নবম শ্রেণী বাংলা নব নব সৃষ্টি গল্পের প্রশ্ন উত্তর

নবম শ্রেণী বাংলা নব নব সৃষ্টি (সৈয়দ মুজতবা আলী) গল্পের প্রশ্ন উত্তর // নব নব সৃষ্টি গল্পের বিষয়বস্তু

নবম শ্রেণী বাংলা নব নব সৃষ্টি গল্পের MCQ প্রশ্ন উত্তর

১. বাংলা ভাষায় যে বিদেশি ভাষাটি তুলনামূলকভাবে কম ঢুকেছে তা হল —
(A) ফরাসি
(B) আরবী
(C) ফারসি
(D) সংস্কৃত

উত্তর: ফরাসি।

২. ইরানি আর্য সাহিত্য কোনটি?
(A) ফরাসি
(B) আরবী
(C) ফারসি
(D) বাংলা

উত্তর: ফারসি।

৩. বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্য সৃষ্টি কোনটি?
(A) পদাবলী কীর্তন
(B) চর্যাপদ
(C) বাউল
(D) অনুবাদ

উত্তর: পদাবলী কীর্তন।

৪. হিন্দি পদ্যের উপর প্রভাব বেশি পড়েছিল যে ভাষার তা হলো —
(A) সংস্কৃত
(B) আরবী
(C) ফারসি
(D) উর্দু

উত্তর: ফারসি

৫. ভারতীয় আর্যগণ যে ভাষার সৌন্দর্যমুক্ত হয়েছিলেন —
(A) উর্দু
(B) ফারসি
(C) আরবী
(D) তেলেগু

উত্তর: ফারসি।

৬. প্রাচীন যুগের সব ভাষাই –
(A) আত্মনির্ভরশীল ও স্বয়ংসম্পূর্ণ
(B) পরনির্ভরশীল
(C) বর্তমানে অপ্রচলিত
(D) বহুল প্রচলিত

উত্তর: আত্মনির্ভরশীল ও স্বয়ংসম্পূর্ণ।

৭. রচনার ভাষা নির্ভর করে –
(A) তার লেখকের মানসিকতার উপর
(B) তার বিষয়বস্তুর উপর
(C) রচনার সময়কালের উপর
(D) পাঠকে০র চাহিদার উপর

উত্তর: তার বিষয়বস্তুর উপর।

৮. বাঙালির চরিত্রে বিদ্রোহ –
(A) বিদ্যমান নয়
(B) অল্প পরিমাণে বিদ্যমান
(C) বিদ্যমান
(D) বহুলরূপে বিদ্যমান

উত্তর: বিদ্যমান।

৯. প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলীর মতে বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যসৃষ্টি তার-
(A) মঙ্গলকাব্যে
(B) চর্যাগানে
(C) পদাবলী কীর্তনে
(D) বাউল গানে

উত্তর: পদাবলী কীর্তনে।

১০. উর্দুকে ফার্সির অনুকরণ থেকে কিঞ্চিৎ নিষ্কৃতি দিতে সক্ষম হয়েছিলেন-
(A) কবি ইকবাল
(B) নিদা ফজিল
(C) আলি সরদার জাফরি
(D) মির্জা গালিব

উত্তর: কবি ইকবাল।

১১. এদের মধ্যে প্রাচীন যুগের ভাষা নয় –
(A) গ্রিক।
(B) এসপেরান্তো
(C) আবেস্তা
(D) হিব্রু

উত্তর: এসপেরান্তো।

১২. ‘নব নব সৃষ্টি’ গল্পের রচয়িতা কে?
(A) সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ
(B) সৈয়দ মুজতবা আলী
(C) সৈয়দ আলী হোসেন
(D) সৈয়দ হোসেন শাহ

উত্তর: সৈয়দ মুজতবা আলী।

১৩. যে ভাষা আত্মনির্ভরশীল নয় তা হল —
(A) গ্রীক
(B) আবেস্তা
(C) ইংরেজি
(D) হিব্রু

উত্তর: ইংরেজি।

১৪. প্রাচীন যুগের ভাষা কোনটি?
(A) ফারসি
(B) হিব্রু
(C) ইংরেজি
(D) আবেস্তা

উত্তর: হিব্রু

১৫. হিন্দির বঙ্কিম হলেন —
(A) প্রেমচাঁদ
(B) গুলজার
(C) ইকবাল
(D) নিরীলা
উত্তর: প্রেমচাঁদ।

নবম শ্রেণী বাংলা নব নব সৃষ্টি গল্পের ছোট প্রশ্ন উত্তর (প্রশ্নমান: ১)

(i) লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী বিস্তর সংস্কৃত শব্দ বাংলায় প্রবেশের কারণ কী বলেছেন?

