এখানে রাধারাণী গল্পের প্রশ্ন উত্তর / নবম শ্রেণী বাংলা পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদ / বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
নবম শ্রেণী বাংলা
রাধারাণী গল্পের MCQ প্রশ্ন উত্তর
১. ‘রাধারাণী’ রচনাংশটি নেওয়া হয়েছে–
ক) ‘ইন্দিরা’ উপন্যাস থেকে
খ) ‘বিষবৃক্ষ’ থেকে
গ) ‘রাধারাণী’ উপন্যাস থেকে
ঘ) ‘সীতারাম’ উপন্যাস থেকে
উত্তর: গ) ‘রাধারাণী’ উপন্যাস থেকে
২. ‘রাধারাণী’ রচনাংশের ঘটনার সময়–
ক) শীতকাল
খ) বর্ষাকাল
গ) শরৎকাল
ঘ) বসন্তকাল
উত্তর: খ) বর্ষাকাল
৩. প্রতি বছর রথযাত্রা হয়ে থাকে, সাধারণত–
ক) চৈত্র-বৈশাখ মাসে
খ) পৌষ-মাঘ মাসে
গ) আশ্বিন-কার্তিক মাসে
ঘ) আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে
উত্তর: ঘ) আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে
৪. ‘মাহেশ’ অঞ্চলটির প্রসিদ্ধির কারণ–
ক) তাঁতের কাপড়
খ) অন্যতম প্রাচীন রথযাত্রা ও মেলা
গ) গঙ্গাতীরস্থ আবহাওয়া
ঘ) কলকারখানা
উত্তর: খ) অন্যতম প্রাচীন রথযাত্রা ও মেলা
৫. রাধারাণী রথ দেখতে গিয়েছিল–
ক) শান্তিপুরে
খ) শ্রীরামপুরে
গ) মায়াপুরে
ঘ) মাহেশে
উত্তর: ঘ) মাহেশে
৬. ‘মাহেশ’ অঞ্চলটি যে জেলার অন্তর্গত–
ক) হুগলি
খ) হাওড়া
গ) পূর্ব মেদিনীপুর
ঘ) বর্ধমান
উত্তর: ক) হুগলি
৭. “তাহাদিগের অবস্থা পূর্বে ভাল ছিল।” – কার অবস্থা?
ক) রুক্মিণীকুমারের
খ) পদ্মলোচনের
গ) এদের কারও নয়
ঘ) রাধারাণীদের
উত্তর: ঘ) রাধারাণীদের
৮. রাধারাণী বালিকা হলেও, তার বয়স ছিল–
ক) আট-নয় বছর
খ) দশ-এগারো বছর
গ) দশ বছর
ঘ) বারো বছর
উত্তর: খ) দশ-এগারো বছর
৯. রাধারাণীদের সম্পত্তির অর্থমূল্য ছিল–
ক) কুড়ি লক্ষ টাকা
খ) তিরিশ লক্ষ টাকা
গ) আট লক্ষ টাকা
ঘ) দশ লক্ষ টাকা
উত্তর: ঘ) দশ লক্ষ টাকা
১০. রাধারাণীদের সাংসারিক দুরবস্থার কারণ–
ক) তার বাবার মৃত্যু
খ) তার মায়ের মৃত্যু
গ) ধার-দেনা
ঘ) এক আত্মীয়ের কাছে মামলায় হেরে তার মা সব হারিয়েছে
উত্তর: ঘ) এক আত্মীয়ের কাছে মামলায় হেরে তার মা সব হারিয়েছে
১১. রাধারাণীর বিধবা মা মামলা হেরেছিলেন–
ক) হাইকোর্টে
খ) প্রিবি কৌন্সিলে
গ) লোয়ার কোর্টে
ঘ) সুপ্রিম কোর্টে
উত্তর: ক) হাইকোর্টে
১২. রাধারাণীর মা এরপর আপিল করেছিলেন–
ক) প্রিবি কৌন্সিলে
খ) সুপ্রিম কোর্টে
গ) হাইকোর্টে
ঘ) লোয়ার কোর্টে
উত্তর: ক) প্রিবি কৌন্সিলে
১৩. রাধারাণীর মা পীড়িত হয়েছিলেন—
ক) রথের দিন
খ) রথের আগে
গ) রথের পরে
ঘ) রথের পনেরো দিন আগে
উত্তর: খ) রথের আগে
১৪. রাধারাণীর বিধবা মা তাকে নিয়ে কোনোরকমে দিন কাটাতেন—
ক) ভিক্ষা করে
খ) শারীরিক পরিশ্রম করে
গ) ধার-দেনা করে
ঘ) পৈতৃক সম্পত্তি বেচে
উত্তর: খ) শারীরিক পরিশ্রম করে
১৫. রাধারাণীর বিবাহ না-হওয়ার কারণ—
ক) বয়স
খ) উদ্যমের অভাব
গ) দারিদ্র্য
ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তর: গ) দারিদ্র্য
১৬. রাধারাণীর মায়ের দৈহিক পরিশ্রম বন্ধ হওয়ার কারণ—
ক) বার্ধক্য
খ) আলস্য
গ) মৃত্যু
ঘ) গুরুতর অসুস্থতা
উত্তর: ঘ) গুরুতর অসুস্থতা
১৭. ‘সুতরাং আর আহার চলে না’—কারণ—
ক) রাধারাণীর মা সব অর্থ খরচ করে ফেলেছিলেন
খ) তার মা পীড়িত হয়ে পড়েছিলেন
গ) দেশে ভয়ানক দুর্ভিক্ষ হয়েছিল
ঘ) তাদের বাড়িতে ডাকাতি হয়েছিল
উত্তর: খ) তার মা পীড়িত হয়ে পড়েছিলেন
১৮. রাধারাণীর উপবাসের কারণ—
ক) তার খাওয়ার ইচ্ছা ছিল না
খ) অন্নের সংস্থান ছিল না
গ) অন্ন জোটেনি
ঘ) শরীর অসুস্থ ছিল
উত্তর: খ) অন্নের সংস্থান ছিল না
১৯. ‘পথ্যের প্রয়োজন হইল’—পথ্যের প্রয়োজন হয়েছিল—
ক) রাধারাণীর অসুস্থ মায়ের
খ) বুনোফুলের
গ) রুক্মিণীকুমারের
ঘ) পদ্মলোচনের
উত্তর: ক) রাধারাণীর অসুস্থ মায়ের
নবম শ্রেণী বাংলা
রাধারাণী গল্পের MCQ প্রশ্ন উত্তর
২০. রাধারাণী কীসের মালা গাঁথিয়াছিল?—
ক) জবা ফুলের
খ) বুনোফুলের
গ) গাঁদা ফুলের
ঘ) রজনিগন্ধার
উত্তর: খ) বুনোফুলের
২১. রাধারাণী রথের মেলায় গিয়েছিল—
ক) বনফুলের মালা বিক্রি করবে বলে
খ) বনফুলের মালা বিক্রি করে অসুস্থ মায়ের জন্য পথ্য আনবে বলে
গ) বেড়াতে
ঘ) রথ দেখতে
উত্তর: খ) বনফুলের মালা বিক্রি করে অসুস্থ মায়ের জন্য পথ্য আনবে বলে
২২. রাধারাণী রথের মেলায় গিয়েছিল—
ক) জ্যৈষ্ঠ মাসে
খ) আষাঢ় মাসে
গ) শ্রাবণ মাসে
ঘ) ভাদ্র মাসে
উত্তর: খ) আষাঢ় মাসে
