ভরদুপুরে কবিতার প্রশ্ন উত্তর ক্লাস 6 বাংলা নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী

এখানে ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা ভরদুপুরে কবিতার প্রশ্ন উত্তর // ক্লাস 6 বাংলা নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী

Class 6
বিষয়: বাংলা
ভরদুপুরে কবিতার প্রশ্ন উত্তর

‘ভরদুপুরে’ কবিতায় কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী গ্রামবাংলার একটি গ্রীষ্মের দুপুরের শান্ত, নিঝুম ছবিটি এঁকেছেন। দুপুর রোদে পথ চলতে চলতে ক্লান্ত হয়ে পথিক ছায়াঘেরা অশ্বত্থ গাছটির নীচে নিশ্চিন্তে আশ্রয় নেয়। গাছের তলার নরম সবুজ ঘাসের গালচে তাকে আদর করে ডেকে নেয়। গোরু চরানোর ফাঁকে গাছের তলায় শুয়ে জিরিয়ে নিতে নিতে রাখাল ছেলে আপনমনে নীল আকাশে সাদা মেঘের আসা-যাওয়ার খেলা দেখে বিভোর হয়ে পড়ে। নদীর ঘাটে বাঁধা থাকে শুকনো খড়ের আঁটিবোঝাই নৌকা। এলোমেলো হাওয়ায় এদিক-ওদিক হালকা মিহি ধুলো উড়ে বেড়ায়। এরকম শান্ত দুপুরে যে যার ঘরের দরজা এঁটে নিশ্চিন্ত ঘুমে ডুবে আছে। কবির কল্পনা, প্রকৃতিও যেন যাবতীয় হট্টগোল ভুলে আঁচল পেতে ঘুমিয়ে আছে। সে কথা খুব অল্প কয়েকজনই টের পায়।

Class 6
বিষয়: বাংলা
ভরদুপুরে কবিতার হাতে-কলমে প্রশ্ন উত্তর

১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও।

১.১ নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর জন্মস্থান কোথায়?

উত্তর: নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর জন্মস্থান হল বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলা।

১.২ তাঁর লেখা দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখো।

উত্তর: নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর লেখা দুটি কাব্যগ্রন্থ হল নীল নির্জন এবং অন্ধকার বারান্দা।

২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও।

২.১ ‘অশথ গাছ’কে পথিকজনের ছাতা বলা হয়েছে কেন?

উত্তর: পথিকরা রোদের তাপ থেকে রক্ষা পেতে অশ্বত্থ গাছের ছায়ায় আশ্রয় নেয় বলে তাকে পথিকজনের ছাতা বলা হয়েছে।

২.২ রাখালরা গাছের তলায় শুয়ে কী দেখছে?

উত্তর: রাখালরা গাছের তলায় শুয়ে আকাশে সাদা মেঘের আসা-যাওয়ার খেলা দেখছে।

২.৩ নদীর ধারের কোন্ দৃশ্য কবিতায় ফুটে উঠেছে?

উত্তর: নদীর ধারে শুকনো খড়ের আঁটি বোঝাই একটি নৌকা বাঁধা থাকার দৃশ্য কবিতায় ফুটে উঠেছে।

৩. একই অর্থযুক্ত শব্দ কবিতা থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো।

উত্তর:
তৃণ – ঘাস
তটিনী – নদী
গোরক্ষক – রাখাল
পৃথিবী – ভুবন
জলধর – মেঘ

৪. নীচের বিশেষ্য শব্দগুলিকে বিশেষণে ও বিশেষণ শব্দগুলিকে বিশেষ্যে পরিবর্তিত করো।

বিশেষ্য থেকে বিশেষণ:
ঘাস → ঘেসো
রাখাল → রাখালিয়া
আকাশ → আকাশি
মাঠ → মেঠো
গাছ → গেছো
লোক → লৌকিক
আদর → আদুরে, আদরণীয়

৫. পাশে দেওয়া শব্দগুলির সঙ্গে উপসর্গ যোগ করে নতুন শব্দ তৈরি করো।

নদী → উপ + নদী = উপনদী
আদর → সম + আদর = সমাদর
বাতাস → সু + বাতাস = সুবাতাস

Class 6
বিষয়: বাংলা
ভরদুপুরে কবিতার হাতে-কলমে প্রশ্ন উত্তর

৬. নীচের বাক্য বা বাক্যাংশগুলির থেকে উদ্দেশ্য ও বিধেয় চিহ্নিত করে উদ্দেশ্য অংশের সম্প্রসারণ করো।

