কুকুর রচনা ১০০, ১৫০, ২০০, ২৫০ শব্দের মধ্যে

এখানে কুকুর সম্পর্কে রচনা ১০০, ১৫০, ২০০, ২৫০ শব্দের মধ্যে শেয়ার করা হলো।

১. কুকুর সম্পর্কে ১০ টি বাক্যে রচনা

১. কুকুর একটি গৃহপালিত প্রাণী।
২. এর সারা শরীর লোমে ঢাকা থাকে।
৩. কুকুরের চারটি পা, দুটি কান ও একটি লেজ আছে।
৪. কুকুরের দাঁত ও নখ খুব ধারালো।
৫. মাংস কুকুরের প্রিয় খাদ্য, তবে ভাত, রুটি, দুধও খায়।
৬. কুকুরের ঘ্রাণশক্তি খুব প্রখর।
৭. ডাকাত, অপরাধী ও খারাপ লোক খুঁজে বের করতে কুকুর সাহায্য করে।
৮. কুকুর পাহারা দেয়, তাই সে মালিকের বিশ্বস্ত বন্ধু।
৯. কুকুর বিভিন্ন রঙের হয়— সাদা, কালো, বাদামি ইত্যাদি।
১০. কুকুর মানুষের সবচেয়ে প্রিয় ও বিশ্বস্ত প্রাণী।

২. কুকুর রচনা ১০০ শব্দের মধ্যে

কুকুর একটি গৃহপালিত প্রাণী। প্রভুভক্তিতে তার তুলনা নেই। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই কুকুর পাওয়া যায়। দিনে কুকুর বিশ্রাম নেয় এবং রাতে পাহারা দেয়। পোষা কুকুরের মতো পথের কুকুরও মালিকের প্রতি বিশ্বস্ত থাকে। অজানা লোক বাড়িতে ঢুকলে কুকুর চিৎকার করে সাবধান করে দেয়। তাদের ঘ্রাণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তি অত্যন্ত প্রখর। এরা গন্ধ শুঁকে অপরাধীকে শনাক্ত করতে পারে, তাই পুলিশ বিভাগে কুকুরের বিশেষ ব্যবহার হয়। কুকুর ভাত, রুটি, মাছ ও মাংস খেতে পছন্দ করে। এ প্রাণীটি নিজের জীবনের বিনিময়েও প্রভুর প্রাণ ও সম্পদ রক্ষা করে।

৩. কুকুর রচনা ১৫০ শব্দের মধ্যে

সূচনা:

কুকুর একটি চতুষ্পদ প্রাণী। এটি মানুষের সবচেয়ে বিশ্বস্ত সঙ্গী হিসাবে পরিচিত। মানুষ প্রাচীনকাল থেকে কুকুরকে পোষ মানিয়ে এসেছে।

বিবরণ:

কুকুরের দুটি চোখ, দুটি কান, একটি বাঁকা লেজ এবং তীক্ষ্ণ দাঁত ও নখ থাকে। এদের গন্ধ শোঁকার ক্ষমতা খুব বেশি। দাঁত ও নখের সাহায্যে তারা শিকার ধরে এবং শত্রুর আক্রমণ প্রতিরোধ করে।

প্রজাতি:

কুকুর বিভিন্ন প্রজাতির হয়ে থাকে। যেমন— পিটবুল, জার্মান শেফার্ড, বুলডগ, আফগান হাউন্ড, ইন্ডিয়ান দেশি কুকুর ইত্যাদি। প্রজাতি ভেদে কুকুরের স্বভাবও ভিন্ন হয়— কেউ হিংস্র, কেউ সাহসী, আবার কেউ শান্ত স্বভাবের। কুকুর সাধারণত সাদা, কালো, বাদামি বা লালচে রঙের হয়ে থাকে।

খাদ্যাভ্যাস:

কুকুর মূলত মাংসাশী প্রাণী। তবে তারা ভাত, রুটি, দুধ ইত্যাদিও খেয়ে থাকে। মানুষের দেওয়া খাবারের প্রতিও তাদের বিশেষ আকর্ষণ থাকে।

উপকারিতা:

কুকুর মানুষের অনেক উপকারে আসে। পাহারাদার কুকুর বাড়ি ও মালিককে চোর-ডাকাতের হাত থেকে রক্ষা করে। শিকারি কুকুর শিকার ধরতে সাহায্য করে। পুলিশ কুকুর মাদকদ্রব্য বা অপরাধী খুঁজে বের করতে সাহায্য করে। অন্ধ মানুষদের পথপ্রদর্শক হিসেবেও কুকুর কাজ করে।

উপসংহার:

কুকুর মানুষের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু। তারা বিনিময়ে কিছু চায় না, শুধু ভালোবাসা চায়। তাই আমাদের উচিত কুকুরকে স্নেহ ও যত্নে রাখা।

৪. কুকুর রচনা ২০০ শব্দের মধ্যে

সূচনা:

কুকুর একটি স্তন্যপায়ী গৃহপালিত প্রাণী। মানুষ কুকুরকে তার সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু বলে মনে করে। অনেক মানুষ কুকুরকে পোষে থাকে।

বিবরণ:

কুকুরের চারটি পা, দুটি চোখ, দুটি কান ও একটি বাঁকা লেজ থাকে। এর সারা দেহ লোমে ঢাকা থাকে। কুকুরের ঘ্রাণশক্তি অত্যন্ত প্রখর। দাঁত ও নখ তীক্ষ্ণ, যেগুলোর সাহায্যে তারা শিকার ধরে এবং শত্রুর আক্রমণ প্রতিহত করে।

