জ্ঞানচক্ষু গল্পের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর মাধ্যমিক বাংলা

এখানে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর শেয়ার করা হলো। মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন // জ্ঞানচক্ষু আশাপূর্ণা দেবী

মাধ্যমিক বাংলা
জ্ঞানচক্ষু গল্পের বড়ো প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন: ১ ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপন চরিত্রর পরিচয় দাও।
অথবা, জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপনের চরিত্র বিশ্লেষণ করো।

উত্তর: আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের তপন চরিত্রটি একজন প্রতিভাবান, সংবেদনশীল, এবং স্বপ্নালু কিশোর লেখকের প্রতিচ্ছবি। গল্পের ঘটনাবলি তার মানসিক বিকাশ এবং শিল্পসত্তার জাগরণের চিত্র তুলে ধরে।

১. প্রতিভাবান এবং শিল্পিসত্তা

তপন একজন প্রতিভাবান কিশোর। গল্পে দেখা যায়, ছোটোমেসোর লেখক পরিচয় তাকে অনুপ্রাণিত করে এবং সে নিজেও লেখক হওয়ার স্বপ্ন দেখে। অল্প বয়সেই তপন একটি আস্ত গল্প লিখে ফেলে, যা তার সৃজনশীলতা এবং প্রতিভার পরিচয় দেয়। যদিও গল্পটি ছাপার জন্য ছোটোমেসো সম্পূর্ণ পাল্টে দেয়, তবু তপনের শিল্পিসত্তা এতে আঘাতপ্রাপ্ত হয় এবং সে বুঝতে পারে, প্রকৃত শিল্প সৃষ্টির মর্ম।

২. স্বপ্নময়তা ও কল্পনাপ্রবণতা

তপন স্বভাবতই স্বপ্নালু এবং কল্পনাপ্রবণ। লেখকদের সম্পর্কে তার এক রোমান্টিক ধারণা ছিল—তারা যেন এক ভিন্ন জগতের মানুষ। যখন সে নিজের গল্পটি লেখে, তখন তার মনে লেখক হয়ে হাজার মানুষের কাছে পৌঁছানোর স্বপ্ন জাগে। তবে গল্পের শেষে বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে তার জ্ঞানচক্ষু খুলে যায়।

৩. শিশুসুলভ সরলতা ও সংবেদনশীলতা

তপনের আচরণে শিশুসুলভ সরলতা প্রকট। লেখকদের ভিন্ন গ্রহের প্রাণী ভাবা কিংবা লেখার প্রকৃত অর্থ না বুঝেই গল্প লিখতে বসা—এসব তার সরলতার উদাহরণ। একইসঙ্গে, তার সংবেদনশীল মন ছোটোমেসোর আচরণে গভীরভাবে আঘাত পায়। মেসো যখন তার গল্প পরিবর্তন করে, তখন তপন তা মেনে নিতে পারে না এবং কষ্ট লুকিয়ে ছাদে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে।

৪. মর্যাদাবোধ ও আত্মসম্মান

তপনের চরিত্রে আত্মসম্মানবোধের পরিচয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যখন মেসোমশাই তার গল্পটি সম্পূর্ণ বদলে ফেলেন, তপন নিজেকে অপমানিত অনুভব করে। সে প্রতিজ্ঞা করে, ভবিষ্যতে সে নিজেই পত্রিকা অফিসে গিয়ে তার লেখা জমা দেবে, গল্প ছাপা হোক বা না হোক। এটি তার আত্মসম্মানবোধ এবং মানসিক দৃঢ়তার পরিচায়ক।

৫. বাস্তববুদ্ধি ও পরিণত মানসিকতা

গল্পের শেষে তপনের চরিত্রে একটি পরিণত বুদ্ধির বিকাশ ঘটে। ছোটোমেসোর কাছ থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা তাকে লেখার প্রকৃত মূল্য ও মর্যাদা বোঝায়। সে বুঝতে পারে, লেখকের স্বীকৃতি কেবল প্রকৃত সৃষ্টির মাধ্যমেই আসা উচিত।

উপসংহার:

তপন চরিত্রটি সাধারণ শিশুমনের আশা, স্বপ্ন, এবং স্বপ্নভঙ্গের বাস্তবতাকে তুলে ধরে। তার সরলতা ও সংবেদনশীলতা তাকে সহজেই প্রাসঙ্গিক করে তোলে, আবার তার মর্যাদাবোধ ও আত্মসম্মান তাকে অনন্য করে তোলে। আশাপূর্ণা দেবী তপনের জ্ঞানচক্ষুর উন্মোচনের মধ্য দিয়ে শিশু-কিশোর মনের মানসিক পরিণতি অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে তুলে ধরেছেন। তপন চরিত্রটি পাঠকদের সাহিত্য ও সৃষ্টিশীলতার প্রতি গভীর ভালোবাসা জাগাতে সক্ষম।

প্রশ্ন: ২ “শুধু এই দুঃখের মুহূর্তে গভীরভাবে সংকল্প করে তপন”- কী সংকল্প করেছিল? তার ‘এই দুঃখের মুহূর্তের’ প্রেক্ষাপট আলোচনা করো।

উত্তর: আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপন সংকল্প করেছিল, ভবিষ্যতে যদি কখনো তার লেখা ছাপাতে হয়, তবে সে নিজে পত্রিকা অফিসে গিয়ে তার লেখা জমা দেবে। তাতে লেখা ছাপা হোক বা না হোক, সে আর কারো মাধ্যমে লেখা পাঠাবে না। কারণ নিজের লেখা গল্পে নিজেকে না খুঁজে পাওয়া একজন লেখকের জন্য অপমানজনক এবং বেদনাদায়ক।

‘এই দুঃখের মুহূর্তের’ প্রেক্ষাপট:

ছোটোমাসির বিয়েতে গিয়ে তপন তার নতুন মেসোমশাইকে দেখে লেখক হওয়ার প্রেরণা পায়। লেখক হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে তপন নিজের বিদ্যালয় জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি গল্প লেখে। ছোটোমাসি সেই গল্প মেসোমশাইয়ের কাছে পৌঁছে দেন। মেসোমশাই গল্পটি পত্রিকায় ছাপানোর প্রতিশ্রুতি দিলে তপনের মনে আশা জাগে, তার লেখা হাজার মানুষের হাতে পৌঁছাবে।

