আদাব গল্পের প্রশ্ন উত্তর ক্লাস ৮ বাংলা / সমরেশ বসু

Spread the love

প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা, এই পোস্টে অষ্টম শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের আদাব গল্পের প্রশ্ন উত্তর শেয়ার করা হলো / আদাব (সমরেশ বসু) ক্লাস ৮ বাংলা

অষ্টম শ্রেণী বাংলা
আদাব (সমরেশ বসু) গল্পের বই এর প্রশ্ন উত্তর

১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও।

১.১ সমরেশ বসুর ছদ্মনাম কী?

উত্তর: সমরেশ বসুর প্রধান ছদ্মনাম হলো ‘কালকুট’। তাঁর আরেকটি ছদ্মনাম হলো ‘ভ্রমর’।

১.২ তাঁর লেখা দুটি উপন্যাসের নাম লেখো। [OEQ]

উত্তর: সমরেশ বসুর লেখা দুটি উপন্যাস হলো ‘বি.টি. রোডের ধারে’ এবং ‘গঙ্গা’।

২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও।

২.১ কোন্ সময়পর্বের কথা গল্পে রয়েছে?

উত্তর: ভারতবর্ষে ব্রিটিশ শাসনের শেষপর্বে, অর্থাৎ ১৯৪৬ সালের হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার সময়ের কথা গল্পে রয়েছে।

২.২ “ডাস্টবিনের দুই পাশে দুটি প্রাণী” – প্রাণী দুটির পরিচয় দাও।

উত্তর: এই দুই প্রাণী আসলে দুই বিপন্ন সাধারণ মানুষ—একজন নাওয়ের মাঝি, অন্যজন সুতাকলের মজুর।

২.৩ “ওইটার মধ্যে কী আছো?” – বক্তা কীসের প্রতি ইঙ্গিত করে?

উত্তর: সুতা-মজুর মাঝির বগলে রাখা পুঁটলির প্রতি ইঙ্গিত করে এ কথা বলেছিল।

২.৪ গল্পে কোন নদীর প্রসঙ্গ রয়েছে?

উত্তর: গল্পে বুড়িগঙ্গা নদীর প্রসঙ্গ রয়েছে।

২.৫ “সুতা-মজুরের ঠোঁটের কোণে একটু হাসি ফুটে উঠল…” – তার এই হাসির কারণ কী?

উত্তর: সুতা-মজুর কল্পনা করেছিল, মাঝি বাড়ি ফিরে গেলে তার স্ত্রী বলবে—“মরণের মুখ থেইকা তুমি বাইচা আইছ”। মাঝি কী উত্তর দেবে তা ভেবে সে হাসি চাপতে পারেনি।

৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো।
৩.১ “শহরে ১৪৪ ধারা আর কারফিউ অর্ডার জারি হয়েছে।” — লেখকের অনুসরণে গল্লমউনার রাতের দুঃশা বর্ণনা করো।

উত্তর: সমরেশ বসুর ‘আদাব’ গল্পে শহরের রাতের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির ছবি পাওয়া যায়। দাঙ্গায় উন্মত্ত মানুষ দা, লাঠি, ছুরি, সড়কি হাতে একে অপরকে আক্রমণ করে। চারিদিকে আগুন জ্বলে ওঠে, মৃত্যুভয়ে চিৎকারে বাতাস ভরে যায়। লুঠতরাজে সক্রিয় হয়ে ওঠে দুষ্কৃতীর দল। তারা অন্ধকারকে আড়াল করে ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে, সম্পদ লুঠে নেয়। সেনা ও পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার নামে গুলি চালিয়ে আরও আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়।
এই দুঃসময় এক নরকযন্ত্রণার মতো হয়ে ওঠে—যেখানে মানবিকতা হারিয়ে যায়, শুধু টিকে থাকার সংগ্রামই মুখ্য হয়ে ওঠে।

৩.২ “এ পাঠাতে ডাস্টবিনটা একটু নড়ে উঠল।” — ডাস্টবিন নড়ে ওঠার পর কী দেখা গেল?

