এখানে ক্লাস 9 দ্বিতীয় ইউনিট টেস্ট বাংলা প্রশ্ন উত্তর 2025 শেয়ার করা হলো। / Class 9 Bengali Question Answer Second Unit Test 2025
ক্লাস 9 দ্বিতীয় ইউনিট টেস্ট বাংলা প্রশ্ন উত্তর 2025
Class 9 Bengali Question Answer Second Unit Test 2025
মডেল প্রশ্নপত্র: ১
১। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো:
১.১ হিন্দি সাহিত্যের বঙ্কিম বলা হয়—
ক) কবি ইকবালকে
খ) প্রেমচাঁদকে
গ) চেতন ভগবতকে
ঘ) অমিতাভ ঘোষকে
উত্তর: খ) প্রেমচাঁদকে
১.২ রাধারানী পথিককে নিজের বাড়ি বলেছিল—
ক) শ্রীরামপুর
খ) শ্রী রামচন্দ্রপুর
গ) চন্ডিপুর
ঘ) রামকৃষ্ণপুর
উত্তর: ক) শ্রীরামপুর
১.৩ “এ কন্যারে দেখে নিকো”— এ কন্যাকে দেখেনি—
ক) কামরাঙ্গা লাল মেঘ
খ) পৃথিবীর কোন পথ
গ) আকাশের সাতটি তারা
ঘ) নীল সন্ধ্যা
উত্তর: খ) পৃথিবীর কোন পথ
১.৪ ‘আবহমান’ কবিতাটির মূল কাব্যগ্রন্থ—
ক) উলঙ্গ রাজা
খ) কলকাতার যীশু
গ) অন্ধকার বারান্দা
ঘ) ঘরদুয়ার
উত্তর: গ) অন্ধকার বারান্দা
১.৫ “….. তোমাকে শতবার স্বাগত জানাচ্ছি।” — বক্তা যেখানে স্বাগত জানাচ্ছেন—
ক) ইউরোপে
খ) ভারতবর্ষে
গ) আলমোড়ায়
ঘ) ধর্মসভায়
উত্তর: খ) ভারতবর্ষে
১.৬ ‘খাঁটি লোকের কথার’—
ক) বিকল্প হয় না
খ) মূল্য হয় না
গ) নড়চড় হয় না
ঘ) ব্যাখ্যা হয় না
উত্তর: গ) নড়চড় হয় না
১.৭ বিশেষ্যর আর এক নাম—
ক) বিশেষণ
খ) সংজ্ঞা
গ) ব্যাখ্যা
ঘ) বিশ্লেষণ
উত্তর: খ) সংজ্ঞা
১.৮ ‘ভ্রমণ’ শব্দটি হল—
ক) গুণবাচক বিশেষ্য
খ) বস্তুবাচক বিশেষ্য
গ) সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য
ঘ) ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য
উত্তর: ঘ) ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য
১.৯ “আমার কত কাজ পড়ে আছে”— এখানে ‘আমার’ হল—
ক) আত্মবাচক সর্বনাম
খ) নির্দেশক সর্বনাম
গ) ব্যক্তিবাচক সর্বনাম
ঘ) পারস্পরিক সর্বনাম
উত্তর: গ) ব্যক্তিবাচক সর্বনাম
১.১০ শঙ্কু ‘অরনিথন’ যন্ত্র তৈরি শেষ করেছিলেন—
ক) ২০ সেপ্টেম্বর
খ) ২৭ সেপ্টেম্বর
গ) ১৪ নভেম্বর
ঘ) ১৬ নভেম্বর
উত্তর: গ) ১৪ নভেম্বর
২. কমবেশি ১৫ টি শব্দে উত্তর লিখুন:
২.১ রাধারানী একা রথের মেলায় গিয়েছিল কেন?
উত্তর: বনফুলের মালা বিক্রি করে মায়ের পথ খরচ জোগাতে একা রথের মেলায় গিয়েছিল।
২.২ কবির চোখের পরে, মুখের পরে কি ভাসে?
উত্তর: কবির চোখ-মুখে বাংলার নীল সন্ধ্যার মতো কেশবতী কন্যার চুল ভাসে।
২.৩ কবি লাউমাচার পাশে কেন দাঁড়াতে বলেছেন?
উত্তর: পল্লীবাংলার সহজ-সরল প্রকৃতির জীবন অনুভব করতে লাউমাচার পাশে দাঁড়াতে বলেছেন কবি।
২.৪ “নব নব সৃষ্টি রচনা” অংশে লেখক রান্নাঘর থেকে কি কি তাড়ানো মুশকিল বলেছেন?
উত্তর: লেখক বলেছেন রান্নাঘর থেকে আলু, পপি প্রভৃতি বিদেশি সবজি তাড়ানো কঠিন।
২.৫ “কিন্তু বিঘ্নও আছে বহু।”— কোন কাজে বিঘ্ন আছে?
উত্তর: ভারতের নারী সমাজের সার্বিক উন্নয়নে নানা সামাজিক ও মানসিক বিঘ্ন রয়েছে।
২.৬ আমরা কি কারণে সর্বনাম ব্যবহার করি?
উত্তর: নাম পদের পুনরাবৃত্তি এড়াতে ও বাক্য সংক্ষেপে সর্বনাম ব্যবহার করি।
২.৭ “মরদ কি বাত, হাতি কা দাত”— প্রবাদটির অর্থ লেখ।
উত্তর: প্রকৃত মানুষ প্রতিশ্রুতি রাখে, কথায়-আচরণে সামঞ্জস্য থাকে।
২.৮ ধাতুর সঙ্গে …. যোগ হলে ধাতু ক্রিয়া পদে পরিণত হয়।
উত্তর: ধাতুর সঙ্গে ক্রিয়াবিভক্তি যোগ হলে তা ক্রিয়া পদ হয়।
২.৯ আলংকারিক অব্যয়ের একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: উদাহরণ: “তুমি কিন্তু তাড়াতাড়ি আসবে।”
২.১০ কর্ভাস কোন জাতীয় পাখির ল্যাটিন নাম?
উত্তর: ‘কর্ভাস’ কাক জাতীয় পাখির ল্যাটিন নাম।
৩. কমবেশি ৬০ শব্দের মধ্যে যেকোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
৩.১ “আলো জালিয়া রাধারানী দেখিল, টাকা বটে, পয়সা নাহি।”— রাধারানী কে? কখন সে আলো জ্বেলে উক্ত ঘটনাটি দেখেছিল?
উত্তর: রাধারানী গল্পের মুখ্য চরিত্র। রাধারানী ছিল এক পিতৃহীন, ১০–১১ বছরের বালিকা।
রথের মেলায় পরিচয় হওয়া পথিক, রাধারানীর কাছে থেকে চার পয়সা দিয়ে বনফুলের মালাটি কেনে। কিন্তু রাধারানীর পয়সাগুলো একটু বড় মনে হয়। পথিক ‘ডবল পয়সা’ ইত্যাদি বললেও, রাধারানী সেটি বাড়ি এনে আলো জ্বেলে পরীক্ষা করার কথা বলে। পথিককে বাইরে অপেক্ষায় রেখে, চকমুকি ঢুকে আগুন জ্বেলে রাধারানী দেখে, তার অনুমানই যথার্থ।
৩.২ “বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্য সৃষ্টি তার পদাবলী কীর্তনে।”— পদাবলী কীর্তনের কোন বৈশিষ্ট্যের দিকে লেখক ইঙ্গিত করেছেন?
