এখানে যতীনের জুতো গল্প থেকে প্রশ্ন উত্তর শেয়ার করা হলো। চতুর্থ শ্রেণী বাংলা যতীনের জুতো সুকুমার রায় ক্লাস 4 / পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বাংলার শিক্ষা
চতুর্থ শ্রেণী বাংলা
যতীনের জুতো অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর
১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
১.১. আবোল তাবোল বইটি কার লেখা?
উত্তর: আবোল তাবোল বইটির লেখক সুকুমার রায়।
১.২. তাঁর লেখা দুটি নাটকের নাম লেখো।
উত্তর: সুকুমার রায়ের লেখা দুটি নাটকের নাম হলো – অবাক জলপান এবং লক্ষ্মণের শক্তিশেল।
২. একটি বাক্যে উত্তর দাও :
২.১. নতুন জুতো কিনে এনে যতীনের বাবা তাকে কী বলেছিলেন?
উত্তর: নতুন জুতো কিনে এনে যতীনের বাবা তাকে বলেন যে, এরপর যদি সে জুতো নষ্ট করে তাহলে ওই ছেঁড়া জুতো পরেই তাকে থাকতে হবে।
২.২. যতীনের স্লেট পেনসিলগুলো টুকরো টুকরো কেন?
উত্তর: স্লেট পেনসিলগুলো যতীনের হাত থেকে পড়ে যেত বলে সেগুলো টুকরো টুকরো হয়ে যেত।
২.৩. যতীন কোন্ জিনিসটি যতদিন সম্ভব টিকিয়ে রাখত?
উত্তর: যতীন তার সাধের ঘুড়িটি যতদিন সম্ভব টিকিয়ে রাখত।
২.৪. যতীন কখন রান্নাঘরে গিয়ে উৎপাত করত?
উত্তর: ঘুড়ি ছিঁড়ে গেলে যতীন রান্নাঘরে গিয়ে আঠা চাই বলে উৎপাত করত।
২.৫. খেলার সময়টা সে কীভাবে কাটাতে ভালোবাসত?
উত্তর: খেলার সময়টা সে ঘুড়ি উড়িয়ে কাটাতে ভালোবাসত।
২.৬. যতীন কোথায় দর্জিদের দেখা পেয়েছিল?
উত্তর: কোনো এক অচেনা দেশে পৌঁছে যতীন দর্জিদের দেখা পেয়েছিল।
২.৭. দর্জিরা যতীনকে কী খেতে পরামর্শ দিয়েছিল?
উত্তর: দর্জিরা যতীনকে পেনসিল খেতে পরামর্শ দিয়েছিল।
২.৮. অসহায় যতীনকে সাহায্যের জন্য শেষে কে এগিয়ে এসেছিল?
উত্তর: অসহায় যতীনকে সাহায্যের জন্য শেষে তার সাধের ঘুড়িটি এগিয়ে এসেছিল।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো।
৩.১. যতীন শেষ তিনটে সিঁড়ি ডিঙিয়ে লাফিয়ে পড়ায় কী হয়েছিল?
উত্তর: যতীন শেষ তিনটে সিঁড়ি ডিঙিয়ে লাফিয়ে পড়তেই তার পায়ের নিচের মাটি সরে যায়। তখন ছেঁড়া চটিখানি তাকে শূন্যের ওপর ভাসিয়ে এক অচেনা দেশে নিয়ে যায়।
৩.২. চটি যতীনকে মুচিদের কাছে নিয়ে গিয়েছিল কেন?
উত্তর: মুচিদের মতে, চটিরও প্রাণ আছে। ছিঁড়ে গেলে তাদেরও ব্যথা লাগে। যতীন যখন সিঁড়ি দিয়ে বারবার লাফালাফি করছিল, তখন ছেঁড়া চটিও যন্ত্রণায় কাতর হয়েছিল। এই কারণেই ছেঁড়া চটিজোড়া তাকে মুচিদের কাছে নিয়ে গিয়েছিল।
৩.৩. “মনে থাকে যেন, একটুও লাফাবে না, একটাও সিঁড়ি ডিঙাবে না”— কারা যতীনকে এই কথা বলেছিল? কখন বলেছিল?