উত্তর: প্রাচীন যুগ থেকেই বাংলাদেশে সংস্কৃত ভাষার চর্চা ছিল। ফলে বিস্তর সংস্কৃত শব্দ বাংলায় প্রবেশ করেছে।

(ii) কোন্ বিশেষ বিশেষ বিদ্যাচর্চায় ইংরেজি অবশ্যই প্রয়ােজন বলে লেখক মনে করেন?

উত্তর: দর্শন, নন্দনশা, পদার্থবিদ্যা, রসায়নবিদ্যার মতাে বিদ্যাচর্চায় ইংরেজি অবশই প্রয়ােজন বলে লেখক মনে করেন।

(iii) “এই দুই ভাষা থেকে ব্যাপকভাবে আর নূতন শব্দ বাংলাতে ঢুকবে।” — কোন্ দুই ভাষার কথা এখানে বলা হয়েছে?

উত্তর: নব নব সৃষ্টি’ রচনাংশে সৈয়দ মুজতবা আলী দুই ভাষা বলতে আরবি এবং ফারসি ভাষার কথা বলেছেন।

(iv) হিন্দি গদ্যের ওপর কোন্ ভাষার প্রভাব পড়ার কথা বলেছেন লেখক?

উত্তর: হিন্দি গদ্যের ওপর ফারসি ভাষার প্রভাব পড়ার কথা বলেছেন।

(v) লেখক ভারতীয় আর্যরা কোন্ ভাষার সৌন্দর্যে বেশি অভিভূত হয়েছিল?

উত্তর: ভারতীয় আর্যরা ফারসি ভাষার সৌন্দর্যে বেশি অভিভূত হয়েছিল।

(vi) “ভারতবর্ষীয় এ তিন ভাষা ফার্সির মতাে নব নব সৃষ্টি দিয়ে ঐশ্বর্যশালী সাহিত্যসৃষ্টি করতে পারল না।” — ভারতবর্ষের এ তিন ভাষা কী কী?

উত্তর: ভারতবর্ষীয় এ তিন ভাষা’ বলতে সিদ্ধি, উর্দু এবং কাশ্মীরি ভাষাকে বােঝানাে হয়েছে।

(vii) ‘নব নব সৃষ্টি’ রচনাংশে লেখক কোন্ উর্দু কবির কথা উল্লেখ করেছেন?

উত্তর: ‘নব নব সৃষ্টি’ রচনাংশে লেখক উর্দু কবি ইকবালের কথা উল্লেখ করেছেন।

(viii) সৈয়দ মুজতবা আলীর মতে বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যসৃষ্টি কোনটি?

উত্তর: সৈয়দ মুজতবা আলী বলেছেন যে, বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যসৃষ্টি হল পদাবলি কীর্তন।

(ix) বাংলার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যসৃষ্টি কী?

উত্তর: বাংলার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যসৃষ্টি পদাবলী কির্তন।

(x) হিন্দি পদ্যের ওপর কোন্‌ ভাষার প্রভাব পড়েছে?

উত্তর: হিন্দি পদ্যের ওপর আরবি – ফার্সি ভাষার প্রভাব পড়েছে।

(xi) আরবি-ফারসি শব্দের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করাকে কে ‘আহাম্মুখী’ বলে মনে করতেন?

উত্তর: পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী আরবি-ফারসি শব্দের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণাকে ‘আহাম্মুখী’ মনে করতেন।

(xii) ‘আলাল’ ও ‘হুতোম’ কী?

উত্তর: ‘টেকচাঁদ’ ছদ্মনামে প্যারীচাঁদ মিত্রের গদ্যগ্রন্থ ‘আলালের ঘরের দুলাল’, ‘আলাল’ নামে এবং ‘হুতোম প্যাঁচা’ ছদ্মনামে কালীপ্রসন্ন সিংহের লেখা ‘হুতোম প্যাঁচার নক্সা’ ‘হুতোম’ নামে পরিচিত।

(xiii) ‘তার উল্লেখ এ স্থলে নিষ্প্রয়োজন’- কাদের কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: ‘নব নব সৃষ্টি’ প্রবন্ধে ‘আলাল’ ও ‘হুতোম’-এর গদ্য ভাষার উল্লেখ প্রসঙ্গে এ কথা বলা হয়েছে।

(xiv) হিন্দি ভাষাসাহিত্যের বঙ্কিম কাকে বলা হয়?