উত্তর: লেখক সৈয়দ মুস্তাফা আলীর মতে, পদাবলী সাহিত্যের প্রাণ আর দেহ দুটোই খাঁটি বাঙালি।
এই সাহিত্য শুধু যে মহাভারতের শ্রীকৃষ্ণ বাংলায় কানু হয়ে উঠেছেন তাই নয়, রাধাও হয়ে উঠেছেন একেবারে খাঁটি বাঙালি মেয়ে। ভাটিয়ালির নায়িকা, বাউলের ভক্ত, মুর্শিদের আশিক আর পদাবলীর রাধা একই চরিত্র হয়ে উঠেছেন।
৪. কমবেশি ৬০ শব্দের মধ্যে যেকোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
৪.১ “লাল লাল বটের ফলের/ব্যথিত গন্ধের ক্লান্ত নীরবতা”— তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: আকাশের সাতটি তারা কবিতায় কবি বাংলার পল্লী প্রকৃতির মাঝেই প্রাণের স্পন্দন খুঁজে পান। গাছ থেকে পড়ে থাকা লাল বটফলের গন্ধে এক বিষাদময় ক্লান্ত নীরবতা মিশে আছে। এই বর্ণনায় কবি যেন জীবনের ব্যর্থতা, নিঃসঙ্গতা ও বিচ্ছিন্নতার দুঃখকেই প্রকৃতির মাধ্যমে উপলব্ধি করেন।
৪.২ “কে এইখানে ঘর বেঁধেছে”— ‘ঘর বেঁধেছে’ কথাটির তাৎপর্য কী?
উত্তর: আবহমান কবিতায় ‘ঘর বেঁধেছে’ কথাটি শুধু ঘর বানানো নয়, বরং আত্মিক বন্ধনের ইঙ্গিত বহন করে। শুধু ইট-কাঠের ঘর নয়, সম্পর্ক, মমতা ও ভালোবাসার ভিতেই আসল ঘর তৈরি হয়। বাংলায় আশ্রয় নেওয়া মানুষজন এখানকার আবহাওয়া, সংস্কৃতি, প্রকৃতি ও মানুষের ভালোবাসায় আপনজন হয়ে উঠেছে।
৫. কমবেশি ৬০ শব্দের মধ্যে যেকোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
৫.১ “কিন্তু বিঘ্নও আছে বহু”— কোন কোন বিঘ্নের কথা বলা হয়েছে লেখো?
উত্তর: স্বামী বিবেকানন্দ মিস নোবেলকে এদেশে কাজ করতে এলে যে বিঘ্ন হতে পারে, তা বলেছেন। যেমন— দেশের দুঃখ, কুসংস্কার, দারিদ্র্য, দাসত্বপ্রবণতা, জাতিভেদ ও অস্পৃশ্যতা। ভারতীয়রা শ্বেতাঙ্গদের এড়িয়ে চলে, আবার ইংরেজরাও নোবেলকে সন্দেহ করতে পারে। গ্রীষ্মপ্রধান জলবায়ু ও শহরের বাইরে অসুবিধাও বাধা হয়ে উঠতে পারে।
৫.২ “তাতে তোমার ও তাদের উভয়ের ওই সুবিধা হবে।”— কোন প্রসঙ্গে লেখক এ কথা বলেছেন উল্লেখ করো।
উত্তর: স্বামী বিবেকানন্দ চিঠিতে বলেছেন, সেভিয়ার দম্পতি ছিলেন এমন ইংরেজ, যারা ভারতীয়দের ঘৃণা বা প্রভুত্ব করেননি। তবে তাদের কোনো নির্দিষ্ট কর্মপদ্ধতি নেই। তাই তিনি মিস নোবেলকে বলেন, তিনি এলে ওদের সঙ্গে কাজ করলে দুই পক্ষেরই সুবিধা হবে এবং ভারতের জন্য কার্যকর ফল মিলবে।
৬. কমবেশি একশো কুড়ি শব্দে নিচের যেকোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
৬.১ “বর্তমান যুগের ইংরেজি ও বাংলা আত্মনির্ভরশীল নয়”— আত্মনির্ভরশীল ভাষা কাকে বলে? লেখকের এরকম মনে হওয়ার কারণ কী?
৬.২ ‘রাধারানী’ গল্পের পথিক চরিত্রটি আলোচনা কর।
৭. কম-বেশি ১২০ শব্দে নিচের যে কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
৭.১ ‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতায় কবির দেখা বাংলার রূপ নিজের ভাষায় বর্ণনা কর।
৭.২ “ফুরায় না, তার কিছুই ফুরোয় না”— এখানে কী না ফুরোনোর কথা বলা হয়েছে? কেন কিছুই ফুরায় না?
৮. কমবেশি ১৫০ শব্দে নিচের যেকোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
৮.১ “আমার অরনিথন যন্ত্র আজ তৈরি শেষ হলো।”— যন্ত্রটির পরিচয় দাও। এই যন্ত্রটির ব্যবহার কীভাবে শুরু হলো?
৮.২ “কর্ভাসকে এখন সদর্পে বৈজ্ঞানিক মহলে উপস্থিত করা চলে।”— কীভাবে প্রফেসর শঙ্কু বুঝলেন যে কর্ভাস বৈজ্ঞানিক মহলে উপস্থিত হওয়ার উপযুক্ত হয়ে উঠেছে?
ক্লাস 9 দ্বিতীয় ইউনিট টেস্ট বাংলা প্রশ্ন উত্তর 2025
Class 9 Bengali Question Answer Second Unit Test 2025
মডেল প্রশ্নপত্র: ২
১. সঠিক উত্তর নির্বাচন করে লেখো:
১.১ বর্তমান যুগের যে দুই ভাষাকে লেখক বলেছেন আত্মনির্ভরশীল নয়, সে দুটি হল—
ক) বাংলা, ইংরেজি
খ) হিব্রু, গ্রীক
গ) মারাঠি, কাশ্মীরি
ঘ) আবেস্তা, আরবি
উত্তর: বাংলা, ইংরেজি
১.২ দর্শন, নন্দনশাস্ত্র, বিজ্ঞান চর্চা ইত্যাদির জন্য যে ভাষা চর্চা একান্ত প্রয়োজন—
ক) আরবি
খ) হিন্দি
গ) ইংরেজি
ঘ) সংস্কৃত
উত্তর: ইংরেজি
১.৩ ‘আকাশে সাতটি তারা’ যখন ফুটে ওঠে, কবি কোথায় বসে থাকেন—
ক) মাঠে
খ) ঘাটে
গ) ঘরে
ঘ) ঘাসে
উত্তর: ঘাসে
১.৪ শান্ত, অনুগত বাংলার সন্ধ্যার রং—
ক) লাল
খ) কালো
গ) নীল
ঘ) পিঙ্গল
উত্তর: নীল
১.৫ স্বামী বিবেকানন্দ কল্যাণীয়া মিস নোবেলকে পাঠ্য চিঠিটি লিখেছেন—
ক) আলমোড়া থেকে
খ) আমেরিকা থেকে
গ) মাদ্রাজ থেকে
ঘ) শিলং থেকে
উত্তর: আলমোড়া থেকে
১.৬ ‘আবহমান’ কবিতায় কবি কার পাশে গিয়ে দাঁড়াতে বলেছেন—
ক) পুঁইমাচার
খ) লাউমাচার
গ) কুমড়োমাচার
ঘ) চালকুমড়োমাচার
উত্তর: লাউমাচার
১.৭ ‘আবহমান’ কবিতায় যা না হারানোর কথা বলা হয়েছে, তা হলো—
ক) চাঁদের হাসি
খ) রোদের হাসি
গ) কুন্দফুলের হাসি
ঘ) আলোর হাসি
উত্তর: কুন্দফুলের হাসি
১.৮ রাধারানী রথ দেখতে গিয়েছিল—
ক) পুরীতে
খ) মাহেশে
গ) মায়াপুরে
ঘ) শান্তিপুরে
উত্তর: মাহেশে
১.৯ রাধারানী ঘর ঝাঁট দিতে গিয়ে খুঁজে পেয়েছিল—
ক) স্বর্ণমুদ্রা
খ) একটা ছবি
গ) একটা নোট
ঘ) মায়ের ওষুধ
উত্তর: একটা নোট
২. কমবেশি ১৫ টি শব্দে নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:
২.১ বাংলায় যেসব বিদেশি শব্দ ঢুকেছে, তার মধ্যে কোন কোন ভাষা প্রধান বলেছে লেখক?