২৩. রথের মেলা ভেঙে যাওয়ার কারণ—
ক) প্রচণ্ড বৃষ্টি
খ) জিনিসপত্রের অভাব
গ) প্রচণ্ড ঝড়
ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তর: ক) প্রচণ্ড বৃষ্টি
২৪. অগত্যা রাধারাণী কাঁদিতে কাঁদিতে ফিরিল—কারণ—
ক) রাধারাণীর মালা কেউই কেনেনি
খ) রাধারাণী আহত হয়েছিল
গ) একজন তার মালাটি ছিনিয়ে নিয়েছিল
ঘ) রাধারাণী মালাটি হারিয়ে ফেলেছিল
উত্তর: ক) রাধারাণীর মালা কেউই কেনেনি
২৫. বৃষ্টির ফলে—
ক) মেলা জমে উঠল
খ) মেলা ভেঙে গেল
গ) মারামারি শুরু হল
ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তর: খ) মেলা ভেঙে গেল
২৬. রাধারাণীর ফেরবার সময় পথঘাট ছিল—
ক) অন্ধকার এবং জনহীন
খ) অন্ধকার এবং জলমগ্ন
গ) পিচ্ছিল-কর্দমাক্ত এবং অন্ধকার
ঘ) পিচ্ছিল ও কর্দমাক্ত
উত্তর: গ) পিচ্ছিল-কর্দমাক্ত এবং অন্ধকার
২৭. ‘রাধারাণীর চক্ষু বারিবর্ষণ করিতেছিল’—কারণ—
ক) তাদের খাদ্যাভাব
খ) অসুস্থ মায়ের অন্নাভাব
গ) মেলার ভিড় ও দুর্যোগ
ঘ) মেলা ভেঙে যাওয়া
উত্তর: খ) অসুস্থ মায়ের অন্নাভাব
২৮. শ্রাবণের মুশলধারে বৃষ্টিতে ভিজে রাধারাণী কাদায় পিছল পথে—
ক) আছাড় খেয়ে পড়েছিল
খ) দাঁড়িয়ে
গ) কাঁদতে কাঁদতে আছাড় খেয়ে পড়ছিল
ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তর: গ) কাঁদতে কাঁদতে আছাড় খেয়ে পড়ছিল
২৯. ‘তথাপি রাধারাণী সেই এক পয়সার বনফুলের মালা বুঝে করিয়া রাখিয়াছিল— ফেলেনি।’ রাধারাণী বনফুলের মালাটি ফেলেনি, কারণ—
ক) মালাটি তার খুব প্রিয় ছিল
খ) মালাটি বাসি হয়ে গিয়েছিল
গ) মালাটি বিক্রি করার আশা সে ছাড়েনি
ঘ) মালাটি অত্যন্ত ভালো হয়েছিল
উত্তর: গ) মালাটি বিক্রি করার আশা সে ছাড়েনি
৩০. ‘এক্ষণে উচ্চৈঃস্বরে কাঁদিল’—রাধারাণীর উচ্চৈঃস্বরে কেঁদে ওঠার কারণ—
ক) পথ হারানোর ভয়
খ) অন্ধকার পিচ্ছিল পথে সহসা একজন প্রায় ঘাড়ের উপর এসে পড়েছিল
গ) অপরিচিত ব্যক্তির পিছু নেওয়া
ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তর: খ) অন্ধকার পিচ্ছিল পথে সহসা একজন প্রায় ঘাড়ের উপর এসে পড়েছিল
৩১. ‘সে বলিল, “কে গা তুমি কাঁদ?”’—উদ্দিষ্ট ব্যক্তির নাম—
ক) পদ্মলোচন
খ) রুক্মিণীকুমার রায়
গ) কাপুড়ে মিন্সে
ঘ) রাধারাণী
উত্তর: খ) রুক্মিণীকুমার রায়
৩২. রাধারাণীর কান্না বন্ধ হয়েছিল—
ক) পুরুষের আওয়াজে
খ) মহিলার আওয়াজে
গ) পরিচিত গলার আওয়াজে
ঘ) দয়ালু কণ্ঠস্বরের স্পর্শে
উত্তর: ঘ) দয়ালু কণ্ঠস্বরের স্পর্শে
৩৩. রুক্মিণীকুমারের গলা শুনে রাধারাণীর মনে হয়েছিল যে, তিনি—
ক) নিষ্ঠুর লোক
খ) দয়ালু লোক
গ) সুখী লোক
ঘ) দুঃখী লোক
উত্তর: খ) দয়ালু লোক
৩৬. রাধারাণীর বাড়ি ছিল-
(ক) শান্তিপুরে
(খ) মাহেশে
(গ) শ্রীরামপুরে
(ঘ) নদিয়ায়
উত্তর: (গ) শ্রীরামপুরে
৩৭. অপরিচিত ভদ্রলোকটিও যাচ্ছিলেন-
(ক) বালি
(খ) শ্রীরামপুর
(গ) মাহেশ
(ঘ) হাওড়া
উত্তর: (খ) শ্রীরামপুর
৩৮. অপরিচিত ভদ্রলোক রাধারাণীর বয়স অনুমান করতে পারেননি, কারণ-
(ক) মেলার ভিড়
(খ) রাধারাণীর ছদ্মবেশ
(গ) অন্ধকার
(ঘ) মুশলধারে বৃষ্টি ও অন্ধকার
উত্তর: (গ) অন্ধকার
৩৯. অচেনা লোকটি রাধারাণীকে-
(ক) ফেলে চলে গিয়েছিলেন
(খ) বাড়ি পৌঁছে দিয়েছিলেন
(গ) খুব বকাবকি করেছিলেন
(ঘ) ভুল পথ দেখিয়ে দিয়েছিলেন
উত্তর: (খ) বাড়ি পৌঁছে দিয়েছিলেন
নবম শ্রেণী বাংলা
রাধারাণী গল্পের MCQ প্রশ্ন উত্তর
৪০. “এক্ষণেও বালিকার হৃদয়মধ্যে লুক্কায়িত আছে।”- এখানে যে বিষয়টি সম্পর্কে বলা হয়েছে, তা-
(ক) বনফুলের মালা
(খ) চুরির টাকা কাপড়
(গ) একখানা নোট
(ঘ) একটি বকুলফুলের মালা
উত্তর: (ক) বনফুলের মালা
৪১. অপরিচিত ব্যক্তির কথামতো, সে রথের মেলায় খুঁজছিল-
(ক) জগন্নাথের রথ
(খ) একছড়া মালা
(গ) বনফুল
(ঘ) বন্ধু
উত্তর: (খ) একছড়া মালা
৪২. অপরিচিত ব্যক্তির কথামতো, তার মালা খোঁজার কারণ-
(ক) বনফুলের প্রতি ভালোবাসা
(খ) বাড়ির ঠাকুরকে পরাবেন
(গ) এমনিই কিনবেন
(ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তর: (খ) বাড়ির ঠাকুরকে পরাবেন
৪৩. “রাধারাণীর আনন্দ হইল, কিন্তু মনে ভাবিল যে.”- রাধারাণী মনে যা ভেবেছিল-
(ক) এ পয়সা নয়; টাকাই হবে মালার দাম চার পয়সা
(খ) যে এত যত্ন করে অন্ধকারে হাত ধরে বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে, তার কাছে সে দাম নেবে কী করে