উত্তর: প্রেমচন্দ্রকে হিন্দি সাহিত্যের বঙ্কিমচন্দ্র বলা হয়।

নবম শ্রেণী বাংলা নব নব সৃষ্টি গল্পের 3 মার্কের প্রশ্ন ও উত্তর

১. ‘সংস্কৃত ভাষা আত্মনির্ভরশীল।- কেন সংস্কৃত ভাষা সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে?

অথবা, ‘সংস্কৃতকে স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাষা বলাতে কারও কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়। -উক্তিটির তাৎপর্য লেখো।

উত্তর: কোনো ভাষার সমৃদ্ধি নির্ভর করে উক্ত ভাষার শব্দভান্ডারের উৎকর্ষতার ওপরে। যে-ভাষার শব্দভান্ডার যত সমৃদ্ধ সেই ভাষা ততই আত্মনির্ভরশীল। কোনো নতুন চিন্তা, অনুভূতি বা বস্তুর জন্য নতুন শব্দের প্রয়োজন হলে সংস্কৃত নিজের ভান্ডারের কোনো ধাতু বা শব্দের অদলবদল ঘটিয়ে অথবা পুরোনো ধাতু দিয়ে নতুন শব্দটি গঠন করে নেয়; অন্য ভাষার শব্দভান্ডারের ওপর নির্ভর করে না। সংস্কৃত বিদেশি শব্দ গ্রহণ করলেও তা অতি নগণ্য। এই কারণেই সংস্কৃতকে আত্মনির্ভরশীল ভাষা বলা যায়।

২. ‘এই দুই বিদেশি বস্তুর ন্যায়…।’ ‘এই দুই’ বলতে লেখক কী বুঝিয়েছেন? উক্তিটির প্রসঙ্গ নির্ণয় করো।

উত্তর: সৈয়দ মুজতবা আলী তাঁর ‘নব নব সৃষ্টি’ প্রবন্ধে ‘এই দুই’ বলতে আলু-কপি এবং বিদেশি ওষুধকে বুঝিয়েছেন।

বাংলা ভাষা স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় বলে নতুন শব্দের জন্য আজও অনেক ক্ষেত্রেই অন্যভাষা থেকে শব্দ ঋণ করতে হয়। বহুকাল ধরেই বাংলা ভাষায় বহু বিদেশি শব্দ প্রবেশ করেছে। শুধু দৈনন্দিন জীবনে খাদ্যদ্রব্য নয়, বিদেশি ওষুধও আমরা গ্রহণ করছি বিদেশি ভাষার মতোই। বর্তমানে বাংলা শব্দভান্ডারে বিদেশি শব্দের আবশ্যিকতা প্রসঙ্গেই লেখক উদ্ধৃত উক্তিটি করেছেন।

৩. ‘পৃথিবীতে কোনো জিনিসই সম্পূর্ণ অসম্ভব নয়। -বক্তা কোন্ প্রসঙ্গে এরূপ মন্তব্য করেছেন?

অথবা, ‘তরুণ পাঠকেরা নিশ্চয়ই দেখে যাবেন’-বক্তা কোন্ প্রসঙ্গে কী দেখে যাওয়ার কথা বলেছেন?

উত্তর: উদ্ধৃত অংশটির বস্তা হলেন ‘নব নব সৃষ্টি’ প্রবন্ধের লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী।

লেখকের মতে, বর্তমানে বহু সাহিত্যিক চেষ্টা করছেন হিন্দি ভাষা থেকে আরবি, ফারসি ও ইংরেজি ভাষাকে তাড়িয়ে দিতে। চেষ্টার ফল হয়তো তিনি দেখে যেতে পারবেন না, তবে তরুণ পাঠকেরা দেখতে পারবেন বলে লেখকের ধারণা। কাজটি অত্যন্ত কঠিন হলেও চেষ্টা করে দেখতে বাধা কোথায়! এই প্রসঙ্গেই লেখক আলোচ্য মন্তব্যটি করেছেন।

নবম শ্রেণী বাংলা নব নব সৃষ্টি গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর (প্রশ্নমান: 5)

১. “বর্তমান যুগের ইংরেজি ও বাংলা আত্মনির্ভরশীল নয়।” — ‘নব নব সৃষ্টি’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক কীভাবে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন?