উত্তর: গল্পে এক ভীত মানুষ ডাস্টবিনের আড়ালে লুকিয়েছিল। হঠাৎ ডাস্টবিনটা নড়ে উঠতেই তার শরীর ভয়ে শিরশির করে ওঠে। প্রথমে সে ভাবে কোনো কুকুরই হয়তো ডাস্টবিনে ঢুকেছে। কিন্তু আবার যখন ডাস্টবিন নড়ে ওঠে, তখন সে কৌতূহল নিয়ে তাকিয়ে দেখে—ওপাশ থেকেও আরেকটি মাথা ভয়ে লুকিয়ে আছে। একজন মুসলমান মাঝি এবং অন্যজন হিন্দু সুতা-মজুর—দুজনেই একই আশ্রয়ে মৃত্যুভয় থেকে বাঁচতে চেষ্টা করছে। অর্থাৎ ডাস্টবিনের নড়াচড়ার মধ্যে দিয়ে দুই ভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের একসঙ্গে আসার ঘটনা সামনে আসে।

৩.৩ হিন্দু-মুসলমান সম্প্রীতি গল্পে কীভাবে রচিত হয়েছে তা বিশ্লেষণ করো।

উত্তর: ‘আদাব’ গল্পের মূল শক্তি হলো—মানুষের প্রতি মানুষের সহমর্মিতা। ভয়াবহ দাঙ্গার রাতে দুই শ্রমজীবী মানুষ—একজন মুসলমান মাঝি ও একজন হিন্দু সুতা-মজুর—আকস্মিকভাবে মুখোমুখি হয়। প্রথমে তারা ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে সংশয়ে পড়ে, কিন্তু বেঁচে থাকার তাগিদেই একে অপরের কাছে আশ্রয় খোঁজে।
তাদের কথোপকথনে পরিবার, ঘর, সন্তানদের কথা উঠে আসে। তারা প্রশ্ন করে—“এমনভাবে মানুষ নির্মম হয়ে ওঠে কী করে?”
যদিও সাময়িকভাবে সন্দেহ দেখা দেয় (যেমন মাঝির বিড়ি খাওয়া দেখে মজুর বুঝতে পারে সে মুসলমান), কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দাঙ্গার ভয়াবহ সময়কেই দোষ দেয়, ব্যক্তিকে নয়।
এইভাবেই গল্পে দেখা যায়—ধর্ম আলাদা হলেও প্রকৃত মানুষ আসলে একে অপরের সাথেই থেকে যায়। দাঙ্গার রক্তক্ষয়ী বিভেদের মধ্যে মানবিক সম্প্রীতির আলো জ্বেলে তোলে তাদের এই সম্পর্ক।

৩.৪ “মুহূর্তগুলিও কাটে যেন মৃত্যুর প্রতীক্ষার মতো।”—সেই রুদ্ধ উত্তেজনাকর মুহূর্তগুলির ছবি গল্পে কীভাবে ধরা পড়েছে তা দৃষ্টান্ত-সহ আলোচনা করো।

উত্তর: সমরেশ বসুর ‘আদাব’ গল্পে দাঙ্গাকবলিত শহরের ভীতিকর পরিস্থিতি অত্যন্ত বাস্তবভাবে ফুটে উঠেছে। শহরে চলছে ১৪৪ ধারা, কারফিউ, সেনা ও পুলিশের তাণ্ডব। চারিদিকে খুন, অগ্নিসংযোগ ও লুঠতরাজ।
এই ভয়াবহ পরিবেশে রাস্তার এক ডাস্টবিনের আড়ালে মুখোমুখি হয় দুজন সাধারণ মানুষ—একজন মুসলমান মাঝি এবং একজন হিন্দু সুতাকলের মজুর। প্রথমে তারা ভয়ে একে অপরকে খুনি মনে করে। ঠিক সেই সময় কাছে কোথাও দাঙ্গার শোরগোল শুরু হয়, দুপক্ষের চিৎকারে তারা আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। কিন্তু শোরগোল মিলিয়ে গেলে চারপাশ আবার মৃত্যুসম নীরব হয়ে আসে।
এই নিস্তব্ধ ভয়ের মুহূর্ত তাদের কাছে যেন মৃত্যুর প্রতীক্ষার মতো মনে হয়। তারা তখন নিজের ঘর, স্ত্রী, সন্তানদের কথা মনে করে অসহায় হয়ে পড়ে। মানুষ কীভাবে এত নিষ্ঠুর হয়ে উঠতে পারে—এই প্রশ্ন তাদের মনে তীব্র হয়ে ওঠে। লেখক এই রুদ্ধ উত্তেজনাকর মুহূর্তগুলির মধ্যে দিয়ে দাঙ্গার ভয়াবহতায় সাধারণ মানুষের অসহায়তা ও আতঙ্ককে তুলে ধরেছেন।

৩.৫ “এমনভাবে মানুষ নির্মম নিষ্ঠুর হয়ে ওঠে কী করে?”—উদ্ধৃতিটির আলোকে সেই সময়ের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটটি আলোচনা করো।