(গ) সে দাতা ওরা গ্রহীতা
উত্তর: (খ) যে এত যত্ন করে অন্ধকারে হাত ধরে বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে, তার কাছে সে দাম নেবে কী করে
৪৪. “রাধারাণী, মালা সমভিব্যাহারীকে দিল”-এর কারণ হল-
(ক) কৃতজ্ঞতা
(খ) মায়ের অন্নাভাবের জন্য সে বিক্রি করে পয়সা নেবে বলে ঠিক করেছে
(গ) রাধারাণীর অজ্ঞতা
(ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তর: (খ) মায়ের অন্নাভাবের জন্য সে বিক্রি করে পয়সা নেবে বলে ঠিক করেছে
৪৫. অপরিচিত ব্যক্তিটি রাধারাণীর মালার দাম নির্ধারণ করেছিলেন-
(ক) এক পয়সা
(খ) চার পয়সা
(গ) দু-পয়সা
(ঘ) তিন পয়সা
উত্তর: (খ) চার পয়সা
৪৬. “তুমি ভুলে টাকা দাও নাই তো?” -রাধারাণীর এমন সন্দেহের কারণ-
(ক) পয়সা হিসেবে আকারে এবং চকচকে ছিল ভদ্রলোকের দেওয়া চার পয়সা
(খ) অন্ধকারে হয়তো অপরিচিত ভদ্রলোকটি ভুল করেছে
(গ) ভদ্রলোক ভুল করে বেশি দিয়েছে
(ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তর: (ক) পয়সা হিসেবে আকারে এবং চকচকে ছিল ভদ্রলোকের দেওয়া চার পয়সা
৪৭. “আমি বাহিরে দাঁড়াইয়া আছি”-এ কথা বলেছিলেন-
(ক) রুক্মিণীকুমার রায়
(খ) বসন্ত রায়
(গ) পদ্মলোচন
(ঘ) এদের কেউ নয়
উত্তর: (ক) রুক্মিণীকুমার রায়
৪৮. “আমার ব্যামো হয় না।” -রাধারাণীর মতে তার ব্যামো হয় না-
(ক) উপবাসী থাকলেও
(খ) জ্বর গায়ে থাকলেও
(গ) সর্বদা ভিজে গায়ে থাকলেও
(ঘ) মালা বিক্রি করলেও
উত্তর: (গ) সর্বদা ভিজে গায়ে থাকলেও
৪৯. রাধারাণী চকমকি ঠুকে আগুন জ্বালিয়েছিল। “চকমকি” হল এক ধরনের-
(ক) দেশলাই
(খ) পাথর
(গ) ধাতু
(ঘ) মশাল
উত্তর: (খ) পাথর
৫০. “মজেই একটু বিলম্ব হইল”-বিলম্ব হওয়ার কারণ-
(ক) ঘরে তেল ছিল না বলে আলো জ্বালতে দেরি
(খ) ভিজে কাপড় ছাড়তে দেরি হল
(গ) বৃষ্টি পড়ছিল বলে দেরি হল
(ঘ) অসুস্থ মাকে রেখে আসতে হল তাই
উত্তর: (ক) ঘরে তেল ছিল না বলে আলো জ্বালতে দেরি
৫১. “ইহাদের কাছে সুপরিচিত”-কে সুপরিচিত-
(ক) রুক্মিণীকুমার
(খ) রাধারাণী
(গ) পদ্মলোচন সাহা
(ঘ) রাধারাণীর মাগ
উত্তর: (গ) পদ্মলোচন সাহা
৫২. “পোড়ারমুখো কাপুড়ে মিনেন্স”-পদ্মলোচন সাহাকে এমন সম্বোধনের কারণ-
(ক) কোনো নির্দিষ্ট কারণ নেই
(খ) সে অসৎ ও কপট ব্যবসায়ী ছিল
(গ) সে অত্যন্ত রূঢ় আচরণ করত
(ঘ) সে সহজসরল মানুষ ছিল
উত্তর: (খ) সে অসৎ ও কপট ব্যবসায়ী ছিল
৫৩. “রাধারাণীর এই কাপড়”- কোন্ কাপড়?
(ক) কুঞ্ঝদার শান্তিপুরে
(খ) বিন্নুপুর বালুচরী
(গ) বাংলাদেশি শ্রীরামপুরের বেণারসি
(ঘ) ঢাকাইক কুঞ্জদার শান্তিপুরে
উত্তর: (ক) কুঞ্ঝদার শান্তিপুরে
৫৪. “একজোড়া নূতন কুঞ্জদার শান্তিপুরে কাপড় হাতে করিয়া আনিয়াছিল”-এখানে “কুঞ্ঝদার” বলতে বোঝানো-
(ক) কুঞ্জদার শাড়ি
(খ) কুঞ্জবাবুর শাড়ি
(গ) শান্তিপুরের কলকাদার বা নকশাদার কাজ
(ঘ) কুঞ্জ নামক তাঁতির কাজ
উত্তর: (গ) শান্তিপুরের কলকাদার বা নকশাদার কাজ
৫৫. “রাধারাণীর কথা শুনিয়া কিছু বিস্মিত হইল”- বিস্মিত হয়েছিল-
(ক) রাধারাণীর মাখ
(খ) পদ্মলোচন সাহা
(গ) বুক্মিণীকুমার রায়
(ঘ) এদের কেউ নয়
উত্তর: (খ) পদ্মলোচন সাহা
নবম শ্রেণী বাংলা
রাধারাণী গল্পের অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
১. রাধারাণীর মা কখন অসুস্থ হয়ে পড়েছিল?
উত্তর: অনাহারে-অর্ধাহারে অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রমে রাধারাণীর মা রথের ঠিক আগেই অসুস্থ হয়েছিলেন, তবে রথের দিন তার অবস্থা খুব গুরুতর হয়ে পড়েছিল।
২. রাধারাণী কোথায় মালা বিক্রি করতে গিয়েছিল?
উত্তর: রাধারাণী মাহেশের রথের মেলায় মালা বিক্রি করতে গিয়েছিল।
৩. রাধারাণীর রথের মেলায় যাওয়ার উদ্দেশ্য কী ছিল?
উত্তর: রুগ্ম অসুস্থ ও উপোসি মায়ের পথ্যের প্রয়োজনে কয়েকটি বনফুলের মালা গেঁথে রথের হাটে বিক্রির উদ্দেশ্য নিয়ে রাধারাণী রথের মেলায় গিয়েছিল।
৪. রাধারাণী মায়ের পথ্যের জন্য কী করেছিল?
উত্তর: অসহায় রাধারাণী অভুক্ত অবস্থায় কাঁদতে কাঁদতে বনফুল সংগ্রহ করে, মালা গেঁথে রথের মেলায় বিক্রি করে মায়ের পথ্য জোগাড় করতে চেয়েছিল।
৫. ‘মালা কেহ কিনিল না’-বলার কারণ কী?
উত্তর: রথের টান অর্ধেক হতে-না-হতেই প্রবল বৃষ্টিতে মেলা ভেঙে যাওয়ায় রাধারাণীর মালা আর কেউ কিনল না।
৬. রাধারাণীর ‘চক্ষু বারিবর্ষণ করিতেছিল’ কেন?