উত্তর: অচেনা দেশের মুচিরাই যতীনকে এই কথা বলেছিল।
একটি পাঁচতলা বাড়ির সিঁড়ি ভেঙে উঠতে গিয়ে যতীন তিনবার দুটো সিঁড়ি একসঙ্গে উঠেছিল, পাঁচবার লাফিয়েছিল এবং তিনটে করে সিঁড়ি দু’বার ডিঙিয়েছিল। মুচিদের মতে, এভাবে সিঁড়ি ওঠা উচিত হয়নি। এই প্রসঙ্গেই তারা তাকে সতর্ক করে উক্ত কথাটি বলেছিল।
চতুর্থ শ্রেণী বাংলা
যতীনের জুতো অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর
৪. “আহা সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে, এই ভোগানিতে বাছা আমার বড়ো দুর্বল হয়ে গেছে।”— যতীনের মায়ের এই ভাবনা যদি সত্যিও হয়, তবুও যতীনের লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে না চলার কারণ তোমার যা মনে হয়—পাঁচটি বাক্যে লেখো।
উত্তর: যতীন আগে ভীষণ দুরন্ত ও দামাল স্বভাবের ছিল।
সে কোনো জিনিসই সাবধানে ব্যবহার করত না, তাই সেগুলো তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যেত।
অচেনা দেশে গিয়ে মুচিরা তাকে জুতো মেরামতি আর কাপড় সেলাইয়ের মতো কঠিন কাজ করায়।
সে বুঝতে পারে, কোনো জিনিস নষ্ট করা সহজ হলেও তা সারানো অনেক কঠিন।
এই অভিজ্ঞতা থেকেই সে শিখে নেয় যে, জিনিসপত্র যত্ন করে ব্যবহার করাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।
৫. কে কোন্ কথাটি বলেছে তা মিলিয়ে লেখো।
বক্তা | কথা |
---|---|
ঘুড়ি | তুমি আমাকে যত্ন করেছ, তাই আমি তোমাকে সাহায্য করতে এসেছি। |
দর্জি | বড়ো অন্যায়, বড়ো অন্যায়। শিগগির সেলাই করো। |
বাবা | এবার যদি অমন করে জুতো নষ্ট কর তবে ওই ছেঁড়া জুতোই পরে থাকবে। |
মা | ওরে, এই বেলা মুচি ডেকে সেলাই করা। |
মাস্টারমশাই | তুমি কি বাড়িতে ভাত খেতে পাও না? |
৬. গল্প থেকে অন্তত পাঁচটা ঘটনা খুঁজে নাও এবং সেইসব ঘটনার কারণ পাশাপাশি লেখো।
ঘটনা | কারণ |
---|---|
প্রতিমাসে যতীনের একজোড়া চটি লাগত। | সে সমস্ত জিনিসই খুব বাজেভাবে ব্যবহার করত। |
যতীনের চটির হাঁ আরও বেড়ে গেল। | মুচি ডাকতে সবাই ভুলে গিয়েছিল। |
মুচির দল যতীনকে পেনসিল খেতে দিল। | যতীন পেনসিল চিবোতে ভালোবাসত। |
যতীনের পেনসিলগুলো কাঠ বাদামের খোলার মতো হয়ে গিয়েছিল। | যতীন সবসময় পেনসিল চিবোত। |
যতীন কাঁদছিল। | অজানা দেশে বসে সেলাই করতে তাকে বেশ কষ্ট পেতে হচ্ছিল। |
৭. একই শব্দ পাশাপাশি বসেছে—এরকম যতগুলি পার শব্দজোড়া গল্প থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো।
উত্তর:
জোরে জোরে
চিবিয়ে চিবিয়ে
দুড়দুড়
ছোটো ছোটো
আস্তে আস্তে
টুকরো টুকরো
বোঁ বোঁ
সাঁইসাঁই
ফিসফিস
ছুটতে ছুটতে
বড়ো বড়ো
৮. নীচের শব্দগুলির বিপরীতার্থক শব্দ লিখে তা দিয়ে বাক্য রচনা করো।
শব্দ | বিপরীতার্থক শব্দ | বাক্য |
---|---|---|
সাহস | ভয় | সাঁতার কাটতে গিয়ে এত ভয় পেলে চলে? |
দুষ্টু | শান্ত | অনিন্দ্যর মতো শান্ত ছেলে আর দুটি কেন? |
যত্ন | অযত্ন | নতুন সাইকেল কিনে এত অযত্ন করছ কেন? |
নামা | ওঠা | পাঁচতলা সিঁড়ি ভেঙে ওঠা কি চাট্টিখানি কাজ? |