৬.১ ওই যে অশথ গাছটি, ও তো পথিকজনের ছাতা।

উদ্দেশ্য: ওই যে অশথ গাছটি, ও তো
বিধেয়: পথিকজনের ছাতা।
উদ্দেশ্যের সম্প্রসারণ: ওই যে বহুদিনের পুরোনো অশথ গাছটি, ও তো

৬.২ কেউ কোথা নেই, বাতাস ওড়ায় মিহিন সাদা ধুলো।

প্রথম বাক্যাংশ: কেউ কোথা নেই
উদ্দেশ্য: কেউ
বিধেয়: কোথা নেই
উদ্দেশ্যের সম্প্রসারণ: আমাকে রাস্তাটা চিনিয়ে দেওয়ার মতো কেউ

দ্বিতীয় বাক্যাংশ: বাতাস ওড়ায় মিহিন সাদা ধুলো।
উদ্দেশ্য: বাতাস
বিধেয়: ওড়ায় মিহিন সাদা ধুলো।
উদ্দেশ্যের সম্প্রসারণ: উথালপাথাল পাগল বাতাস

৬.৩ আঁচল পেতে বিশ্বভুবন ঘুমোচ্ছে এইখানে।

উদ্দেশ্য: বিশ্বভুবন
বিধেয়: আঁচল পেতে এইখানে ঘুমোচ্ছে।
উদ্দেশ্যের সম্প্রসারণ: চারপাশের বিশ্বভুবন

৭. ‘বিশ্বভুবন’ শব্দে ‘বিশ্ব’ আর ‘ভুবন’ শব্দদুটির একত্র উপস্থিতি রয়েছে যার অর্থ একই। এমন পাঁচটি নতুন শব্দ তুমি তৈরি করো।
উত্তর: হাওয়াবাতাস, ঝড়ঝঞ্ঝা, ব্যবসাবাণিজ্য, আড়াল-আবডাল, জামাকাপড়

৮. ‘ওই যে অশথ গাছটি…’ অংশে ‘ওই’ একটি দূরত্ববাচক নির্দেশক সর্বনাম। এমন আরও কয়েকটি সর্বনামের উদাহরণ দাও।
উত্তর: কয়েকটি দূরত্ববাচক নির্দেশক সর্বনাম হল- ওটা, ওগুলো, ওখানে, ওঁকে, ওঁদের ইত্যাদি।

৯. ‘পথিকজনের ছাতা’- সম্বন্ধপদটি চিহ্নিত করো, কবিতায় থাকা সম্বন্ধপদ খুঁজে লেখো আর নতুন সম্বন্ধপদযুক্ত শব্দ তৈরি করো।

উত্তর: ‘পথিকজনের ছাতা’- সম্বন্ধপদ হল ‘পথিকজনের’।
কবিতায় থাকা সম্বন্ধপদ: ‘ঘাসের’, ‘গাছের’, ‘খোলের’, ‘খড়ের’, ‘নদীর’, ‘কাদের’, ‘যার’।
নতুন সম্বন্ধপদযুক্ত শব্দ: মামার বাড়ি, বাঘের গল্প, মনের কথা, খেলার সঙ্গী, স্কুলের বন্ধু ইত্যাদি।

১০. ‘ওই বড়ো নৌকাটি’ বলতে বোঝায় একটি নৌকাকে। নৌকার সঙ্গে এখানে ‘টি’ নির্দেশক বসিয়ে একবচন বোঝানো হয়েছে। এরকম একটিমাত্র বা একবচনের রূপ বোঝাতে কোন্ কোন্ নির্দেশক ব্যবহৃত হতে পারে, তা উদাহরণ দিয়ে লেখো।

উত্তর: একটিমাত্র বা একবচনের রূপ বোঝাতে ব্যবহৃত অন্যান্য নির্দেশক:

টা (উদাহরণ: বইটা)
খানি (উদাহরণ: আসনখানি)
খানা (উদাহরণ: গানখানা)

১১. কবিতা থেকে বহুবচনের প্রয়োগ রয়েছে এমন শব্দ খুঁজে নিয়ে লেখো। প্রসঙ্গত, শব্দকে আর কী কী ভাবে আমরা বহুবচনের রূপ দিতে পারি, তা উদাহরণের সাহায্যে বুঝিয়ে দাও।