উত্তর: ‘আদাব’ গল্পে ডাস্টবিনের আড়ালে লুকিয়ে থাকা মাঝি ও সুতাকলের মজুরের মনে এই প্রশ্ন জেগে ওঠে। তারা বিস্মিত হয়—মানুষ কীভাবে এত অমানবিক হয়ে উঠতে পারে।
এই প্রশ্নের পেছনে রয়েছে ১৯৪৬ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট। ইংরেজ শাসকরা দীর্ঘদিন ধরে হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছিল। স্বাধীনতার পূর্ব মুহূর্তে সেই বিভেদ রূপ নেয় রক্তক্ষয়ী দাঙ্গায়। কলকাতা সহ বিভিন্ন শহরে হত্যা, লুঠতরাজ, অগ্নিসংযোগ ও সেনা-পুলিশের গুলিবর্ষণে মানুষ নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ে।
এই ভয়ার্ত পরিস্থিতিতেই গল্পের দুই চরিত্র একে অপরের সান্নিধ্যে এসে মানবিকতার আশ্রয় খোঁজে। তাদের প্রশ্ন আসলে সমগ্র মানবসমাজের হাহাকার—দাঙ্গা, বিভেদ ও হিংসার ভেতরেও মানুষ কি মানুষ হয়ে থাকতে পারে না? সমরেশ বসু এই ঐতিহাসিক পটভূমিতেই মানবিকতা ও সম্প্রীতির গুরুত্ব পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন।

আরও দেখো: স্বাধীনতা কবিতার প্রশ্ন উত্তর / অষ্টম শ্রেণী বাংলা
৪. নিম্নলিখিত বাক্যগুলির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
৪.১ “রাত্রির নিস্তব্ধতাকে কাঁপিয়ে দিয়ে মিলিটারি টহলদার গাড়িটা একবার ভিক্টোরিয়া পার্কের পাশ দিয়ে একটা পাক খেয়ে গেল।” — তাৎপর্য

উদ্ধৃত অংশটি সমরেশ বসুর ‘আদাব’ ছোটোগল্প থেকে নেওয়া হয়েছে। ১৯৪৬ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ভয়াবহ পরিবেশের চিত্র এখানে ফুটে উঠেছে।
দাঙ্গার সময় শহরে ১৪৪ ধারা ও কারফিউ জারি ছিল। চারিদিকে মৃত্যু, লুঠতরাজ, অগ্নিসংযোগ ও আতঙ্কে মানুষ ঘরে লুকিয়ে ছিল। মাঝে মাঝে শোনা যেত খুন-হত্যার হাহাকার। ঠিক এই নিস্তব্ধতার ভেতরেই মিলিটারি টহলদার গাড়ির গর্জন মানুষের মনে নতুন ভয়ের সঞ্চার করত।
লেখক এই বাক্যের মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছেন—শহরের রাতের নিস্তব্ধতা কেবল দাঙ্গাবাজের নয়, বরং সেনাদের ভীতিপ্রদ উপস্থিতিতেও ভরে উঠেছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার নামে সেনারা দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে গুলি চালাত, ফলে সাধারণ মানুষও আতঙ্কে কেঁপে উঠত।
অতএব, এই বাক্যটি শুধু শব্দচিত্র নয়, দাঙ্গাকবলিত শহরের অমানবিক পরিস্থিতি ও মানুষের অন্তর্লুক্কায়িত ভয়কে প্রতীকীভাবে প্রকাশ করে।

৪.২ “ডাস্টবিনের দুইপাশে দুটি প্রাণী, নিস্পন্দ নিশ্চল।” — তাৎপর্য

এই অংশটিও ‘আদাব’ ছোটোগল্প থেকে গৃহীত। দাঙ্গার রাতে রাস্তার মাঝখানে উলটে থাকা একটি ডাস্টবিনের আড়ালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই সাধারণ মানুষ—একজন মুসলমান মাঝি, অপরজন হিন্দু সুতাকলের মজুর।
তারা দুজনেই মৃত্যুভয়ে কাঁপছিল। আতঙ্ক, সন্দেহ ও অবিশ্বাসে তারা একে অপরকে খুনি মনে করেছিল। তাই নিস্পন্দ হয়ে তারা অপেক্ষা করতে থাকে। তাদের চোখের দৃষ্টি স্থির, শ্বাসরোধী উত্তেজনায় ভরপুর।
লেখক এখানে মানুষকে ‘প্রাণী’ বলেছেন—কারণ সেই ভয়াবহ মুহূর্তে তাদের মানবিকতার চেয়ে প্রাণরক্ষার প্রবৃত্তিই প্রধান হয়ে উঠেছিল। তারা সমাজ, ধর্ম, সম্প্রদায় সব ভুলে গিয়ে শুধু মৃত্যুকে এড়াতে চাইছিল।
অতএব, এই বাক্যটি দাঙ্গার অমানবিকতা ও মানুষের অসহায় প্রাণরক্ষার প্রবৃত্তিকে তীব্রভাবে প্রতীকায়িত করে।

৪.৩ “স্থান-কাল ভুলে রাগে-দুঃখে মাঝি প্রায় চেঁচিয়ে ওঠে।” — তাৎপর্য

উত্তর: উদ্ধৃত অংশটি সমরেশ বসুর ‘আদাব’ ছোটোগল্প থেকে নেওয়া হয়েছে। গল্পের প্রেক্ষাপট ১৯৪৬ সালের হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা।

ভয়ংকর অন্ধকার রাতে উলটে থাকা ডাস্টবিনের আড়ালে মুখোমুখি হয়েছিল এক মুসলমান মাঝি ও এক হিন্দু সুতাকলের মজুর। দুজনেই সন্দেহ আর আতঙ্কে কাঁপছিল। মাঝি স্থান পরিবর্তন করতে চাইলে সুতামজুর প্রাণের আশঙ্কায় তাকে বাধা দেয়। এতে মাঝির মনে সন্দেহ জাগে—হয়তো তাকে আটকে রেখে দলবল এনে মেরে ফেলবে। সন্দেহে জর্জরিত হয়ে সে রাগে-দুঃখে স্থান-কাল ভুলে প্রায় চেঁচিয়ে ওঠে।

এই চিৎকারে তার ভিতরের মানুষটি প্রকাশ পায়—সে আতঙ্কিত, কিন্তু খারাপ উদ্দেশ্য নেই। আসলে লেখক এই মুহূর্তের মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছেন যে দাঙ্গার ভয়াবহ পরিবেশেও সাধারণ মানুষ মানবিকতার বোধ হারায় না, যদিও তা সন্দেহ ও অবিশ্বাসের আবরণে ঢেকে থাকে।

৪.৪ “অন্ধকারের মধ্যে দু জোড়া চোখ অবিশ্বাসে উত্তেজনায় আবার বড়ো বড়ো হয়ে উঠল।” — তাৎপর্য

উত্তর: এই উদ্ধৃতিও ‘আদাব’ গল্প থেকে নেওয়া। দাঙ্গাকবলিত রাতের সেই ভীতিকর মুহূর্তে ডাস্টবিনের আড়ালে আশ্রয় নিয়েছিল দুজন—একজন মুসলমান মাঝি, অপরজন হিন্দু সুতামজুর।

একসময় সুতামজুর বিড়ি বাড়িয়ে দেয় মাঝির দিকে। দেশলাই জ্বালাতে গিয়ে মাঝির মুখে হঠাৎ বেরিয়ে আসে “সুবহান আল্লা” শব্দটি। এতে সুতামজুর তৎক্ষণাৎ বুঝে যায় যে মাঝি মুসলমান। সঙ্গে সঙ্গে তার ঠোঁট থেকে বিড়ি পড়ে যায়। অন্ধকারে আতঙ্কে ও অবিশ্বাসে তাদের দু’জনের চোখ আবার বড়ো বড়ো হয়ে ওঠে, ঠিক প্রথম দেখার মতোই।

এই বাক্যের তাৎপর্য হলো—দাঙ্গার বিভীষিকাময় পরিবেশে মানুষের মনে সন্দেহ, আতঙ্ক ও অবিশ্বাস এতটাই তীব্র হয়ে উঠেছিল যে ধর্মপরিচয় জানার সঙ্গে সঙ্গেই মানুষ মানুষকে সম্ভাব্য খুনি বলে ভাবত। লেখক এই চিত্রকল্পের মাধ্যমে দাঙ্গার সময়ে সাধারণ মানুষের মানসিক সংকট ও ভয়ের বাস্তব রূপ ফুটিয়ে তুলেছেন।

৪.৫ “সুতা-মজুরের বুকের মধ্যে টনটন করে ওঠে।”

উত্তর: বাংলা সাহিত্যের খ্যাতনামা কথাসাহিত্যিক সমরেশ বসু রচিত ‘আদাব’ শীর্ষক ছোটোগল্প থেকে উদ্ধৃত অংশটি গৃহীত হয়েছে।

গল্পের প্রেক্ষাপট ১৯৪৬ সালের ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। চারদিকে ভীতি, মৃত্যু, রক্তপাত—মানুষ তখন মানুষকে সন্দেহ করছে, ভ্রাতৃত্বের বন্ধন ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। সেই অবস্থায় শহরের এক অন্ধকার গলিতে ডাস্টবিনের আড়ালে একসঙ্গে আশ্রয় নেয় দুই ভিন্ন ধর্মের দরিদ্র খেটে-খাওয়া মানুষ—একজন হিন্দু সুতা-মজুর, অন্যজন মুসলমান মাঝি।