উত্তর: মায়ের অসুস্থতা-অনাহার-অন্নাভাবের কথা ভেবে রাধারাণী কাঁদছিল। এখানে লেখক রথের মেলার শ্রাবণধারার সঙ্গে নিরুপায় রাধারাণীর অসহায় কান্নাকে একাকার করে দেখিয়েছেন।
৭. ‘রাধারাণী কাঁদিতে কাঁদিতে ফিরিল’-তাকে কাঁদতে কাঁদতে ফিরতে হল কেন?
অথবা, রাধারাণী কাঁদিতে কাঁদিতে বাড়ি ফিরিল কেন?
উত্তর: প্রবল বৃষ্টিতে রথের মেলা ভেঙে যাওয়ায় রাধারাণীর বনফুলের মালা কেউ কিনল না। তখন সে মনের দুঃখে অন্ধকার রাতে কাঁদতে কাঁদতে ফিরল।
৮. রাধারাণীর উচ্চৈঃস্বরে কেঁদে ওঠার কারণ কী ছিল?
উত্তর: বর্ষণমুখর রথের দিনে অন্ধকার রাস্তায়, সহসা রাধারাণীর ঘাড়ের উপর একজন এসে পড়ায় সে উচ্চৈঃস্বরে কেঁদে উঠেছিল।
৯. ‘রোদন বন্ধ হইল’-কেন?
উত্তর: রাধারাণী অপরিচিত ভদ্রলোকের কণ্ঠস্বরে দয়ার স্পর্শ পেয়ে কান্না বন্ধ করেছিল।
১০. ‘ক্ষুদ্র বুদ্ধিটুকুতে ইহা বুঝিতে পারিল।’- কে, কী বুঝতে পারিল?
উত্তর: রাধারাণী তার ক্ষুদ্র বুদ্ধি দিয়ে এটুকু বুঝেছিল যে, মেলায় দেখা পাওয়া অপরিচিত মানুষটি খুব দয়ালু।
১১. ‘কেবল মা আছে।’-বক্তা কে?
উত্তর: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘রাধারাণী’ গদ্যাংশ থেকে উদ্ধৃত উক্তিটির বস্তা রাধারাণী।
১২. ‘তুমি কোথা গিয়েছিলে?’- কে, কাকে এই প্রশ্ন করেছিল?
উত্তর: মাহেশের রথের মেলায় দেখা হওয়া এক অপরিচিত ভদ্রলোক রাধারাণীকে এই প্রশ্ন করেছিল।
১৩. অপরিচিত ব্যক্তি রাধারাণীকে হাত ধরতে বলেছিলেন কেন?
উত্তর: পিছল রাস্তায় পড়ে যাওয়ার ভয় থাকায় অপরিচিত ব্যক্তিটি রাধারাণীকে হাত ধরতে বলেছিলেন।
১৪. ‘রাধারাণীর বয়স অনুমান করিতে পারে নাই,’-কেন?
উত্তর: গাঢ় অন্ধকারের কারণে অপরিচিত ব্যক্তি রাধারাণীর বয়স অনুমান করতে পারেননি।
১৫. ‘রাধারাণী বড়ো বালিকা।’-বস্তার এমন মনে হওয়ার কারণ কী?
উত্তর: বস্তা রাধারাণীর কণ্ঠস্বরে তাকে নিতান্ত বালিকা বলে বোধ করেছিলেন, পরে অন্ধকারে হাঁটার সময় তার হাতের স্পর্শে টের পান, সে বড়ো বালিকা।
১৬. ‘তুমি ছেলেমানুষ, একেলা রথ দেখতে গিয়েছিলে কেন?’- ‘ছেলেমানুষ’ কীভাবে বোঝা গিয়েছিল?
উত্তর: রথের মেলার অপরিচিত ব্যক্তি রাধারাণীর বয়স জানতে চাওয়ায়, সে বলেছিল দশ-এগারো বছর। তখন সেই ব্যক্তি বুঝতে পারেন রাধারাণী ছেলেমানুষ।
১৭. মেলার সেই অপরিচিত ব্যক্তি মালা কিনতে চেয়েছিলেন কেন?
উত্তর: মেলার সেই অপরিচিত ব্যক্তি বাড়ির গৃহদেবতার পুজোর প্রয়োজনে মালা কিনতে চেয়েছিলেন।
১৮. ‘আমি তাই মালা কিনিতে পারি নাই।’- বলার কারণ কী?
উত্তর: প্রবল বৃষ্টিতে তাড়াতাড়ি মেলা ভেঙে যাওয়ায় উদ্দিষ্ট ব্যক্তি মালা কিনতে পারেননি বলে জানিয়েছিলেন।
১৯. ‘তুমি ভুলে টাকা দাও নাই তো?’ – বক্তার এরূপ মন্তব্যের কারণ কী?
উত্তর: রাধারাণী অপরিচিত ব্যক্তিটির কাছ থেকে মালার দাম হিসেবে পাওয়া পয়সার আকার ও ঔজ্জ্বল্য দেখে, প্রশ্নে উদ্ধৃত মন্তব্যটি করেছিল।
নবম শ্রেণী বাংলা
রাধারাণী গল্পের অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
২০. ‘তাই চকচক করচে।’ – বক্তা এমন বলেছে কেন?
উত্তর: অপরিচিত ভদ্রলোক রাধারাণীকে বলেছিলেন, নতুন কলের নতুন পয়সা হওয়ায় তা এমন চকচক করছে।
২১. ‘তারপর প্রদীপ জ্বালিয়ো।’ – প্রসঙ্গ উল্লেখ করো।
উত্তর: অপরিচিত লোকের কাছ থেকে প্রাপ্ত পয়সা সম্পর্কে সন্দেহ জাগায় রাধারাণী ফিরে আগে প্রদীপ জ্বেলে তা দেখতে গেলে ভদ্রলোক তাকে আগে ভেজা কাপড় ছেড়ে পরে প্রদীপ জ্বালানোর পরামর্শ দেন।
২২. ‘আমার ব্যামো হয় না।’ – বলার কারণ কী?
উত্তর: রাধারাণীর দুটি মাত্র কাপড় সম্বল। তাই সে ভিজে কাপড়ে থাকতে অভ্যস্ত। এ সত্ত্বেও তার ব্যামো হয় না বলেই সে এমন মন্তব্য করেছে।
২৩. রাধারাণী কীভাবে আলো জ্বালল?
উত্তর: রাধারাণীর ঘরে তেলের অভাব থাকার জন্য সে চাল থেকে খড় পাড়ে এবং আগুন জ্বালায়।
২৪. রাধারাণীর আলো জ্বালাতে বিলম্ব হয়েছিল কেন?
উত্তর: রাধারাণীদের ঘরে তেল না-থাকায়, চাল থেকে খড় পেড়ে চকমকি ঠুকে আগুন জ্বালাতে তার বিলম্ব হয়েছিল।
২৫. ‘আলো জ্বালিয়া রাধারাণী দেখিল, রাধারাণী কী দেখেছিল?
উত্তর: আলো জ্বেলে রাধারাণী দেখেছিল, বনফুলের মালার দাম হিসেবে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি তাকে পয়সা নয়, টাকা দিয়ে গিয়েছিলেন।
২৬. ‘সে নাই চলিয়া গিয়াছে।’ – কে চলে গেছে?
উত্তর: আলো জ্বেলে রাধারাণী বাইরে এসে দেখেছিল, মেলার সেই অপরিচিত ভদ্রলোক যিনি বনফুলের মালার দাম বাবদ পয়সার বদলে টাকা দিয়েছেন, তিনি চলে গেছেন।
২৭. ‘আমরাও ভিখারি হইয়াছি,’ – উক্তিটি কার? কেন তার এমন উক্তি?