উত্তর: কবিতায় ব্যবহৃত বহুবচনের উদাহরণ: গোরুবাছুর, কাদের, লোকগুলো

শব্দকে আরও নানাভাবে বহুবচনের রূপ দেওয়া যায়। উদাহরণ:

একই শব্দ দুইবার ব্যবহার করে: ঘরে ঘরে আলো জ্বলছে।
শব্দের আগে দুইবার বিশেষণ পদ ব্যবহার করে: লাল লাল ফুলে চারদিক ছেয়ে গেছে।
শব্দের পরে ‘রাশি’, ‘মালা’, ‘দল’, ‘পুঞ্জ’, ‘বৃন্দ’, ‘কুল’, ‘সমূহ’, ‘সকল’, ‘সব’ যোগ করে: পুষ্পরাশি, পর্বতমালা, দ্বীপপুঞ্জ, পক্ষীকুল, ছাত্রবৃন্দ, যাত্রীদল, বৃক্ষসমূহ, ভাইসব, বন্ধুসকল।
সম্বন্ধপদের সঙ্গে ‘পাল’ বা ‘দল’ যোগ করে: গোরুর পাল, হাতির দল।
শব্দের শুরুতে ‘সকল’, ‘বিস্তর’, ‘সব’, ‘অনেক’ যোগ করে: সকল দেশবাসী, বিস্তর লোক, সব জায়গা, অনেক বই।

ষষ্ঠ শ্রেণী
বিষয়: বাংলা
ভরদুপুরে কবিতার হাতে-কলমে প্রশ্ন উত্তর

১২. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখো।
১২.১ “আঁচল পেতে বিশ্বভুবন ঘুমোচ্ছে এইখানে”- কবির এমন ভাবনার কারণ কী?

উত্তর: কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী গ্রামবাংলার এক গ্রীষ্মের দুপুরের শান্ত, নিস্তব্ধ পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। দুপুরে সবাই ঘরের ভেতরে বিশ্রাম নিচ্ছে। পথের ধারের অশ্বত্থ গাছটি তার ছায়া মেলে পথিককে আশ্রয় দিয়েছে। গোরুবাছুর চরে বেড়াচ্ছে, রাখাল শুয়ে আকাশের মেঘের খেলা দেখছে। বাতাস ধুলো উড়িয়ে যেন অলস খেলা খেলছে। নদীর ধারে খড়বোঝাই নৌকা বাঁধা। এই নিস্তরঙ্গ পরিবেশে কোনো কোলাহল নেই, সব যেন গভীর নিদ্রায় আচ্ছন্ন। এই শান্তি ও অলসতার ছবি দেখে কবি মনে করেছেন, প্রকৃতিও যেন তার আঁচল পেতে বিশ্রামে লীন হয়েছে। তাই তিনি বলেছেন, ‘আঁচল পেতে বিশ্বভুবন ঘুমোচ্ছে এইখানে।’

১২.২ ‘ভরদুপুরে’ কবিতায় গ্রামবাংলার এক অলস দুপুরের ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। কবিতায় ফুটে ওঠা সেই ছবিটি কেমন লেখো।

উত্তর: ‘ভরদুপুরে’ কবিতায় কবি গ্রামবাংলার এক গ্রীষ্মের দুপুরের শান্ত, নিস্তব্ধ ছবি এঁকেছেন। দুপুরে চারপাশ নিঝুম। পথিক ক্লান্ত হয়ে অশ্বত্থ গাছের তলায় ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছে। নরম ঘাস পথিককে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। গোরুবাছুর চরে বেড়াচ্ছে, রাখাল ছেলে গাছতলায় শুয়ে আকাশে মেঘের খেলা দেখে বিভোর। নদীর ঘাটে খড়বোঝাই নৌকা বাঁধা, কিন্তু তার আশেপাশে কেউ নেই। হালকা হাওয়ায় ধুলোর কণা এদিক-ওদিক উড়ছে। গ্রামের মানুষ ঘরের ভেতরে দরজা বন্ধ করে ঘুমোচ্ছে। এই অলস দুপুরে প্রকৃতিও যেন নির্জনতা ও শান্তি উপভোগ করছে। সমস্ত দৃশ্য মিলিয়ে কবি এক নিস্তরঙ্গ, শান্তিময় দুপুরের চিত্র তুলে ধরেছেন।