আরম্ভ | সমাপ্তি | প্রায় দু-ঘণ্টা চলার পর সিনেমার সমাপ্তি হল। |
সম্ভব | অসম্ভব | তোমার অসম্ভব বানিয়ে বলা কথায় আমার এতটুকু বিশ্বাস নেই। |
কষ্ট | আরাম | রোদ থেকে ফিরে ঠান্ডা জল খেয়ে আরাম লাগছিল। |
মন্দ | ভালো | স্বভাবের দিক দিয়ে সুদীপ্ত ভীষণ ভালো ছেলে। |
দুর্বল | সবল | ছেলেটা দেখতেই সবল, গায়ে এতটুকু শক্তি নেই। |
৯. বর্ণ বিশ্লেষণ করো।
সেলাই = স্ + এ + ল্ + আ + ই
চৌকাঠ = চ্ + ও + ক্ + আ + ঠ
সমস্ত = স্ + অ + ম্ + অ + স্ + ত্ + অ
মাতব্বর = ম্ + আ + ত্ + অ + ব্ + অ + র্
মুশকিল = ম্ + উ + শ্ + অ + ক্ + ই + ল্
১১. গল্প থেকে উপযুক্ত শব্দ সংগ্রহ করে শূন্যস্থান পূরণ করো।
১১.১ ———— জোরে কখনোই এ বিদ্রোহ দমন করা যাবে না।
উত্তর: গায়ের জোরে কখনোই এ বিদ্রোহ দমন করা যাবে না।
১১.২ আমরা গত ছুটিতে সবুজ ———— পিকনিক করতে গিয়েছিলাম।
উত্তর: আমরা গত ছুটিতে সবুজ দ্বীপে পিকনিক করতে গিয়েছিলাম।
১১.৩ ————– না করলে অন্যায় করা বেড়ে যায়।
উত্তর: শাসন না করলে অন্যায় করা বেড়ে যায়।
১১.৪ গ্রীষ্মের দুপুরে রঙিন ———— চোখে দিলে আরাম বোধ হয়।
উত্তর: গ্রীষ্মের দুপুরে রঙিন চশমা চোখে দিলে আরাম বোধ হয়।
১১.৫ ————– দিঘার সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠল।
উত্তর: বর্ষায় দিঘার সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠল।
১২. ‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে সংগতি রেখে ‘খ’ স্তম্ভে বাক্য লেখো।
ক-স্তম্ভ | খ-স্তম্ভ |
---|---|
দূরদূর | দূরদূর করে সিঁড়ি ভেঙে ওপরে উঠবে না। |
সাঁইসাঁই | সাঁইসাঁই আওয়াজ করে শুকনো পাতাভরা জঙ্গল পেরিয়ে আমরা এগিয়ে চললাম। |
বোঁ বোঁ | বোঁ বোঁ শব্দে ঝড়ের বাতাস বয়ে চলল। |
মচমচ | মচমচ শব্দে ঘুরতে ঘুরতে চাকতিটা নীচে নেমে এল। |
টনটন | টনটন ব্যথায় সারারাত ঘুম এল না। |
ফিসফিস | ফিসফিস করে কথা না বলে নিজেদের পড়ায় মন দাও। |
১৩. নীচের শব্দগুলো থেকে অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ বর্ণ আলাদা করো।
শব্দ: ধুতি, খুব, ছোটো, কাজে
শব্দ | অল্পপ্রাণ | মহাপ্রাণ |
---|---|---|
ধুতি | ত | ধ |
খুব | ব | খ |
ছোটো | ট | ছ |
কাজে | ক, জ | — |
১৪. গল্পটি পড়ে আমরা যা শিখলাম তার অন্তত তিনটি বিষয় তোমার নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তর:
(১) সব জিনিসই যত্ন নিয়ে ব্যবহার করতে হয়, নষ্ট করা উচিত নয়।
(২) জিনিস নষ্ট করা সহজ, কিন্তু তা মেরামত করা অনেক কঠিন।
(৩) নিজের কাজ যতটা সম্ভব নিজেকেই করার চেষ্টা করা উচিত।
(৪) প্রকৃত শিক্ষাদান একজন শিশুর জীবনে পরিবর্তন আনতে পারে।
চতুর্থ শ্রেণী বাংলা
যতীনের জুতো MCQ প্রশ্ন উত্তর
১. যতীনের নতুন জুতো কিনে এনে তার বাবা কী বললেন?
ক) যত্ন করে পরবে
খ) যদি আবার নষ্ট করো তবে ছেঁড়া জুতাই পরবে
গ) মুচিকে দিয়ে সেলাই করো
ঘ) নতুন আর কিনব না
উত্তর: খ) যদি আবার নষ্ট করো তবে ছেঁড়া জুতাই পরবে
২. যতীনের প্রতি মাসে কী লাগে?
