একা গল্পের প্রশ্ন উত্তর / তৃতীয় শ্রেণী বাংলা/ West Bengal Primary Board

এখানে নদীর তীরে একা গল্পের প্রশ্ন উত্তর / তৃতীয় শ্রেণী বাংলা/ West Bengal Primary Board / জীবন সর্দার

তৃতীয় শ্রেণী বাংলা
নদীর তীরে একা গল্পের প্রশ্ন উত্তর

সারমর্ম

এই লেখায় লেখক প্রকৃতির সঙ্গে তাঁর নিবিড় সম্পর্কের কথাই তুলে ধরেছেন। নিছক সৌন্দর্য উপভোগ নয়, নদীকে জানার জন্য একা একাই তিনি নদীতীরে ঘুরে বেড়াতেন। এক বছর শরৎকালে কয়েকদিনের বৃষ্টিতেই নদীর রঙ বদলাতে দেখে তিনি বিস্মিত হন। তাঁর প্রিয় তিনটি নদী—ইছামতী, দামোদর ও রূপনারায়ণ। ইছামতীর তীরে বসার সুযোগ না থাকায় তিনি দামোদরের ধার ধরে হেঁটে খাদিনান ঘাটে যাচ্ছিলেন। পথে মহিষরেখা ঘাটে মনু মাঝির সঙ্গে দেখা হয় এবং তাঁরা একসঙ্গে ডিঙিতে বসে নানা বিষয়ে—জোয়ার-ভাটা, চাষবাস, মাছ ধরা, পাখি, পলি, মাটি ও গাছপালা নিয়ে আলোচনা করেন। হঠাৎই মনু মাঝি নৌকা বাইতে শুরু করলে লেখক প্রকৃতির রূপে মগ্ন হয়ে যান। প্রকৃতির প্রতি তাঁর ভালবাসা ও কৌতূহলের স্পষ্ট প্রতিফলন এই লেখায় পাওয়া যায়।

তৃতীয় শ্রেণী বাংলা
নদীর তীরে একা গল্পের হাতেকলমে প্রশ্ন উত্তর

১.১ প্রকৃতি বলতে কী বোঝ?

উত্তর: প্রকৃতি বলতে বোঝায় আমাদের চারপাশের সেই সব জিনিস, যা মানুষ তৈরি করেনি। যেমন—নদী, সমুদ্র, পাহাড়, মাঠ, গাছপালা, পশু-পাখি, আকাশ, সূর্য, চাঁদ, গ্রহ-নক্ষত্র, বাতাস ইত্যাদি। প্রকৃতি আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।

১.২ প্রকৃতি যে উপাদান বা জিনিসগুলি নিয়ে গড়ে ওঠে তার কয়েকটি নীচে দেওয়া হল। কয়েকটি নিজে লেখো। একজন প্রকৃতিপড়ুয়া হিসেবে তুমি এর কোন্ কোন্ উপাদান পর্যবেক্ষণ করে কী কী জেনেছ আর শিখেছ, তা লেখো:

গাছপালা থেকে আমি জেনেছি, এগুলো আমাদের খাদ্য সরবরাহ করে এবং অক্সিজেন দেয়। গাছপালা ছাড়া প্রাণের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না।

বাতাস থেকে শিখেছি, বিশুদ্ধ বাতাসে প্রাণ জুড়িয়ে যায়, আর দূষিত বাতাসে শ্বাস নেওয়া কষ্টকর হয়ে ওঠে। তাই পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখা খুব জরুরি।

পাহাড়-পর্বতের গঠন বিভিন্ন ধরনের শিলা দিয়ে হয়ে থাকে—যেমন আগ্নেয় শিলা, পাললিক শিলা, ও রূপান্তরিত শিলা। এগুলোর মাধ্যমে পৃথিবীর গঠনের ইতিহাস বোঝা যায়।

নদী আমাদের জীবনধারণের অন্যতম প্রধান উৎস। নদীর জল কৃষির জন্য দরকারি, পানীয় জল সরবরাহ করে এবং সভ্যতার জন্মস্থান হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

খোলা মাঠে দাঁড়ালে মনে হয় আকাশ যেন মাঠের সঙ্গে মিশে গেছে। এখানে আলো-বাতাসের ভালো প্রবাহ থাকে এবং পরিবেশ থাকে নির্মল।