উত্তর: বাংলায় যেসব বিদেশি শব্দ প্রবেশ করেছে, তার মধ্যে আরবি, ফারসি এবং ইংরেজি প্রধান।
২.২ বাংলার নীল সন্ধ্যাকে কবি কিসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?
উত্তর: বাংলার নীল সন্ধ্যাকে কবি কেশবতী কন্যার সঙ্গে তুলনা করেছেন।
২.৩ কামরাঙ্গা লাল মেঘের ডুবে যাওয়াকে কবি কিসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?
উত্তর: কামরাঙ্গা লাল মেঘের সাগরজলে ডুবে যাওয়াকে কবি মৃত মনিয়া পাখির সঙ্গে তুলনা করেছেন।
২.৪ ‘একজন প্রকৃত সিংহীর প্রয়োজন’— প্রকৃত সিংহী কাকে বলা হয়েছে?
উত্তর: মিস মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেলকে প্রকৃত সিংহী বলা হয়েছে।
২.৫ ‘আবহমান’ কবিতাটির মূল কাব্যগ্রন্থের নাম কী?
উত্তর: অন্ধকার বারান্দা।
২.৬ কবি লাউমাচার পাশে কেন দাঁড়াতে বলেছেন?
উত্তর: কারণ পল্লীবাংলার প্রকৃতিলালিত সহজ সরল জীবন সেখানে খুঁজে পাওয়া যায় বলে।
২.৭ রাধারানীর কুড়িয়ে পাওয়া নোটে কী লেখা ছিল?
উত্তর: রাধারানীর নাম এবং দাতা রুক্মিণীকুমার রায়ের নাম লেখা ছিল।
২.৮ রাধারানী একা রথের মেলায় গিয়েছিল কেন?
উত্তর: মা-র পথ্য সংগ্রহ করতে বনফুলের মালা বিক্রি করতে গিয়ে মাহেশের রথের মেলায় গিয়েছিল।
২.৯ ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য কাকে বলে?
উত্তর: যে বিশেষ্য পদের দ্বারা কোনো কাজের নাম বোঝায়, তাকে ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন— লেখাপড়া।
২.১০ ‘তদ্ভব’ শব্দ বলতে আমরা কী বুঝি?
উত্তর: সংস্কৃত তথা প্রাচীন আর্য ভাষার শব্দ থেকে উদ্ভূত শব্দকেই তদ্ভব শব্দ বলা হয়।
২.১১ অকর্মক ও সকর্মক ক্রিয়ার একটি পার্থক্য লেখ।
উত্তর: সকর্মক ক্রিয়ার একটি কর্ম থাকে; অকর্মক ক্রিয়ার কর্ম থাকে না।
যেমন— রিনি বই পড়ে (সকর্মক), মেয়েটি হাসছে (অকর্মক)।
৩. কমবেশি ১৫০ শব্দে একটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
৩.১ সৈয়দ মুস্তাফা আলী সংস্কৃত ভাষাকে আত্মনির্ভরশীল বলেছেন কেন? বর্তমান যুগে ইংরেজি ও বাংলা ভাষা আত্মনির্ভরশীল নয় কেন?
উত্তর: ভাষার আত্মনির্ভরশীলতা তার সমৃদ্ধ শব্দভাণ্ডারের ওপর নির্ভর করে। লেখক সৈয়দ মুস্তাফা আলী লক্ষ্য করেছিলেন, সংস্কৃত ভাষার নিজস্ব শব্দভাণ্ডার এতটাই সমৃদ্ধ যে নতুন কোনো চিন্তা, অনুভূতি বা বিষয় প্রকাশ করতে হলে অন্য ভাষা থেকে শব্দ ধার করতে হয় না। তার নিজস্ব ধাতু ও শব্দ থেকেই সে প্রয়োজন মেটাতে পারে। যদিও সংস্কৃত ভাষা সামান্য কিছু বিদেশি শব্দ গ্রহণ করেছে, তবু এত কম পরিমাণে যে তা ভাষাটিকে পরনির্ভরশীল করে না। এজন্য লেখক সংস্কৃত ভাষাকে আত্মনির্ভরশীল বলেছেন।
আত্মনির্ভরশীল ভাষা সেই ভাষাকে বলে, যা অন্য ভাষা থেকে শব্দ ধার না করেও নিজের অভ্যন্তরীণ শব্দভাণ্ডারেই প্রকাশ ক্ষমতা ধরে রাখে। লেখকের মতে, বর্তমান যুগের বাংলা ও ইংরেজি ভাষা অন্য ভাষার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। পাঠান-মুঘল যুগে ফারসি ও আরবি ভাষা থেকে প্রচুর শব্দ বাংলায় ঢুকেছে। ইংরেজ শাসনকালে বহু ইংরেজি শব্দ এবং ইংরেজির মাধ্যমে আরও অনেক ভাষার শব্দ বাংলায় এসেছে ও আসছে। একইভাবে ইংরেজি ভাষাও বিভিন্ন ভাষার শব্দ ধার করছে। তাই লেখক মনে করেছেন, এই দুই ভাষা এখন আর আত্মনির্ভরশীল নয়।
৩.২ স্বামী বিবেকানন্দ লিখিত পাঠ্য চিঠির বিষয়বস্তু আলোচনা করো।
উত্তর: লন্ডনে স্বামী বিবেকানন্দের সঙ্গে মিস মার্গারেট নোবেলের প্রথম সাক্ষাৎ হয়। স্বামীজির বক্তৃতা শুনে তিনি অনুপ্রাণিত হন। পরবর্তীকালে ইংরেজ ভক্ত মি. স্টোকসের চিঠি থেকে মিস নোবেল সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে পারেন স্বামীজি। মিস মুলারের কাছ থেকেও তিনি মিস নোবেলের কার্যপ্রণালী সম্পর্কে জেনেছেন। তবে তিনি জানিয়ে দেন, ভারতের সামাজিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশ ইউরোপ-আমেরিকার মতো নয়। কুসংস্কার, অস্পৃশ্যতা, জাতিভেদ, ইংরেজ প্রভুর দাসত্ব আর প্রবল দারিদ্র্য এদেশের মানুষকে গেঁথে রেখেছে। এর সঙ্গে যুক্ত গ্রীষ্মপ্রধান আবহাওয়া এবং শহরের বাইরে অনুন্নত জীবনযাপন।
এই সব কিছু জেনেও যদি মিস নোবেল নিজেকে ভারতের কল্যাণে উৎসর্গ করতে চান, তাহলে তাঁর সামনে একটি বিশাল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে— বিশেষত ভারতীয় নারীদের উন্নয়নের ক্ষেত্রে। স্বামীজি মনে করেন, মিস নোবেল একজন শিক্ষিতা, একনিষ্ঠ, প্রেমময়ী, চেতনা-সমৃদ্ধ এবং উন্নত চরিত্রের নারী। তাই এমন একজন নারীর ভারত দরকার। তিনি সরাসরি মিস নোবেলকে একটি চিঠিতে এইসব মতামত, দেশের অবস্থা, ইউরোপীয়দের কর্মপদ্ধতির পর্যালোচনা এবং মিস নোবেল এলে তাঁর কাজের ক্ষেত্র কেমন হবে— এসব বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছেন। চিঠিতে স্বামীজি আশ্বাস দেন, তিনি আমৃত্যু তাঁর পাশে থাকবেন।
৪. কমবেশি ১৫০ শব্দে একটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