ক) একজোড়া মোজা
খ) একজোড়া চটি
গ) একজোড়া পাজামা
ঘ) একজোড়া শার্ট
উত্তর: খ) একজোড়া চটি
৩. যতীনের ধুতি কতদিন যেতে না যেতেই ছিঁড়ে যেত?
ক) একদিন
খ) দুই দিন
গ) তিন দিন
ঘ) এক সপ্তাহ
উত্তর: খ) দুই দিন
৪. যতীনের বই কেমন অবস্থায় থাকত?
ক) নতুনের মতো
খ) খুব পরিষ্কার
গ) মলাট ছেঁড়া, কোণ দুমড়ানো
ঘ) সুন্দর করে বাঁধানো
উত্তর: গ) মলাট ছেঁড়া, কোণ দুমড়ানো
৫. স্লেটের অবস্থা কেমন ছিল?
ক) চকচকে
খ) একেবারে নতুন
গ) উপরে থেকে নীচ পর্যন্ত ফাটা
ঘ) রঙিন কাগজে মোড়া
উত্তর: গ) উপরে থেকে নীচ পর্যন্ত ফাটা
৬. মাস্টারমশাই কেন যতীনকে বলতেন—”তুমি কি বাড়িতে ভাত খেতে পাও না?”
ক) বই ছিঁড়ত বলে
খ) ধুতি ছিঁড়ত বলে
গ) পেনসিল চিবাত বলে
ঘ) জুতো নষ্ট করত বলে
উত্তর: গ) পেনসিল চিবাত বলে
৭. যতীনের একমাত্র যত্নের জিনিস কী ছিল?
ক) জুতো
খ) বই
গ) ঘুড়ি
ঘ) ধুতি
উত্তর: গ) ঘুড়ি
৮. ঘুড়ির জন্য যতীন প্রায়ই কী চাইত?
ক) নতুন কাপড়
খ) আঠা
গ) বই
ঘ) স্লেট
উত্তর: খ) আঠা
৯. যতীন গাছে চড়তে গিয়ে কী নষ্ট করেছিল?
ক) বই
খ) নতুন কাপড়
গ) ঘুড়ি
ঘ) জুতো
উত্তর: খ) নতুন কাপড়
১০. চটির হাঁ বেড়ে গিয়ে কেমন দেখতে হয়েছিল?
ক) হাসি
খ) কান্না
গ) দাঁত বের করে ভেংচানো
ঘ) ভাঙা পাথর
উত্তর: গ) দাঁত বের করে ভেংচানো
১১. ছেঁড়া চটি যতীনকে কোথায় নিয়ে গেল?
ক) স্কুলে
খ) বাজারে
গ) অচেনা দেশে
ঘ) মাঠে
উত্তর: গ) অচেনা দেশে
১২. অচেনা দেশে যতীন কাদের দেখল?
ক) শিক্ষক
খ) মুচি
গ) দরজি
ঘ) বন্ধু
উত্তর: খ) মুচি
১৩. মুচিরা যতীনকে কী করতে দিল?
ক) কাপড় সেলাই
খ) বই বাঁধাই
গ) জুতো সেলাই
ঘ) ঘুড়ি বানানো
উত্তর: গ) জুতো সেলাই
১৪. মুচিরা যতীনকে কোন শিক্ষা দিতে চাইল?
ক) ধৈর্য ধরে পড়াশোনা
খ) জিনিসপত্রের যত্ন নেওয়া
গ) ঘুড়ি ওড়ানো
ঘ) গান গাওয়া
উত্তর: খ) জিনিসপত্রের যত্ন নেওয়া
১৫. মুচিরা তাকে কোথায় নিয়ে গিয়েছিল জুতো সেলাইয়ের পর?
ক) স্কুলে
খ) দরজিদের কাছে
গ) খেলাঘরে
ঘ) মাঠে
উত্তর: খ) দরজিদের কাছে
১৬. দরজিরা তাকে কী সেলাই করতে দিল?
ক) বই
খ) ঘুড়ি
গ) ধুতি
ঘ) ছাতা
উত্তর: গ) ধুতি
১৭. দরজিরা যতবার সেলাই করত ততবার কী বলত?
ক) ভালো হয়েছে
খ) আবার করো
গ) খোলো, খোলো
ঘ) দ্রুত করো
উত্তর: গ) খোলো, খোলো
১৮. দরজিরা যতীনকে কী খেতে দিল?