চাঁদ সম্পর্কে আমি জেনেছি, পূর্ণিমায় এটি গোল থালার মতো দেখা যায়, অমাবস্যায় দেখা যায় না। চাঁদের আকর্ষণে নদীতে জোয়ার-ভাটা হয়।

সূর্য হলো পৃথিবীর সমস্ত শক্তির উৎস। সূর্যের আলো না থাকলে গাছপালা খাদ্য তৈরি করতে পারত না, এবং প্রাণের অস্তিত্বও থাকত না।

২. আমাদের দেশে ছয়টি ঋতু আছে। প্রতিটি ঋতুর নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। নীচের বাক্স থেকে সেগুলি বেছে নিয়ে ঠিক ঋতুর পাশে বসাও।

উত্তর: গ্রীষ্ম: চাতক পাখি ডাকছে ‘ফটিক জল’। নদী-নালার জল শুকিয়ে গেছে।

বর্ষা: ঝমঝম করে বৃষ্টি এল। পথে-ঘাটে খুব কাদা জমেছে।

শরৎ: সাদা সাদা কাশ ফুলে মাঠ ভরে গেছে। আকাশে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ দেখা যাচ্ছে।

হেমন্ত: এখন ঠান্ডা পড়তে আর অল্পই দেরি। চারদিকের আবহাওয়া খুব মনোরম।

শীত: গাছের সব পাতা ঝরে যাচ্ছে। আজ সোয়েটার গায়ে দিতেই হবে।

বসন্ত: কদিন থেকে গুটি বসন্তের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। বাইরে ফুরফুরে দখিনা হাওয়া বইছে।

৩. বাক্য রচনা করো।

উত্তর:
হাজির: মিনির নাম ধরে ডাকলে সে যেখানেই থাকুক না কেন সঙ্গে সঙ্গে এসে হাজির হয়।

চওড়া: লোকটির চেহারা দৈত্যের মতো, যেমন লম্বা তেমনি চওড়া।

নৌকো: নদী-নালার দেশে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম হল নৌকো।

রং: দোলের দিন আমরা সবাই রং মেখে সং সেজে থাকি।

প্রজাপতি: বাগানে রং-বেরঙের প্রজাপতি ওড়াউড়ি করছে।

৪. তোমরা যে গদ্যটি পাঠ করলে, তাতে কিছু নদী এবং পাখির নাম পেয়েছ। সেগুলো খুঁজে বের করে নীচের তালিকায় লেখো।

উত্তর: নদী: ইছামতী, দামোদর, রূপনারায়ণ, গঙ্গা

পাখি: মাছরাঙা, খঞ্জন, কাদাখোঁচা, বালিহাঁস, সরাল, চখা, মেছো বক

৫. তুমি প্রকৃতির কোলে পুরো একটা দিন কাটানোর সুযোগ পেলে কোন্ জায়গাটি বেছে নেবে? তোমার পছন্দের জায়গার পাশে দাও।
গভীর জঙ্গল, নদীর ধার, ফুল-ফলের বাগান, পাহাড়ের কোল
সেখানে সারাদিন কীভাবে কাটাবে ছয়টি বাক্যে লেখো।

উত্তর: নদীর ধার
নদীর ধার বরাবর আমি হেঁটে বেড়াব। হেঁটে যাওয়ার সময় গেঁড়ি-গুগলি, শামুকের খোলস কুড়োব। মাটিতে জলের দাগ দেখে বোঝার চেষ্টা করব তখন জোয়ার চলছে নাকি ভাটা। নদীর চরে বিভিন্ন ধরনের পাখি চেনার চেষ্টা করব। আর এই সবকিছু আমি হাতের নোট বইতে লিখে রাখব। কোনো মাঝিকে যদি রাজি করাতে পারি, তাহলে তার ডিঙিনৌকায় চড়ে জেলেদের মাছ-ধরার কলাকৌশল দেখার চেষ্টা করব।

তৃতীয় শ্রেণী বাংলা
নদীর তীরে একা গল্পের হাতেকলমে প্রশ্ন উত্তর

৬. ফাঁকা ঘরে ঠিক শব্দ বসাও।

৬.১ নৌকোয় বসে দেখি মাঠে গরু ____ আর ছেলেরা ______ গাছে। (চরছে/চড়ছে)