মাঝির বগলদাবা করা ছোটো পোঁটলায় ছিল তার স্ত্রী ও সন্তানের জন্য ঈদের জামা-শাড়ি। দীর্ঘ আট দিন বাড়ি থেকে দূরে কাটিয়ে সে আর স্থির থাকতে পারছিল না। পরদিনই ঈদ, আর তার স্ত্রী-সন্তানরা গ্রামের বাড়িতে চাঁদ দেখে অপেক্ষা করছে প্রিয় মানুষটির জন্য। মাঝির কণ্ঠে ঘরে ফেরার এই আকুলতা প্রকাশ পেতেই সুতা-মজুর গভীরভাবে নাড়া খায়। কারণ, সে বুঝতে পারে এই মৃত্যুভয় আর দাঙ্গার ভেতরেও মাঝির সমস্ত হৃদয় পরিবারের প্রতি অটল টানে বেঁধে আছে।

মাঝির সেই অশান্ত, ব্যাকুল আর্তি শুনে সুতা-মজুরের বুকের মধ্যে টনটন করে ওঠে। দাঙ্গা-কালীন সময়ে ভিন্ন ধর্মের মানুষ হলেও সে অনুভব করে, দুজনের দুঃখ-দুর্দশা, আশা-আকাঙ্ক্ষা একই রকম। এই অংশে লেখক দেখিয়েছেন—অমানবিক পরিস্থিতির মাঝেও সাধারণ খেটে-খাওয়া মানুষ মানবিক আবেগে একে অপরের সঙ্গে একাত্ম হতে পারে। এভাবেই গল্পটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও মানবতার জয়গান শোনায়।

৪.৬ “ভুলুম না ভাই এই রাত্রের কথা।”

উত্তর: প্রসিদ্ধ কথাশিল্পী সমরেশ বসুর রচিত ‘আদাব’ গল্প থেকেই উদ্ধৃত অংশটি নেওয়া হয়েছে।

১৯৪৬ সালের দাঙ্গাকালীন সময়ে হিন্দু-মুসলমান উভয়ের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছিল অবিশ্বাস ও আতঙ্ক। শহরের গলির অন্ধকারে লুকিয়ে থাকা সুতা-মজুর আর মুসলমান মাঝি শুরুতে সন্দেহপ্রবণ হলেও, ধীরে ধীরে একে অপরের সঙ্গে ভাগ করে নেয় দুঃখ-দুর্দশার কথা। বিশেষ করে মাঝির আকুল কণ্ঠে ঈদের আগে বাড়ি ফেরার বাসনা, সন্তানের নতুন জামা-পরা আনন্দ, স্ত্রীর প্রতীক্ষা—সব শুনে সুতা-মজুর গভীর সহানুভূতিতে ভরে ওঠে। দুজন মানুষই উপলব্ধি করে—তারা ভিন্ন ধর্মের হলেও প্রকৃত অর্থে তাদের যন্ত্রণা, আকাঙ্ক্ষা ও সংগ্রাম একই।

অতএব, যখন মাঝি যাবার আগে বিদায় নেয়, তখন আবেগে সে বলে ওঠে—“ভুলুম না ভাই এই রাত্রের কথা।” এই উক্তির মাধ্যমে লেখক প্রকাশ করেছেন—দাঙ্গার ভেতরেও সামান্য মানবিক সংযোগ মানুষের হৃদয়ে অমোচনীয় ছাপ ফেলে যায়। এই রাত তাদের কাছে হয়ে ওঠে অবিশ্বাস থেকে বিশ্বাসে পৌঁছনোর এক স্মরণীয় মুহূর্ত।

আসলে এ উক্তি শুধু মাঝির নয়, বরং সমগ্র মানবসমাজের এক চিরন্তন সত্য—অমানবিকতার অন্ধকারে যদি মানুষ মানুষকে বন্ধুরূপে পায়, তবে সেই স্মৃতি কখনো মুছে যায় না।

ক্লাস ৮ বাংলা
আদাব (সমরেশ বসু) গল্পের বই এর প্রশ্ন উত্তর

৫ : নীচের বাক্যগুলি থেকে অব্যয় পদ খুঁজে নিয়ে কোনটি কোন্ শ্রেণির অব্যয় তা নির্দেশ করো।

৫.১ শহরে ১৪৪ ধারা আর কারফিউ অর্ডার জারি হয়েছে।

উত্তর: আর — সংযোজক অব্যয়।

৫.২ তারা গুলি ছুঁড়ছে দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে আইন ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে।