১২.৩ কোনো এক ছুটির দিনে দুপুরবেলায় তোমার বাড়ির চারপাশ জুড়ে কেমন পরিবেশ সৃষ্টি হয় তা জানিয়ে বন্ধুকে একটি চিঠি লেখো।

উত্তর:

প্রিয় বন্ধু,

তোমার প্রীতি ও শুভেচ্ছা নিও। আশা করি ভালো আছো। আজ ছুটির দিনে দুপুরবেলা আমার বাড়ির চারপাশের পরিবেশের কথা তোমাকে জানাতে ইচ্ছে করছে।

আমাদের গ্রামে দুপুরবেলা খুবই শান্ত থাকে। ছুটির দিন বলে সবাই একটু অলস মেজাজে থাকে। চারপাশে পাখিদের ডাক শুনতে পাই। রোদের তেজে গাছের পাতাগুলো ঝিমিয়ে পড়ে, আর নীচে ছায়া তৈরি করে। গোরু-বাছুর চরে বেড়াচ্ছে, আর মাঝে মাঝে তাদের গলার ঘণ্টার শব্দ শোনা যায়। কোথাও দূরে হালকা হাওয়ায় ধুলোর কণা উড়ে বেড়ায়। বাড়ির আশেপাশে ছোটরা ঘুমিয়ে থাকে, আর বড়রা বারান্দায় বসে গল্প করে।

নদীর ধারে নৌকাগুলো বাঁধা থাকে, জলের ওপর হালকা ঢেউ খেলে যায়। আমিও গাছের তলায় বসে বই পড়ি, কখনো বা আকাশের মেঘ দেখতে দেখতে সময় কাটাই। সব মিলিয়ে পরিবেশটা খুবই সুন্দর আর শান্ত।

তুমি যদি কখনো এখানে আসো, তবে এই পরিবেশে সময় কাটিয়ে ভালো লাগবে। তোমার চিঠির অপেক্ষায় রইলাম।

ইতি,
তোমার বন্ধু
[তোমার নাম]

১২.৪ তোমার দেখা একটি অলস দুপুরের ছবি আঁকো।

উত্তর: নিজেরা আঁকো।

Class 6
বিষয়: বাংলা
ভরদুপুরে কবিতার গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর

১. নীচের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাভিত্তিক প্রশ্নগুলির উত্তর দাও।
১.১ “তলায় ঘাসের গালচে হানি আদর করে পাতা” – ‘আদর করে পাতা’ কেন বলা হয়েছে?

উত্তর: অশ্বত্থ গাছের ছায়ায় মাটির ওপরে নরম ঘাস এমনভাবে গজিয়ে উঠেছে, যেন পরম যত্নে কেউ গালিচা বিছিয়ে দিয়েছে ক্লান্ত পথিককে আপ্যায়ন করার জন্য। তাই বলা হয়েছে, ‘আদর করে পাতা’।

১.২ নৌকো কীভাবে ঘাটে বাঁধা রয়েছে?

উত্তর: নৌকোর খোলের মধ্যে প্রচুর খড় আঁটি বেঁধে থরে থরে সাজানো। কিন্তু এই ভরদুপুরবেলায় নৌকোয় কেউ নেই।

১.৩ “যে জানে, সেই জানে”- বলতে কাদের জানার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: প্রকৃতির রূপ বড়ো সুন্দর। সাধারণ চোখে সেই সৌন্দর্য ধরা পড়ে না। সেই অপরূপ সৌন্দর্য অনুভব করার জন্য মনের উদারতা প্রয়োজন, হৃদয়ের কোমলতা প্রয়োজন। দৈনন্দিন জগতের মধ্যে তার রূপকে ধরা যায় না। নিশ্চুপ অলস দুপুরবেলায় ঘুমিয়ে থাকা প্রকৃতির রূপটিও তাই সকলের চোখে ধরা পড়ে না। তারা হয়তো চারিদিকের নিস্তব্ধতা দেখে ভাবে, চারপাশের সব মানুষ ঘুমিয়ে রয়েছে। কিন্তু প্রকৃতির সৌন্দর্যের যিনি সার্থক দর্শক, তিনিই একমাত্র অনুভব করতে পারেন যে, প্রকৃতি সত্যিই এখানে ঘুমিয়ে আছে।

১.৪ “ও তো / পথিকজনের ছাতা,”-কার লেখা কোন্ কবিতার অংশ? ‘ও’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে? উক্তিটির তাৎপর্য লেখো।

