এখানে নৌকাযাত্রা কবিতার প্রশ্ন উত্তর শেয়ার করা হলো / তৃতীয় শ্রেণী বাংলা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কবি পরিচিতি:
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১–১৯৪১) বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি, লেখক, সংগীতজ্ঞ ও দার্শনিক। তিনি ছিলেন প্রথম বাঙালি যিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার (১৯১৩ সালে ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের জন্য) লাভ করেন। শিশুদের জন্য অসংখ্য ছড়া ও কবিতা রচনা করেছেন। তিনি ‘আমরা চাষ করি আনন্দে’ গানের গীতিকার, যা তাঁর ‘সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা’ ও শিশু-কিশোরদের উপযোগী রচনার অংশ। তাঁর সাহিত্যকর্মে প্রকৃতি, প্রেম, দেশপ্রেম, মানবতা ও শিশুমন গভীরভাবে উঠে এসেছে।
সারমর্ম:
‘নৌকাযাত্রা’ কবিতায় একটি শিশুর কল্পনার জগৎ তুলে ধরা হয়েছে। শিশুটি স্বপ্ন দেখে সে একটি বড়ো নৌকা নিয়ে সাতসমুদ্র তেরো নদী পাড়ি দেবে। রাজগঞ্জ ঘাটে বাঁধা মধু মাঝির নৌকাটিই সে ব্যবহার করতে চায়। সে চায় একশোটি দাঁড় ও পাঁচ-ছটা পাল খাটিয়ে দূর দেশে রাজপুত্রের মতো বেরিয়ে পড়তে। তার মা যেন দুঃখ না পান, কারণ সে বনে নয়, বেড়াতে যাচ্ছে। তার দুই বন্ধু শ্যাম ও আশু তার সঙ্গী হবে। সকালবেলা তারা যাত্রা শুরু করবে এবং সন্ধেবেলায় ফিরে এসে মায়ের কোলে বসে সব গল্প শোনাবে। এই কবিতায় শিশু মনোবিজ্ঞানের সহজ, কল্পনাপ্রবণ এবং আনন্দময় দিকটি ফুটে উঠেছে।
তৃতীয় শ্রেণী বাংলা
নৌকাযাত্রা কবিতার হাতেকলমে প্রশ্ন উত্তর
১. একটি বাক্যে উত্তর দাও:
১.১ ‘নৌকাযাত্রা’ কবিতাটি কার লেখা?
উত্তর: ‘নৌকাযাত্রা’ কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা।
১.২ কবিতাটি তাঁর কোন্ বই থেকে নেওয়া হয়েছে?
উত্তর: ‘নৌকাযাত্রা’ কবিতাটি রবীন্দ্রনাথের ‘শিশু’ নামক বই থেকে নেওয়া হয়েছে।
১.৩ নৌকাটি কোথায় বাঁধা আছে?
উত্তর: রাজগঞ্জের ঘাটে নৌকাটি বাঁধা আছে।
১.৪ নৌকাটিতে কী রয়েছে?
উত্তর: নৌকাটিতে পাট বোঝাই করা আছে।
১.৫ কবিতার শিশুটি ওই নৌকা পেলে কটি পাল ও দাঁড় জুড়ে নেবে?
উত্তর: শিশুটি চারটে, পাঁচটা, ছটা পাল তুলে দেবে এবং একশোটা দাঁড় জুড়ে নেবে।
১.৬ পাল ও দাঁড় নৌকায় কী কী কাজে লাগে?
উত্তর: পালে হাওয়া লাগলে নৌকা তরতরিয়ে এগিয়ে যায় আর হাওয়া না থাকলে দাঁড় দিয়ে নৌকা বাইতে হয়।
১.৭ হাট বলতে কী বোঝ?
উত্তর: সপ্তাহের একটা নির্দিষ্ট দিনে গ্রামেগঞ্জের একটা নির্দিষ্ট জায়গায় জিনিসপত্র বেচাকেনার যে ব্যবস্থা, তাকে হাট বলা হয়।
১.৮ শিশুটি কার নৌকা পেতে চায়?