উত্তর: নৌকোয় বসে দেখি মাঠে গোরু চরছে আর ছেলেরা চড়ছে গাছে।

৬.২ প্রতিদিন ______ জল করে নদীর ধারে যাই জোয়ারের জল _________ দেখব বলে। (আসা/আশা)

উত্তর: প্রতিদিন আশা করে নদীর ধারে যাই জোয়ারের জল আসা দেখব বলে।

৬.৩ আমিও দমবার পাত্র _________, মনুও ________ (নয়/নই)

উত্তর: আমিও দমবার পাত্র নই, মনুও নয়।

৬.৪ বহুদিন পরে ______য় ফিরে ______ জুড়িয়ে গেল। (গাঁ/গা)

উত্তর: বহুদিন পরে গাঁয় ফিরে গা জুড়িয়ে গেল।

৬.৫ কোনো _________ না মেনে উড়িয়ে দিয়েছি। (বাঁধা/বাধা) পাখিটিকে

উত্তর: কোনা বাধা না মেনে বাঁধা পাখিটিকে উড়িয়ে দিয়েছি।

৬.৬ (শোনা/সোনা) _________ র চুড়ির আওয়াজ গেল।

উত্তর: সোনার চুড়ির আওয়াজ শোনা গেল।

৭. একই অর্থের শব্দ পাঠ থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো। সেতু, ছোটো নৌকো, বদলে, কূল, নির্মোক

উত্তর: সেতু- পুল
ছোটো নৌকো- ডিঙি
বদলে- পালটে
কূল- তীর
নির্মোক- খোলস

৮. নীচের বাক্যগুলি থেকে কাজ, ব্যক্তি, বস্তু, গুণ আলাদা করে লেখো।

৮.১ যেখানে যেমন মাটি তেমন তার দশা।

উত্তর: যেমন – গুণ
মাটি – বস্তু
তেমন – গুণ
দশা – বস্তু

৮.২ আমি ফুরসত পেলে, একটা না একটা নদীর তীরে যাই।

উত্তর: আমি – ব্যক্তি
ফুরসত – বস্তু
একটা না একটা – গুণ
নদীর তীরে – বস্তু
যাই – কাজ

৮.৩ সেগুলো হয়তো শীত পড়তে না পড়তেই হাজির হবে।

উত্তর: সেগুলো – বস্তু
হাজির হবে – কাজ
শীত পড়তে না পড়তেই – সময় নির্দেশক/ক্রিয়া সংশ্লেষ

৮.৪ তার চড়ায় চখা দেখেছি, কাদাখোঁচা দেখেছি।

উত্তর: তার – ব্যক্তি নির্দেশক (সত্তার মালিকানার পরিচয়)
চড়ায় – স্থান/বস্তু
চখা – প্রাণী (ব্যক্তি হিসেবে ধরা যেতে পারে)
কাদাখোঁচা – প্রাণী (ব্যক্তি)
দেখেছি – কাজ

৮.৫ দামোদরে এখন জোয়ার ভাটা খেলে না।

উত্তর: দামোদরে – বস্তু (নদী)
জোয়ার-ভাটা খেলে না – কাজ (নিষেধভাব)
এখন – সময় নির্দেশক

৯. নিচের শব্দগুলির বর্ণ বিশ্লেষণ করো।
নৌকো, গোরু, সরাল, ইস্টিশন, প্রজাপতি, চৈত্র

উত্তর:
নৌকো – ন্+ঔ+ক্+ও
গোরু – গ্+ও+র্+উ
সরাল – স্+অ+র্+আ+ল্
ইস্টিশন – ই+স্+টি+ই+শ্+অ+ন্
প্রজাপতি – প্+র্+অ+জ্+আ+প্+অ+ত্+ই
চৈত্র – চ্+ও+ই+ত্+র্+অ

১০. এলোমেলো বর্ণগুলিকে সাজিয়ে নতুন শব্দ তৈরি করো।
দা খোঁ কা চা, সা কা দা লো, ষ থা ম বা ন হি, ঠা না ও মা, রা তি কে ম

উত্তর: দা খোঁ কা চা- কাদাখোঁচা
সাকাদালো- সাদাকালো
ষ থা ম বা ন হি – মহিষবাথান
ঠা না ও মা – ওঠানামা
রা তি কে ম- কেরামতি

১১. বাক্য বাড়াও।

১১.১ সেই খোঁজ নেওয়া ছিল আমার খেলা। (কীসের খোঁজ?)