উত্তর: ও — সংযোজক অব্যয়।

৫.৩ উভয়েই একটা আক্রমণের প্রতীক্ষা করতে থাকে, কিন্তু খানিকক্ষণ অপেক্ষা করেও কোনো পক্ষ থেকেই আক্রমণ এল না।

উত্তর: কিন্তু — সংকোচক অব্যয়।

৫.৪ তোমার মতলবড়া তো ভালো মনে হইতেছে না।

উত্তর: তো — বাক্যালংকার অব্যয়।

৫.৫ মাঝি এমনভাবে কথা বলে যেন সে তার কোনো আত্মীয়বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছে।

উত্তর: যেন — সংশয়সূচক অব্যয়।

৬ : নীচের বাক্যগুলি থেকে সন্ধিবদ্ধ পদ খুঁজে নিয়ে তাদের সন্ধি-বিচ্ছেদ করো।

৬.১ তা ছাড়া চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়েছে গুপ্তঘাতকের দল।

উত্তর: চতুর্দিক = চতুঃ + দিক।

৬.২ মৃত্যু-বিভীষিকাময় এই অন্ধকার রাত্রি তাদের উল্লাসকে তীব্রতর করে তুলেছে।

উত্তর: উল্লাস = উৎ + লাস।

৬.৩ নির্জীবের মতো পড়ে রইল খানিকক্ষণ।

উত্তর: নির্জীব = নিঃ + জীব।

৬.৪ দাঁতে দাঁত চেপে হাত-পাগুলোকে কঠিন করে লোকটা প্রতীক্ষা করে রইল একটা ভীষণ কিছুর জন্য।

উত্তর: প্রতীক্ষা = প্রতি + ঈক্ষা।

৬.৫ সমস্ত অঞ্চলটার নৈশ নিস্তব্ধতাকে কাঁপিয়ে দুবার গর্জে উঠল অফিসারের আগ্নেয়াস্ত্র।

উত্তর: নিস্তব্ধ = নিঃ + স্তব্ধ,
অগ্নেয়াস্ত্র = অগ্নেয় + অস্ত্র।

৭ : ব্যাসবাক্য-সহ সমাসের নাম লেখো।

শব্দ : চোরাগোপ্তা, পথনির্দেশ, নির্জীব, দীর্ঘনিশ্বাস, পোলামাইয়া।

উত্তর :
চোরাগোপ্তা — যা চোরা তাই গোপ্তা → সাধারণ কর্মধারয় সমাস।

পথনির্দেশ — পথকে নির্দেশ → কর্ম তৎপুরুষ সমাস।

নির্জীব — নয় জীব → না-তৎপুরুষ সমাস।

দীর্ঘনিশ্বাস — দীর্ঘ যে নিশ্বাস → কর্মধারয় সমাস।

পোলামাইয়া — পোলা ও মাইয়া → দ্বন্দ্ব সমাস।

৮ : নিম্নরেখাঙ্কিত অংশের কারক-বিভক্তি নির্দেশ করো।

৮.১ দু-দিক থেকে দুটো গলি এসে মিশেছে এ জায়গায়।

উত্তর: অধিকরণ কারকে ’য়’ বিভক্তি।

৮.২ সন্দেহের দোলায় তাদের মন দুলছে।

উত্তর: অপাদানকারক/নিমিত্তকারকে ’এর’ বিভক্তি।

৮.৩ নিষ্ফল ক্রোধে মাঝি দু-হাত দিয়ে হাঁটু দুটোকে জড়িয়ে ধরে।

উত্তর: করণ কারকে ’এ’ বিভক্তি।

৮.৪ আমাগো কথা ভাবে কেডা?

উত্তর: সম্বন্ধপদে ’এর’ (আঞ্চলিক রূপে ‘গো’) বিভক্তি; কর্তৃকারকে শূন্য বিভক্তি।

৮.৫ মুহূর্তগুলি কাটে বৃদ্ধ নিশ্বাসে।

উত্তর: করণ কারকে ’এ’ বিভক্তি।

৯ : নীচের শব্দগুলিতে ধ্বনি পরিবর্তনের কোন্ কোন্ নিয়ম কাজ করেছে লেখো।

শব্দ : হেইপারে, নারাইনগঞ্জ, ডাইকা, আঙুল, চান্দ।

উত্তর :
হেইপারে — সেইপারে > হেইপারে → বর্ণবিপর্যাস।

নারাইনগঞ্জ — নারায়ণগঞ্জ > নারাইনগঞ্জ → বর্গবিকার।

ডাইকা — ডাকিয়া > ডাইক্যা → অপিনিহিতি।

আঙুল — আঙ্গুল > আঙুল → ব্যঞ্জনলোপ।

চান্দ — চন্দ্র > চান্দ → ধ্বনিলোপ।

১০) নির্দেশ অনুযায়ী বাক্য পরিবর্তন করো।

১০.১ রাত্রির নিস্তব্ধতাকে কাঁপিয়ে দিয়ে মিলিটারি টহলদার গাড়িটা একবার ভিক্টোরিয়া পার্কের পাশ দিয়ে একটা পাক খেয়ে গেল।