প্রজাতি ও আবরন:

কুকুর বিভিন্ন প্রজাতির হয়ে থাকে। যেমন— আমেরিকান পিটবুল, জার্মান শেফার্ড, আফগান হাউন্ড, ইন্ডিয়ান দেশি কুকুর ইত্যাদি। প্রজাতি ভেদে কুকুরের স্বভাবও ভিন্ন— কেউ হিংস্র, কেউ সাহসী, আবার কেউ শান্ত স্বভাবের। পৃথিবীর প্রায় সব দেশে কুকুর দেখা যায়। তবে সাধারণত সাদা, কালো, লাল ও বাদামি রঙের কুকুর বেশি পাওয়া যায়।

খাদ্যাভ্যাস:

কুকুর মূলত মাংসাশী প্রাণী। তবে ভাত, রুটি, দুধ ও মাছও খেয়ে থাকে। মানুষের দেওয়া খাবারও তারা আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করে।

উপকারিতা:

কুকুর মানুষের নানা উপকারে আসে। বাড়ি ও মালিককে পাহারা দেয়। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগে কুকুরের সাহায্য নেওয়া হয়। অপরাধী খুঁজে বের করা, মাদক দ্রব্য শনাক্ত করা, এমনকি অন্ধ মানুষের পথপ্রদর্শক হিসেবেও কুকুর কাজ করে। এজন্য কুকুরকে মানুষের সবচেয়ে বিশ্বস্ত প্রাণী বলা হয়।

উপসংহার:

কুকুর সত্যিই প্রভুভক্ত প্রাণী। সে নিজের জীবনের বিনিময়েও প্রভুর ধনসম্পদ ও প্রাণ রক্ষা করে। তবে কুকুর কামড়ালে জলাতঙ্ক হতে পারে, তাই সাবধান থাকা প্রয়োজন। আমাদের উচিত এই উপকারী প্রাণীটির প্রতি স্নেহ ও যত্নশীল হওয়া।

কুকুর রচনা ২৫০ শব্দের মধ্যে

পরিচয়:

কুকুর একটি অত্যন্ত পরিচিত ও উপকারী স্তন্যপায়ী প্রাণী। প্রাচীনকাল থেকে মানুষ একে গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে লালন-পালন করে আসছে। প্রভুর প্রতি একাগ্রতা ও বিশ্বস্ততার কারণে কুকুর মানুষের সবচেয়ে কাছের প্রাণী বলে বিবেচিত হয়।

গঠন ও বৈশিষ্ট্য:

কুকুর চার পায়ে চলাচল করে এবং তার শরীর ঘন লোমে আবৃত থাকে। দাঁত ও নখ উভয়ই ধারালো, যা শিকার ধরা বা আত্মরক্ষার কাজে ব্যবহৃত হয়। এ প্রাণীর ঘ্রাণশক্তি ও শ্রবণশক্তি অসাধারণ তীক্ষ্ণ। এছাড়া লম্বা জিভের সাহায্যে দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

স্বভাব:

কুকুর খুবই সতর্ক ও প্রভুভক্ত প্রাণী। দিনে বিশ্রাম নিলেও রাতের বেলা মালিকের বাড়ি পাহারা দেয়। অপরিচিত কেউ বাড়ির আশেপাশে এলে কুকুর ঘেউ ঘেউ করে মালিককে সতর্ক করে তোলে।

প্রজাতি:

কুকুর নানা প্রজাতির হয়ে থাকে। দেশি কুকুর ছাড়াও বিদেশি জাতের মধ্যে বুলডগ, ডোভারম্যান, অ্যালসেসিয়ান প্রভৃতি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিদেশি কুকুরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কাজে লাগানো হয়। তারা অপরাধী ধরতে, মাদক দ্রব্য খুঁজে বের করতে এবং অনুসন্ধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

খাদ্যাভ্যাস:

কুকুর মূলত মাংসাশী হলেও শস্যজাত খাবারও খায়। ভাত, রুটি, মাছ ও দুধ তাদের খাদ্যতালিকায় পাওয়া যায়। মানুষের দেওয়া খাবারের প্রতিও তাদের বিশেষ আকর্ষণ থাকে।

উপকারিতা:

কুকুর বাড়ি ও প্রভুর নিরাপত্তা রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। অপরাধী শনাক্তকরণ, পাহারাদারি এবং অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে কুকুরের ব্যবহার মানুষের জীবনকে সহজ করেছে। এক কথায়, এ প্রাণী নিজের প্রাণের বিনিময়েও প্রভুর প্রতি কর্তব্য পালন করে।

সতর্কতা:

তবে কুকুর কামড়ালে জলাতঙ্ক রোগের আশঙ্কা থাকে। তাই কুকুরের সংস্পর্শে সাবধান থাকা উচিত এবং কামড়ালে দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে।

উপসংহার:

সবশেষে বলা যায়, কুকুর মানুষের প্রকৃত বন্ধু। তার বিশ্বস্ততা, সতর্কতা ও আত্মত্যাগের গুণ একে অন্য প্রাণী থেকে আলাদা করেছে। তাই আমাদের কর্তব্য কুকুরকে ভালোবাসা ও সঠিকভাবে যত্ন নেওয়া।

আরও দেখো : গরু সম্পর্কে রচনা
CLOSE

You cannot copy content of this page