উত্তর: ওই নদী কেমন, সেই খোঁজ নেওয়া ছিল আমার খেলা।

১১.২ দুজনে নদীর কথা বলি। (কোন্ কোন্ নদী?)

উত্তর: দুজনে দামোদর, রূপনারায়ণ ও ইছামতী নদীর কথা বলি।

১১.৩ খঞ্জন আসবে। (কখন?)

উত্তর: শীতের সময় খঞ্জন আসবে।

১১.৪ চরে না গেলে দেখা যাবে না। (কী?)

উত্তর: চরে না গেলে চখা কিংবা বড়ো জাতের হাঁস দেখা যাবে না।

১১.৫ চলাচল দেখতে পাব। (কাদের?)

উত্তর: পাখির ও প্রজাপতির চলাচল দেখতে পাব।

১২. বাক্য সাজিয়ে লেখো।

১২.১ সেই মাঝির ডিঙি খুব চিনি আমি ভালো।

উত্তর: সেই মাঝির ডিঙি আমি খুব ভালো চিনি।

১২.২ সাদা-কালো নজরে আমার একটা মাছরাঙা পড়ল।

উত্তর: একটা সাদা-কালো মাছরাঙা আমার নজরে পড়ল।

১২.৩ আমার সেখানে কঠিন নয় পক্ষে পৌঁছে যাওয়া।

উত্তর: আমার পক্ষে সেখানে পৌঁছে যাওয়া কঠিন নয়।

১২.৪ প্রজাপতির পাব দেখতে চলাচল।

উত্তর: দেখতে পাব প্রজাপতির চলাচল।

১২.৫ জল নেই তবে খুব চওড়া নদীতে বটে।

উত্তর: নদীতে জল নেই বটে, তবে খুব চওড়া।

১৩. দু-এক কথায় উত্তর দাও।

১৩.১ লেখকের প্রিয় তিনটি নদী কী কী?

উত্তর: লেখকের প্রিয় তিনটি নদী হল দামোদর, ইছামতী ও রূপনারায়ণ।

১৩.২ এখানে তাঁর প্রিয় ঘাটটির কথা রয়েছে। ঘাটটির নাম কী?

উত্তর: তাঁর প্রিয় ঘাটটি হল দামোদর নদীর তীরে অবস্থিত ‘খাদিনান’ ঘাট।

১৩.৩ লেখক কার নৌকোয় উঠলেন?

উত্তর: লেখক মনু নামে খুব পরিচিত একজনের নৌকোয় উঠলেন।

১৩.৪ জোয়ার-ভাটা বলতে কী বোঝ?

উত্তর: চাঁদ ও সূর্যের আকর্ষণে নদীর জল স্তরে ওঠানামা হয়। জল ফুলে ফেঁপে উঠলে তাকে জোয়ার এবং জল স্তর নিচে নামলে তাকে ভাটা বলে।

১৩.৫ লেখক কেন দামোদরের তীরে এসেছেন?

উত্তর: নদীর প্রকৃতি ও পরিবর্তনের খোঁজখবর নিতে লেখক দামোদরের তীরে এসেছেন।

তৃতীয় শ্রেণী বাংলা
নদীর তীরে একা গল্পের অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর

১. লেখক কেন নদীর তীরে যেতেন?
A) মাছ ধরতে
B) নৌকো চালাতে
C) প্রকৃতির খোঁজ নিতে
D) ভ্রমণ করতে

উত্তর: C) প্রকৃতির খোঁজ নিতে

২. লেখকের প্রিয় তিনটি নদী কোনগুলো?
A) দামোদর, গঙ্গা, পদ্মা
B) দামোদর, ইছামতী, রূপনারায়ণ
C) যমুনা, পদ্মা, ইছামতী
D) রূপনারায়ণ, তিস্তা, কংসাবতী