উত্তর: মিলিটারি টহলদার গাড়িটা যখন একবার ভিক্টোরিয়া পার্কের পাশ দিয়ে একটা পাক খেয়ে গেল তখন রাত্রির নিস্তব্ধতা কেঁপে উঠল।

১০.২ খানিকক্ষণ চুপচাপ।

উত্তর: খানিকক্ষণ কোনো শব্দ নেই।

১০.৩ পরিচয়কে স্বীকার করতে উভয়েই নারাজ।

উত্তর: পরিচয়কে স্বীকার করতে উভয়ের কেউ-ই কি রাজি হতে পারে?

১০.৪ শোরগোলটা মিলিয়ে গেল দূরে।

উত্তর: শোরগোলটা মিলিয়ে গেল এবং দূরে চলে গেল।

১০.৫ মাঝি বলল, চল যেদিকে হউক।

উত্তর: মাঝি যেদিকে হোক চলে যাওয়ার কথা বলল।

১১) ক্রিয়ার কাল নির্দেশ করো।

১১.১ কান পেতে রইল দূরের অপরিস্ফুট কলরবের দিকে।

উত্তর: সাধারণ অতীত।

১১.২ সন্দেহের দোলায় তাদের মন দুলছে।

উত্তর: ঘটমান বর্তমান।

১১.৩ ধারে-কাছেই য্যান লাগছে।

উত্তর: পুরাঘটিত বর্তমান।

১১.৪ অশান্ত চঞ্চল ঘোড়া কেবলি পা ঠুকছে মাটিতে।

উত্তর: ঘটমান বর্তমান।

১১.৫ বাদামতলির ঘাটে কোন অতলে ডুবাইয়া দিছে তারে–

উত্তর: পুরাঘটিত বর্তমান।

১২) নীচের শব্দগুলির শ্রেণিবিভাগ করো।

মজুর: বিদেশি শব্দ; মূল শব্দ মজদুর (ফারসি)।

লিগওয়ালো: মিশ্র শব্দ।

পুলিশ : বিদেশি শব্দ (ইংরেজি)।

নসিব: বিদেশি শব্দ (ফারসি)।

রাত্রি: তৎসম শব্দ।

অষ্টম শ্রেণী বাংলা
আদাব (সমরেশ বসু) গল্পের MCQ প্রশ্ন উত্তর

১. শহরে কী পরিস্থিতি চলছিল?
(ক) শান্তিপূর্ণ অবস্থা
(খ) দাঙ্গা ও কারফিউ
(গ) উৎসব
(ঘ) ধর্মীয় অনুষ্ঠান

উত্তর: (খ) দাঙ্গা ও কারফিউ

২. কোন আইনের অধীনে জনসমাবেশ নিষিদ্ধ হয়েছিল?
(ক) ৩০২ ধারা
(খ) ১৪৪ ধারা
(গ) ৩৭৭ ধারা
(ঘ) ২৪২ ধারা

উত্তর: (খ) ১৪৪ ধারা

৩. মানুষ গলিতে ডাস্টবিনের আড়ালে কেন লুকিয়েছিল?
(ক) বৃষ্টি থেকে বাঁচতে
(খ) দাঙ্গা ও লুটপাটের ভয় থেকে
(গ) পুলিশ থেকে পালাতে
(ঘ) খিদে মেটাতে

উত্তর: (খ) দাঙ্গা ও লুটপাটের ভয় থেকে

৪. গল্পে কারা মুখ্য দুই চরিত্র?
(ক) ছাত্র ও শিক্ষক
(খ) মাঝি ও সূতা-মজুর
(গ) সৈন্য ও ব্যবসায়ী
(ঘ) কৃষক ও জমিদার

উত্তর: (খ) মাঝি ও সূতা-মজুর

৫. সূতা-মজুর কোথা থেকে এসেছিল?
(ক) কলকাতা
(খ) নারায়ণগঞ্জ
(গ) বুড়িগঙ্গার হেইপারে
(ঘ) ঢাকা শহর

উত্তর: (গ) বুড়িগঙ্গার হেইপারে

৬. মাঝি কী কাজ করত?
(ক) চাষ করত
(খ) ব্যবসা করত
(গ) নাও চালাত
(ঘ) সূতা কাটা

উত্তর: (গ) নাও চালাত

৭. দুই চরিত্রের মধ্যে প্রথম প্রশ্ন কী ছিল?
(ক) তুমি কোথায় যাচ্ছো?
(খ) হিন্দু না মুসলমান?
(গ) তোমার নাম কী?
(ঘ) তুমি খেয়েছো?