উত্তর: শিশুটি মধু মাঝির নৌকা পেতে চায়।
১.৯ সে নৌকা করে কোথায় যাবে?
উত্তর: সে নৌকা করে সাতসমুদ্র তেরো নদী পার হয়ে যাবে।
১.১০ সে সঙ্গে কাকে কাকে নেবে?
উত্তর: শিশুটি আশু আর শ্যামকে সঙ্গে নিয়ে যাবে।
১.১১ সে তার মাকে কাঁদতে বারণ করছে কেন?
উত্তর: রামের মতো চোদ্দো বছরের জন্য বনবাসে যাচ্ছে না বলেই সে তার মাকে কাঁদতে বারণ করছে।
১.১২ রামকে বনবাসে যেতে হয়েছিল কেন?
উত্তর: পিতৃসত্য পালনের জন্য রামকে বনবাসে যেতে হয়েছিল।
১.১৩ রামচন্দ্রের কাহিনি কোন্ বই পড়লে জানা যায়?
উত্তর: রামায়ণ পড়লে রামচন্দ্রের কাহিনি জানা যায়।
১.১৪ রাজপুত্র, সোনামানিকের কথা কোন্ ধরনের বইয়ে থাকে?
উত্তর: রূপকথার গল্পের বইতে রাজপুত্র, সোনামানিকের কথা থাকে।
১.১৫ শিশুটি কী কী নিয়ে যাবে?
উত্তর: শিশুটি সোনা আর মানিকে নৌকা বোঝাই করে নিয়ে যাবে।
১.১৬ কে কখন নৌকা ছেড়ে দেবে?
উত্তর: শিশুটি ভোর বেলা নৌকা ছেড়ে দেবে।
১.১৭ দুপুর বেলা তার মা কোথায় থাকবেন?
উত্তর: দুপুর বেলা তার মা পুকুর-ঘাটে থাকবেন।
১.১৮ তখন সে কোথায় থাকবে?
উত্তর: শিশুটি দুপুর বেলায় নতুন রাজার দেশে থাকবে।
১.১৯ কোন্ কোন্ জায়গা পেরিয়ে শিশুটি যাবে?
উত্তর: শিশুটি তিরপূর্ণির ঘাট আর তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে যাবে।
১.২০ সে কখন ফিরে আসবে?
উত্তর: সে সন্ধেবেলায় ঘরে ফিরে আসবে।
১.২১ নতুন জায়গা ঘুরে আসার গল্প তার মাকে কীভাবে শোনাবে সে?
উত্তর: মায়ের কোলে বসে শিশুটি নতুন জায়গা ঘুরে আসার গল্প তার মাকে শোনাবে।
২. বাক্য রচনা করো।
২.১ বাঁধা, ২.২ নৌকা, ২.৩ সমুদ্র, ২.৪ গল্প, ২.৫ মাঝি
উত্তর:
২.১ বাঁধা – গরুটিকে আম গাছের সঙ্গে শক্ত করে বাঁধা হয়েছে।
২.২ নৌকা – নৌকায় চড়ে আমরা নদীর ওপারের মেলায় গেলাম।
২.৩ সমুদ্র – সমুদ্রের বিশাল ঢেউ দেখে আমি বিস্মিত হয়ে গেলাম।
২.৪ গল্প – দাদু সন্ধ্যায় বসে আমাদের অনেক মজার গল্প বলেন।
২.৫ মাঝি – মাঝি দাঁড় টেনে নৌকাটি তীরে ভেড়াল।
তৃতীয় শ্রেণী বাংলা
নৌকাযাত্রা কবিতার হাতেকলমে প্রশ্ন উত্তর
৩. বর্ণ বিশ্লেষণ করো।
রাজপুত্র = র্+আ+জ+প্+উ+ত্+র্+অ
তেপান্তর = ত্+এ+প্+আ+ন্+ত্+অ+র্
রাজগঞ্জ = র্+আ+জ+গ্+অ+ঞ্+জ্
দুপুরবেলা = দ্+উ+প্+উ+র্+ব্+এ+ল্+আ
পুকুর-ঘাট = প্+উ+ক্+উ+র্+ঘ্+আ+ট্
৪. বিপরীতার্থক শব্দ লেখো।
উত্তর:
বাঁধা – খোলা
বোঝাই – খালি
মিথ্যে – সত্যি
সন্ধে – সকাল
দেশে – বিদেশে
৫. অর্থ লেখো।
দাঁড়, পাল, কোণে, মানিক, পার
উত্তর:
দাঁড় – নৌকা বাওয়ার জন্য বড়ো বৈঠা
পাল – বাতাসের সাহায্যে নৌকা চালানোর জন্য মাস্তুলে টাঙানো পর্দা
কোণে – প্রান্তে; এক ধারে
মানিক – চুনি; মাণিক্য
পার – কূল; কিনারা; প্রান্ত
৬. সমার্থক শব্দ লেখো।
সোনা, নৌকা, নদী, সমুদ্র, মাঠ
উত্তর:
সোনা – স্বর্ণ
নৌকা – নাও
নদী – তটিনী
সমুদ্র – সাগর
মাঠ – প্রান্তর
৭. এলোমেলো বর্ণগুলিকে সাজিয়ে শব্দ তৈরি করো।
ত্র পু জ রা, র লা দু বে পু, টি র এ বা ক, পা তে র ন্ত
উত্তর:
ত্র পু জ রা – রাজপুত্র
র লা দু বে পু – দুপুরবেলা
টি র এ বা ক – একবারটি
পা তে র ন্ত – তেপান্তর
জ রা ঞ্জ গ – রাজগঞ্জ
৮. শব্দযুগলের অর্থ পার্থক্য দেখাও :
বাধা (নিষেধ) – পরীক্ষার সময় কেউ যেন আমাকে বাধা না দেয়।
বাঁধা (আটকানো) – গরুটিকে গাছের সঙ্গে বাঁধা হয়েছে।
ছ’টা (সংখ্যা) – আমি ছ’টা আম কিনে আনলাম।
ছটা (সৌন্দর্য) – সূর্য ওঠার সময় আকাশে এক অপূর্ব ছটা দেখা দেয়।
কোণে (প্রান্তে) – বইখানাটি টেবিলের কোণে রাখা ছিল।
কনে (নববধূ) – আজ সকালে নতুন কনেকে দেখতে এলেন পাড়া-প্রতিবেশীরা।
দেশ (রাষ্ট্র) – দেশকে ভালোবাসা প্রতিটি নাগরিকের কর্তব্য।
দ্বেষ (শত্রুতা) – হিংসা ও দ্বেষ মানুষের মানসিক শান্তি নষ্ট করে।
পার (প্রান্ত) – জীবনের এই পার পেরিয়ে এক নতুন পথ শুরু হবে।
পাড় (তীর) – ছেলেরা নদীর পাড়ে বসে গল্প করছিল।
৯. ‘পাটে’ শব্দটিকে দুটি অর্থে ব্যবহার করে দুটি আলাদা বাক্য রচনা করো।
উত্তর: পাটে (অস্তে/শেষে) – সন্ধ্যা নামার আগে সূর্য পাটে যেতে শুরু করল।
পাটে (পাট দিয়ে/পাটজাত দ্রব্য) – গুদামে রাখা পাটে তৈরি বস্তাগুলো আজ হাটে পাঠানো হবে।
তৃতীয় শ্রেণী বাংলা
নৌকাযাত্রা কবিতার হাতেকলমে প্রশ্ন উত্তর
১০. মুখে বললে কথাগুলি কীভাবে বলবে?