উত্তর: প্রশ্নে উদ্ধৃত উক্তিটি রাধারাণীর মায়ের। এক জ্ঞাতির সঙ্গে মোকদ্দমায় রাধারাণীর মা সর্বস্ব হারিয়েছিলেন। তাই তিনি নিজেদের নিঃস্ব-সর্বস্বহারা ভিখারি বলে মনে করেছেন।
২৮. ‘তখন রাধারাণী বাহিরে আসিয়া তল্লাশ করিয়া দেখিল যে,’ – রাধারাণী কী দেখেছিল?
উত্তর: রাধারাণী বাইরে এসে দেখল যে, মেলার সেই অপরিচিত ব্যক্তি যিনি তাকে টাকা দিয়েছিলেন, তিনি চলে গেছেন।
২৯. ‘বড়ো শোরগোল উপস্থিত করিল,’ – কে, কেন শোরগোল উপস্থিত করেছিল?
উত্তর: অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির দেওয়া টাকা নিয়ে যখন রাধারাণী ও তার মা কথাবার্তায় ব্যস্ত তখন কাপড় ব্যবসায়ী পদ্মলোচন একজোড়া শান্তিপুর শাড়ি নিয়ে এলে, শোরগোল পড়ে যায়।
৩০. পদ্মলোচন রাধারাণীর হাতে কী ধরনের কাপড় এনে দিয়েছিল?
উত্তর: পদ্মলোচন রাধারাণীর হাতে একজোড়া নতুন কুণ্ডুদার শান্তিপুরে কাপড় এনে দিয়েছিল।
৩১. ‘মনে করিয়াছিল যে, সেই তিনিই বুঝি আবার ফিরিয়া আসিয়াছেন।’ – রাধারাণী কার কথা মনে করেছিল?
উত্তর: মেলায় রাধারাণীর সাহায্যকারী, তার বনফুলের মালার দাম হিসেবে পয়সার বদলে টাকা দিয়েছিলেন যে-ভদ্রলোক, রাধারাণী ভেবেছিল তিনিই বুঝি ফিরে এসেছেন।
৩২. পদ্মলোচন শাড়ির দাম হিসেবে রুক্মিণীকুমারের কাছে কত টাকা নিয়েছিল?
উত্তর: পদ্মলোচন শাড়ির দাম হিসেবে চার টাকার শাড়ি রুক্মিণীকুমারের কাছ থেকে আট টাকা সাড়ে চোদ্দো আনা নিয়েছিল।
৩৩. ‘রাধারাণীর কথা শুনিয়া কিছু বিস্মিত হইল;’ – বিস্মিত হয়ে সে কী বলেছিল?
উত্তর: বিস্মিত পদ্মলোচন জানিয়েছিল, এক অপরিচিত ভদ্রলোক দুটি কাপড়ের নগদ দাম দিয়ে, তাকে ওই দুটি কাপড় রাধারাণীকে দিয়ে আসতে বলেছিল।
৩৪. পদ্মলোচন অপরিচিত ক্রেতাকে কী ভেবেছিল?
উত্তর: পদ্মলোচন অপরিচিত রুক্মিণীকুমারকে রাধারাণীদের আত্মীয়-কুটুম্ব বলে ভেবেছিল।
৩৫. ‘প্রসন্নমনে দোকানে ফিরিয়া গেলেন।’ – তার এমন প্রসন্নতার কারণ কী?
উত্তর: পদ্মলোচন চার টাকার কাপড় রুক্মিণীকুমারকে আট টাকা সাড়ে চোদ্দো আনা বিক্রি করে অত্যন্ত প্রসন্ন বা খুশি হয়েছিল।
৩৬. রাধারাণী টাকা ভাঙিয়ে কী করেছিল?
উত্তর: রাধারাণী প্রাপ্ত টাকা ভাঙিয়ে বাজার করে এবং প্রদীপের জন্য প্রয়োজনীয় তেল নিয়ে ফিরেছিল।
৩৭. রাধারাণী ঘর ঝাঁট দিতে গিয়ে কী পেয়েছিল?
উত্তর: রাধারাণী ঘর ঝাঁট দিতে গিয়ে একখানি কাগজ তথা নোট কুড়িয়ে পেয়েছিল।
৩৮. ‘মালা সমভিব্যাহারীকে দিল।’ – ‘সমভিব্যাহারী’ শব্দটির অর্থ কী?
উত্তর: ‘সমভিব্যাহারী’ শব্দটির অর্থ সঙ্গী।
৩৯. ‘তুমি ভুলে টাকা দাও নাই তো?’ – বক্তার এরূপ মন্তব্যের কারণ কী?
উত্তর: রাধারাণী অপরিচিত ব্যক্তির কাছ থেকে মালার দাম হিসেবে পাওয়া পয়সার আকার ও ঔজ্জ্বল্য দেখে, প্রশ্নে উদ্ধৃত মন্তব্যটি করেছিল।
নবম শ্রেণী বাংলা
রাধারাণী গল্পের অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
৪০. ‘তাই চকচক করচে।’ – বক্তা এমন বলেছে কেন?
উত্তর: অপরিচিত ভদ্রলোক রাধারাণীকে বলেছিলেন, নতুন কলের নতুন পয়সা হওয়ায় তা এমন চকচক করছে।
৪১. ‘তারপর প্রদীপ জ্বালিয়ো।’ – প্রসঙ্গ উল্লেখ করো।
উত্তর: অপরিচিত লোকের কাছ থেকে প্রাপ্ত পয়সা সম্পর্কে সন্দেহ জাগায় রাধারাণী ফিরে আগে প্রদীপ জ্বেলে তা দেখতে গেলে ভদ্রলোক তাকে আগে ভেজা কাপড় ছেড়ে পরে প্রদীপ জ্বালানোর পরামর্শ দেন।
৪২. ‘আমার ব্যামো হয় না।’ – বলার কারণ কী?
উত্তর: রাধারাণীর দুটি মাত্র কাপড় সম্বল। তাই সে ভিজে কাপড়ে থাকতে অভ্যস্ত। এ সত্ত্বেও তার ব্যামো হয় না বলেই সে এমন মন্তব্য করেছে।
৪৩. রাধারাণী কীভাবে আলো জ্বালল?
উত্তর: রাধারাণীর ঘরে তেলের অভাব থাকার জন্য সে চাল থেকে খড় পাড়ে এবং আগুন জ্বালায়।
৪৪. রাধারাণীর আলো জ্বালাতে বিলম্ব হয়েছিল কেন?
উত্তর: রাধারাণীদের ঘরে তেল না-থাকায়, চাল থেকে খড় পেড়ে চকমকি ঠুকে আগুন জ্বালাতে তার বিলম্ব হয়েছিল।
নবম শ্রেণী বাংলা
রাধারাণী গল্পের প্রশ্ন উত্তর
৪৫. ‘আলো জ্বালিয়া রাধারাণী দেখিল, রাধারাণী কী দেখেছিল?
উত্তর: আলো জ্বেলে রাধারাণী দেখেছিল, বনফুলের মালার দাম হিসেবে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি তাকে পয়সা নয়, টাকা দিয়ে গিয়েছিলেন।
৪৬. ‘সে নাই চলিয়া গিয়াছে।’ – কে চলে গেছে?
উত্তর: আলো জ্বেলে রাধারাণী বাইরে এসে দেখেছিল, মেলার সেই অপরিচিত ভদ্রলোক যিনি বনফুলের মালার দাম বাবদ পয়সার বদলে টাকা দিয়েছেন, তিনি চলে গেছেন।
৪৭. ‘আমরাও ভিখারি হইয়াছি,’ – উক্তিটি কার? কেন তার এমন উক্তি?
উত্তর: প্রশ্নে উদ্ধৃত উক্তিটি রাধারাণীর মায়ের। এক জ্ঞাতির সঙ্গে মোকদ্দমায় রাধারাণীর মা সর্বস্ব হারিয়েছিলেন। তাই তিনি নিজেদের নিঃস্ব-সর্বস্বহারা ভিখারি বলে মনে করেছেন।
৪৮. ‘তখন রাধারাণী বাহিরে আসিয়া তল্লাশ করিয়া দেখিল যে,’ – রাধারাণী কী দেখেছিল?
উত্তর: রাধারাণী বাইরে এসে দেখল যে, মেলার সেই অপরিচিত ব্যক্তি যিনি তাকে টাকা দিয়েছিলেন, তিনি চলে গেছেন।
নবম শ্রেণী বাংলা
রাধারাণী গল্পের ৩ মার্কের প্রশ্ন উত্তর
১. “…আর আহারের সংস্থান রহিল না।” — কাদের কেন এমন পরিস্থিতি হয়েছিল?
অথবা, রাধারাণীর মা-র দৈন্যদশার কারণ কী?
উত্তর: রাধারাণীর পিতার মৃত্যুর পর তার মা এক জ্ঞাতির বিরুদ্ধে সম্পত্তি নিয়ে মোকদ্দমা করেন। প্রথমে তিনি মামলায় জয়ী হলেও পরে হাইকোর্টে হেরে যান। জ্ঞাতি ডিক্রিজারি করে সমস্ত সম্পত্তি দখল করে নেয় এবং রাধারাণী ও তার মাকে ভদ্রাসন থেকে উৎখাত করে। মামলা চালাতে গিয়ে সমস্ত নগদ অর্থও শেষ হয়ে যায়। পরে আপিল করলেও কিছুতেই সাফল্য মেলে না। ফলত, তারা নিঃস্ব হয়ে পড়ে এবং আহারের সংস্থানও আর থাকে না।
২. “কিন্তু কণ্ঠস্বর শুনিয়া রাধারাণীর রোদন বন্ধ হইল।” — রাধারাণীর রোদন বন্ধ হওয়ার কারণ লেখো।
উত্তর: রাধারাণী তার মায়ের পথ্যের জন্য বনফুলের মালা গেঁথে মাহেশের রথের মেলায় বিক্রি করতে যায়। কিন্তু প্রবল বৃষ্টির কারণে মেলা ভেঙে যায় এবং একটি মালাও বিক্রি হয় না। ব্যর্থ মনোরথে অন্ধকার পথে কাঁদতে কাঁদতে ফিরছিল সে। হঠাৎ এক অজানা পুরুষ তার ঘাড়ে এসে পড়ে, এতে রাধারাণী চমকে কেঁদে ওঠে। তখন সেই ব্যক্তি রাধারাণীর কাঁদার কারণ জিজ্ঞেস করেন। তার সহৃদয় কণ্ঠস্বর শুনে রাধারাণীর মনে ভরসা জাগে এবং তার কান্না থেমে যায়।
৩. “রাধারাণীর ক্ষুদ্র বুদ্ধি টুকুতে ইহা বুঝিতে পারিল।” — কী বুঝতে পারল? এবং লেখক রাধারাণীর বুদ্ধিকে ‘ক্ষুদ্র’ বলার কারণ লেখো।
উত্তর: রাধারাণী বুঝতে পারল যে অন্ধকারে যে ব্যক্তি তার ঘাড়ে পড়েছিলেন, তিনি সহৃদয় এবং তার কোনো ক্ষতি করবেন না। তার কথাবার্তায় সহানুভূতির প্রকাশ ছিল।
রাধারাণী মাত্র দশ-এগারো বছরের একটি বালিকা। তার চিন্তা ও বিচারক্ষমতা সীমিত ছিল। তাই লেখক তার বুদ্ধিকে ‘ক্ষুদ্র বুদ্ধি’ বলে উল্লেখ করেছেন।
৪. “কিন্তু কথার স্বরে বুঝিয়াছিল”— কে, কার কথার স্বরে, কী বুঝেছিল?
উত্তর: পুরুষটি রাধারাণীর কথার স্বরে বুঝেছিল।
অন্ধকারে পথ চলার সময় পুরুষটি রাধারাণীর গলার স্বর শুনে বুঝেছিল যে সে একজন বালিকা। তার কণ্ঠে ভীত ও কোমল অনুভব ছিল, যা শুনে সেই ব্যক্তি রাধারাণীর বয়স ও অবস্থান সম্পর্কে ধারণা করতে পেরেছিল।
৫. “এইরূপে সে ব্যক্তি রাধারাণীকে লইয়া চলিল।” — ‘সে ব্যক্তি’ কে? এবং ‘এইরূপে’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: ‘সে ব্যক্তি’ হলেন সেই অজ্ঞাত পুরুষ, যিনি রাধারাণীর ঘাড়ে পড়েছিলেন এবং তার সঙ্গে কথা বলেছিলেন।
‘এইরূপে’ বলতে বোঝানো হয়েছে, সহৃদয় ব্যক্তি রাধারাণীর কষ্ট জানার পর তাকে আশ্বস্ত করেন এবং বলেন, তিনিও শ্রীরামপুর যাবেন। তিনি রাধারাণীকে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন এবং তার হাত ধরে নিয়ে এগিয়ে চলেন।
৬. “তাঁহার নাম রুক্মিণীকুমার রায়।” — বক্তা কে? কোন্ প্রসঙ্গে তিনি রুক্মিণীকুমারের নামোল্লেখ করেন?
উত্তর: রাধারাণীর বিধবা মা।
রথের মেলা ভেঙে যাওয়ার পর অন্ধকার পথে এক অজ্ঞাত সহৃদয় ব্যক্তি রাধারাণীকে তার কুটিরে পৌঁছে দেন। যাওয়ার সময় তিনি কিছু না বলে ঘরের কোণে একটি কাগজের নোট রেখে যান। পরে রাধারাণী ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে সেই নোটটি খুঁজে পায় এবং তার মা-কে দেখায়। নোটে লেখা নাম পড়ে রাধারাণীর মা বলেন, “তাঁহার নাম রুক্মিণীকুমার রায়।” এই ভাবেই সেই সহৃদয় ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়।
৭. “… একজন জ্ঞাতির একটি মোকদ্দমা হয়।” — কার সঙ্গে মোকদ্দমা হয়েছিল? এই মোকদ্দমার প্রভাব সম্পর্কে লেখো।
উত্তর: কার সঙ্গে মোকদ্দমা হয়েছিল: রাধারাণীর মায়ের সঙ্গে তাদের এক জ্ঞাতির মোকদ্দমা হয়।
রাধারাণীর পিতার মৃত্যুর পর বিষয়সম্পত্তির অধিকার নিয়ে রাধারাণীর মায়ের বিরুদ্ধে সেই জ্ঞাতি মোকদ্দমা করে। হাইকোর্টে রাধারাণীর মা হেরে গেলে জ্ঞাতি ডিক্রি জারি করে তাদের ভদ্রাসন থেকে উচ্ছেদ করে। ঘর-বাড়ি, অলংকার সব কিছু বিক্রি করে প্রিভি কাউন্সিলে আপিল করলেও তাতে কোনো লাভ হয়নি। এমনকি আহারের সংস্থানও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মা ও মেয়ে এক কুটিরে আশ্রয় নিয়ে শ্রম করে জীবনধারণ করতে বাধ্য হন। এইভাবে মোকদ্দমাটি তাদের জীবনে চরম দৈন্য ও কষ্ট ডেকে আনে।
ক্লাস 9 বাংলা
রাধারাণী গল্পের ৫ মার্কের প্রশ্ন উত্তর
১. রাধারাণী’ গল্প অনুসারে রাধারাণী চরিত্রের পরিচয় দাও।
উত্তর: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘রাধারাণী’ গল্পের মূল চরিত্র হল রাধারাণী। এই চরিত্রের মাধ্যমে এক সহজ-সরল, দায়িত্ববান ও সৎ বালিকার সুন্দর প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে।
কর্তব্যপরায়ণ কন্যা:
রাধারাণীর একমাত্র আপনজন তার অসুস্থ মা। মায়ের পথ্যের জন্য সে বনফুলের মালা গেঁথে রথের মেলায় বিক্রি করতে যায়। এখান থেকেই তার কর্তব্যপরায়ণতা প্রকাশ পায়।
মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা:
বৃষ্টির কারণে মেলা ভেঙে যায়, মালা বিক্রি হয় না। কীভাবে মায়ের জন্য পথ্য জোগাড় করবে, এই চিন্তায় কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফেরে রাধারাণী। এতে তার মায়ের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার গভীরতা বোঝা যায়।
বিচক্ষণতা ও সংবেদনশীলতা:
অন্ধকার পথে এক অচেনা পুরুষ হঠাৎ তার ঘাড়ে এসে পড়ে। প্রথমে ভয় পেলেও পরে তার কণ্ঠস্বর শুনে রাধারাণী বুঝে যায় তিনি সদয় ও নিরীহ। এটি তার বিচক্ষণ মনোভাবের প্রমাণ।
সরল ও অকপট স্বভাব:
অপরিচিত ব্যক্তি দয়ালু মনে হওয়ায় রাধারাণী অকপটে জানায়, সে মেলায় মায়ের পথ্যের জন্য মালা বিক্রি করতে গিয়েছিল। তার সরলতা ও অকপটতা এখানেই স্পষ্ট।
সততা ও নির্লোভতা:
রাধারাণী মনে করে, মালার মূল্যের তুলনায় তাকে বেশি অর্থ দেওয়া হয়েছে। তাই সে বলে, যদি সত্যিই বেশি টাকা দেওয়া হয়ে থাকে, তবে সে তা ফেরত দেবে। এ থেকে তার সততা ও নির্লোভতা প্রকাশ পায়।
সব মিলিয়ে রাধারাণী চরিত্রে আমরা যে গুণাবলির পরিচয় পাই তা হলো—কর্তব্যপরায়ণতা, মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা, বিচক্ষণতা, সরলতা, সততা ও নির্লোভতা। এই গুণগুলোই তাকে একটি আদর্শ ও অনুকরণীয় চরিত্র করে তোলে।
২. ‘তাহারা দরিদ্র, কিন্তু লোভী নহে’—এই উক্তিটির তাৎপর্য লেখো।
উত্তর: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘রাধারাণী’ গল্পের অন্তিম অংশে উক্ত “তাহারা দরিদ্র, কিন্তু লোভী নহে” বাক্যটি ব্যবহৃত হয়েছে। এই উক্তির মাধ্যমে লেখক রাধারাণী ও তার মায়ের চরিত্রের অন্যতম গুণ তুলে ধরেছেন। গল্পে দেখা যায়, মামলায় হেরে গিয়ে মা-মেয়ে সর্বস্ব হারিয়ে এক কুটিরে কষ্টের জীবন কাটাচ্ছিল। অসুস্থ মায়ের পথ্য জোগাড় করতে রাধারাণী মালা গেঁথে রথের মেলায় বিক্রি করতে যায়, কিন্তু বৃষ্টির জন্য তা ব্যর্থ হয়। এক দয়ালু ব্যক্তি তার সব মালা কিনে প্রয়োজনের চেয়েও বেশি অর্থ এবং একটি শাড়ি পাঠান। রাধারাণী ও তার মা বুঝতে পারেন, এটি দান। তারা সেই অর্থ খরচ না-করে রেখে দেন এবং রুক্মিণীকুমার রায়কে খুঁজে ফিরিয়ে দিতে চান। এতে বোঝা যায়, তারা অভাবী হলেও অযাচিত উপকার গ্রহণে আগ্রহী নয়। তারা অর্থ বা সম্পদের লোভে অন্ধ নয়, তাদের আত্মসম্মানবোধ প্রবল। তাই লেখক বলেন—“তাহারা দরিদ্র, কিন্তু লোভী নহে।” উক্তিটি এই দুই চরিত্রের সততা, আত্মমর্যাদা ও নৈতিকতার প্রতীক।
৩. ‘রুক্মিণীকুমার রায়ের দ্বারা রাধারাণীরা কীভাবে উপকৃত হয়েছিল, তা ‘রাধারাণী’ গল্পানুসারে লেখো।
অথবা, ‘তাঁহার নাম রুক্মিণীকুমার রায়।’—রুক্মিণীকুমার রায়ের যে পরিচয় পাওয়া যায়, তা নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তর: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘রাধারাণী’ গল্পে রুক্মিণীকুমার রায় একজন দয়ালু, পরোপকারী এবং মানবতাবাদী চরিত্র হিসেবে চিহ্নিত হন। তিনি নিঃস্বার্থভাবে এক দরিদ্র মা-মেয়েকে সাহায্য করে একটি বড় মানবিক উদাহরণ স্থাপন করেন।
গল্পে দেখা যায়, রাধারাণী অসুস্থ মায়ের পথ্য কেনার জন্য রথের মেলায় মালা বিক্রি করতে গিয়েছিল। কিন্তু প্রবল বৃষ্টির জন্য মেলা ভেঙে যায় এবং মালা বিক্রির সুযোগও নষ্ট হয়। তখন দুশ্চিন্তায় কাঁদতে কাঁদতে রাধারাণী বাড়ি ফিরছিল। ঠিক সেই সময় রুক্মিণীকুমার রায় নামক এক অচেনা ভদ্রলোক রাধারাণীর সঙ্গে দেখা করেন এবং তাকে সান্ত্বনা দেন। তিনি রাধারাণীর গাঁথা সমস্ত মালা কিনে নেন এবং তার বিনিময়ে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি অর্থ প্রদান করেন।
তিনি শুধু অর্থই দেননি, দোকান থেকে একটি শাড়িও কিনে পাঠান রাধারাণীর মায়ের জন্য। কুটিরে একটি ‘নোট’ রেখে নিজের নামও লিখে যান, যাতে কেউ ভুল করে রাধারাণীকে চোর ভেবে না বসে। তিনি সমস্ত কাজ নিঃশব্দে, প্রচারবিমুখভাবে করেছেন। এতে তাঁর দয়াশীলতা, বিচক্ষণতা এবং সহানুভূতিশীল মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে।
এইভাবে রুক্মিণীকুমার রায়ের সাহায্যে রাধারাণীরা যেমন আর্থিকভাবে উপকৃত হয়েছে, তেমনি তাঁরা পেয়েছেন এক মানবিক হৃদয়ের স্পর্শ, যা তাঁদের দুর্দিনে আশার আলো জুগিয়েছে।
৪. ‘অগত্যা রাধারাণী কাঁদিতে কাঁদিতে ফিরিল।’—রাধারাণী কে? সে কোথায় কী উদ্দেশ্যে গিয়েছিল? সে কাঁদতে কাঁদতে ফিরল কেন?
উত্তর: রাধারাণী বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘রাধারাণী’ গল্পের প্রধান চরিত্র। সে দশ-এগারো বছরের এক সহজসরল, অকপট ও মাতৃভক্ত বালিকা। পিতার মৃত্যুর পরে মায়ের সঙ্গে এক কুটিরে দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করত সে।
রাধারাণী গিয়েছিল মাহেশের রথের মেলায়। অসুস্থ মায়ের পথ্যের জন্য অর্থ জোগাড় করতে সে বনফুলের মালা গেঁথে বিক্রির উদ্দেশ্যে মেলায় গিয়েছিল। তার মনে ছিল একমাত্র ভাবনা—কিছু অর্থ উপার্জন করে মায়ের প্রয়োজন মেটানো।
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, রথের টান চলাকালেই প্রবল বর্ষণের ফলে মেলা ভেঙে যায়। ফলে তার একটি মালাও বিক্রি হয় না। দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, মায়ের পথ্যের চিন্তায় মন ব্যাকুল হয়ে ওঠে। দুশ্চিন্তা, হতাশা ও দারিদ্র্যের যন্ত্রণায় সে কাঁদতে কাঁদতে অন্ধকার পিচ্ছিল পথ ধরে কুটিরে ফিরে আসতে থাকে।
নবম শ্রেণী বাংলা
রাধারাণী গল্পের ৫ মার্কের প্রশ্ন উত্তর
৫. যে ঘাড়ের উপর আসিয়া পড়িয়াছিল, সে বলিল,—’
‘সে’ কে? তাঁর সঙ্গে রাধারাণীর কী কথাবার্তা হয়েছিল, তা নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তর: ‘সে’ বলতে বোঝানো হয়েছে সেই অজ্ঞাত পরিচয় ভদ্রলোককে, যিনি পরবর্তীতে নিজের নাম জানান রুক্মিণীকুমার রায় বলে। রাধারাণী যখন রথের মেলা থেকে কাঁদতে কাঁদতে ফিরছিল, তখন অন্ধকার ও বৃষ্টিভেজা রাস্তায় তিনি অনিচ্ছাকৃতভাবে তার গায়ের উপর এসে পড়েন।
ভীত হয়ে রাধারাণী উচ্চস্বরে কেঁদে ওঠে। তখন সেই ভদ্রলোক স্নেহভরে জিজ্ঞাসা করেন—’কে গা তুমি? কাঁদ কেন?’ কণ্ঠস্বরে সহানুভূতি টের পেয়ে রাধারাণী নিজের অবস্থার কথা বলেন—সে একটি গরিব ঘরের মেয়ে, মা ছাড়া তার কেউ নেই, আর মায়ের পথ্যের জন্য মালা বিক্রি করতে গিয়েছিল মেলায়, কিন্তু বৃষ্টির জন্য কিছুই বিক্রি হয়নি। ভদ্রলোক তখন তাকে বলেন যে, তিনিও শ্রীরামপুরে যাচ্ছেন, তাই রাধারাণীকে তার কুটির পর্যন্ত পৌঁছে দেবেন।
তিনি রাধারাণীকে হাত ধরতে বলেন, যাতে পিছলে না পড়ে। পথে যেতে যেতে রাধারাণীর মালাগুলি কিনে নিতে চান এবং বিনিময়ে কিছু মুদ্রাও দেন। রাধারাণী সন্দেহ করে মুদ্রাগুলি টাকা কিনা। তখন তিনি জানান—সেগুলি নতুন কলের পয়সা, তাই চকচক করছে। রাধারাণী বলে, কুটিরে পৌঁছে আলোয় দেখে যদি টাকা হয়, তবে সে ফিরিয়ে দেবে।
এইভাবে অচেনা সেই ভদ্রলোক ও রাধারাণীর মধ্যে এক মানবিক ও সংবেদনশীল কথোপকথন হয়েছিল।
৬. ‘আমরাও ভিখারি হইয়াছি, দান গ্রহণ করিয়া খরচ করি।’ – বক্তার এমন মন্তব্যের প্রেক্ষাপট আলোচনা করে বুঝিয়ে দাও।
উত্তর: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘রাধারাণী’ গল্পে ‘আমরাও ভিখারি হইয়াছি, দান গ্রহণ করিয়া খরচ করি।’—এই উক্তিটি রাধারাণীর মা বলেছেন। গল্পের প্রেক্ষাপটে, রাধারাণী এবং তার মা দুটি খুব কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। রাধারাণীর বাবা মারা যাওয়ার পর তারা অভাব-অনটনে জীবন কাটাচ্ছিল। মায়ের অসুস্থতা এবং ঘরে আহারের অভাব ছিল। এই অবস্থায় রাধারাণী রথের মেলায় বনফুলের মালা গেঁথে বিক্রির জন্য গিয়েছিল, যাতে তার মায়ের জন্য পথ্য সংগ্রহ করতে পারে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে মেলা ভেঙে যায় এবং রাধারাণীর কোনো মালাও বিক্রি হয় না।
এদিকে, এক অজ্ঞাত ব্যক্তি (যিনি পরে রুক্মিণীকুমার রায় হিসেবে পরিচিত হন) রাধারাণীকে সাহায্য করেন। তিনি রাধারাণীর সমস্ত মালাগুলি কিনে নেন এবং অধিক মূল্য প্রদান করেন। সেই ব্যক্তি রাধারাণীকে তার কুটির পর্যন্ত পৌঁছে দেন এবং তাঁর দান যে সত্যিই একটি দয়ার প্রমাণ, তা রাধারাণী পরে বুঝতে পারে।
যখন রাধারাণী মাকে সমস্ত ঘটনা জানায়, তখন তার মা এই উক্তিটি করেন, ‘আমরাও ভিখারি হইয়াছি, দান গ্রহণ করিয়া খরচ করি।’ এই উক্তির মাধ্যমে তিনি বুঝিয়ে দেন যে, তাঁরা অভাবী হলেও সমাজের সাহায্য গ্রহণ করছেন। সেই সাহায্য তাদের জীবনের প্রয়োজনে অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে, আর এই দান গ্রহণের মাধ্যমে তাদের জীবনে কিছুটা হলেও সান্ত্বনা এসেছে। তাঁর এই মন্তব্য দানের গুরুত্ব এবং মানবিক সাহায্যের প্রমাণ দেয়।
এই প্রেক্ষাপটের মধ্যে, মা রাধারাণীকে শেখান যে কখনো সাহায্য নেওয়ায় লজ্জা নেই, বিশেষত যখন তা অন্ধকারাচ্ছন্ন জীবনকে একটু আলোকিত করতে পারে।
আরও দেখো: মাধ্যমিক বাংলা পথের দাবী গল্পের প্রশ্ন উত্তর
নবম শ্রেণী বাংলা / রাধারাণী গল্পের প্রশ্ন উত্তর