উত্তর: B) দামোদর, ইছামতী, রূপনারায়ণ

৩. লেখক কীভাবে খাদিনানের ঘাটে যেতে ভালোবাসেন?
A) বাইসাইকেলে
B) দৌড়ে
C) নৌকোয়
D) হেঁটে

উত্তর: D) হেঁটে

৪. লেখক কোন ঋতুতে নদী দেখতে এসেছিলেন?
A) গ্রীষ্ম
B) চৈত্র
C) শরৎ
D) শীত

উত্তর: C) শরৎ

৫. মনু কে?
A) লেখকের ভাই
B) মাঝি
C) প্রতিবেশী
D) দোকানদার

উত্তর: B) মাঝি

৬. লেখক কোথায় চখা ও কাদাখোঁচা দেখেছিলেন?
A) গঙ্গার ধারে
B) রূপনারায়ণের পাড়ে
C) দামোদর ইস্টিশনের চরে
D) মহিষরেখা ঘাটে

উত্তর: C) দামোদর ইস্টিশনের চরে

৭. মনু বলেছিল নদীর মুখে কী আছে?
A) বাঁধ
B) গেট
C) ব্রিজ
D) ড্যাম

উত্তর: B) গেট

৮. নদীর দশা কী অনুযায়ী বদলায় বলে লেখক মন্তব্য করেছেন?
A) জলস্তরের উপর
B) ঋতুর উপর
C) মাটির উপর
D) বৃষ্টির উপর

উত্তর: C) মাটির উপর

৯. মনু লেখককে কী করতে বলেছিল?
A) নদীতে সাঁতার কাটতে
B) নৌকো ছাড়তে
C) বসে কথা বলতে
D) নদীতে মাছ ধরতে

উত্তর: C) বসে কথা বলতে

১০. লেখকের চোখে কী ধরা পড়ল নদীর উপর ঝুঁকে থাকা ডালে?
A) একটি সরাল
B) একটি বালিহাঁস
C) একটি মাছরাঙা
D) একটি চখা

উত্তর: C) একটি মাছরাঙা

তৃতীয় শ্রেণী বাংলা
নদীর তীরে একা গল্পের অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর

১. লেখক কেন নদীর তীরে যেতেন?

উত্তর: নদীর প্রকৃতি জানার জন্য লেখক নদীর তীরে যেতেন।

২. লেখকের প্রিয় ঘাটটির নাম কী?

উত্তর: লেখকের প্রিয় ঘাটটির নাম ‘খাদিনান’।

৩. লেখক চৈত্র মাসে কোথায় গিয়েছিলেন?

উত্তর: লেখক চৈত্র মাসে দামোদর নদীর তীরে গিয়েছিলেন।

৪. লেখক কাকে মাঝি হিসেবে খুব ভালো চেনেন?

উত্তর: লেখক মনু নামের মাঝিকে খুব ভালো চেনেন।

৫. মনু লেখককে কী বলেছিল?

উত্তর: মনু বলেছিল, “এবার কী মনে করে? চৈত্র মাসেই তো এসেছিলেন।”

৬. লেখক দামোদর নদীর কোন জায়গায় চখা দেখেছিলেন?

উত্তর: লেখক দামোদর ইস্টিশনের কাছে নদীর চড়ায় চখা দেখেছিলেন।

৭. মনু শীতকালে কোন পাখি দেখার কথা বলেছিল?

উত্তর: মনু শীতকালে খঞ্জন পাখি দেখার কথা বলেছিল।

৮. মনুর মতে সরাল কবে দেখা যায়?

উত্তর: মনুর মতে কার্তিক মাসে সরাল দেখা যায়।

৯. নদীতে জোয়ারের জল ঠিকভাবে আসে না কেন?

উত্তর: নদীর মুখে গেট থাকার কারণে জোয়ারের জল ঠিকভাবে আসে না।

১০. লেখক নদীর দশা কীভাবে জানেন?

উত্তর: লেখক নদীর দশা বিভিন্ন ঋতুতে গিয়ে দেখে শিখে জানেন।

১১. লেখক কী কী দেখতে চান নদীর তীরে গিয়ে?

উত্তর: লেখক নদীর গাছপালা, মাটির রং, পলি, শামুক-গেঁড়ি ও পাখি দেখতে চান।

১২. নদীর ডালে লেখকের নজরে কী পড়েছিল?