১০.১ আমি কেবল যাব একটি বার / সাত সমুদ্র তেরো নদীর পার।
উত্তর: আমি কেবল একবার সাত সমুদ্র তেরো নদীর পার যাব।
১০.২ তখন তুমি কেঁদো না মা, যেন / বসে বসে একলা ঘরের কোণে।
উত্তর: মা, তখন যেন তুমি একলা ঘরের কোণে বসে বসে কেঁদো না।
১০.৩ ভোরের বেলা দেব নৌকা ছেড়ে, / দেখতে দেখতে কোথায় যাব ভেসে।
উত্তর: ভোরের বেলা নৌকা ছেড়ে দেব, দেখতে দেখতে কোথায় ভেসে যাব।
১১. ঠিক উত্তরটির নীচে দাগ দাও।
১১.১ নৌকার মালিকের নাম (আশু / মধু / শ্যাম)।
উত্তর: মধু
১১.২ কবিতার শিশুটি যাবে (নৌকায় / বজরায় / জাহাজে) চড়ে।
উত্তর: নৌকায়
১১.৩ তার সঙ্গে যাবে (মাঝি / বন্ধু / মা)।
উত্তর: বন্ধু (আশু ও শ্যাম তার সঙ্গী)
১১.৪ সে যাবে (এক দিনের / তিন মাসের / চোদ্দো বছরের) জন্য।
উত্তর: এক দিনের
১১.৫ সাত সমুদ্র তেরো নদীর পারে (তেপান্তরের মাঠ / তিরপূর্ণির ঘাট / নতুন রাজার দেশ) আছে।
উত্তর: নতুন রাজার দেশ
১২. নীচের বাক্যগুলির ভাব বোঝাতে কবিতায় কীভাবে লেখা হয়েছে পাশে পাশে লেখো।
১২.১ মধু মাঝির নৌকাখানি দূরে রয়েছে।
কবিতায় লেখা হয়েছে: “মধু মাঝির ওই যে নৌকাখানি।”
১২.২ শিশুটি হাটে ঘুরে বেড়িয়ে সময় নষ্ট করবে না।
কবিতায় লেখা হয়েছে: “মিথ্যে ঘুরে বেড়াই নাকো হাটে।”
১২.৩ শিশুটির ভয়, তার মায়ের মন খারাপ হতে পারে।
কবিতায় লেখা হয়েছে: “তখন তুমি কেঁদো না মা, যেন।”
১২.৪ শিশুটি কিন্তু একা যাবে না।
কবিতায় লেখা হয়েছে: “আশুকে আর শ্যামকে নেব সাথে, আমরা শুধু যাব মা, তিনজনে।”
১২.৫ সেদিনই তারা সন্ধ্যার পরে ফিরে আসবে।
কবিতায় লেখা হয়েছে: “ফিরে আসতে সন্ধে হয়ে যাবে।”
১৩. ঘটনার ক্রমানুসারে সাজিয়ে লেখো।
১৩.১ শিশুটির মনে সাত সমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে যাওয়ার সাধ জাগে।
১৩.২ নৌকাটি পেলে সে তাতে একশোটা দাঁড় এঁটে, চারটে, পাঁচটা, ছ’টা পাল তুলে দেবে।
১৩.৩ ফিরে এসে সে তার মাকে গল্প শোনাবে।
১৩.৪ মধু মাঝির নৌকাখানি পাটে বোঝাই হয়ে রাজগঞ্জের ঘাটে বাঁধা আছে।
১৩.৫ ভোরের বেলা সে তার নৌকা ছেড়ে দেবে।
উত্তর: ১৩.৪ মধু মাঝির নৌকাখানি পাটে বোঝাই হয়ে রাজগঞ্জের ঘাটে বাঁধা আছে।
১৩.২ নৌকাটি পেলে সে তাতে একশোটা দাঁড় এঁটে, চারটে, পাঁচটা, ছ’টা পাল তুলে দেবে।
১৩.১ শিশুটির মনে সাতসমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে যাওয়ার সাধ জাগে।
১৩.৫ ভোরের বেলা সে তার নৌকা ছেড়ে দেবে।
১৩.৩ ফিরে এসে সে তার মাকে গল্প শোনাবে।
১৪. বাক্য বাড়াও।
১৪.১ মধু মাঝির নৌকা। (কেমন নৌকা?)