উত্তর: কবি: নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর লেখা ‘ভরদুপুরে’ কবিতার অংশ।
‘ও’ বলতে: অশ্বত্থ গাছের কথা বলা হয়েছে।
উক্তিটির তাৎপর্য: রোদের হাত থেকে বাঁচতে, পথিকের বিশ্রামের জন্য অশ্বত্থ গাছ তার ছায়া মেলে দেয়। এই কারণেই পথের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা অশ্বত্থ গাছ কবির কাছে ‘পথিক জনের ছাতা’ হিসেবেই পরিচিতি পেয়েছে।

১.৫ বিশ্বভুবন কোথায়, কীভাবে ঘুমোচ্ছে তা কবির ভাবনা অনুসরণে লেখো।

উত্তর: কবি বলেন, ‘বিশ্বভুবন’ যেন একটি আঁচল পেতে ঘুমাচ্ছে। অলস দুপুরের নিস্তব্ধ পরিবেশের মধ্যে চারপাশের প্রকৃতি, গাছপালা, মানুষ, জন্তুজানোয়ার সব কিছুই যেন এক অদ্ভুত শান্তিতে ঘুমিয়ে পড়েছে। প্রকৃতির এই শান্তিপূর্ণ অবস্থা পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে।

২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:

২.১ ‘ভরদুপুরে’ কবিতায় লোকগুলো কোথায় ঘুমোচ্ছে?

উত্তর: ‘ভরদুপুরে’ কবিতায় লোকগুলো যে যার ঘরে ঘুমোচ্ছে।

২.২ বিশ্বভুবন কীভাবে ঘুমোচ্ছে?

উত্তর: বিশ্বপ্রকৃতি আঁচল পেতে ঘুমোচ্ছে।

২.৩ কোন্ গাছকে পথিকজনের ছাতা বলা হয়েছে?

উত্তর: অশ্বত্থ গাছকে পথিকজনের ছাতা বলা হয়েছে।

২.৪ অশ্বত্থ গাছের তলায় কী পাতা আছে?

উত্তর: অশ্বত্থ গাছের তলায় ঘাসের গালচে পাতা আছে।

২.৫ রাখাল ছেলে কোথায় শুয়ে আছে?

উত্তর: রাখাল ছেলে অশ্বত্থ গাছের নীচে শুয়ে আছে।

২.৬ মেঘগুলো কী করছে?

উত্তর: মেঘগুলো আকাশটাকে ছুঁয়ে ভেসে যাচ্ছে।

২.৭ নৌকার খোলার মধ্যে কী বোঝাই করা?

উত্তর: নৌকার খোলে শুকনো খড়ের আঁটি বোঝাই করা।

২.৮ গোরুবাছুর কী করছে?

উত্তর: গোরুবাছুর দূরে চরে বেড়াচ্ছে।

২.৯ নৌকার খোলে কী রাখা আছে?

উত্তর: নৌকার খোলে শুকনো খড়ের আঁটি বোঝাই করে রাখা আছে।

৩. সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো:

৩.১ অশ্বত্থ গাছটি কার ছাতা?
ক) রাখাল ছেলের
খ) পথিকজনের
গ) বিশ্বভুবনের
ঘ) গোরুবাছুরের
উত্তর: খ) পথিকজনের

৩.২ গাছের তলায় আদর করে কীসের গালচে পাতা আছে?
ক) পাতা
খ) মাটির
গ) ঘাসের
ঘ) ফুলের
উত্তর: গ) ঘাসের

৩.৩ মেঘগুলো কী ছুঁয়ে চলে যাচ্ছে?
ক) সূর্যটাকে
খ) একে-তাকে
গ) আকাশটাকে
ঘ) চাঁদমামাকে
উত্তর: গ) আকাশটাকে

৩.৪ নৌকার খোলে কী বোঝাই করা আছে?
ক) ধান
খ) খড়
গ) ঘাস
ঘ) গম
উত্তর: খ) খড়

৩.৫ চরছে দূরে-
ক) গোরু-ছাগল
খ) গোরুবাছুর
গ) গোরু-মোষ
ঘ) গরু-শূকর
উত্তর: খ) গোরুবাছুর

৩.৬ কে পথিকজনের ছাতা?
ক) বট গাছ
খ) অশথ গাছ
গ) পিপুল গাছ
ঘ) আম গাছ
উত্তর: খ) অশথ গাছ

৩.৭ আঁচল পেতে কে ঘুমোচ্ছে?
ক) ঘর
খ) বিশ্বভুবন
গ) আম গাছ
ঘ) বকুল গাছ
উত্তর: খ) বিশ্বভুবন

৩.৮ “বাতাস ওড়ায় মিহিন ধুলো”- ‘মিহিন’ শব্দটি যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায় না সেটি হল-
ক) বালি
খ) কাপড়
গ) সুর
ঘ) বৃক্ষ
উত্তর: গ) সুর

৩.৯ ভরদুপুরে অশ্বত্থ গাছের নীচে শুয়ে রাখাল দেখছিল-
ক) মৌমাছির ফুল-ওফুলে বসা
খ) মেঘের খেলা
গ) শুকনো খড় বোঝাই নৌকাটিকে
ঘ) রোদে ঝিমোনো মাঝিকে
উত্তর: খ) মেঘের খেলা

৩.১০ ওই যে গাছটি, ও তো পথিকজনের ছাতা।
(ক) অশথ
(খ) নারকেল
উত্তর: (ক) অশথ

৩.১১ ‘আকাশটাকে ছুঁয়ে’ যায়-
(ক) চাঁদ
(খ) মেঘ
(গ) গাছ
উত্তর: (খ) মেঘ

৩.১২ “চরছে দূরে”-
(ক) গোরু-ছাগল
(খ) গোরুবাছুর
(গ) গোরু-মোষ
উত্তর: (খ) গোরুবাছুর

৩.১৩ বাতাস কী ওড়ায়?
(ক) ঘুড়ি
(খ) ধুলো
(গ) পাখি
(ঘ) খড়
উত্তর: (খ) ধুলো

Class 6
বিষয়: বাংলা
ভরদুপুরে কবিতার গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর

১. অশথ গাছকে পথিকজনের ছাতা বলা হয়েছে কেন?

উত্তর: গ্রীষ্মের দুপুরে ‘অশথ গাছ’ তার অজস্র শাখা-প্রশাখাকে ছাতার মতো বিস্তৃত করে ক্লান্ত পথিককে ছায়া দান করে। তাই ‘অশথ গাছ’-কে পথিকদের ছাতা বলা হয়েছে।

২. নদীর ধারের কোন দৃশ্য কবিতায় ফুটে উঠেছে?

উত্তর: নদীর ধারে বাঁধা রয়েছে শুকনো খড়ের আঁটি বোঝাই আর এক কাঁদার বড় নৌকা বাঁধা রয়েছে—কবিতায় নদীর ধারের এই দৃশ্যটি ফুটে উঠেছে।

৩. রাখাল কোথায় শুয়ে কী দেখছে? তার গরু-বাছুর গুলো কোথায় চরছে?

উত্তর: রাখাল অশথ গাছের তলায় শুয়ে আকাশে মেঘ উড়ে যেতে দেখেছিল।
• তার গরু-বাছুর গুলো দূরে চরছিল।

৪. মানুষ ছাড়া আর কার ঘুমানোর কথা কবিতায় আছে? সে কোথায় ঘুমোচ্ছে?

উত্তর: মানুষ ছাড়া ‘বিশ্বভুবন’ -এর ঘুমানোর কথা ‘ভরদুপুরে’ কবিতায় আছে।
• গ্রাম্য প্রকৃতির নিস্তব্ধ ভরদুপুরে ‘বিশ্বভুবন’ গ্রামের বুকে আঁচল পেতে ঘুমোচ্ছ।

৫. ‘ভরদুপুরে’ কবিতার সঙ্গে তোমার দেখা কোন একটি অলস দুপুরের একটি মিল এবং একটি অমিলের কথা লেখ।

উত্তর: ‘ভরদুপুরে’ কবিতার সঙ্গে মিল আছে, আমার দেখা এমন একটি অলস দুপুর হলো—শীতের দুপুরে বটগাছের নিচে কয়েকজন পথিক বসে আছে আর দূরে মাঠে গরু চরে বেড়াচ্ছে, যা আমি জানালার ধারে বসে দেখছিলাম।
অমিল আছে এমন একটি অলস দুপুর হলো—মেঘে আচ্ছন্ন দুপুর, তারপর হঠাৎ তীব্র গতিতে অঝোরে বৃষ্টি নামল। চারিদিক শুনসান।

আরও দেখো: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচনা

CLOSE

You cannot copy content of this page