উত্তর: লেখকের নজরে একটি সাদা-কালো মাছরাঙা পাখি পড়েছিল।

ক্লাস 3 বাংলা
নদীর তীরে একা গল্পের অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর

১. লেখক নদীর তীরে গিয়ে কী দেখতে এবং শিখতে চান?

উত্তর: লেখক নদীর তীরে গিয়ে প্রকৃতির নিখুঁত রূপ দেখতে এবং শিখতে চান। তিনি নদীর জলস্তর, তীরের গাছপালা, মাটির রং, পলি স্তর, শামুক, গেঁড়ি, গুগলি এবং নদীর পাখি, প্রজাপতি ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করেন। নদী কেমন দেখাচ্ছে, জল বাড়ছে কি কমছে, জোয়ার-ভাটার প্রভাব কেমন তা বুঝে শিখেন। তিনি নদীর দশা জানতে চাইছেন, এবং এজন্য তিনি বিভিন্ন ঋতুতে নদী দেখতে যান। এর মাধ্যমে তিনি নদীর প্রকৃতির প্রতি গভীর মনোযোগ এবং প্রেম প্রদর্শন করেছেন। নদীর তীরে বসে সময় কাটিয়ে লেখক প্রতিটি নদীর বিভিন্ন রূপ নিয়ে শিখতে চান।

২. লেখক কেন দামোদর নদীর তীরে গিয়েছিলেন এবং সেখানে তিনি কী দেখেছিলেন?

উত্তর: লেখক দামোদর নদীর তীরে গিয়েছিলেন কারণ তিনি নদীর প্রকৃতি খুঁজে দেখতে চেয়েছিলেন। তিনি জানতেন যে দামোদর নদী বিভিন্ন ঋতুতে নানা রূপ ধারণ করে এবং তার তীরে বসে থাকলে অনেক কিছু জানা যায়। তিনি সেখানে প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং নদীর জোয়ার-ভাটা দেখে শিখেছিলেন। তিনি নদীর তীরের গাছপালা, মাটির রং, পলি স্তর, শামুক, গেঁড়ি, গুগলি ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। এছাড়া, তিনি দামোদরের চড়ায় চখা, কাদাখোঁচা, মেছো বক ইত্যাদি পাখি দেখেছিলেন। নদীর তীরে গিয়ে তার প্রিয় ঘাট ‘খাদিনান’ ঘাটের পথে তিনি ঘুরে বেড়িয়েছিলেন এবং তিনি মনে করতেন যে নদীর প্রকৃতি তার অন্বেষণ ও খোঁজার উপযুক্ত জায়গা।

৩. “নদীর তীরে” পাঠে মনুর সাথে লেখকের কথোপকথনের মাধ্যমে কী ধারণা পাওয়া যায়?

উত্তর: “নদীর তীরে” পাঠে মনুর সাথে লেখকের কথোপকথনের মাধ্যমে আমরা নদী সম্পর্কে লেখকের গভীর পর্যবেক্ষণ এবং মনুর অভিজ্ঞতার মূল্য বোঝার সুযোগ পাই। মনু নদী ও তার চর অঞ্চলের প্রকৃতি নিয়ে অনেক কিছু জানায়, যেমন নদীর মুখে গেট থাকার কারণে জোয়ারের জল ঠিকভাবে আসতে পারে না, এবং নদী তীরের উপরে বাঁধের জল ছাড়লে জল স্তর নেমে আসে। মনু জানায়, শীতকালে নদীর ধারে খঞ্জন পাখি দেখা যায়, কিন্তু চখা ও বড়ো জাতের হাঁস তীরের দিকে আসবে না। লেখক এবং মনুর এই কথোপকথনের মাধ্যমে নদী, তার জলস্তর, ঋতুর প্রভাব, পাখি ও প্রাণীদের চলাচল সম্পর্কিত জ্ঞান পাওয়া যায়। লেখকের এই অনুসন্ধানী মনোভাব এবং নদীর প্রকৃতির প্রতি গভীর আগ্রহ মনু এবং তার অভিজ্ঞতার মাধ্যমে আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

আরও দেখো: ক্লাস 4 বিচিত্র সাধ কবিতার প্রশ্ন উত্তর
CLOSE

You cannot copy content of this page