উত্তর: মধু মাঝির নৌকা কেবল পাটে বোঝাই করা।
১৪.২ পাল তুলে দিই। (কীসে? কটা?)
উত্তর: মধু মাঝির নৌকায় চারটে, পাঁচটা, ছটা পাল তুলে দিই।
১৪.৩ আমি যাব। (কোথায়? কীভাবে?)
উত্তর: আমি সাতসমুদ্র তেরো নদীর পার যাব মধু মাঝির নৌকায় একশোটা দাঁড় এঁটে আর চারটে, পাঁচটা, ছটা পাল তুলে।
১৪.৪ ফিরে আসতে সন্ধে হয়ে যাবে। (কোথা থেকে?)
উত্তর: নতুন রাজার দেশ থেকে ফিরে আসতে আমার সন্ধে হয়ে যাবে।
১৪.৫ গল্প বলব। (কীসের গল্প?)
উত্তর: আমার নৌকাযাত্রার গল্প বলব।
তৃতীয় শ্রেণী বাংলা
নৌকাযাত্রা কবিতার হাতেকলমে প্রশ্ন উত্তর
১৫. কবিতার শিশুটিকে মধু মাঝির নৌকাটি দেওয়া হলে সে কী করবে তা কবিতাটি পড়ে তোমার নিজের ভাষায় আট-দশটি বাক্যে লেখো।
উত্তর: কবিতায় শিশুটিকে মধু মাঝির নৌকাটি দেওয়া হলে সে তাতে একশোটা দাঁড় আঁটবে আর চারটে, পাঁচটা, ছটা পাল তুলে দেবে। সে কিন্তু পাটে বোঝাই নৌকা নিয়ে হাটে হাটে ঘুরে বেড়াবে না। সে একবারের জন্য সাতসমুদ্র তেরো নদীর পারে যেতে চায়। সে নৌকায় সোনা-মানিক ভরতি করে নেবে। সঙ্গে কেবল শ্যাম আর আশুকে নেবে। ভোর বেলাতেই সে নৌকাযাত্রা শুরু করবে আর দেখতে দেখতে নৌকা ভেসে চলবে নিরুদ্দেশের পথে। দুপুরবেলা শিশুটির মা যখন পুকুরঘাটে, তারা তখন তিরপূর্ণির ঘাট, তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে নতুন রাজার দেশে পৌঁছে যাবে। তারপর সেখান থেকে ফিরে আসতে শিশুটির সন্ধে হয়ে যাবে। বাড়ি ফিরে মায়ের কোলে বসে শিশুটি তার নৌকাযাত্রার গল্প শোনাবে।
১৬. বন্ধুদের সঙ্গে তোমার হয়তো কোথাও একদিনের জন্য বেড়াতে মেতে ইচ্ছে করছে। সেকথা তুমি তোমার অভিভাবক/অভিভাবিকাকে কীভাবে জানাবে, তা পাঁচটি বাক্যে লেখো।
উত্তর: বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে বারুইপুরের বাগানবাড়িতে পিকনিক করতে যাওয়ার ইচ্ছের কথা প্রথমে আমি মাকেই বলব। মা প্রথমে না-না বলার চেষ্টা করলেও যেই আমি মায়ের গলা জড়িয়ে গালে চুমু দিয়ে আদর করব, মা রাজি হয়ে যাবে। এরপর রাত্রিবেলা খেতে বসে আমতা আমতা করে বাবার কাছে কথাটা পাড়ব আমি। বাবা প্রথমটায় রেগেমেগে উঠলেও মা ঠিক ম্যানেজ করে নেবে। বলবে খোকা-তো বড়ো হচ্ছে না-কি?
তৃতীয় শ্রেণী বাংলা
নৌকাযাত্রা কবিতার অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর
১. বাঁধা আছে রাজগঞ্জের ঘাটে। (কী?)
উত্তর: মধু মাঝির নৌকা বাঁধা আছে রাজগঞ্জের ঘাটে।
২. আমি তবে দাঁড় আঁটি। (কীসে? কটা?)