কিছুদিন পর, সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় তপনের গল্প ছাপা হয়। পত্রিকা দেখে তপন আনন্দিত হলেও গল্পটি পড়তে গিয়ে সে বুঝতে পারে, মেসোমশাই তার গল্পটি আগাগোড়া পাল্টে দিয়েছেন। নিজের লেখা গল্পে নিজেকে না পেয়ে তপন ভীষণভাবে ব্যথিত হয়। তার শিল্পসত্তার অপমান হয়, এবং তার লেখক হওয়ার আনন্দ ক্ষোভে পরিণত হয়। দুঃখে ছাদে গিয়ে কাঁদতে কাঁদতে সে এই সংকল্প করে।

এই অভিজ্ঞতা তপনের জীবনে একটি শিক্ষা হিসেবে কাজ করে। এটি তাকে আত্মমর্যাদা এবং সৃষ্টিশীলতার প্রতি সৎ থাকার গুরুত্ব বোঝায়।

মাধ্যমিক বাংলা
জ্ঞানচক্ষু গল্পের বড়ো প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন: ৩ ‘তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই, তার থেকে অপমানের!’ কার একথা মনে হয়েছে? জীবনের কোন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে সে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে?

উত্তর: কথাশিল্পী আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্প থেকে প্রশ্নটি গৃহীত। উদ্ধৃত কথাটি গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপনের মনে হয়েছিল।

তপন ছোটোমাসির বিয়েতে গিয়ে নতুন মেসোমশাইকে দেখে লেখক হওয়ার প্রেরণা পায়। নিজের স্কুলজীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি গল্প লিখে সে নিজের প্রতিভার পরিচয় দেয়। ছোটোমাসির অনুরোধে মেসোমশাই সেই গল্প পত্রিকায় ছাপানোর প্রতিশ্রুতি দেন। পত্রিকায় নিজের নাম ছাপা হওয়া দেখে তপন ভীষণ গর্ব অনুভব করে এবং নিজের লেখকসত্তা নিয়ে আশায় বুক বাঁধে।

কিন্তু গল্পটি পড়তে গিয়ে তপন বুঝতে পারে, তার লেখা গল্পটি আগাগোড়া পরিবর্তন করে মেসোমশাই নতুন করে লিখেছেন। নিজের গল্পে একটিও পরিচিত লাইন খুঁজে না পেয়ে তপনের মন ভেঙে যায়। লেখক হিসেবে তার যে আত্মমর্যাদা ছিল, তা আঘাতপ্রাপ্ত হয়।

এই অভিজ্ঞতা তপনকে শিখিয়েছে যে নিজের লেখা গল্পে অন্যের হস্তক্ষেপ একজন শিল্পীর জন্য সবচেয়ে বড় দুঃখ ও অপমান। এটি তার শিল্পীসত্তাকে গভীরভাবে নাড়া দেয় এবং এই উপলব্ধির জন্ম দেয় যে, আত্মসম্মান রক্ষার জন্য নিজের কাজের প্রতি সৎ থাকা সবচেয়ে জরুরি।

প্রশ্ন: ৪ “তপন আর পড়তে পারে না। বোবার মতো বসে থাকে।”- তপনের এরকম অবস্থার কারণ বর্ণনা করো।

উত্তর: আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের প্রধান চরিত্র তপন একটি গল্প লিখেছিল এবং সেটি পত্রিকায় ছাপানোর জন্য পাঠায়। তপনের ধারণা ছিল যে, তার লেখা গল্প পত্রিকায় ছাপালে সে খুব গর্বিত হবে, কারণ তার লেখক হওয়ার স্বপ্ন পূর্ণ হবে। কিন্তু যখন তপন ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় তার গল্প ছাপানো দেখতে পেল, সে অত্যন্ত হতাশ হয়ে পড়ে। কারণ, তার গল্পটি সম্পূর্ণ বদলে দেওয়া হয়েছিল। নতুন মেসো, যিনি একজন লেখক, তার গল্পে অনেক পরিবর্তন করেছিলেন, এবং তপন তার গল্পে নিজের হাতের ছোঁয়া খুঁজে পায়নি। গল্পটি এখন একেবারে অপরিচিত মনে হচ্ছিল।

তপনের হৃদয়ে যন্ত্রণা এবং অপমান অনুভূত হয়, কারণ তার নিজের লেখা গল্পে অন্যের সম্পূর্ণ প্রভাব ছিল। তপন আশা করেছিল যে তার গল্প প্রকাশিত হলে সেই গল্পে তার আত্মার ছোঁয়া থাকবে, কিন্তু সেখানে তার কিছুই ছিল না। নিজের লেখা গল্পে অন্যের হস্তক্ষেপ তপনকে গভীরভাবে আঘাত করেছে এবং সে নিজের গল্পে অপরিচিত লাইনগুলি পড়তে গিয়ে হতাশ হয়ে পড়ে। এই অপমানের অনুভূতিতে তপন আর পড়তে পারে না এবং বোবার মতো বসে থাকে, কারণ তার আত্মসম্মান, আবেগ এবং লেখক সত্তা সবই আহত হয়েছিল।

প্রশ্ন: ৫ “তপনের মনে হয় আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন।”- ‘আজ’ বলতে কোন দিনের কথা বলা হয়েছে? তপনের এমন মনে হওয়ার কারণ কী?

উত্তর: ‘আজ’ বলতে সেই দিনের কথা বলা হয়েছে, যেদিন তপনের লেখা গল্প প্রথম ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় এবং মেসো সেই পত্রিকা নিয়ে তপনের বাড়িতে আসেন। তপন অত্যন্ত আনন্দিত ছিল, কারণ তার লেখা প্রথম পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।

তবে, তপনের জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন হয়ে ওঠে এই দিনটি, কারণ যখন সে নিজের গল্পটি পত্রিকায় ছাপা দেখতে পায়, তখন তার পুরো আনন্দ মাটিতে মিশে যায়। তপন দেখেছিল যে, তার লেখা গল্পে তার কোনো পরিচিতি নেই। নতুন মেসো গল্পটির মধ্যে অনেক পরিবর্তন করে দিয়েছেন, যার ফলে তপন আর তার লেখা চিনতে পারল না। গল্পটি এতটাই বদলে গিয়েছিল যে তপন মনে করেছিল, গল্পের প্রতি তার লেখকসত্তার কোনো মূল্যই ছিল না। নিজের লেখা পড়ে অন্যের লেখা পড়ার মতো অনুভব করেছিল সে, এবং তাতে তার আত্মসম্মান ক্ষুণ্ণ হয়। এই কারণেই সে অনুভব করে যে, ‘আজ’ তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন।

মাধ্যমিক বাংলা
জ্ঞানচক্ষু গল্পের বড়ো প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন: ৬ পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে? কোন্ ঘটনাকে অলৌকিক বলা হয়েছে? একে অলৌকিক বলার কারণ কী?

উত্তর: আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপনের কাছে একটি বিশেষ ঘটনা অলৌকিক মনে হয়েছিল। ছোট্ট তপন, যে লেখক হওয়ার স্বপ্ন দেখে, তার নতুন মেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে একটি গল্প লিখে ফেলে। মাসির প্ররোচনায় ও মেসোর সাহায্যে সেই গল্পটি ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

তপনের কাছে, তার গল্প পত্রিকায় ছাপা হওয়া ছিল এক স্বপ্নের মতো ঘটনা, যা বাস্তবে ঘটবে কিনা সে বিষয়ে তার কোনো ধারণা ছিল না। লেখক হওয়ার স্বপ্ন, গল্প লেখা এবং সেটি প্রকাশিত হওয়া, তপনের জন্য এক অসম্ভব ব্যাপার ছিল। সে লেখকদের প্রতিভা দেখে মনে করত, তারা যেন পৃথিবীর সাধারণ মানুষ নয়, বরং কোনো অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তি।

এই কারণে, তপনের কাছে তার গল্পের প্রকাশনা এক অলৌকিক ঘটনা মনে হয়েছিল। ‘অলৌকিক’ শব্দটির আভিধানিক অর্থ হল এমন কিছু যা বাস্তবতার সীমার বাইরে বা অসম্ভব। তপনের কাছে গল্পের প্রকাশনা এমনই এক ঘটনা ছিল, যা সে ভাবতে পারেনি, তাই একে অলৌকিক বলা হয়েছে।

প্রশ্ন: ৭ ‘এর প্রত্যেকটি লাইনই তো নতুন আনকোরা, তপনের অপরিচিত’- ‘এর’ বলতে কীসের কথা বলা হয়েছে? বিষয়টি পরিস্ফুট করো।

উত্তর: এই উদ্ধৃত লাইনটি আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখানে ‘এর’ বলতে তপনের প্রথম লেখা গল্পের কথা বলা হয়েছে, যা ‘প্রথম দিন’ নামে ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।

তপন, যে ছোটোবেলা থেকেই লেখকদের নিয়ে এক বিশেষ ধারণা পোষণ করত, সে ভাবত লেখকরা যেন অন্য জগতের মানুষ, যাদের সাথে সাধারণ মানুষের কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু তার ছোটোমাসির বিয়ের পর যখন সে নতুন মেসোকে দেখেছিল, তখন তার এই ধারণা ভেঙে যায়। তপনের নতুন মেসোও একজন লেখক, বই লেখেন এবং সেগুলি প্রকাশিত হয়। তবে মেসোর আচার-আচরণের সঙ্গে তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের আচরণের তেমন কোনো তফাত সে দেখতে পায় না। এ থেকেই তপন বুঝে যায় যে, লেখকরা আকাশ থেকে পড়া কোনো বিশেষ ব্যক্তি নয়, তারা সাধারণ মানুষের মতোই।

অনুপ্রাণিত হয়ে তপন একটি গল্প লেখে। সেই গল্পটি মেসোর কাছে পৌঁছায়, এবং মেসো তা কিছুটা কারেকশন করে ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপিয়ে দেন। তপন অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত হয়ে এই প্রকাশনা নিয়ে আনন্দিত হয়। কিন্তু যখন সে গল্পটি পড়ে, তখন তার মনে হয় প্রতিটি লাইনই যেন তার কাছে অপরিচিত। কারণ, মেসো তার লেখা পুরোপুরি বদলে দিয়েছেন, যা তপনের জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক ছিল। এই কারণে, গল্পের প্রত্যেকটি লাইন তার কাছে নতুন ও অপরিচিত লাগছিল। তপনের শিশুমনে এই ঘটনা গভীর কষ্টের সৃষ্টি করে।

মাধ্যমিক বাংলা
জ্ঞানচক্ষু গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

Q.1 ‘রত্নের মূল্য জহুরির কাছে’ – এখানে রত্ন এবং জহুরি বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
অথবা, ‘রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই’ – কথাটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: ‘উদ্ধৃত অংশটি আশাপূর্ণা দেবীর গল্প ‘জ্ঞানচক্ষু’ থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে ‘রত্ন’ বলতে তপনের লেখা গল্পটিকে এবং ‘জহুরি’ বলতে তপনের ছোটো মেসোকে বোঝানো হয়েছে। গল্পে তপন যখন তার লেখা গল্পটি মাসিকে দেখায়, মাসি তা ভালো বললেও তপন মনে করে যে, এর প্রকৃত মূল্যায়ন একজন লেখকই করতে পারে। তপন মনে করেন, তার ছোটো মেসো, যিনি লেখক, সবচেয়ে ভালোভাবে তার লেখা মূল্যায়ন করতে পারবেন। তাই, যেমন একজন জহুরি রত্নের প্রকৃত মূল্য বুঝতে পারেন, তেমনই তার গল্পের মূল্যও ছোটো মেসোই সঠিকভাবে বুঝতে পারবে। এটি গল্পের মাধ্যমে লেখকের প্রতিভা এবং তার সৃষ্টির সঠিক মূল্যায়নের গুরুত্বকে তুলে ধরে।

Q.2 “শুধু এ দুঃখের মুহূর্তে গভীরভাবে সংকল্প করে তপন।” কোন দুঃখের মুহূর্তের কথা বলা হয়েছে? তপন কী সংকল্প নিয়েছিল?

উত্তর: এই দুঃখের মুহূর্তটি তখন ঘটে যখন তপন সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় তার ছাপানো গল্পটি পড়ে, এবং বুঝতে পারে যে, ছোটো মেসোমশাই তার গল্পে অনেক কারেকশন করেছেন। নিজের লেখা নিজের কাছে সঠিকভাবে না পাওয়া এবং অন্য কারও দ্বারা সম্পাদিত হওয়ায় তপন দুঃখিত হয়ে পড়ে।
তপন সংকল্প করে, ভবিষ্যতে যদি কখনো তার লেখা প্রকাশিত হয়, তবে তা অন্য কারও মাধ্যমে নয়, নিজেই গিয়ে পত্রিকা অফিসে জমা দেবে। তার মতে, যদি কেউ সুপারিশ করে তার লেখা ছাপা হয়, তবে তা অপমানের এবং কষ্টের। নিজের লেখা পড়তে গিয়ে অন্যের হাতের ছোঁয়া অনুভব করা খুবই কষ্টকর।

Q.3 “ক্রমশ ও কথাটা ছড়িয়ে পড়ে।” – কোন কথা, ওই কথা ছড়িয়ে পড়ায় কী ঘটেছিল?

উত্তর: এখানে “কথাটা” বলতে তপনের প্রকাশিত গল্পের কারেকশনের কথা বোঝানো হয়েছে।
এই কথা ক্রমশ বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে যে, ছোটো মেসোমশাই তপনের গল্পটি কিছুটা সংশোধন করেছেন। ফলে তপনের গল্পের সৃষ্টির কৃতিত্ব কিছুটা কমে যায়, কারণ বাড়ির সবাই জানে যে, মেসোমশাই তার গল্পে কিছু পরিবর্তন করেছিলেন। তপনের বাবা, কাকা, এবং অন্যরা মেসোর মহত্ত্ব এবং তার অবদানকে বেশি গুরুত্ব দিতে থাকেন। ফলে, গল্পের প্রকাশনা নিয়ে তপনের গল্পের কৃতিত্বের থেকে মেসোর সঙ্গতি বেশি আলোচনায় আসে।

Q.4 “বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের” কখন এবং কেন তপনের এরকম অনুভূতি হয়েছিল?

উত্তর: এই অনুভূতি তখন হয়েছিল, যখন পুজোর ছুটির পর ছোটো মাসি ও মেসোমশাই সন্ধ্যাতারা পত্রিকা নিয়ে তপনের বাড়িতে আসেন।
তপনের দীর্ঘদিন ধরে তার গল্পের প্রকাশনার অপেক্ষায় ছিল, কিন্তু তার আশা ক্রমশ ফিকে হয়ে যাচ্ছিল। অবশেষে, ছোটো মাসি ও মেসোমশাই যখন পত্রিকা নিয়ে আসেন, তপন আবার সেই প্রকাশনার আবেগ অনুভব করে এবং তার বুকের রক্ত ছলকে ওঠে। এই মুহূর্তে তপন অনুভব করে যে, তার দীর্ঘদিনের আশা শেষ পর্যন্ত পূর্ণ হচ্ছে, এবং তার লেখা সত্যিই ছাপা হয়েছে।

Q.5 “কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল।” কোন্ কথা শুনে কেন তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল?

উত্তর: তপন এতদিন ধরে ভাবত, লেখকরা অন্য ধরনের মানুষ, সাধারণ মানুষের মতো তাদের জীবন বা চিন্তাভাবনা হয় না। কিন্তু যখন তপন জানল যে, তার ছোটো মেসোমশাই বই লেখেন এবং সেই বই ছাপা হয়, তখন তার কাছে এটি এক বিস্ময়ের মতো মনে হলো। তপনের ধারণা ছিল যে, লেখকরা সাধারণ মানুষের দুনিয়া থেকে আলাদা, কিন্তু ছোটো মেসোমশাই লেখক হিসেবে পরিচিত হওয়ায় তপন বুঝতে পারল, লেখকও সাধারণ মানুষ হতে পারে। এই খবরটি শুনে তপনের চোখ এতটাই বিস্মিত হয়ে উঠেছিল, যে তার চোখ মার্বেলের মতো গোল হয়ে গিয়েছিল।

Q.6 “নতুন মেসোকে দেখে ‘জ্ঞানচক্ষু’ খুলে গেল তপনের।” ‘জ্ঞানচক্ষু’ বলতে কী বোঝ? তা কীভাবে তপনের খুলে গিয়েছিল?

উত্তর: আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে ‘জ্ঞানচক্ষু’ বলতে মানুষের অন্তর্দৃষ্টি বা গভীর উপলব্ধি বোঝানো হয়েছে, যার মাধ্যমে মানুষ প্রকৃত সত্যকে বুঝতে পারে। তপনের কাছে লেখকরা ছিলেন আলাদা এবং আকাশ থেকে পড়া কোনও বিশেষ মানুষ, যাদের সাধারণ মানুষের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু যখন তপন নতুন মেসোকে দেখল, তখন তার ধারণা বদলে গেল। সে দেখল, নতুন মেসোও তার বাবা, মামা বা কাকাদের মতো সাধারণ জীবনযাপন করেন—দাড়ি কামান, সিগারেট খান, খাবারের সময় খাবার তুলে দেন এবং পলিটিকাল তর্কও করেন। এসব দেখে তপনের চোখে লেখকরা আর অজানা বা অলৌকিক কোনো ব্যক্তি হিসেবে থাকল না। তাদের জীবনও সাধারণ মানুষের মতোই, এবং তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে গিয়ে সে বুঝতে পারল, লেখকরা আসলে নিছক মানুষই।

Q.7 “পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে,”—কার মধ্যে কেন এমন ভাবনার উদয় হয়েছিল?

উত্তর: এমন ভাবনার উদয় গল্পের প্রধান চরিত্র তপনের মধ্যে হয়েছিল। তপন কল্পনাতেও ভাবেনি যে, তার লেখা গল্প ছাপা হয়ে প্রকাশিত হবে। যখন তার ছোটো মেসো সন্ধ্যাতারা পত্রিকা নিয়ে এসে তার গল্প দেখান, তপনের বুকের রক্ত ছলকে ওঠে। তপন ভাবতে থাকে, “তাহলে কি সত্যিই তার গল্প ছাপা হয়েছে?” এবং তার লেখা হাজার হাজার ছেলের হাতে ঘুরবে—এটা তার কাছে এক অলৌকিক ঘটনা মনে হয়।

মাধ্যমিক বাংলা
জ্ঞানচক্ষু গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

Q.8 “যেন নেশায় পেয়েছে”—কীসের নেশা, কীভাবে তাকে নেশায় পেয়েছে?

উত্তর: এখানে “নেশা” শব্দটি লেখার প্রতি তপনের আসক্তি বা আগ্রহ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে। তপন একজন সাহিত্যপ্রেমী বালক, যার গল্প লেখা এবং সেগুলো ছাপানোর ব্যাপারে প্রচণ্ড কৌতূহল ছিল। মাসির বিয়ের পর, যখন তপন লেখক মেসোমশাইকে কাছ থেকে দেখে এবং গল্প লেখার রহস্য শিখে, তখন সে আরও উৎসাহিত হয়ে ওঠে। তপন একের পর এক গল্প লিখতে থাকে, যেন তাকে লেখার এক গভীর নেশা পেয়ে গেছে।

Q. 9 “সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়”—সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যাওয়ার কারণ কী?

উত্তর: সারা বাড়িতে শোরগোল পড়েছিল কারণ তপনের লেখা প্রথম গল্পটি প্রকাশিত হয়ে পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল। তপনের গল্পটি, যা মেসো সংশোধন করে এবং তার প্রভাব দিয়ে সন্ধ্যাতারা সম্পাদককে দিয়ে প্রকাশ করিয়েছিল, ছাপা হওয়ায় তপন অত্যন্ত উত্তেজিত এবং আনন্দিত হয়ে ওঠে। সেই খবরটি সারা বাড়িতে ছড়িয়ে পড়লে সবাই আনন্দিত হয়ে শোরগোল করে ওঠে।

Q.10 ‘আজ যেন তার জীবনে সবচেয়ে দুঃখের দিন’—কার কথা বলা হয়েছে? ‘আজ’ কী কারণে বক্তার কাছে সবচেয়ে দুঃখের দিন?

উত্তর: এখানে ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের প্রধান চরিত্র তপনের কথা বলা হয়েছে। মেসোমশাইয়ের উদাহরণ দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে তপন একটি গল্প লিখে। মাসির প্ররোচনায় নতুন মেসো সেই গল্পটি ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় প্রকাশ করেন। কিন্তু পত্রিকায় প্রকাশিত গল্পটি তপন দেখে হতবাক হয়ে যায়। কারণ, পুরো গল্পটি নতুন মেসো সম্পূর্ণ নতুন করে লিখে দিয়েছেন। আসল গল্পটি আর তপনের নেই—শুধু তার নামটুকুই আছে।

এ ঘটনা তপনের মনে গভীর আঘাত করে। সে লজ্জা, দুঃখ, এবং অপমানবোধে সকলের কাছ থেকে নিজেকে লুকিয়ে ছাতের অন্ধকারে একা দাঁড়িয়ে কেঁদে ফেলে। নিজের কাছে সে নিজেই ছোট হয়ে যায়। তাই তার মনে হয়, ‘আজ তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন।’

মাধ্যমিক বাংলা
জ্ঞানচক্ষু গল্পের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

Q.1: “এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের” – কোন বিষয়ে সন্দেহ ছিল?

উত্তর: লেখকরা তপনের বাবা, ছোটমামা, মেজোকাকুর মতোই সাধারণ মানুষ—এ বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল। কিন্তু তার নতুন মেসোমশাইকে দেখে এই সন্দেহ সম্পূর্ণভাবে দূর হয়ে যায়।

Q.2: “বাবা, তারে পেটে পেটে এত।” – এটি কোন প্রকার বাক্য?

উত্তর: “বাবা, তারে পেটে পেটে এত।” – এটি একটি বিস্ময়বোধক বাক্য।

Q.3: তপনের গল্প কোন পত্রিকাতে ছাপাতে দেওয়া হয়েছিল?

উত্তর: তপনের গল্প ‘সন্ধ্যাতারা’ নামক পত্রিকায় ছাপাতে দেওয়া হয়েছিল।

Q.4: তপনের লেখা প্রথম গল্পের নাম কী?

উত্তর: তপনের লেখা প্রথম গল্পটির নাম হল ‘প্রথম দিন’।

Q.5: ‘একেবারে নিছক মানুষ!’ – কাকে নিছক মানুষ বলা হয়েছে?

উত্তর: আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপনের ছোটোমেসোকে ‘নিছক মানুষ’ বলা হয়েছে।

Q.6: ছোটোমেসো সম্পর্কে তপনের বক্তব্য কী ছিল?

উত্তর: ছোটোমেসো সম্পর্কে তপনের বক্তব্য ছিল—”রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই”।

Q.7: ‘তোমার গল্প তো দিব্যি হয়েছে’ – কে কাকে একথা বলেছেন?

উত্তর: আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপনের ছোটোমেসো তপনকে বলেছিলেন—”তোমার গল্প তো দিব্যি হয়েছে।”

Q.8: কেন তপন হঠাৎ একটা ভয়ানক উত্তেজনা অনুভব করেছিল?

উত্তর: গ্রীষ্মের এক দুপুরে সিঁড়িতে বসে তপন একটি আস্ত গল্প লিখে শেষ করে। নিজের লেখাটি দেখে সে লেখক হওয়ার অনুভূতিতে ভয়ানক উত্তেজনা অনুভব করেছিল।

Q.9: “শুধু এই দুঃখের মুহূর্তে গভীরভাবে সংকল্প করে তপন।” – তপনের সংকল্প কী ছিল?

উত্তর: তপন সংকল্প করেছিল যে, ভবিষ্যতে যদি তার কোনো লেখা পত্রিকায় ছাপাতে হয়, তাহলে সে নিজে গিয়ে তা পত্রিকার অফিসে জমা দেবে।

Q.10: তপনের ছোটোমেসো তপনের গল্প পড়ে কী বলেছিলেন?

উত্তর: তপনের ছোটোমেসো তপনের গল্প পড়ে বলেছিলেন—
(ক) তপনের গল্প বেশ সুন্দর হয়েছে।
(খ) একটু কারেকশন করে দিলে প্রকাশ করা সম্ভব।

মাধ্যমিক বাংলা
জ্ঞানচক্ষু গল্পের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

Q.11: ‘গল্প ছাপা হলে যে ভয়ংকর আহ্লাদটা হবার কথা, সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না।’ – আহ্লাদিত হতে না পারার কারণ কী?

উত্তর: যেখানে তপনের গল্প নিয়ে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন ছিল, সেখানে তা না হয়ে তপনের নতুন মেসোমশাইয়ের মাহাত্ম্য নিয়ে আলোচনা হয়। এজন্য তপন প্রথম গল্প প্রকাশের আনন্দে আপ্লুত হতে পারেনি।

Q.12: ‘লেখক’ মানে তপন কী বুঝেছিল?

উত্তর: তপন বুঝেছিল লেখক কোনো আকাশ থেকে পড়া জীব নয়; বরং তার মতোই একজন সাধারণ মানুষ।

Q.13: ‘এমন সময় ঘটল সে ঘটনা।’ – কোন ঘটনার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: এখানে তপনের লেখা গল্পটি ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় প্রকাশের ঘটনার কথা বলা হয়েছে।

Q.14: ‘সূচিপত্রেও নাম রয়েছে’ – সূচিপত্রে থাকা লেখা ও লেখকের নাম কী?

উত্তর:
লেখার নাম: ‘প্রথম দিন’।
লেখকের নাম: তপন কুমার রায়।

Q.15: তপনের গল্প কোন পত্রিকাতে ছাপাতে দেওয়া হয়েছিল?

উত্তর: তপনের গল্প ‘সন্ধ্যাতারা’ নামক পত্রিকায় ছাপাতে দেওয়া হয়েছিল।

Q.16: তপনের লেখা প্রথম গল্পের নাম কী?

উত্তর: তপনের লেখা প্রথম গল্পটির নাম হল ‘প্রথম দিন’।

Q.17: ‘ক্রমশ ও কথাটাও ছড়িয়ে পড়ে’ – কোন কথাটা?

উত্তর: তপনের মেসোমশাইয়ের গল্পে কারেকশনের কথাটি ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে।

Q.18: ‘বোবার মতো বসে থাকে।’ – কে কেন বোবার মতো বসে থাকে?

উত্তর: আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে নিজের নামে প্রকাশিত গল্পটি পড়েও তপন বোবার মতো বসে থাকে, কারণ তার মেসোমশাই গল্পটি সম্পূর্ণভাবে কারেকশন করে নতুন করে লিখে দিয়েছিলেন।

Q.19: ‘এই কথাটাই ভাবছে তপন।’ – কোন কথাটা?

উত্তর: ছেলেবেলা থেকেই রাশি রাশি গল্প শুনেছে তপন, আর এখন বস্তা বস্তা পড়ছে। তাই গল্প জিনিসটা যে কী, সেটা জানতে তো তার আর বাকি নেই। এই কথাটাই সে ভাবছিল।

Q.20: তপনের বয়সের ছেলে-মেয়েরা কী লিখে?

উত্তর: তপনের বয়সের ছেলে-মেয়েরা যা লিখে তা হল:
(ক) রাজারানীর গল্প,
(খ) খুন-জখমের গল্প,
(গ) না খেতে পেয়ে মরে যাওয়ার গল্প।

Q.21: বাড়িতে তপনের কী নাম হয়েছে?

উত্তর: বাড়িতে তপনের নাম হয়েছে:
(ক) কবি,
(খ) সাহিত্যিক,
(গ) কথাশিল্পী।

Q.22: ‘ওমা, এত বেশ লিখেছিসরে।’ – কে কাকে একথা বলেছে?

উত্তর: তপনের ছোটোমাসি তপনকে একথা বলেছিলেন।

Q.23: তপনকে তার বাড়ির লোকেরা ঠাট্টা করে কী বলেছে?

উত্তর: তপনকে তার বাড়ির লোকেরা ঠাট্টা করে বলেছে—’তোর হবে। হাঁ বাবা, তোর হবে।’

Q.24: তপনের গল্প ছাপানোর প্রসঙ্গটি কোথায় আলোচিত হয়?

উত্তর: বিকেলে চায়ের টেবিলে তপনের গল্প ছাপানোর প্রসঙ্গটি আলোচিত হয়।

মাধ্যমিক বাংলা
জ্ঞানচক্ষু গল্পের MCQ প্রশ্ন উত্তর

Q.1 তপনের মেসোমশাই পেশাগত দিক থেকে কী ছিলেন?
A) লেখক
B) সম্পাদক
C) অধ্যাপক
D) শিক্ষাবিদ

উত্তর: অধ্যাপক

Q.2 ‘এ দেশের কিছু হবে না’ — কথাটি কে বলেছিলেন?
A) ছোটোমেসো
B) তপনের বাবা
C) তপনের ছোটো মামা
D) ছোটো মেসো

উত্তর: ছোটো মেসো

Q.3 তপন যে কারণে মামার বাড়িতে এসেছে তা হলো —
A) ছোটোমামার বিয়ে উপলক্ষ্যে
B) ছোটোমাসির বিয়ে উপলক্ষ্যে
C) পুজোর ছুটি কাটাতে
D) বড়দিনের ছুটি কাটাতে

উত্তর: ছোটোমাসির বিয়ে উপলক্ষ্যে

Q.4 যে পত্রিকায় তপনের গল্প চাপানোর কথা বলা হয়েছিল, তা হলো —
A) শুকতারা
B) নয়নতারা
C) সন্ধ্যাতারা
D) প্রবাসী

উত্তর: সন্ধ্যাতারা

Q.5 ‘জ্ঞানচক্ষু’ একটি —
A) বড়ো গল্প
B) ছোটোগল্প
C) নাটক
D) প্রবন্ধ

উত্তর: ছোটোগল্প

Q.6 ‘রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই’ — এখানে রত্ন ও জহুরি হলো —
A) গল্প ও ছোটোমেসো
B) তপন ও ছোটোমাসি
C) তপন ও সন্ধ্যাতারার সম্পাদক
D) তপন ও মেজকাকু

উত্তর: গল্প ও ছোটোমেসো

Q.7 ছোটোমাসি তপনের থেকে বয়সে —
A) ছয় বছরের বড়ো
B) বছর তিনেকের বড়ো
C) বছর আষ্টেকের বড়ো
D) বছর দশেকের বড়ো

উত্তর: বছর আষ্টেকের বড়ো

Q.8 ‘শুধু এটাই জানা ছিল না’ — অজানা বিষয়টি হলো —
A) মেসো একজন লেখক
B) তার ছাপা ছাপা হবে
C) মানুষেই গল্প লেখে
D) সে গল্প লিখতে পারে

উত্তর: মানুষেই গল্প লেখে

Q.9 বাড়িতে তপনের নাম হয়েছে —
A) গল্পকার, লেখক
B) কবি, সাহিত্যিক, কথাশিল্পী
C) কবি, লেখক
D) কথাশিল্পী, গল্পকার

উত্তর: কবি, সাহিত্যিক, কথাশিল্পী

Q.10 ‘তা ওরকম একটি লেখক মেসো থাকা মন্দ নয়’ — একথা বলেছেন —
A) তপনের ছোটোমাসি
B) তপনের মেজকাকু
C) তপনের বাবা
D) তপনের ছোটোমামা

উত্তর: তপনের মেজকাকু

মাধ্যমিক বাংলা
জ্ঞানচক্ষু গল্পের MCQ প্রশ্ন উত্তর

Q.11 তপনের সম্পূর্ণ নাম কী?
A) তপন কুমার সেন
B) শ্রীতপন কুমার রায়
C) শ্রীতপন কুমার বিশ্বাস
D) শ্রীতপন কুমার পাল

উত্তর: শ্রীতপন কুমার রায়

Q.12 ‘মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে সেটা’ — বক্তা হলেন —
A) তপনের মেজোকাকু
B) তপনের মা
C) তপনের মাসি
D) কেউ নয়

উত্তর: তপনের মাসি

Q.13 তপন বিয়েবাড়িতে কী নিয়ে এসেছিল?
A) ব্যাট ও বল
B) গল্পের বই
C) গানের খাতা
D) হোমটাস্কের খাতা

উত্তর: হোমটাস্কের খাতা

Q.14 তপনের ছোটোমেসো ‘এদেশের কিছু হবে না’ বলে মন্তব্য করে কী দেখতে চলে যান?
A) তাজমহল
B) চিড়িয়াখানা
C) জাদুঘর
D) সিনেমা

উত্তর: সিনেমা

Q.15 তপনের লেখা গল্পটি নিয়ে কে চলে গিয়েছিলেন?
A) তপনের মেসোমশাই
B) তপনের ছোটোমাসি
C) তপনের মা
D) তপনের বাবা

উত্তর: তপনের মা

Q.16 তপন কটা গল্প লিখেছিল?
A) একটা
B) দুটো
C) চারটে
D) তিনটে

উত্তর: দুটো

Q.17 তপনের নতুন মেসোমশাই পেশাগত দিক থেকে কী ছিলেন?
A) লেখক
B) অধ্যাপক
C) গায়ক
D) সাংবাদিক

উত্তর: অধ্যাপক

Q.18 তপনের লেখা গল্প ছাপা হয়েছিল কোন পত্রিকায়?
A) শুকতারা
B) সন্ধ্যাতারা
C) নয়নতারা
D) প্রবাসী

উত্তর: সন্ধ্যাতারা

Q.19 তপনের লেখা গল্পের নাম কী ছিল?
A) ছুটি
B) অবসর
C) প্রথম দিন
D) কোনোটাই নয়

উত্তর: প্রথম দিন

Q.20 ‘তপনের শিশুমন ব্যথায় ভরে উঠল’ — কেন?
A) তার গল্প ছাপা হয়নি
B) মেসোমশাই তার গল্প পরিবর্তন করেছিলেন
C) মাসি তার গল্প পড়তে দেননি
D) বন্ধুরা তার গল্প নিয়ে মজা করেছিল

উত্তর: মেসোমশাই তার গল্প পরিবর্তন করেছিলেন

মাধ্যমিক বাংলা
জ্ঞানচক্ষু গল্পের MCQ প্রশ্ন উত্তর

Q.21 তপনের মা তপনের লেখা গল্পটি কার কাছে দিয়েছিলেন?
A) তপনের মাসি
B) তপনের মেসোমশাই
C) তপনের দাদা
D) তপনের বন্ধু

উত্তর: তপনের মাসি

Q.22 তপনের লেখার প্রতি অনুপ্রেরণা পেয়েছিল কাকে দেখে?
A) ছোটোমামা
B) নতুন মেসোমশাই
C) দিদি
D) বন্ধু

উত্তর: নতুন মেসোমশাই

Q.23 নিজের গল্প পড়ে তপনের যা হয়েছিল —
A) আনন্দে আপ্লুত হয়েছিল
B) গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছিল
C) চোখে জল এসে গিয়েছিল
D) চোখ বড়ো বড়ো হয়ে গিয়েছিল

উত্তর: চোখে জল এসে গিয়েছিল

Q.24 তপন তার গল্প কোন সময়ে লিখেছিল?
A) দুপুরবেলা
B) সন্ধ্যেবেলা
C) বিকেলবেলা
D) গভীর রাতে

উত্তর: দুপুরবেলা

Q.25 ‘গভীর ভাবে সংকল্প করে তপন’ — সংকল্পটি হলো —
A) আর কখনো লেখা চাপানোর জন্য কোথাও যাবে না
B) মেসোকে নয়, মাসিকেই লেখা জমা দেবে
C) ডাকে লেখা পাঠাবে
D) তপন নিজে গিয়ে লেখা জমা দেবে

উত্তর: তপন নিজে গিয়ে লেখা জমা দেবে

Q.26 আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন মনে হয়েছিল, সেটি ছিল –
(A) ছোটোমাসির বিয়ের দিন
(B) মামাবাড়িতে আসার দিন
(C) নিজের গল্প ছাপা অক্ষরে দেখার দিন
(D) মামাবাড়ি থেকে চলে যাওয়ার দিন

উত্তর: (C) নিজের গল্প ছাপা অক্ষরে দেখার দিন

Q.27 ‘কীরে তোর যে দেখি পারা ভারী হয়ে গেছে’ — এই শব্দবন্ধের অর্থ হলো –
(A) পা মোটা হয়ে যাওয়া
(B) গম্ভীর হয়ে যাওয়া
(C) ভারিক্কি হয়ে যাওয়া
(D) অহংকারী হয়ে যাওয়া

উত্তর: (D) অহংকারী হয়ে যাওয়া

Q.28 ‘ছাপা হয় হোক, না হয় না হোক।’ — এর মধ্যে তপনের যে মানসিকতা প্রকাশ পায়, তা হলো –
(A) মরিয়া
(B) বিরক্তি
(C) দুঃখ
(D) অভিমান

উত্তর: (A) মরিয়া

Q.29 তপন যেন আর কখনো শুনতে না হয়। যা না শোনার কথা বলা হয়েছে, তা হলো –
(A) সে গল্প লিখতে পারে না
(B) ছোটোমেসো গল্প লিখে দিয়েছেন
(C) ছোটোমাসি সুপারিশ করেছেন
(D) অন্য কেউ তার গল্প ছাপিয়ে দিয়েছেন

উত্তর: (D) অন্য কেউ তার গল্প ছাপিয়ে দিয়েছেন

মাধ্যমিক বাংলা
জ্ঞানচক্ষু গল্পের MCQ প্রশ্ন উত্তর

Q.30 ‘তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই, তার থেকে অপমানের।’ — যে বিষয়ে কথা বলা হয়েছে, তা হলো –
(A) নিজের গল্প ছাপা না হওয়া
(B) নিজের গল্পে অন্যের লেখা লাইন পড়া
(C) বাড়ির লোকেদের ঠাট্টাতামাশা
(D) নিজের গল্প লিখতে না পারা

উত্তর: (B) নিজের গল্পে অন্যের লেখা লাইন পড়া

Q.31 ‘না কি অতি আহ্লাদে বাক্য হরে গেল?’ — এখানে ‘হরে গেল’ শব্দবন্ধের অর্থ হলো –
(A) হারিয়ে যাওয়া
(B) স্তব্ধ হওয়া
(C) হেরে যাওয়া
(D) হরণ করা

উত্তর: (B) স্তব্ধ হওয়া

Q.32 তপনের লেখা গল্পটি নিয়ে চলে গিয়েছিলেন –
(A) তপনের বাবা
(B) তপনের ছোটোমেসো
(C) তপনের ছোটো মামা
(D) তপনের ছোটো মাসি

উত্তর: (D) তপনের ছোটো মাসি

Q.33 ‘তবু ধন্যি ধন্যি পড়ে যায়’ — ‘ধন্যি ধন্যি’-র অর্থ হলো –
(A) তামাশা
(B) প্রশংসা
(C) ব্যঙ্গ
(D) নিন্দা

উত্তর: (B) প্রশংসা

Q.34 ‘জ্ঞানচক্ষু’ একটি –
(A) বড়োগল্প
(B) ছোটোগল্প
(C) উপন্যাস
(D) নাটক

উত্তর: (B) ছোটোগল্প

Q.35 তপনের লেখা গল্পটি সংশোধন করে দিয়েছিলেন –
(A) তপনের বাবা
(B) তপনের ছোটো মেসো
(C) তপনের ছোটো মাসি
(D) তপনের ছোটো মামা

উত্তর: (B) তপনের ছোটো মেসো

Q.36 যাকে দেখে তপনের চোখ মার্বেলের মতো হয়ে গেল –
(A) বাবাকে
(B) দিদিকে
(C) নতুন পিসেমশাইকে
(D) নতুন মেসোমশাইকে

উত্তর: (D) নতুন মেসোমশাইকে

মাধ্যমিক বাংলা
জ্ঞানচক্ষু গল্পের MCQ প্রশ্ন উত্তর

Q.37 তপনের চোখ মার্বেল হয়ে যাওয়ার অর্থ হলো –
(A) অবাক হয়ে যাওয়া
(B) রেগে যাওয়া
(C) চোখ পাকানো
(D) চোখ লাল হয়ে যাওয়া

উত্তর: (A) অবাক হয়ে যাওয়া

Q.38 নতুন মেসোমশাই ছিলেন একজন –
(A) গায়ক
(B) বই প্রকাশক
(C) লেখক
(D) শিক্ষক

উত্তর: (C) লেখক

Q.39 ‘কথাটা শুনে চোখ মার্বেল হয়ে গেল!’ — শূন্যস্থানে শব্দ বসাও।
(A) তপনের
(B) নতুন মেসোমশাইয়ের
(C) নতুন পিসেমশাইয়ের
(D) রমেনের

উত্তর: (B) নতুন মেসোমশাইয়ের

আরও দেখো: বিজ্ঞান ও কুসংস্কার প্রবন্ধ রচনা

Leave a Comment

CLOSE

You cannot copy content of this page