Ans: প্রাচীন যুগের সংস্কৃত ভাষা তো বটেই, তা ছাড়া হিব্রু, গ্রিক, আবেস্তা প্রভৃতি সব ভাষাই ছিল আত্মনির্ভরশীল। কিন্তু বর্তমান যুগের ইংরেজি ও বাংলা ভাষা আত্মনির্ভরশীল নয়। কারণ, প্রয়োজনে কিংবা অপ্রয়োজনে ভিন্ন ভিন্ন ভাষা থেকে শব্দ গৃহীত হয়েছে ও হচ্ছে। পাঠান-মোগল শাসন যুগে আইন-আদালত, খাজনাখারিজ ব্যাপারে নতুন নতুন শব্দের জন্য আরবি ও ফারসি ভাষা থেকে শব্দ নিতে হয়েছিল। তার পরবর্তী ইংরেজ শাসন যুগে ইংরেজি ভাষার মাধ্যমে নিতে হয়েছে কিংবা হচ্ছে অন্যান্য ভাষা থেকে শব্দ। ইংরেজির মাধ্যমে প্রচুর ইউরোপীয় শব্দ আমাদের বাংলা ভাষায় ঢুকেছে। কাজেই বর্তমান বাংলা ভাষা আত্মনির্ভরশীল নয়।

২. সংস্কৃতকে স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাষা বলাতে কারও কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়।” ‘স্বয়ংসম্পূর্ণ’ শব্দের অর্থ লেখো। সংস্কৃত কেন স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাষার মর্যাদা পেতে পারে?

Ans: ‘স্বয়ংসম্পূর্ণ’ কথার অর্থ যা নিজ দ্বারা সম্পূর্ণ বা যার নিজ ভিন্ন অন্য কারুর সাহায্যের প্রয়োজন নেই।প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলি তাঁর ‘নব নব সৃষ্টি’ প্রবন্ধাংশে সংস্কৃত ভাষাকে ‘স্বয়ংসম্পূর্ণ’ বলে উল্লেখ করেছেন। এর কারণ কোনো নূতন চিন্তা, অনুভুতি কিংবা বস্তুর জন্য নবীন শব্দের প্রয়োজন হলে সংস্কৃত ভাষা অন্য কোন ভাষা থেকে শব্দ ধার না করে নিজ শব্দ ভাণ্ডার থেকে নতুন শব্দের অনুসন্ধান করে। কোনো ধাতু বা শব্দের সামান্য অদল বদল করে বা পুরানো ধাতু দিয়ে নবীন শব্দের সৃষ্টি করে। সংস্কৃত ভাষাতেও বিদেশী শব্দের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়, কিন্তু তা এতই যতসামান্য যে তা সহজেই উপেক্ষা করা যায়। তাই লেখকের মতে সংস্কৃত ভাষা স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাষার মর্যাদা পেতে পারে।

৩. নূতন আমদানিও বন্ধ করা যাবে না।” – ‘নূতন আমদানি’র কোন্‌ কোন্‌ প্রসঙ্গ এক্ষেত্রে এনেছেন লেখক? ভাষার ক্ষেত্রে ‘নূতন আমদানি’ বন্ধ করা যাবে না কেন?

Ans: প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলি বাংলা ভাষায় বিদেশী ভাষায় ব্যবহার প্রসঙ্গে ‘নূতন আমদানি বন্ধ করা যাবে না’ উক্তিটি করেছেন। তাঁর মতে প্রাচীন যুগের সকল ভাষাই স্বয়ংসম্পূর্ণ, প্রাচীন ভাষার ক্ষেত্রে নূতন কোনো চিন্তা, অনুভুতি কিংবা বস্তুর জন্য নবীন শব্দের প্রয়োজন হলে তা নিজ শব্দভাণ্ডারের পরিবর্তিত রূপ হিসাবে ব্যবহার হত।

কিন্তু বাংলা বা ইংরেজি ভাষার মত অপেক্ষাকৃত নতুন ভাষার ক্ষেত্রে বিদেশী শব্দের প্রভাব বা ‘নূতন আমদানি’ যথেষ্ট বেশি। ইংরেজি বা বাংলার মত নবীন ভাষার ক্ষেত্রে বিদেশী শব্দের প্রভাব বা প্রাবন্ধিকের ভাষায় ‘নূতন আমদানি’ বন্ধ করা অসম্ভব। কারণ প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে আমরা বিদেশী ভাষা থেকে শব্দবন্ধ আমাদের নিজেদের ভাষায় নিয়ে এসেছি, যেমন আইন – আদালত এই বহুল প্রচলিত শব্দগুলি আরবি শব্দভান্ডার থেকে এসেছে, তেমনই আতর (সুগন্ধি) শব্দটি এসেছে ফার্সি শব্দভাণ্ডার থেকে। তাই এই ধরণের শব্দগুলি আমাদের ভাষার মধ্যে মিশে গেছে, যা আজ আলাদা করা একপ্রকার অসম্ভব।