ক) ভাত
খ) পেনসিল
গ) রুটি
ঘ) ফল
উত্তর: খ) পেনসিল
১৯. কে এসে যতীনকে উদ্ধার করল?
ক) তার বাবা
খ) তার মা
গ) তার বন্ধু
ঘ) তার ঘুড়ি
উত্তর: ঘ) তার ঘুড়ি
২০. শেষে যতীন কী শিক্ষা পেল?
ক) ঘুড়ির যত্ন নিতে হবে
খ) আর কোনো জিনিস অযত্নে নষ্ট করবে না
গ) জুতো সেলাই শিখতে হবে
ঘ) সবসময় খেলতে হবে
উত্তর: খ) আর কোনো জিনিস অযত্নে নষ্ট করবে না
চতুর্থ শ্রেণী বাংলা
যতীনের জুতো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর
১. “ওরে, এই বেলা মুচি ডেকে সেলাই করা”-বক্তা কে?
উত্তর: উদ্ধৃত অংশটির বক্তা যতীনের মা।
২. যতীন ছেঁড়া কাপড় জুড়তে ক-ফোঁড় সেলাই করেছিল?
উত্তর: যতীন ছেঁড়া কাপড় জুড়তে দু-ফোঁড় সেলাই করেছিল।
৩. যতীন কেন কান্না করছিল?
উত্তর: অপরিচিত দেশে মুচিদের কাজ করতে গিয়ে যতীন খুব কষ্ট পাচ্ছিল, তাই সে কাঁদছিল।
৪. যতীনের বইগুলোর অবস্থা কীরকম ছিল?
উত্তর: যতীনের বইগুলোর মলাট ছেঁড়া, কোণ দুমড়ানো ছিল।
৫. মুচিরা যতীনকে কয়তলা বাড়ির সামনে এনেছিল?
উত্তর: মুচিরা যতীনকে পাঁচতলা বাড়ির সামনে এনেছিল।
৬. যতীনের মা কেন মনে করেছিলেন সে দুর্বল হয়ে গেছে?
উত্তর: সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে ভোগান্তির কারণে যতীনের মা ভেবেছিলেন, ছেলে আগের মতো দুরন্ত নেই, দুর্বল হয়ে গেছে।
৭. যতীনের প্রতি মাসে কয় জোড়া চটি লাগত?
উত্তর: যতীনের প্রতি মাসে একজোড়া করে চটি লাগত।
৮. “আর একটু হলে বেচারিদের প্রাণ বেরিয়ে যেত!” – কারা ‘বেচারি’ বলা হয়েছে?
উত্তর: যতীনের ছিঁড়ে যাওয়া চটিজোড়াকে ‘বেচারি’ বলা হয়েছে।
৯. কারা জড়াজড়ি করে নীচের দিকে পড়ছিল?
উত্তর: যতীন ও তার ঘুড়ি জড়াজড়ি করে নীচের দিকে পড়ছিল।
১০. যতীনের ব্যবহার করা জিনিসগুলোর অবস্থা কীরকম ছিল?
উত্তর: যতীনের চটি আর ধুতি সামান্য দিনই টেকত। বইগুলোর মলাট ছেঁড়া, স্লেট ফাটা, পেনসিলগুলো টুকরো, আর লেড-পেনসিলগুলো গোড়াচিবানো থাকত।
১১. যতীনের ঘুড়িপ্রীতির বর্ণনা দাও।
উত্তর: ঘুড়ি ছিল যতীনের খুব প্রিয় বস্তু। সে খেলার সময় ঘুড়ি ওড়াত। ঘুড়ি ছিঁড়ে গেলে রান্নাঘরে আঠা চাইত, এজন্য সবাইকে বিরক্তও করত। এতেই বোঝা যায় ঘুড়ি ওড়ানো তার নেশার মতো ছিল।
১২. মুচিরা যতীনকে কী শিক্ষা দিয়েছিল?
উত্তর: মুচিরা যতীনকে শিখিয়েছিল যে জিনিস নষ্ট করা সহজ, কিন্তু মেরামত করা কঠিন। তাই জিনিসপত্র যত্ন করে ব্যবহার করা উচিত।
১৩. গল্পের শেষে যতীনের স্বভাবের কী পরিবর্তন ঘটে?
উত্তর: গল্পের শেষে যতীন আগের মতো দস্যিপনা কমিয়ে জিনিসপত্র যত্ন করে ব্যবহার করতে শিখেছিল।
আরও দেখো: আদর্শ ছেলে কবিতার প্রশ্ন উত্তর
ক্লাস 4 বাংলা / যতীনের জুতো অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর