অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান প্রশ্ন উত্তর মাধ্যমিক বাংলা / জয় গোস্বামী

Spread the love

প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা, এখানে অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান প্রশ্ন উত্তর শেয়ার করা হলো। মাধ্যমিক বাংলা / জয় গোস্বামী

মাধ্যমিক বাংলা
অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান MCQ প্রশ্ন উত্তর

১. ‘বর্ম খুলে দ্যাখো __________ গায়ে।’
ক) জামা
খ) আদুড়
গ) নোংরা
ঘ) সুগন্ধ

উত্তর: খ) আদুড়

২. ঋষিবালকের মাথায় গোঁজা রয়েছে—
ক) পাহাড়ি ফুল
খ) ময়ূরপালক
গ) সোনার চিরুনি
ঘ) লতাপাতা

উত্তর: খ) ময়ূরপালক

৩. তোমায় নিয়ে গান বেড়াবে—
ক) নদীতে, পুকুরে
খ) সাগরে, জলাশয়ে
গ) নদীতে, হাটে
ঘ) নদীতে, দেশ-গাঁয়ে

উত্তর: ঘ) নদীতে, দেশ-গাঁয়ে

৪. ‘গানের দুটি পায়ে’ বলা হয়েছে কারণ গান এখানে—
ক) সজীব সত্তা বলে
খ) নির্জীব সত্তা বলে
গ) ঘুমন্ত বলে
ঘ) রঙ্গ-রসিকতা বলে

উত্তর: ক) সজীব সত্তা বলে

৫. ‘আদুড় গায়ে’ কথাটির অর্থ হল—
ক) অনাবৃত শরীরে
খ) বর্ম পরিহিত শরীরে
গ) সন্ন্যাসী বেশধারী শরীরে
ঘ) ছিন্ন বস্ত্র পরিহিত শরীরে

উত্তর: ক) অনাবৃত শরীরে

৬. ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় কবি ‘অস্ত্র’ রাখতে বলেছেন—
ক) ঋষিবালকের পায়ে
খ) নদীতে
গ) দেশগাঁয়ে
ঘ) গানের দুটি পায়ে

উত্তর: ঘ) গানের দুটি পায়ে

৭. ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় ‘গান’ শব্দটি আছে—
ক) একবার
খ) পাঁচবার
গ) সাতবার
ঘ) নয়-বার

উত্তর: গ) সাতবার

৮. ‘গান’ কোথায় কোথায় ঘুরবে—
ক) নদীতে
খ) যুদ্ধক্ষেত্রে
গ) দেশগাঁয়ে
ঘ) উভয়ই

উত্তর: ঘ) উভয়ই

৯. কবিতায় কবি অস্ত্রের পরিবর্তে কী ব্যবহার করতে বলেছেন?
ক) নৃত্য
খ) গান
গ) প্রার্থনা
ঘ) কবিতা

উত্তর: খ) গান

১০. কবিতায় কবি কী দিয়ে বুলেট তাড়ান?
ক) তীর
খ) ঢাল
গ) গান
ঘ) তলোয়ার

উত্তর: গ) গান

১১. কবি বলেছেন—”গানের বর্ম আজ পরেছি গায়ে”। এখানে ‘বর্ম’ বলতে বোঝানো হয়েছে—
ক) গানকেই রক্ষা-কবচ রূপে
খ) অস্ত্রশস্ত্র
গ) কাপড়
ঘ) যুদ্ধের সাজ

উত্তর: ক) গানকেই রক্ষা-কবচ রূপে

১২. “মাথায় কত শকুন বা চিল”— এখানে ‘শকুন’ ও ‘চিল’ প্রতীক—
ক) সৌন্দর্যের
খ) ধ্বংস ও অশুভ শক্তির
গ) বন্ধুত্বের
ঘ) আকাশের স্বাধীনতার

উত্তর: খ) ধ্বংস ও অশুভ শক্তির

১৩. “আমার শুধু একটা কোকিল”— কোকিল এখানে প্রতীক—
ক) বসন্তের বার্তা
খ) শান্তি ও সৃজনশীলতার
গ) রাগ ও বিদ্বেষের
ঘ) শক্তি ও বলের

উত্তর: খ) শান্তি ও সৃজনশীলতার

১৪. কবিতায় ‘গান’ কে কীসের মতো চিত্রিত করা হয়েছে?
ক) এক যোদ্ধা
খ) ঋষিবালক
গ) এক শিক্ষক
ঘ) কৃষক

উত্তর: খ) ঋষিবালক

১৫. কবিতায় ‘ময়ূরপালক’ প্রতীকী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে—
ক) শক্তির প্রতীক
খ) ভক্তি ও শান্তির প্রতীক
গ) যুদ্ধের প্রতীক
ঘ) ভয়ের প্রতীক

উত্তর: খ) ভক্তি ও শান্তির প্রতীক

১৬. ‘অস্ত্র রাখো, অস্ত্র ফ্যালো পায়ে’— এই আহ্বান কবি করেছেন কাদের উদ্দেশ্যে?
ক) বিপ্লবীদের
খ) সেনাদের
গ) যুদ্ধপ্রিয় মানুষদের
ঘ) সকল মানুষকে

উত্তর: ঘ) সকল মানুষকে

১৭. জয় গোস্বামীর একটি বিখ্যাত কাব্য হল—
ক) মরুমায়া
খ) বনলতা সেন
গ) সর্বহারাঘ
ঘ) ঘুমিয়েছো, ঝাউপাতা?

উত্তর: ঘ) ঘুমিয়েছো, ঝাউপাতা?

১৮. কোটি জয় গোস্বামীর লেখা কাব্যগ্রন্থ? (মাধ্যমিক ২০১৯)
ক) বাবরের প্রার্থনা
খ) অগ্নিবীণা
গ) রূপসী বাংলা
ঘ) পাতার পোশাক

উত্তর: ঘ) পাতার পোশাক

১৯. ‘অস্ত্র’ শব্দের আক্ষরিক অর্থ—
ক) হাতিয়ার
খ) বাদ্যযন্ত্র
গ) কণ্ঠসংগীত
ঘ) গুঞ্জন

উত্তর: ক) হাতিয়ার

মাধ্যমিক বাংলা
অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান MCQ প্রশ্ন উত্তর

২০. ‘গান’ শব্দের আক্ষরিক অর্থ—
ক) নৃত্য
খ) রঙ্গরস
গ) গীতি
ঘ) শস্ত্র

উত্তর: গ) গীতি

২১. কবিতায় বর্ণিত ‘আমি’ হল—
ক) জনৈক আত্মীয়
খ) রাজা
গ) কবি স্বয়ং
ঘ) সৈনিক

উত্তর: গ) কবি স্বয়ং

২২. ‘বুলেট’-এর অর্থ হল—
ক) কাচের গুলি
খ) বন্দুকের গুলি
গ) প্লাস্টিকের খেলনা
ঘ) মানুষের শরীর

উত্তর: খ) বন্দুকের গুলি

২৩. কবি কীভাবে বুলেট তাড়ান?
ক) মাথা নাড়িয়ে
খ) শরীর দুলিয়ে
গ) পা দুলিয়ে
ঘ) হাত নাড়িয়ে

উত্তর: ঘ) হাত নাড়িয়ে

২৪. কী প্রতিরোধ করতে কবি গানের বর্ম পরেছেন?
ক) কথা
খ) শব্দ
গ) অস্ত্র
ঘ) ধ্বনি

উত্তর: গ) অস্ত্র

২৫. ‘গানের বর্ম আজ পরেছি —’ (শূন্যস্থান পূরণ করো)
ক) পায়ে
খ) হাতে
গ) পাখায়
ঘ) গায়ে

উত্তর: ঘ) গায়ে

২৬. ‘বর্ম’ শব্দের অর্থ—
ক) কবচ
খ) হার
গ) পুঁতি
ঘ) চামর

উত্তর: ক) কবচ

২৭. ‘গান তো জানি একটা দুটো’ বলতে বোঝানো হয়েছে—
ক) সামান্য
খ) মাঝারি
গ) অনেক
ঘ) অপ্রতুল

উত্তর: ক) সামান্য

২৮. ‘আঁকড়ে’ শব্দটির অর্থ—
ক) জড়িয়ে
খ) পরিয়ে
গ) মাড়িয়ে
ঘ) ছড়িয়ে

উত্তর: ক) জড়িয়ে

২৯. ‘সে-খড়কুটো’ বলতে বোঝানো হয়েছে—
ক) সামান্য সম্বল
খ) গুরুত্বহীন
গ) বহু মূল্যবান
ঘ) খাদ্য-জাতীয়

উত্তর: ক) সামান্য সম্বল

৩০. গানের গায়ে মোছা হয়—
ক) অস্ত্র
খ) চোখের জল
গ) ময়লা
ঘ) রক্ত

উত্তর: ঘ) রক্ত

৩১. মাথায় আছে শকুন অথবা—
ক) কাক
খ) চিল
গ) বক
ঘ) চড়াই

উত্তর: খ) চিল

৩২. ‘গান বাঁধবে সহস্র উপায়ে’— কে গান বাঁধবে? (মাধ্যমিক ২০২০)
ক) চিল
খ) কোকিল
গ) শকুন
ঘ) ময়ূর

উত্তর: খ) কোকিল

৩৩. কোকিল হল—
ক) বসন্তদূত
খ) হেমন্তদূত
গ) শরৎদূত
ঘ) বর্ষাদূত

উত্তর: ক) বসন্তদূত

৩৪. ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতাটি যে কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত সেটি হল—
ক) এগবান
খ) ঘুমিয়েছ, ঝাউপাতা?
গ) প্রত্নজীব
ঘ) পাতার পোশাক

উত্তর: ঘ) পাতার পোশাক

৩৫. পাতার পোশাক কাব্যগ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয়—
ক) ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে
খ) ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে
গ) ২০০০ খ্রিস্টাব্দে
ঘ) ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে

উত্তর: ক) ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে

৩৬. পাতার পোশাক কাব্যগ্রন্থটি কবি উৎসর্গ করেন—
ক) শক্তি চট্টোপাধ্যায়কে
খ) সব মৃত বন্ধুকে
গ) অনুপ আর মঞ্জুকে
ঘ) সাগরময় ঘোষকে

উত্তর: গ) অনুপ আর মঞ্জুকে

৩৭. “গানের বর্ম আজ পরেছি গায়ে” — গানকে ‘বর্ম’ বলা হয়েছে কারণ—
ক) কবি একটা দুটো গান জানেন
খ) গান গাইলে মন খারাপ হয় না
গ) গান গাইলে অন্যায়ের মুখোমুখি দাঁড়ানোর সাহস জাগে
ঘ) গান গাইলে কোনো দুঃখ থাকে না

উত্তর: গ) গান গাইলে অন্যায়ের মুখোমুখি দাঁড়ানোর সাহস জাগে

৩৮. “আঁকড়ে ধরে সে-খড়কুটো” — উদ্ধৃতাংশে ‘খড়কুটো’ হল—
ক) গান
খ) অস্ত্র
গ) বাড়িঘর
ঘ) পোশাক-পরিচ্ছেদ

উত্তর: ক) গান

৩৯. “রক্ত মুছি শুধু গানের গায়ে” — উদ্ধৃতাংশে গানের গায়ে রক্ত মোছার অর্থ—
ক) কবি গান গেয়ে রক্তপাত ঘটাতে চান
খ) অকারণ রক্তপাতে কবি গান বন্ধ করে দিতে চান
গ) রক্তপাতের কথা ভেবে কবি সেই শোককে গানে পরিণত করতে চান
ঘ) কবি মনে করেন গান রক্তপাত বন্ধ করতে পারে না

উত্তর: গ) রক্তপাতের কথা ভেবে কবি সেই শোককে গানে পরিণত করতে চান

৪০. “মাথায় কত শকুন বা চিল” — এর অর্থ—
ক) চারিদিকে পাখিদের ভিড়
খ) সমাজটা যেন ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে
গ) তারা কোকিলকে আক্রমণ করতে চায়
ঘ) কবি শিকারি পাখিদের পোষ মানিয়েছেন

উত্তর: খ) সমাজটা যেন ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে

৪১. “গান বাঁধবে সহস্র উপায়ে” — কে গান বাঁধবে?
ক) চিল
খ) কোকিল
গ) শকুন
ঘ) ঋষিবালক

উত্তর: খ) কোকিল

৪২. কবি কীভাবে এগিয়ে আসেন?
ক) হাজার হাতে পায়ে
খ) গান গেয়ে
গ) দু’হাত তুলে
ঘ) মানুষের সাথে

উত্তর: ক) হাজার হাতে পায়ে

৪৩. কবি কী তাড়ান হাত নাড়িয়ে?
ক) শত্রু
খ) কামান
গ) ভয়
ঘ) বুলেট

উত্তর: ঘ) বুলেট

মাধ্যমিক বাংলা
অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

১. কবি কেন কোকিলকে সহস্র উপায়ে গান বাঁধতে বলেছেন?

উত্তর: কোকিলের সহস্র উপায়ে গান বাঁধা বলতে ঔদ্ধত্যের সঙ্গে লড়াইতেও কৌশলী হওয়া কাম্য, তা বোঝাতেই কবি এমন উক্তি করেছেন।

২. “বর্ম খুলে দ্যাখো আদুড় গায়ে” বলতে কবি কী বলেছেন?

উত্তর: এখানে ‘বর্ম’ বলতে ক্ষমতা, বিদ্বেষ, অহংকার, লোভ, মোহ প্রভৃতির ‘বর্ম’ বোঝানো হয়েছে। কবি বলেছেন এই বর্ম খুলে আসল অনাবৃত মানবিক রূপটিকে দেখতে হবে।

৩. ‘আদুড়’ শব্দটি কবিতায় কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?

উত্তর: ‘আদুড়’ শব্দের অর্থ খোলা বা অনাবৃত। কবিতায় এই শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে কবি হিংসা বা বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাবের আবরণ খুলে উদার হওয়ার কথা বলেছেন।

৪. ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতার ঋষিবালক কীসের প্রতীক?

উত্তর: কবিতায় ঋষিবালক শান্তি, সৌন্দর্য ও স্নিগ্ধতার প্রতীক। তাঁর মাথায় ময়ূরপালক গোঁজা থাকায় তিনি শ্রীকৃষ্ণের প্রতিচ্ছবি মনে করিয়ে দেন। তিনি সুরপ্লাবী শান্তিময় পৃথিবীর দূত।

৫. ঋষিবালকের মাথায় কী গোঁজা রয়েছে?

উত্তর: জয় গোস্বামীর ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতা অনুসারে ঋষিবালকের মাথায় ময়ূরের পালক গোঁজা রয়েছে।

৬. “গান দাঁড়াল ঋষিবালক” কথাটির অর্থ কী?

উত্তর: গান কেবল প্রতিবাদের অস্ত্র নয়, যুদ্ধ প্রতিহত করার পর শান্তি ও স্নিগ্ধতার মধুর রূপ ধারণ করে। তাই গান হয়ে যায় ঋষিবালকের ন্যায় শান্ত ও স্নিগ্ধ।

৭. “তোমায় নিয়ে বেড়াবে গান” — গান কোথায় বেড়াবে?

উত্তর: কবিতায় বলা হয়েছে গান নদীতে, দেশে ও গাঁয়ে বেড়াবে। অর্থাৎ গান মানুষের সঙ্গী হয়ে সর্বত্র শান্তি ও মুক্তির বার্তা ছড়িয়ে দেবে।

৮. “অস্ত্র ফ্যালো” শব্দবন্ধটি বারবার উচ্চারণের কারণ কী?

উত্তর: মানবতা-বিরোধী সমস্ত শক্তিকে প্রতিহত করার ডাক দেওয়ার জন্য কবি এই শব্দবন্ধটি ধ্রুবপদের মতো বারবার উচ্চারণ করেছেন।

৯. “অস্ত্র রাখো” বলার অর্থ কী?

উত্তর: কবি ‘অস্ত্র রাখো’ বলার মাধ্যমে অস্ত্র সমর্পণের কথা বলেছেন।

১০. কবি অস্ত্রকে কোথায় সমর্পণ করতে বলেছেন?

উত্তর: কবি অস্ত্রকে গানের পায়ের কাছে সমর্পণ করতে বলেছেন।

১১. কবি গানকে কীভাবে ব্যবহার করেন?

উত্তর: কবি সমস্ত অশান্তি ও অশুভ শক্তিকে পরাজিত করতে গানকে বর্মের মতো শরীরে পরে থাকেন।

১২. হাজার হাতে পায়ে কবি কী করেন?

উত্তর: হাজার হাতে পায়ে অর্থাৎ হাজার হাজার মানুষের সাথে দলবদ্ধ হয়ে কবি এগিয়ে আসেন, উঠে দাঁড়ান ও অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করেন।

১৩. গানের বর্ম পরে কবি কী করতে সক্ষম?

উত্তর: কবি জানিয়েছেন যে, গানের বর্ম পরে তিনি হাত নাড়িয়ে বুলেট তাড়াতে সক্ষম।

১৪. “আঁকড়ে ধরে সে-খড়কুটো” — ‘খড়কুটো’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তর: ‘খড়কুটো’ বলতে সামান্য অবলম্বন বোঝানো হয়েছে। কবি বলতে চেয়েছেন, দিশাহীন মানুষও সামান্য অবলম্বন আঁকড়ে ধরে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারে।

১৫. ‘খড়কুটো’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: ‘খড়কুটো’ শব্দের প্রকৃত অর্থ বিচালি বা শুকনো ঘাস। কবিতায় এটি তুচ্ছ অথচ প্রয়োজনীয় অবলম্বনের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

১৬. “রক্ত মুছি শুধু গানের গায়ে” — কথাটির অর্থ কী?

উত্তর: এখানে ‘রক্ত’ মানবতার অপচয়ের প্রতীক। কবি বোঝাতে চেয়েছেন যে, এই অপচয়কে রুখতে পারে মানুষের সৃষ্টিশীলতা ও গান।

১৭. “মাথায় কত শকুন বা চিল” — ‘শকুন বা চিল’ কী বোঝায়?

উত্তর: কবিতায় ‘শকুন বা চিল’ যুদ্ধবাজ, ক্ষমতালিপ্সু ও সুযোগসন্ধানী মানুষের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

মাধ্যমিক বাংলা
অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান ৩ মার্কের প্রশ্ন উত্তর

১. ‘গানের বর্ম’ বলতে কবিতায় কী বলা হয়েছে?

উত্তর: জয় গোস্বামীর ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় কবি অস্ত্রের ভয়ঙ্কর শক্তিকে প্রতিহত করার জন্য গানের শক্তিকে সামনে এনেছেন। এখানে ‘গানের বর্ম’ বলতে বোঝানো হয়েছে গানকে আশ্রয় হিসেবে গ্রহণ করা। গান মানুষের হৃদয়ের কোমলতা, সৌন্দর্য ও মানবিকতার প্রতীক। অস্ত্র থেকে নির্গত বুলেটকে প্রতিহত করার জন্য কবি গানের বর্ম পরেছেন। কবির মতে, গানই মানুষের প্রেরণা ও জীবনের মহামন্ত্র, যা ধ্বংস, হিংসা ও অশুভ শক্তিকে রোধ করে সভ্যতাকে রক্ষা করতে পারে। তাই গানই কবির কাছে সত্যিকারের রক্ষাকবচ।

২. ‘রক্ত মুছি শুধু গানের গায়ে’—এর অর্থ কী?

উত্তর: প্রশ্নে প্রদত্ত অংশটি জয় গোস্বামীর ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে রক্ত বলতে বোঝানো হয়েছে অস্ত্রের দ্বারা সংঘটিত হত্যা, হিংসা ও ধ্বংসের চিহ্ন। কবি জানাচ্ছেন, এ রক্তপাত মুছতে পারে কেবল গান। গান শান্তি, সৌহার্দ্য ও মানবিকতার প্রতীক। গান মানুষের হৃদয়ে ভালোবাসা জাগিয়ে তোলে এবং সহিংসতার ক্ষত মুছতে সক্ষম হয়। তাই কবি মনে করেন, রক্তের দাগ বা ধ্বংসের কালি মুছতে হলে গানের শক্তিই একমাত্র ভরসা।

৩. ‘মাথায় কত শকুন বা চিল’—শকুন বা চিল বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

উত্তর: প্রশ্নে প্রদত্ত অংশটি জয় গোস্বামীর ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে শকুন ও চিল প্রতীকীভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। এরা ধ্বংসস্তূপে ভিড় করা, মৃতদেহে ঝাঁপিয়ে পড়া লোভী ও সুযোগসন্ধানী মানুষের প্রতীক। কবি যখন অস্ত্রের বিরুদ্ধে গানকে আশ্রয় করে দাঁড়াচ্ছেন, তখনও এ ধরনের স্বার্থপর ও শোষণপ্রবণ মানুষ সমাজে তীক্ষ্ণ নজর রাখে। তবে কবি এই প্রতিকূলতার মধ্যেও অটল থেকে মানবতার জয়গান গেয়েছেন।

৪. ‘অস্ত্র ফ্যালো, অস্ত্র রাখো গানের দুটি পায়ে…’ বলার দ্বারা কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?

উত্তর: উদ্ধৃত চরণটি জয় গোস্বামীর ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতার অংশ। এখানে কবি মানবসভ্যতার কল্যাণের জন্য অস্ত্র ত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন। আধুনিক বিশ্বে শক্তিধর দেশগুলো অস্ত্রভাণ্ডার বাড়িয়ে যুদ্ধ ও ধ্বংসের পরিবেশ সৃষ্টি করছে। কবির মতে, গানই পারে ভালোবাসা, সৌহার্দ্য ও মানবিকতার সুরে সেই সহিংসতাকে মুছে দিতে। তাই তিনি আহ্বান জানিয়েছেন অস্ত্রকে গানের পায়ের কাছে সমর্পণ করে শান্তি ও ভ্রাতৃত্বে ভরা এক পৃথিবী গড়ে তুলতে।

৫. “আমার শুধু একটা কোকিল”—বক্তা কে? এ কথার মধ্যে দিয়ে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?

উত্তর: উল্লিখিত অংশটির বক্তা কবি জয় গোস্বামী স্বয়ং। কবি দেখেছেন চারপাশে শকুন ও চিল—যারা ধ্বংস, হিংসা ও লোভের প্রতীক। এর বিপরীতে তাঁর কাছে আছে শুধু একটি কোকিল, যা সৃজনশীল শক্তি ও সৌন্দর্যের প্রতীক। এই কোকিল তাঁর অন্তরের গান, যা ধ্বংসের মাঝেও প্রেম, শান্তি ও সৃষ্টির সুর গাইতে পারে।

৬. “গান বাঁধবে সহস্র উপায়ে”—কে গান বাঁধবে? সহস্র উপায়ে গান বাঁধার তাৎপর্য কী?

উত্তর: এখানে গান বাঁধবে কবির অন্তরের কোকিল, অর্থাৎ তাঁর সৃজনশীল সত্তা। ‘সহস্র উপায়ে’ বলতে বোঝানো হয়েছে গানের বহুমুখী রূপ—কখনও প্রেম, কখনও প্রতিবাদ, আবার কখনও শান্তি ও মানবিকতার গান। এই নানান ধারার গানই অস্ত্রের হুংকারকে স্তব্ধ করে পৃথিবীতে সৌন্দর্য ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করবে।

মাধ্যমিক বাংলা
অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান ৫ মার্কের প্রশ্ন উত্তর

১. “গানের বর্ম আজ পরেছি গায়ে”—কার কোন রচনাংশ? মূল গ্রন্থ কী? ‘গানের বর্ম’ পরেছে কে? ‘গানের বর্ম’ বলার তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

উত্তর: উদ্ধৃত অংশটি কবি জয় গোস্বামী রচিত ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
কবিতাটি মূলত ‘পাতার পোশাক’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত (প্রকাশকাল: ১৯৯৭ সাল)।
কবিতার কথক এই ‘গানের বর্ম’ ধারণ করেছেন।

তাৎপর্য বিশ্লেষণ:

এখানে ‘গানের বর্ম’ বলতে কবি গানকে এক রক্ষাকবচ বা ঢাল হিসেবে কল্পনা করেছেন। অস্ত্রের বুলেটের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গানই হতে পারে মানবিকতার শক্তি। গান মানুষের অন্তরের কোমলতা, শান্তি ও সৌন্দর্যের প্রতীক। অস্ত্র ধ্বংস, রক্তপাত ও হিংসা বয়ে আনে, কিন্তু গান মানুষকে ভালোবাসা, ভ্রাতৃত্ব ও প্রকৃত মানবিকতার পথে চালিত করে। তাই কবি দেখিয়েছেন, অস্ত্রের দানবীয় শক্তিকে প্রতিহত করার আসল উপায় হলো গানের জীবনজয়ী সুর, যা মানুষকে দানবত্ব থেকে মানুষত্বের পথে নিয়ে যায়।

২. কবি জয় গোস্বামীর ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় যুদ্ধবিরোধী মনোভাবের প্রকাশ নিজের ভাষায় লেখো।

উত্তর: জয় গোস্বামী একজন মানবতাবাদী ও সমাজমনস্ক কবি। তাঁর কবিতার প্রতিটি ছত্রে প্রতিবাদী সুরের সঙ্গে মানবিক আহ্বান শোনা যায়। পাঠ্য ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় কবির যুদ্ধবিরোধী মনোভাব সুস্পষ্টভাবে প্রতিভাত হয়েছে।

কবি মনে করেন, অস্ত্র মানুষের ধ্বংস ডেকে আনে, আর গান তথা শিল্প-সংস্কৃতি মানবিকতার পথ দেখায়। তাই তিনি অস্ত্রকে ত্যাগ করে মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান। তাঁর মতে, গানই মানুষের বর্ম, গানই মানবতার রক্ষাকবচ। গান মানুষের অন্তরে সাহস যোগায়, তাকে অমানবিক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি দেয়। কবি বিশ্বাস করেন, মানবিক শক্তি ও আত্মবিশ্বাস দিয়েই অস্ত্রের ঝনঝনানি স্তব্ধ করা যায়।

কবি ‘চিল-শকুন’ বা সুযোগসন্ধানী ধ্বংসাত্মক শক্তিকে উপেক্ষা করে এগিয়ে চলেন গান ও মানবিকতার ভরসায়। তিনি জানেন, কোকিল যেমন বসন্তের দূত, তেমনি গানও শান্তি ও নবজীবনের দূত। তাই কবি চান— অস্ত্রের পরিবর্তে মানুষের হাতে থাকুক গান, থাকুক মানবিকতার শক্তি।

এ কবিতায় জয় গোস্বামীর যুদ্ধবিরোধী মনোভাব স্পষ্টভাবে ধরা দিয়েছে। কবি দেখাতে চেয়েছেন যে, অস্ত্র নয়, কেবল গান ও মানবিকতা দিয়েই প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।

৩. ‘অস্ত্র’ ও ‘গান’ কীভাবে পরস্পরবিরোধী হয়ে উঠেছে?
অথবা, অস্ত্র ও গানের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কে, কেন জয়ী হয়?

উত্তর: জয় গোস্বামীর ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় ‘অস্ত্র’ ও ‘গান’ একে অপরের সম্পূর্ণ বিপরীত শক্তি হিসেবে ধরা হয়েছে।

অস্ত্র এখানে ধ্বংস, হিংসা, উন্মত্ততা ও সভ্যতার বিনাশের প্রতীক। অস্ত্র মানুষের মধ্যে বিভাজন ঘটায়, রক্তপাত ডেকে আনে এবং মানবিকতার মৃত্যু ঘটায়।

অন্যদিকে, গান হলো শান্তি, ভালোবাসা, সহমর্মিতা ও মানবিকতার প্রতীক। গান মানুষকে একত্রিত করে, আশা জাগায় এবং অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ হয়ে দাঁড়ায়।

এই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কবি দেখিয়েছেন যে অস্ত্র কখনও স্থায়ীভাবে সভ্যতার নিয়ন্ত্রক হতে পারে না। অস্ত্র মানুষকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেয়, কিন্তু গান মানুষের হৃদয়কে সজীব করে, মায়া, প্রেম, ক্ষমা ও স্বাধীনতার মতো চিরন্তন মূল্যবোধ জাগিয়ে তোলে।

তাই কবির মতে, অস্ত্র ও গানের লড়াইয়ে জয়ী হয় গান। কারণ গান মানুষকে প্রকৃত মানুষ হতে শেখায়, মানবসভ্যতাকে রক্ষা করে এবং ভালোবাসা-ভ্রাতৃত্বে ভরা নতুন পৃথিবী গড়তে সক্ষম।

৪. ‘অস্ত্র রাখো, অস্ত্র ফ্যালো পায়ে’— কার উদ্দেশ্যে এমন আবেদন? এমন আবেদন করার কারণ কী? এ আবেদনের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: কবি জয় গোস্বামী তাঁর ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় পৃথিবীর শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের উদ্দেশ্যে এ আবেদন জানিয়েছেন।

আবেদনের কারণ:

অস্ত্র মানবসভ্যতাকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যায়। অস্ত্র মানুষের মনে হিংসা, দম্ভ, বিদ্বেষ ও ক্ষমতার অহংকার জন্ম দেয়। ফলে মানুষ যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে মানবিকতার পথ থেকে বিচ্যুত হয়। কবির মতে, অস্ত্র কোনোদিন শান্তি, সহমর্মিতা ও ন্যায়ের সহায়ক হতে পারে না। তাই কবি অস্ত্র বিসর্জন করে গানের শক্তিকে বরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

আবেদনের তাৎপর্য:

এই আবেদন মানবসভ্যতার প্রকৃত কল্যাণের পথ খুলে দেয়। গান মানুষের অন্তরের সৃজনশীলতা, মানবিকতা ও যৌথ চেতনার বিকাশ ঘটায়। অস্ত্র ত্যাগ করে গানের শক্তিকে গ্রহণ করলে মানুষ দানবীয় প্রবৃত্তি পরিহার করে প্রকৃত মানবিক মহিমা অর্জন করতে সক্ষম হয়। এভাবেই যুদ্ধহীন, শান্তিময় পৃথিবীর স্বপ্ন সার্থক হতে পারে।

আরও দেখো:

বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর

হারিয়ে যাওয়া কালি কলম

আমাদের ইউটিউব চ্যানেল: TextbookPlus
টেলিগ্রাম গ্রুপ: GhoshClass
Facebook Group: TextbookPlus
CLOSE

You cannot copy content of this page