আবার শিক্ষার মাধ্যমরূপে ইংরেজিকে বর্জন করে বাংলাকে গ্রহণ করার পরে বাংলা ভাষায় আরো বেশি ইউরোপীয় শব্দের ব্যবহার লক্ষ্য করা যাবে। অপরদিকে আগামীদিনে প্রয়োজনের তাদিগে বিদেশী দ্রব্যের ব্যবহারের মাধ্যে দিয়ে (যেমন বিদেশী ওষুধ) নতুন শব্দ ‘আমদানী’ হবে।

৪. বাংলায় সংস্কৃত ও ইংরেজি ভাষার চর্চা এখনও প্রয়োজন বলে লেখক মনে করেছেন কেন?

অথবা, ‘বাংলাতে এখনও আমাদের বহু সংস্কৃত শব্দের প্রয়োজন… ইংরেজির বেলাতেও তাই।’ -এখনও প্রয়োজন বলে লেখক কেন মনে করেছেন?

উত্তর: প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলী ‘নব নব সৃষ্টি’ প্রবন্ধে বাংলা ভাষায় বিদেশি ভাষার প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত ও সুন্দর আলোচনা করেছেন। সেই প্রেক্ষিতেই তিনি বলেছেন নানা সময়েই নানা কারণে বাংলা ভাষায় বিদেশি শব্দের প্রবেশ ঘটেছে, তাতে বাংলা শব্দভাণ্ডারই সমৃদ্ধ হয়েছে। এখনও বাংলার প্রয়োজনেই বিদেশি ভাষাচর্চার প্রয়োজন আছে।

সংস্কৃত ভাষার প্রভাব:

দীর্ঘকাল এদেশে সংস্কৃতচর্চা বর্তমান ছিল। ফলে যুগ যুগ ধরে বহু সংস্কৃত শব্দ বাংলা শব্দভান্ডারে প্রবেশ করেছে। বাংলা শব্দভান্ডারে স্থিত তৎসম, তদ্ভব বা অর্ধতৎসম শব্দ তো প্রকৃতপক্ষে সংস্কৃত শব্দেরই দান। এখনও প্রয়োজনীয় বহু বাংলা নতুন শব্দ তৈরির জন্য সংস্কৃত শব্দভাণ্ডারের ধাতু বা শব্দের ওপর নির্ভর করতে হয়। যতদিন সংস্কৃতচর্চা বাংলায় থাকবে ততদিন এভাবেই বাংলা ভাষায় সংস্কৃতের প্রভাব বজায় থাকবে। তাই লেখক বলেছেন- “সংস্কৃতচর্চা উঠিয়ে দিলে আমরা অন্যতম প্রধান খাদ্য থেকে বঞ্চিত হব।”

ইংরেজি শব্দের প্রভাব:

এদেশে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার এবং দীর্ঘদিন এদেশে ইংরেজশাসন বর্তমান থাকায় বহু ইংরেজি শব্দ বাংলা শব্দভান্ডারে অবলীলায় প্রবেশ করেছে। বাংলা শব্দের অপ্রতুলতার কারণেই এখনও দর্শনতত্ত্ব, বিজ্ঞানচর্চা, নন্দনতত্ত্বের ক্ষেত্রে বহু ইংরেজি শব্দ আমরা ব্যবহার করে থাকি। অর্থাৎ টেকনিক্যাল শব্দের প্রয়োজনে ইংরেজির ওপরে নির্ভর করতে হয়।
এই কারণেই লেখকের মনে হয়েছে যে বাংলায় এখনও সংস্কৃত ও ইংরেজির চর্চা প্রয়োজন।

৫. ‘ধর্ম বদলালেই জাতির চরিত্র বদলায় না।’- উদ্ধৃতাংশের তাৎপর্য আলোচনা করো।

অথবা, ‘ধর্ম বদলালেই জাতির চরিত্র বদলায় না।’ -কোন্ প্রসঙ্গে এ কথা বলা হয়েছে? কথাটির তাৎপর্য লেখো।

উত্তর:

প্রসঙ্গ:

প্রশ্নের এই অংশটি বহুভাষাবিদ সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত ‘নব নব সৃষ্টি’ নামক প্রবন্ধ থেকে নেওয়া হয়েছে। বাংলা ভাষায় বিদেশি শব্দের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে লেখক বাঙালি জাতির বৈশিষ্ট্যের প্রতি আলোকপাত করেন। সেই প্রসঙ্গেই তিনি আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।