উত্তর: (খ) হিন্দু না মুসলমান?

৮. দুজনেই প্রথমে একে অপরকে কী ভেবেছিল?
(ক) বন্ধু
(খ) গুপ্তঘাতক
(গ) ভিখারি
(ঘ) পুলিশ

উত্তর: (খ) গুপ্তঘাতক

৯. গল্পের পরিবেশ কী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল?
(ক) শান্তি ও ভ্রাতৃত্ব
(খ) ভীতি ও সন্দেহ
(গ) ধর্মীয় আচার
(ঘ) প্রাকৃতিক দুর্যোগ

উত্তর: (খ) ভীতি ও সন্দেহ

১০. সূতা-মজুর কোন স্থানে কাজ করত?
(ক) জাহাজঘাট
(খ) সুতাকল
(গ) পুলিশ দপ্তর
(ঘ) স্কুল

উত্তর: (খ) সুতাকল

১১. গল্পের প্রধান থিম কী?
(ক) প্রেম
(খ) ভ্রাতৃত্ব
(গ) দাঙ্গা-ভীতি ও অবিশ্বাস
(ঘ) স্বাধীনতা সংগ্রাম

উত্তর: (গ) দাঙ্গা-ভীতি ও অবিশ্বাস

১২. কেন মাঝি ও সূতা-মজুরের মধ্যে সন্দেহ জন্মায়?
(ক) টাকা নিয়ে
(খ) ধর্মীয় বিভেদ ও দাঙ্গার কারণে
(গ) পরিবারের কারণে
(ঘ) পুলিশি চাপে

উত্তর: (খ) ধর্মীয় বিভেদ ও দাঙ্গার কারণে

১৩. শহরের রাস্তায় কী হচ্ছিল?
(ক) মানুষ উৎসব করছিল
(খ) সেনারা টহল দিচ্ছিল
(গ) দোকান খোলা ছিল
(ঘ) বৃষ্টি পড়ছিল

উত্তর: (খ) সেনারা টহল দিচ্ছিল

১৪. সূতা-মজুর কোথায় লুকিয়ে ছিল?
(ক) গাছতলায়
(খ) ডাস্টবিনের আড়ালে
(গ) ঘরে
(ঘ) জাহাজে

উত্তর: (খ) ডাস্টবিনের আড়ালে

১৫. মাঝি কোথায় কাজ করত বলে জানায়?
(ক) নদীতে নৌকায়
(খ) বাজারে
(গ) দোকানে
(ঘ) জাহাজঘাটে

উত্তর: (ক) নদীতে নৌকায়

১৬. সূতা-মজুর ও মাঝির কথোপকথনে কী প্রকাশ পায়?
(ক) পারস্পরিক ভালোবাসা
(খ) অবিশ্বাস ও ভীতি
(গ) ব্যবসার কৌশল
(ঘ) ধর্মীয় আচার

উত্তর: (খ) অবিশ্বাস ও ভীতি

১৭. তাদের কথোপকথনে সমাজের কোন দিক প্রতিফলিত হয়?
(ক) শিক্ষা
(খ) বিভেদ ও দাঙ্গার বাস্তবতা
(গ) কৃষিকাজ
(ঘ) সাহিত্যচর্চা

উত্তর: (খ) বিভেদ ও দাঙ্গার বাস্তবতা

১৮. দুজনেই একে অপরকে কোন প্রশ্নে পরীক্ষা করছিল?
(ক) ধর্ম
(খ) খাদ্যাভ্যাস
(গ) অর্থ
(ঘ) পরিবার

উত্তর: (ক) ধর্ম

১৯. মাঝি শেষমেশ কী করে?
(ক) পুলিশের কাছে যায়
(খ) সূতা-মজুরকে হত্যা করে
(গ) চলে যায়
(ঘ) বন্ধু হয়ে যায়

উত্তর: (গ) চলে যায়

২০. গল্পের শিক্ষণীয় বার্তা কী?
(ক) অন্ধকারের জয়
(খ) ভ্রাতৃত্বের জয়
(গ) বিভেদের ভয় ও মানুষের অসহায়তা
(ঘ) স্বাধীনতার বার্তা

উত্তর: (গ) বিভেদের ভয় ও মানুষের অসহায়তা

অষ্টম শ্রেণী বাংলা / আদাব (সমরেশ বসু) গল্পের বই এর প্রশ্ন উত্তর

Leave a Comment

CLOSE

You cannot copy content of this page