৪.১ “কামরাঙ্গা লাল মেঘ যেন মৃত মনিয়ার মত”— কামরাঙ্গা লাল মেঘ কোথায় ডুবে যায়? কবি লাল মেঘে নীল সন্ধ্যায় বিলীয়মান হতে দেখে যে অসামান্য ছবি এঁকেছেন তার তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও।
উত্তর: ‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতায় পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়া কামরাঙ্গা লাল মেঘ যেন মৃত মনিয়া পাখির মতো গঙ্গাসাগরের ঢেউয়ে ডুবে যায়।
কবি জীবনানন্দ দাশ ঘাসের ওপর বসে বাংলার সান্ধ্য সৌন্দর্যের মায়া-মমতা লক্ষ্য করেছেন। অস্তমিত সূর্যের আলো দিগন্তকে গাঢ় লাল আভায় আলোড়িত করে তোলে। এই সময়, সন্ধ্যার আবছায়ায় ডুবতে থাকা লাল মেঘের রঙ এবং আকৃতি ক্রমশ পরিবর্তিত হয়। সেই রঙিনতা যেন পাকা কামরাঙ্গার মতো দেখায়। এই খণ্ড খণ্ড চঞ্চল লাল মেঘদল, তার আকৃতি, রঙের বৈচিত্র্য এবং অস্থিরতার জন্য কবির কাছে মনিয়া পাখির মতো মনে হয়েছে।
মনিয়া পাখি যেমন ছোট্ট, ছটফটে ও বর্ণিল, তেমনি এই মেঘগুলোও রক্তাভ রঙে সন্ধ্যার ঘন নীলে মিলিয়ে যেতে যেতে যেন মৃত্যুর দিকে ধাবিত কোনো জীবন্ত সত্তার রূপ ধারণ করে। কবি এইভাবে মেঘের বিলীন হয়ে যাওয়াকে জীবনের ক্ষণস্থায়িত্ব ও প্রকৃতির নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অন্তিম সত্যে রূপান্তরিত করেছেন। এই অসামান্য রূপময় রূপকল্পে কবি এক রহস্যময় জীবন-চক্রের প্রতিফলন তুলে ধরেছেন।
৪.২ “নেভে না তার যন্ত্রণা যে, দুঃখ হয় না বাসি”— এখানে যার যন্ত্রণার কথা বলা হয়েছে, তার যন্ত্রণা কেন নেভে না? ‘দুঃখ হয় না বাসি’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ‘আবহমান’ কবিতায় গ্রামবাংলার দরিদ্র মানুষের যন্ত্রণার কথা বলা হয়েছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তারা দারিদ্র্য, কষ্ট, শোষণ এবং অবহেলার শিকার হয়ে আসছে। এই যন্ত্রণার যেন কোনো শেষ নেই, তাই কবি বলেছেন, “নেভে না তার যন্ত্রণা যে।” এ যন্ত্রণা শুধু দারিদ্র্যের নয়, সামাজিক অবিচার ও শ্রেণিগত বৈষম্যেরও প্রতিচ্ছবি।
‘দুঃখ হয় না বাসি’— অর্থাৎ এই দুঃখ কখনো পুরনো হয় না, কারণ প্রতিদিন তাদের জীবনে নতুন নতুন দুঃখ এসে উপস্থিত হয়। এক রাতের দুঃখ শেষ হতেই নতুন দিনের আরেক দুঃখ তাদের জন্য অপেক্ষা করে। পেট ভরার লড়াই, শোষণের জ্বালা, সন্তানের চিকিৎসা, মাটির ঘরে বৃষ্টির ভয়— এইসব মিলিয়ে তাদের প্রতিটি মুহূর্তেই থাকে নতুন দুঃখের সংযোজন। তাই কবির চোখে এই দুঃখ কখনো বাসি বা পুরনো হয় না— তা প্রতিদিনই নতুন, টাটকা এবং তীব্র।
৫. কমবেশি ১৫০ শব্দে একটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
৫.১ “তুমি ঘরে আসিয়া দাঁড়াও, আমরা আলো জ্বালিয়া দেখি, টাকা কি পয়সা।”— বক্তা কখন এই মন্তব্য করেছে? আলো জ্বালার পরের ঘটনা উল্লেখ কর।
উত্তর: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘রাধারানী’ গল্পাংশে রাধারানী তার গাঁথা বনফুলের মালাটি বিক্রি করে মার জন্য পথ্য সংগ্রহ করতে গিয়েছিল। এক অচেনা ভদ্রলোক মেলায় রাধারানীর মালাটি চার পয়সায় কিনে নেন। কিন্তু রাধারানীর চোখে সেই পয়সাগুলি টাকার মতো বড় মনে হয়। পথিক বলেছিল, সেগুলি ডবল পয়সা, তবে রাধারানী পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারেনি।
তাই সে নিজের কুটিরে ফিরে এসে বলে, “তুমি ঘরে আসিয়া দাঁড়াও, আমরা আলো জ্বালিয়া দেখি, টাকা কি পয়সা।” তেলের অভাবে সে চালের খড় টেনে এনে চকমকি দিয়ে আগুন জ্বালে এবং প্রদীপের আলোয় দেখে যে, সত্যিই তা টাকা। বাইরে এসে যখন পথিককে ডাকতে যায়, তখন দেখে তিনি চলে গিয়েছেন। পরে রাধারানী মাকে সব জানালে মা বলেন, তিনি নিশ্চয়ই দয়ায় টাকা দিয়েছেন— তাই তা গ্রহণ করাই উচিত।
৫.২ “অজ্ঞতা রাধারানী কাঁদিতে কাঁদিতে ফিরিল।”— রাধারানী কোথা থেকে ফিরল? সে কাঁদছিল কেন?
উত্তর: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘রাধারানী’ গল্পাংশে রাধারানী মাহেশের রথের মেলা থেকে ফিরছিল। সে বনফুলের মালা বিক্রি করে অসুস্থ মায়ের জন্য পথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে গিয়েছিল। কিন্তু রথ টানার সময় হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয় এবং মেলার ভিড় ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ফলে কেউ মালাটি কেনে না।
রাধারানী আশা করে বৃষ্টি থামলে মেলা আবার জমবে এবং সে মালাটি বিক্রি করতে পারবে। তাই সে ভিজতে ভিজতে অপেক্ষা করে। কিন্তু বৃষ্টি আর থামে না। সন্ধ্যা নেমে আসে, চারপাশ অন্ধকারে ঢেকে যায়, পথ হয় পিছল ও কাদাময়। মালা বিক্রি না হওয়ায় সে দিশাহারা হয়ে পড়ে।
মায়ের অসুস্থতা, খাদ্যের অভাব, নিজের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়া— এইসব ভেবে সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। প্রবল অসহায়তা ও দুঃখে কাঁদতে কাঁদতে সে বাড়ির পথে ফিরে আসে।
৬.১ “কর্ভাস যে কোনো সাধারণ কাকের থেকে নিজেকে আলাদা রাখতে চায়, তার পষ্ট প্রমাণ আজকে পেলাম।”— কোন ঘটনায় এই প্রমাণ পেয়েছিলেন প্রফেসর শঙ্কু?
উত্তর: সত্যজিৎ রায়ের ‘কর্ভাস’ গল্পে প্রফেসর শঙ্কু তাঁর তৈরি অর্নিথন যন্ত্রের সাহায্যে কর্ভাসকে বুদ্ধিমান করে তোলেন। কিছুদিনের মধ্যেই কর্ভাসের শিক্ষায় প্রচুর অগ্রগতি ঘটে এবং সে নিজেকে সাধারণ কাকদের থেকে আলাদা মনে করতে শুরু করে।
একদিন দুপুরে হঠাৎ মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়, সঙ্গে বজ্রপাত। তিনটে নাগাদ একটি বিকট বজ্রপাত ঘটে এবং শিমুল গাছ থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। বিকেলে বৃষ্টি থামলে প্রফেসর শঙ্কু দেখেন কাকেরা সেখানে চেঁচামিচি করছে। তাঁর চাকর প্রহ্লাদ জানায়, একটি কাক মারা পড়েছে বলেই এত কোলাহল।
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, কর্ভাস ঘর থেকে একবারও বেরোয়নি। সে এক মনে পেলসিনে প্রাইম নাম্বার লিখছিল। এ দৃশ্য দেখে প্রফেসর শঙ্কু বুঝতে পারেন— কর্ভাস আর নিজেকে সাধারণ কাকদের মতো ভাবছে না, সে নিজেকে শ্রেষ্ঠ জ্ঞানী হিসেবে ভাবছে।
৬.২ “খাঁচা সমেত কর্ভাস উধাও।”— কর্ভাস কিভাবে উধাও হয়ে গিয়েছিল?
উত্তর: সত্যজিৎ রায়ের ‘কর্ভাস’ গল্পে দেখা যায়, চিলিয়ান জাদুকর আগার্স প্রফেসর শঙ্কুর কাছে কর্ভাসকে দশ হাজার ইকুয়াডরীয় পেসোর বিনিময়ে কিনতে চায়। প্রফেসর রাজি না হলে, আগার্স হতাশ হয়ে ফিরে যায়।
পরদিন পক্ষীবিজ্ঞান সম্মেলনে যোগ দিয়ে শঙ্কু দুপুরে হোটেলে ফিরে দেখেন, তাঁর ঘরের দরজা খোলা, এবং কর্ভাস খাঁচাসহ উধাও। প্রফেসর আতঙ্কিত হয়ে হোটেলের দারোয়ানের কাছে যান। দারোয়ান জানায়, আগার্স হিপনোটিজমের মাধ্যমে হোটেলের কর্মচারীদের সম্মোহিত করে চাবি নিয়ে ঘরে ঢুকে কর্ভাসকে নিয়ে পালিয়েছে।
তিনি গাড়িতে করে ভালোপারাইজোর রাস্তা ধরে হাইওয়ের দিকে পালানোর চেষ্টা করে।
এই ঘটনায় বোঝা যায়, আগার্স কর্ভাসের অসাধারণ মেধা ও বুদ্ধিমত্তা দেখে লোভে পড়ে এবং শঙ্কুর অমতে জাদুবলে কর্ভাসকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
৭. ভাবার্থ লেখ:
বিপদে মোরে রক্ষা করো,
এ নহে মোর প্রার্থনা,
বিপদে আমি না যেন করি ভয়।
দুঃখ তা পেয়ে ব্যথিত চিতে
নাই বা দিলে শান্তনা,
দুঃখে যেন করিতে পারি জয়।
সহায় মোর না যদি জুটে
নিজের বল না যেন টুটে,
সংসারে তে ঘটিলে ক্ষতি
লোভীলে শুধু বঞ্চনা
নিজের মনে না যেন মানি ক্ষয়।
উত্তর: এই কবিতাংশে কবি ঈশ্বরের কাছে বিপদের সময় রক্ষা করার আবেদন জানান না। বরং কবি চান, তিনি যেন এমন আত্মশক্তি ও সাহস পান, যা দিয়ে নিজের দুঃখ-কষ্টকে জয় করতে পারেন।
তিনি বলেন, বিপদ যেন ভয় না ধরায়, দুঃখ পেলেও তিনি যেন শান্তনার প্রার্থী না হন। বরং সেই দুঃখকে যেন তিনি শক্তি দিয়ে জয় করতে পারেন।
সাহায্য না পেলেও যেন নিজের ভরসা না হারান। সমাজে প্রতারিত হলেও তিনি যেন নিজের আত্মিক ক্ষয় না মেনে নেন। কবি চরম আত্মবিশ্বাসের কথা বলেন— যাতে মানুষ নিজের বলেই দাঁড়াতে পারে, ভরসা রাখতে পারে নিজের মনুষ্যত্বে।
এই ভাবধারায় ব্যক্ত হয়েছে পরনির্ভরশীলতার পরিবর্তে আত্মনির্ভরতার আহ্বান— যা একজন সত্যিকার সাহসী ও আত্মপ্রত্যয়ী মানুষের জীবনদর্শনের প্রতিফলন।
ক্লাস 9 দ্বিতীয় ইউনিট টেস্ট বাংলা প্রশ্ন উত্তর 2025
Class 9 Bengali Question Answer Second Unit Test 2025
মডেল প্রশ্নপত্র: ৩
১. সঠিক উত্তর নির্বাচন করে লেখঃ
১.১ বর্তমান যুগের যে দুই ভাষাকে লেখক বলেছেন আত্মনির্ভরশীল নয়, সে দুটি হল—
(ক) বাংলা, ইংরেজি
(খ) হিব্রু, গ্রীক
(গ) মারাঠি, কাশ্মীরি
(ঘ) আবেস্তা, আরবি
উত্তর: (ক) বাংলা, ইংরেজি
১.২ দর্শন, নন্দনশাস্ত্র, বিজ্ঞানচর্চা ইত্যাদির জন্য যে ভাষাচর্চা একান্ত প্রয়োজন—
(ক) আরবি
(খ) হিন্দি
(গ) ইংরেজি
(ঘ) সংস্কৃত
উত্তর: (গ) ইংরেজি
১.৩ আকাশে সাতটি তারা যখন ফুটে ওঠে কবি কোথায় বসে থাকেন—
(ক) মাঠে
(খ) ঘাটে
(গ) ঘরে
(ঘ) ঘাসে
উত্তর: (ঘ) ঘাসে
১.৪ শান্ত অনুগত বাংলার সন্ধ্যার রং—
(ক) লাল
(খ) কালো
(গ) নীল
(ঘ) পিঙ্গল
উত্তর: (গ) নীল
১.৫ স্বামী বিবেকানন্দ কল্যাণীয়া মিস নোবেলকে পাঠ্য চিঠিটি লিখেছেন—
(ক) আলমোড়া থেকে
(খ) আমেরিকা থেকে
(গ) মাদ্রাজ থেকে
(ঘ) শিলং থেকে
উত্তর: (ক) আলমোড়া থেকে
১.৬ ‘আবহমান’ কবিতায় কবি কার পাশে গিয়ে দাঁড়াতে বলেছেন—
(ক) পুঁইমাচার
(খ) লাউমাচার
(গ) কুমড়োমাচার
(ঘ) চালকুমড়োমাচার
উত্তর: (খ) লাউমাচার
১.৭ ‘আবহমান’ কবিতায় যা হারানোর কথা বলা হয়েছে তা হলো—
(ক) চাঁদের হাসি
(খ) রোদের হাসি
(গ) কুন্দফুলের হাসি
(ঘ) আলোর হাসি
উত্তর: (গ) কুন্দফুলের হাসি
১.৮ রাধারানী রথ দেখতে গিয়েছিল—
(ক) পুরীতে
(খ) মাহেশে
(গ) মায়াপুরে
(ঘ) শান্তিপুরে
উত্তর: (খ) মাহেশে
১.৯ রাধারানী ঘর ঝাঁট দিতে গিয়ে খুঁজে পেয়েছিল—
(ক) একটা স্বর্ণমুদ্রা
(খ) একটা ছবি
(গ) একটা নোট
(ঘ) মায়ের ঔষধ
উত্তর: (গ) একটা নোট
২. কমবেশি ১৫টি শব্দে নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:
২.১ বাংলায় যেসব বিদেশি শব্দ ঢুকেছে, তার মধ্যে কোন কোন ভাষা প্রধান বলেছে লেখক?
উত্তর: বাংলায় আরবি, ফারসি ও ইংরেজি ভাষা থেকে প্রধান বিদেশি শব্দ এসেছে।
২.২ বাংলার নীল সন্ধ্যাকে কবি কিসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?
উত্তর: কবি বাংলার নীল সন্ধ্যাকে কেশবতী কন্যার সঙ্গে তুলনা করেছেন।
২.৩ কামরাঙ্গা লাল মেঘের ডুবে যাওয়াকে কবি কিসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?
উত্তর: কবি একে মৃত মনিয়া পাখির ডুবে যাওয়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন।
২.৪ একজন প্রকৃত সিংহীর প্রয়োজন—প্রকৃত সিংহী কাকে বলা হয়েছে?
উত্তর: মিস মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেলকে প্রকৃত সিংহী বলা হয়েছে।
২.৫ ‘আবহমান’ কবিতাটির মূল কাব্যগ্রন্থের নাম কী?
উত্তর: ‘আবহমান’ কবিতাটি ‘অন্ধকার বারান্দা’ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।
২.৬ কবি লাউমাচার পাশে কেন দাঁড়াতে বলেছেন?
উত্তর: পল্লী জীবনের সহজ সরল রূপ উপলব্ধির জন্য কবি সেখানে দাঁড়াতে বলেছেন।
২.৭ রাধারানীর কুড়িয়ে পাওয়া নোটে কী লেখা ছিল?
উত্তর: সেই নোটে রাধারানী ও তার দাদা রুক্মিণীকুমার রায়ের নাম লেখা ছিল।
২.৮ রাধারানী একা রথের মেলায় গিয়েছিল কেন?
উত্তর: মার জন্য পথ্য সংগ্রহে বনফুলের মালা বিক্রি করতে রাধা মেলায় গিয়েছিল।
২.৯ ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য কাকে বলে? একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: কাজ বোঝায় এমন বিশেষ্য হলো ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য। উদাহরণ—লেখাপড়া শেখায় সেই রাস্তা।
২.১০ ‘তদ্ধব’ শব্দ বলতে আমরা কী বুঝি?
উত্তর: তদ্ধব শব্দ সংস্কৃত ভাষা থেকে উদ্ভূত শব্দকে বোঝায়।
২.১১ অকর্মক ও সকর্মক ক্রিয়ার একটি পার্থক্য লেখ।
উত্তর: অকর্মকে কর্ম থাকে না; সকর্মকে অন্তত একটিও কর্ম থাকে।
৩. নিচের যেকোনো প্রশ্নের ৬০ একটি শব্দ উত্তর দাও:
৩.১ “বাঙালি চরিত্রে বিদ্রোহ বিদ্যমান।” – প্রসঙ্গ নির্দেশ করে লেখক যা বোঝাতে চেয়েছেন লেখ।
উত্তর: সৈয়দ মুস্তাফা আলীর মতে রাজনীতি, ধর্ম, সাহিত্য—যখনই বাঙালি সত্য, শিব ও সুন্দরের সন্ধান পেয়েছে, তখনই তা গ্রহণ করতে চেয়েছে। আর গতানুগতিকতা বা প্রাচীন ঐতিহ্যের দোহাই দিয়ে কেউ সেই প্রচেষ্টায় বাধা দিতে গেলে বাঙালি জাতি বিদ্রোহী হয়ে উঠেছে। আবার সেই বিদ্রোহ উচ্চশৃঙ্খলতায় পরিণত হলে সুন্দরের পূজারী বাঙালিরা তার বিরুদ্ধেও বিদ্রোহ করেছে। আর এই বিদ্রোহে বাঙালি মুসলমানরাও যোগ দিয়েছে। তার কারণ, ধর্ম বদলে গেলেও জাতিসত্তা একই থেকে যায়।
৩.২ “কিন্তু বিঘ্নও আছে বহু।” – কোন কোন বিঘ্নের কথা বলা হয়েছে লেখ।
উত্তর: স্বামী বিবেকানন্দ মিস নোবেলকে যেসব বিঘ্নের কথা বলেছেন, তার মধ্যে প্রথমেই উল্লেখযোগ্য এ দেশের মানুষের দুঃখ, কুসংস্কার ও দাসত্ব। মানুষের দারিদ্র্য একটি প্রধান বাধা। জাতিভেদ ও অস্পৃশ্যতা তাদের আলাদা করে রেখেছে। ভয় অথবা ঘৃণা, যে কারণেই হোক, তারা শ্বেতাঙ্গদের এড়িয়ে চলে। এদের সঙ্গে নোবেল মিলতে চাইলে শ্বেতাঙ্গরাও তাকে সন্দেহ করতে পারে। এছাড়াও গ্রীষ্মপ্রধান জলবায়ু এবং শহরের বাইরে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের অভাব বাধা হয়ে উঠতে পারে।
৪. নিচের যেকোনো একটি প্রশ্নের ৬০ টি শব্দ উত্তর দাও:
৪.১ “আসিয়াছে শান্ত অনুগত / বাংলার নীল সন্ধ্যা” — কবি বাংলার সন্ধ্যাকে শান্ত, অনুগত, নীল কেন বলেছেন?
উত্তর: ‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতায় জীবনানন্দ বাংলার সন্ধ্যার প্রকৃতির এক অসামান্য বর্ণনা দিয়েছেন। বাংলার গ্রামে শহরের মতো কোলাহল নেই। জীবনযাত্রা সেখানে শান্ত। তাই গ্রাম বাংলার বুকে সন্ধ্যাও নামে শান্তভাবে। পল্লীবাংলার সন্ধ্যা গ্রামের পরিবেশের সঙ্গে মানানসই। তার চাকচিক্য নেই, আছে স্নিগ্ধতা। তাই সন্ধ্যা অনুগত। সন্ধ্যায় অন্ধকার আর দিনের আলো মিশে যে আবছায়া তৈরি করে, তার সঙ্গে গাছপালার সবুজ আভা মিলে সন্ধ্যাকে নীল করে তোলে।
৪.২ “কেশবতী কন্যা যেন এসেছে আকাশে;” — পংক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতায় জীবনানন্দ তার একান্ত নিজস্ব ভঙ্গিতে পল্লীবাংলার সন্ধ্যাকে বর্ণনা করেছেন। সূর্য ডুবে গেলে যখন দিনের আলো ফিকে হয়ে আসে, কবির মনে হয় যেন এক কেশবতী কন্যা এসেছে সন্ধ্যার আকাশে। তার ছড়িয়ে পড়া কালো চুলে ঘনিয়ে আসে রাতের অন্ধকার। কবির চোখে এভাবেই কাব্যিক রূপে ধরা দেয় পল্লীবাংলার সন্ধ্যা।
৫. এর যেকোন একটি প্রশ্নের ১৫০ টি শব্দ উত্তর দাও:
৫.১। “নোটখানি তাহারা ভাঙ্গাইলো না, তুলিয়া রাখিল; তাহারা দরিদ্র, কিন্তু লোভী নহে।” — মন্তব্যটির তাৎপর্য গল্পাংশ অবলম্বনে আলোচনা কর।
উত্তর: পথ্যসংগ্রহের চেষ্টা:
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রাধারানী গল্পাংশে রাধারানীর মা অসুস্থ হয়ে পড়ায় এগারো বছরের কম বয়সী, পিতৃহীন রাধারানীকে মায়ের পথ্যসংগ্রহের জন্য ফুলের মালা গেঁথে রথের হাটে বিক্রির উদ্দেশ্যে যেতে হয়।
সাহায্যকারী পথিক:
প্রবল বৃষ্টির কারণে মালা বিক্রি না হলে এক পথিক সাহায্যের ভূমিকায় এগিয়ে আসেন। তিনি শুধু মালাটি কেনেন না, চার পয়সা মূল্যের বদলে দেন দুটি টাকা।
সাহায্যগ্রহণে রাধারানীর সম্মতি:
প্রথমে রাধারানী তা নিতে চায়নি, কিন্তু মায়ের কথায় গ্রহণ করে। পরে কাপড় ব্যবসায়ী পদ্মলোচনের মাধ্যমে পথিকের পাঠানো দুটি কাপড় পেয়ে রাধারানী বিস্মিত হয়।
নোট প্রাপ্তি ও তা ফেরতের চেষ্টা:
ঘর ঝাঁট দিতে গিয়ে পাওয়া নোটটি রাধা বা তার মা গ্রহণ করতে পারেনি, কারণ তা তাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত ছিল। পরদিন তারা নোটটি ফেরত দিতে রুক্মিণীকুমার রায়ের খোঁজ করে। তাকে না পেয়ে, নোটটি ভাঙায়নি—তুলে রেখেছে।
ঘটনার তাৎপর্য:
ঘটনাটি প্রমাণ করে, দারিদ্র্য রাধারানীর পরিবারের সততা ও নির্লোভ মানসিকতা নষ্ট করতে পারেনি। বরং লোভকে জয় করে তারা নৈতিকভাবে শ্রেষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
৫.২। রাধারানী গল্পাংশের পথিক চরিত্রটি আলোচনা কর।
উত্তর: শুরুর কথা: বঙ্কিমচন্দ্রের রাধারানী গল্পাংশের শেষে জানা যায়, পথিকের নাম রুক্মিণীকুমার। বৃষ্টিতে পণ্ড হয়ে যাওয়া রথের মেলা থেকে ফেরার পথে রাধারানীর সঙ্গে তার আলাপ হয়।
দয়ালু ও পরোপকারী:
বৃষ্টিভেজা, অন্ধকার, পিছল পথে রাধারানীকে হাত ধরে বাড়ি পৌঁছে দেয়। তার প্রয়োজন ও বিক্রি না হওয়া মালার কথা শুনে মালাটি কিনে নেয় এবং পয়সার বদলে টাকা দেয়।
সহায়ক মনোভাব:
রাধারানীর পড়ার ও কাপড়ের অভাব শুনে পদ্মলোচনের দোকানে কাপড়ের দাম দিয়ে যায় ও কাপড় পৌঁছে দিতে বলে।
আত্মপ্রচার বিমুখ:
উপকার করেও সে কখনো তা জানায় না। এমনকি, রাধারানীর ঘরে নোটটি ফেলে যায়, যাতে সরাসরি তার নাম প্রকাশ না পায়।
বাস্তববুদ্ধিসম্পন্ন:
নোটটিকে কেউ যেন চোরাই না ভাবে, তাই দাতা ও প্রাপকের নাম লিখে রেখে যায়। এইসব গুণে পথিক চরিত্রটি বাস্তব ও মহৎ হয়ে উঠেছে।
৬. নিচের যেকোনো একটি প্রশ্নের ১৫০ টি শব্দ উত্তর দাও:-
৬.১। “বর্তমান যুগের ইংরেজি ও বাংলা আত্মনির্ভরশীল নয়” — আত্মনির্ভরশীল ভাষা কাকে বলে? লেখকের এরকম মনে হওয়ার কারণ কী?
উত্তর: আত্মনির্ভরশীল ভাষা: লেখক সৈয়দ মুস্তাফা আলী তাঁর নব সৃষ্টি রচনায় বলেছেন যে, ভাষার আত্মনির্ভরশীলতার অর্থ ভাষার স্বয়ংসম্পূর্ণতা। সংস্কৃতকে উদাহরণ হিসেবে দেখিয়ে তিনি বলেন, এই ভাষায় যদি নতুন চিন্তা, অনুভূতি কিংবা বস্তুকে বোঝাতে শব্দের প্রয়োজন হয়, তবে সংস্কৃত তা নিজের ভাণ্ডার থেকেই সংগ্রহ করে। প্রয়োজনে পুরনো ধাতুর সাহায্যে সামান্য রূপান্তর ঘটিয়ে নতুন শব্দ গঠন করে। তাই সংস্কৃত একটি আত্মনির্ভরশীল ভাষা হয়ে উঠেছে।
লেখকের এরকম মনে হওয়ার কারণ:
ভাষার স্বয়ংসম্পূর্ণতা: এই প্রসঙ্গেই লেখক বলেন, বর্তমান যুগের ইংরেজি ও বাংলা ভাষা আত্মনির্ভরশীল নয়।
অতিরিক্ত শব্দগ্রহণ:
ইংরেজি ও বাংলা ভাষা বিভিন্ন ভাষা থেকে অতিরিক্ত শব্দ নিয়ে নিজেদের ভাষাভাণ্ডার সমৃদ্ধ করে। পাঠান-মুঘল যুগে বাংলা ভাষায় আরবি-ফারসি শব্দ প্রবেশ করেছে। পরবর্তীকালে ইংরেজি ও অন্যান্য ইউরোপীয় ভাষা থেকেও শব্দ গ্রহণ করেছে। এ কারণেই লেখকের মতে, ইংরেজি ও বাংলা স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়।
৬.২। ‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতায় জীবনানন্দের প্রকৃতিপ্রীতির পরিচয় দাও।
উত্তর: কবির প্রকৃতিচেতনা: প্রকৃতিপ্রেমী কবি জীবনানন্দ দাশ সান্ধ্যকালীন রূপসী বাংলার সৌন্দর্য তুলে ধরেছেন আকাশে সাতটি তারা কবিতায়।
দিগন্তরেখায় বিলীন:
সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় তার লাল আভায় আকাশের মেঘ পাকা কামরাঙ্গা ফলের মতো লাল হয়। কিছুক্ষণ পর সেই মেঘ দিগন্তরেখায় বিলীন হয়। তারা ফুটে ওঠে আকাশে। দিন-রাত্রির সন্ধিক্ষণে বাংলার প্রকৃতির এই রূপ অনন্য।
এলোকেশী কন্যা:
সূর্য ডোবার পরে কবির মনে হয়, যেন এক এলোকেশী কন্যা বাংলার আকাশে এসেছে। তার কালো চুল ধীরে ধীরে অন্ধকারের আবরণ আনে। সেই অন্ধকার হিজল, কাঁঠাল, জাম গাছ ছুঁয়ে নামে—যেন চুলের স্নেহস্পর্শ।
সন্ধ্যার রূপ: কবি বাংলার সন্ধ্যাকে শুধু দৃষ্টিতে নয়, গন্ধেও অনুভব করেছেন। গাছ, ঘাস, পুকুর, মাছ, হাঁস, মানুষ—সব কিছুর গন্ধ মিলে সন্ধ্যার নিগূঢ় সৌন্দর্য গড়ে তোলে।
শেষের কথা:
বাংলার প্রকৃতি, মানুষ ও জীবজগত মিলেই কবির রূপসী বাংলার স্বপ্ন বাস্তব হয়েছে এই কবিতায়।
ক্লাস 9 দ্বিতীয় ইউনিট টেস্ট বাংলা প্রশ্ন উত্তর 2025 // নবম শ্রেণী দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন ২০২৫ বাংলা প্রশ্নপত্র
৭. নিচের যেকোনো একটি প্রশ্নের ১৫০টি শব্দ উত্তর দাও:
৭.১। “অন্য প্রাণীর তুলনায় পাখির ক্ষমতা আরো বেশি, আরো বিস্ময়কর” — কর্ভাস গল্প অনুসারে মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর।
উত্তর: কথামুখ: প্রত্যেক প্রাণীর নির্দিষ্ট কিছু সহজাত ক্ষমতা থাকলেও, নিজের অভিজ্ঞতা থেকে প্রফেসর শঙ্কুর মনে হয়েছিল পাখিদের ক্ষমতা আরও বেশি।
বাবুইয়ের অনন্যতা:
কোনো মানুষের পক্ষে বাবুই পাখির মতো জটিল বাসা তৈরি করা সহজ নয়।
ম্যালিফাউলের বিস্ময়কর ক্ষমতা:
অস্ট্রেলিয়ার ম্যালিফাউল নামের পাখিটি নিজের ডিমে তা দেয় না, কিন্তু এক আশ্চর্য কৌশলে বাসার ভিতরের তাপমাত্রা সর্বদা ৭৮ ডিগ্রি ফারেনহাইটের কাছাকাছি রাখে, বাইরের তাপমাত্রা যাই হোক না কেন।
গ্রিবের বৈশিষ্ট্য:
গ্রিব নামের পাখি শত্রুর আভাস পেলে নিজের দেহ ও পালক থেকে বায়ু বার করে শরীরের নির্দিষ্ট ভর বাড়িয়ে জলেই ডুবে থেকে আত্মরক্ষা করে।
অন্যান্য পাখির গুণ:
যাযাবর পাখির দিকনির্ণয় ক্ষমতা, ঈগলের শিকার দক্ষতা, শকুনের ঘ্রাণশক্তি এবং অনেক পাখির সংগীতপ্রতিভাও প্রফেসর শঙ্কুর দৃষ্টিতে বিস্ময়কর হয়ে ওঠে।
এই সকল কারণে লেখকের বক্তব্য যথার্থ বলেই প্রতীয়মান হয়।
৭.২। কর্ভাস-এর মানবসুলভ বুদ্ধির পরিচয় কোন কোন ঘটনায় পাওয়া যায়, লেখ।
উত্তর: ঘটনার উল্লেখ: অর্ণিথন যন্ত্র তৈরির সময় থেকেই কর্ভাসের নিজস্বতা প্রফেসর শঙ্কুকে আকৃষ্ট করে, তাই তাকেই তিনি ছাত্র হিসেবে বেছে নেন। একাধিক ঘটনায় কর্ভাসের মানবসুলভ বুদ্ধি ও বিবেচনার পরিচয় মেলে।
কর্ভাস ও নিউটন:
কর্ভাস নিউটনের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে এবং তার সঙ্গে সদ্য কাটা মাছ সংগ্রহ করে আনে।
শেখার ক্ষমতা:
কর্ভাস দুই সপ্তাহেই ইংরেজি কথা ও সংখ্যা লেখা শিখে যায়। কাগজে নিজের নাম লিখে, সহজ যোগ-বিয়োগ করতে পারে, সপ্তাহের দিনও লিখে দিতে পারে।
শঙ্কুকে সাহায্য:
সান্তিয়াগো যাওয়ার প্রস্তুতির সময় কর্ভাস ঠোঁটে সুটকেসের চাবি নিয়ে হাজির হয়। আবার, শঙ্কু পাসপোর্ট নিতে ভুললে তাকেও স্মরণ করিয়ে দেয়।
আগাসের প্রতি আচরণ:
কর্ভাস হোটেলের আলো নিভিয়ে আগাসকে অপছন্দের ইঙ্গিত দেয়, এমনকি পালানোর সময় আত্মরক্ষায় তার চশমা কেড়ে নেয়।
এই সব ঘটনায় কর্ভাসের মানবসুলভ বুদ্ধির পরিচয় স্পষ্ট হয়।
৮. নিচের যেকোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও:
৮.১ ভাবার্থ লেখো
“দেশের মঙ্গল? দেশের মঙ্গল, কাহার মঙ্গল? তোমার আমার মঙ্গল দেখিয়েছো, কিন্তু তুমি আমি কি দেশ? তুমি আমি দেশের কয়জন? আর এই কৃষিজীবী কয়জন? তাহাদের ত্যাগ করিলে দেশে কয়জন থাকে? হিসাব করিলে তাহারাই দেশ—দেশের অধিকাংশ লোকই কৃষিজীবী। তোমরা হইতে আমা হইতে কোন কাজ হইতে পারে? কিন্তু সকল পৃথিবী খেপলে কে কোথায় থাকিবে? কী না হইবে? যেখানে তাহাদের মঙ্গল নাই, সেখানে দেশের কোন মঙ্গল নাই।”
উত্তর:
আমাদের এই দেশের অধিকাংশ মানুষ কৃষিজীবী। তাই দেশের মঙ্গল কৃষিজীবী মানুষের সঙ্গেই বিশেষভাবে জড়িত। তাদের মঙ্গল বাদ দিয়ে দেশের কোনো মঙ্গল হতে পারে না।
৮.২ ভাবার্থ লেখো
“ইতর প্রাণীর যেটুকু জ্ঞান আছে তার প্রায় সমস্তই সহজাত, কিন্তু মানুষ নতুন জ্ঞান অর্জন করে, কাজে লাগায় এবং অপরকে শেখায়। মানবস্বভাবের এই বৈশিষ্ট্যের ফলেই শিল্পকলা আর বিজ্ঞানের প্রসার হয়েছে। মানুষ নিজের প্রবৃত্তি অনুসারে বিদ্যার সুপ্রয়োগ বা কু-প্রয়োগ করে। দুষ্টু লোক দলিল জাল করে, অনিষ্টকর পুস্তক প্রচার করে, কিন্তু সে জন্য লেখাপড়া নিষিদ্ধ করা চলে না। চোরের জন্য শীতকাটি আর গন্ডার জন্য ছুরি তৈরি হয়, বিষ ওষুধ দিয়ে মানুষ খুন করা হয়, কিন্তু কেউ চায় না যে কামারের কাজ আর ওষুধ তৈরি স্থগিত থাক। …বিজ্ঞানচর্চা স্থগিত রাখলে এবং পরমাণু বোমা নিষিদ্ধ করলেও সংকট দূর হবে না। যখন কামান-বন্দুক ছিল না, তখনও মানুষ ধনু-বাণ ও লোহার বর্ষা নিয়ে যুদ্ধ করেছে। দোষ বিজ্ঞানের নয়, মানুষের স্বভাবের দোষ।”
উত্তর:
মনুষ্যেতর প্রাণীর জ্ঞান সহজাত। কিন্তু মানুষের মধ্যে নতুন জ্ঞান অর্জন ও ব্যবহারের প্রবণতা থাকায় শিল্পকলা ও বিজ্ঞানের উদ্ভব ও প্রসার ঘটেছে। তবে কেউ কেউ মন্দকাজে বিদ্যাকে ব্যবহার করে বলেই বিদ্যাচর্চা বন্ধ করা উচিত নয়। শিল্পকলা ও বিজ্ঞানের অপব্যবহারের জন্য মানুষই দায়ী, শিল্প বা বিজ্ঞান নয়।
আরও দেখো: নবম শ্রেণী চিঠি রচনার প্রশ্ন উত্তর
ক্লাস 9 দ্বিতীয় ইউনিট টেস্ট বাংলা প্রশ্ন উত্তর 2025 // নবম শ্রেণী দ্বিতীয় ইউনিট টেস্ট বাংলা প্রশ্ন উত্তর ২০২৫ // Class 9 Second Summative Test Bengali Questions 2025 // ক্লাস 9 দ্বিতীয় ইউনিট টেস্ট বাংলা প্রশ্ন উত্তর 2025