উত্তর: মধু মাঝির নৌকায় আমি তবে একশোটা দাঁড় আঁটি।
৩. মিথ্যে ঘুরে বেড়াই নাকো। (কোথায়?)
উত্তর: মিথ্যে ঘুরে বেড়াই নাকো হাটে।
৪. যাচ্ছি নাকো চলে। (কার মতো? কোথায়?)
উত্তর: রামের মতো যাচ্ছি নাকো চলে, চোদ্দো বছর বনে।
৫. আমরা যাব তিনজনে। (কী নিয়ে?)
উত্তর: আমরা তিনজনে যাব নৌকা-ভরা সোনা মানিক নিয়ে।
৬. ‘নৌকাযাত্রা’ কবিতায় শিশুটি বাড়ি ফিরে আসবে-(সন্ধ্যাবেলায়/দুপুরবেলায়/রাত্রিবেলায়)
উত্তর: সন্ধ্যাবেলায়
১. কবিতায় শিশুটির ইচ্ছা কী?
উত্তর: কবিতায় শিশুটি সাত সমুদ্র তেরো নদীর পার যেতে চায়। সে শুধু একবার নতুন জায়গায় যেতে চায়, যেখানে সে নতুন কিছু দেখতে এবং অনুভব করতে পারবে। নৌকায় উঠে সে একশোটা দাঁড় আঁটবে, পাল তুলবে, এবং এইভাবে ভেসে যাবে। তার ইচ্ছা, সে যেখানেই যাবে, সেখানে তাকে মুক্তি এবং আনন্দ খুঁজে পেতে হবে।
২. শিশুটির মায়ের প্রতি কী অনুভূতি প্রকাশিত হয়েছে?
উত্তর: শিশুটি তার মাকে খুব ভালোবাসে। সে চায় না মা কাঁদুক, তাই মা যেন একলা ঘরের কোণে বসে কাঁদে না। শিশুটি জানে যে মায়ের মন খারাপ হবে, কিন্তু সে নিজের যাত্রা শুরু করতে চায়। এখানে তার মায়ের প্রতি ভালোবাসা এবং স্নেহ স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে।
৩. “নৌকায় একশোটা দাঁড় আঁটি” কথার অর্থ কী?
উত্তর: এই বাক্যটি বলতে চায় যে শিশুটি তার যাত্রায় সফল হতে চায়। সে মনে করে, যদি সে ঠিকভাবে প্রস্তুতি নেয় (যেমন একশোটা দাঁড় আঁটতে পারে), তবে সে তার যাত্রাকে সাফল্যমণ্ডিত করতে পারবে। এটি তার আত্মবিশ্বাস ও ইচ্ছার প্রতীক।
৪. “পেরিয়ে যাব তিরপূর্ণির ঘাট, পেরিয়ে যাব তেপান্তরের মাঠ” এর অর্থ কী?
উত্তর: এই অংশে কবি বলছেন যে শিশুটি তার যাত্রায় অনেক বাধা পেরিয়ে যাবে। “তিরপূর্ণির ঘাট” এবং “তেপান্তরের মাঠ” খুব দূরের জায়গা, যার মানে এখানে শিশুটি অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে। এটি তার নতুন এবং স্বাধীন জীবনের পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রতীক।
৫. শিশুটির স্বাধীনতা এবং পরিবারের প্রতি ভালোবাসা কীভাবে দেখা যাচ্ছে?
উত্তর: শিশুটি স্বাধীনভাবে নতুন কিছু করতে চায়, কিন্তু তার মায়ের প্রতি তার গভীর ভালোবাসা আছে। সে জানে যে মা চিন্তিত হবে, তাই সে মাকে বোঝাতে চায় যে মা যেন দুশ্চিন্তা না করে। সে মাকে তার যাত্রার শেষে গল্প শোনাবে। এটি দেখায় যে শিশুটি স্বাধীন হতে চাইলেও তার পরিবার এবং মায়ের জন্য তার ভালোবাসা অপরিবর্তিত।
আরও দেখো: নদীর তীরে একা গল্পের প্রশ্ন উত্তর