তাৎপর্য:

‘ধর্ম’ কথার অর্থ হল ধারণকারী কিন্তু যুগে যুগে তা হয়ে উঠেছে প্রথাগত এক সংস্কার। আলোচ্য প্রবন্ধে লেখক হিন্দু ও মুসলিম ধর্মের কথাই বলেছেন। আবার জাতি বলতে দুই বাংলার মিলিত হিন্দু-মুসলিম তথা বাংলা ভাষাভাষী মানবজাতিকেই বোঝাতে চেয়েছেন।

বিদ্রোহী সত্তা:

পরকে আপন করার সহজাত বৈশিষ্ট্য যেমন বাঙালির আছে, তেমনই বাঙালি জাতির এক মৌলিক বৈশিষ্ট্য হল বিদ্রোহী সত্তার প্রকাশ। রাজনীতি, ধর্ম-সাহিত্য যেখানেই অসত্য-অসুন্দরের প্রকাশ ঘটেছে সেখানেই সত্য-শিব-সুন্দরের প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাঙালির বিদ্রোহী সত্তা জাগ্রত হয়েছে। গতানুগতিকতা বা ঐতিহ্যের দোহাই দিয়ে অমর্ত্যকে মেনে নেয়নি বাঙালি। তবে বিদ্রোহ যেখানে উচ্ছৃঙ্খল রূপ পেয়েছে, সেখানে উচ্ছৃঙ্খলতার বিরুদ্ধেও বাঙালি রুখে দাঁড়িয়েছে।

আত্মিক ঐক্য:

হিন্দু ও মুসলিমের ধর্মীয় চেতনা পৃথক হলেও বাঙালি জাতিরূপে তাদের আত্মিক বন্ধনকে তা শিথিল করতে পারেনি। অর্থাৎ সত্য-শিব-সুন্দরের সাধনায় হিন্দু, মুসলমান উভয়েই সমান তৎপর হয়েছে। বাঙালি জাতিরূপে তারা একত্রে কাজে যুক্ত হয়েছে। ধর্মীয় প্রভেদ বাঙালির জাতীয় চরিত্রকে বদলাতে পারেনি বলে লেখকের বিশ্বাস। এ কারণেই প্রাবন্ধিক আলোচ্য মন্তব্যটি করেছেন।

৬. ‘বিদেশি শব্দ নেওয়া ভালো না মন্দ সে প্রশ্ন অবান্তর।’ -উদ্ধৃতাংশের তাৎপর্য আলোচনা করো।

অথবা, ‘নব নব সৃষ্টি’ প্রবন্ধে লেখকের বিদেশি শব্দ ব্যবহারের ভাবনা সম্পর্কে আলোচনা করো।

উত্তর: সৈয়দ মুজতবা আলী ‘নব নব সৃষ্টি’ প্রবন্ধে আলোচনা প্রসঙ্গে বলেছেন যে, বর্তমানে বাংলা ভাষায় বিদেশি শব্দ নেওয়া ভালো না খারাপ সেই প্রশ্ন ওঠাই অবান্তর। নানা যুক্তির মাধ্যমে লেখক তার মন্তব্যের সত্যতা প্রমাণের চেষ্টা করেছেন।

নিত্যকার জীবনে এর ব্যবহার

লেখকের মতে, আমাদের নিত্যদিনের ব্যবহার্য সবজি আলু-কপি এদেশীয় সবজি নয়, কিন্তু এরা আমাদের রান্নাঘরে এমনভাবে স্থান করে নিয়েছে যে, এদেরকে আর আমরা বর্জন করার চিন্তাও করতে পারি না। প্রতিদিন আমরা নানাপ্রকার বিদেশি ওষুধ গ্রহণ করি, ভবিষ্যতেও এর ব্যবহার বাড়বে তো কমবে না বলেই লেখকের বিশ্বাস।

সাহিত্যিকদের রচনায় আরবি-ফারসি

আমাদের খ্যাতিমান লেখকগণ অনেকেই বাংলা ভাষায় প্রয়োজনে আরবি-ফারসির ব্যবহার করেছেন। রবীন্দ্রনাথ স্বচ্ছন্দে তাঁর রচনায় আবু, ইমান, ইজ্জত ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করেছেন। নজরুল ইসলাম ইনকিলাব, শহিদ ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করেছেন। বিদ্যাসাগর বেনামে অসাধু রচনায় চুটিয়ে আরবি-ফারসির প্রয়োগ করেছেন। ‘হিন্দির বঙ্কিম’ প্রেমচন্দ্র পর্যন্ত হিন্দি রচনায় বহু আরবি-ফারসির প্রয়োগ ঘটিয়েছেন। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী তো আরবি- ফারসির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণাকে ‘আহাম্মুখী’ বলেছেন।

দীর্ঘকাল এদেশে ইংরেজশাসন প্রচলিত থাকায় বহু ইংরেজি শব্দ আমাদের শব্দভান্ডারে প্রবেশ করেছে। আরও ইউরোপীয় শব্দ আগামীতেও আমাদের – ভাষায় ঢুকবে বলে লেখকের ধারণা।

এইভাবে নানা দৃষ্টান্তের মাধ্যমে প্রাবন্ধিক দেখিয়েছেন কোনো ভাষা – নিজের শব্দভান্ডারের অভাব পূরণের জন্য অতীতে বহু বিদেশি শব্দগ্রহণ করেছে এবং আগামী দিনেও তা অব্যাহত থাকবে। অর্থাৎ বাংলায় বিদেশি শব্দ আছে ও থাকবে। এই কারণেই লেখক আলোচ্য মন্তব্যটি করেছেন।

আরও দেখো:

১. নবম শ্রেণী দ্বিতীয় ইউনিট টেস্ট ভূগোল বিষয় প্রশ্নপত্র

নব নব সৃষ্টি গল্পের বিষয়বস্তু আলোচনা করো।

সংস্কৃত ভাষা আত্মনির্ভরশীল হওয়ায়, নতুন শব্দের প্রয়োজনে তাকে অন্যান্য ভাষার শব্দ ধার করতে হয় না। বরং এ ভাষা তার শব্দভাণ্ডারে গচ্ছিত শব্দের সামান্য অদলবদল ঘটিয়ে নতুন শব্দ তৈরির ওপর জোর দেয়। সংস্কৃত বিদেশি শব্দ গ্রহণ করলেও তা খুবই অল্প। তাই সংস্কৃত এক • স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাষার মর্যাদা পেয়েছে। প্রাচীন যুগের হিব্রু, গ্রিক, আবেস্তা ও আরবিও তাই। তবে বর্তমান সময়ের ইংরেজি ও বাংলা আত্মনির্ভরশীল ভাষা নয়। কারণ আমরা প্রয়োজনে ও অপ্রয়োজনে বিভিন্ন ভাষা থেকে শব্দ নিয়ে চলেছি। পাঠান-মোগল যুগে আমরা যেমন আরবি-ফারসি শব্দ নিয়েছি, তেমনি পরবর্তীতে ইংরেজি এবং ইংরেজি মারফত অন্যান্য ভাষার অনেক বিদেশি শব্দ গ্রহণ করেছি। রান্নাঘরের আলু-কপি, বিদেশি ওষুধ কিংবা আরও নতুন নতুন যেসব জিনিস আবিষ্কৃত হবে, ঠিক সেগুলির মতো ভাষাতেও বিদেশি শব্দের উপস্থিতি ও আমদানি বন্ধ হওয়ার নয়।

নবম শ্রেণী।। বাংলা।। নব নব সৃষ্টি।। সৈয়দ মুজতবা আলী

তবে কোনো কিছু চেষ্টা করতে দোষ নেই। হিন্দি সাহিত্যে সেরকম একটা চেষ্টা হচ্ছে, অর্থাৎ সেখান থেকে আরবি, ফারসি ও ইংরেজি শব্দের নির্বাসনের একটা প্রয়াস শুরু হয়েছে। যদিও সেই প্রচেষ্টার সার্থকতা সংশয়াতীত নয়। বাংলায় রবীন্দ্রনাথ, বঙ্কিম, নজরুল, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী বা হিন্দির প্রেমচন্দ্ররাও তাঁদের রচনাতে স্বচ্ছন্দে আরবি-ফারসির ব্যবহার করেছেন। কিন্তু এক্ষেত্রে উল্লেখ করার প্রয়োজন এই যে, রচনার ভাষা তার বিষয়বস্তুর ওপর নির্ভর করে। শংকর দর্শন, মোগলাই রেস্তোরাঁর বর্ণনা, বসুমতীর সম্পাদকীয় ভাষা কিংবা ‘বাঁকা চোখ’-এর ভাষা কোনোদিন এক হতে পারে না।

বাংলা ভাষায় আরবি, ফারসি ও ইংরেজি-এই তিন বিদেশি শব্দের প্রাধান্যই বেশি। অন্যগুলি ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আর সংস্কৃত বিদেশি ভাষা নয়। এ ভাষার চর্চা এদেশে বিস্তর ছিল, আছে ও থাকবে- তাই সংস্কৃতচর্চা উঠিয়ে দিয়ে আমরা আমাদের প্রধান খাদ্য থেকে বঞ্চিত হতে পারি না। ঠিক একইভাবে বলা যেতে পারে ইংরেজিচর্চা বন্ধ করার সময় এখনও আসেনি। বাংলায় এমন কোনো বই এখনও বেরোয়নি যা থেকে নন্দনশাস্ত্র, দর্শন, পদার্থবিদ্যা, রসায়নবিদ্যা ইত্যাদি সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়া যাবে। তবে আরবি-ফারসির চর্চা সম্পর্কে আমরা অনীহা দেখাতেই পারি, কারণ এই দুই ভাষার প্রতি উভয় বাংলার তরুণদের অনীহা লক্ষ করা যাচ্ছে।

নবম শ্রেণী দ্বিতীয় ইউনিট টেস্ট ইতিহাস বিষয়ের প্রশ্নপত্র

আবার কিছু আরবি-ফারসি শব্দ বাংলাতে এমনভাবে প্রবেশ করেছে যে, সেগুলি আরও বহুকাল ধরে বাংলা ভাষায় চালু থাকবে। বর্তমানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণে ছাত্রছাত্রীদের পুরোনো বাংলা পড়তে হচ্ছে, আর সেই সূত্র ধরেই লেখকেরা নতুন বিদেশি শব্দসন্ধানের তাগিদ ছেড়ে ‘চন্ডী’ থেকে ‘হুতোম’ পর্যন্ত অচলিত আরবি-ফারসি শব্দ তুলে এনে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন। একদা ভারতীয় মক্তব-মাদ্রাসায় আরবি ভাষা পড়ানো হলেও, ভারতীয় আর্যরা ইরানি-আর্য তথা ফারসির প্রতি বেশি অনুরক্ত হয়ে পড়েছিল।

তাই উর্দু ও হিন্দি সাহিত্যের মূল সুর কিন্তু ফারসির সঙ্গে বাঁধা। ইরানে যেমন আর্য ইরানি ভাষা ও সেমিতি আরবি ভাষার সংঘর্ষে নবীন ফারসির জন্ম হয়েছিল, ভারতে একইভাবে সিন্ধি, উর্দু ও কাশ্মীরি সাহিত্যের সৃষ্টি হয়। যদিও ভারতবর্ষীয় এই ভাষা-ত্রয়ী ফারসির মতো ঐশ্বর্যশালী সাহিত্যসৃষ্টি করতে পারেনি। একমাত্র উর্দু কবি ইকবাল একটা ক্ষীণ চেষ্টার মাধ্যমে উর্দুকে ফারসির অনুকরণ থেকে কিছুটা মুক্তি দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। বাংলা ভাষার আলোচনা করলে দেখা যায়; বাঙালির শ্রেষ্ঠ সাহিত্য নিদর্শন তার পদাবলি কীর্তনে। এর প্রাণ ও দেহ উভয়ই খাঁটি বাঙালি।

নবম শ্রেণী দ্বিতীয় ইউনিট টেস্ট বাংলা বিষয়ের প্রশ্নপত্র

এজন্যেই মহাভারতের শ্রীকৃয় আমাদের ঘরের কানু হয়ে আর শ্রীরাধিকা খাঁটি বাঙালি মেয়ের মতো ভাটিয়ালির নায়িকা, বাউলের ভক্ত, মুরশিদিয়ার আশিক হিসেবে একই চরিত্রে – লীন হয়ে যায় বিদ্রোহ বাঙালির রক্তে। রাজনীতি-ধর্ম-সাহিত্য-যেখানেই বাঙালি সত্য-শিব-সুন্দরের সন্ধান পেয়েছে, তখনই তাকে সে গ্রহণ করতে চেয়েছে। কিন্তু কেউ তাকে গতানুগতিক পন্থা কিংবা প্রাচীন ঐতিহ্যের দোহাই দিতে চাইলেই সে তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে। সে-বিদ্রোহ উচ্ছৃঙ্খলতায় পরিণত হলে, আবার সেই উচ্ছৃঙ্খলতার বিরুদ্ধেও বিদ্রোহ হয়েছে। তবে এ বিদ্রোহ শুধু বাঙালি হিন্দুর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না; বাঙালি মুসলমানও এ ব্যাপারে তৎপর ছিল। কারণ ধর্মীয় বিভিন্নতার নিরিখে কখনও জাতির চরিত্রবদল ঘটে না।

Leave a Comment

CLOSE

You cannot copy content of this page