এখানে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সম্পর্কে রচনা ১০০, ২০০, ২৫০, ৩৫০, ৪০০ শব্দের মধ্যে লিখে দেওয়া হলো।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু রচনা ১০০ শব্দের মধ্যে
সুভাষচন্দ্র বসু ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের এক মহান নেতা, যিনি “নেতাজি” নামে পরিচিত। তিনি ১৮৯৭ সালে ওড়িশার কটকে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা জানকীনাথ বসু ছিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী। সুভাষ প্রেসিডেন্সি ও স্কটিশ চার্চ কলেজে পড়াশোনা শেষে ইংল্যান্ডে গিয়ে সিভিল সার্ভিসে উত্তীর্ণ হন, কিন্তু দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে চাকরি ত্যাগ করেন। তিনি কংগ্রেসে যোগ দিয়ে ১৯৩৮ ও ১৯৩৯ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন। গান্ধিজির সঙ্গে মতভেদে তিনি ‘ফরওয়ার্ড ব্লক’ গঠন করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের সহায়তায় তিনি “আজাদ হিন্দ ফৌজ” প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর বিখ্যাত আহ্বান ছিল— “তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব।” ১৯৪৫ সালে তাঁর বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবর প্রচারিত হলেও তা আজও রহস্যময়। তাঁর জন্মদিন “পরাক্রম দিবস” হিসেবে পালিত হয়।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু রচনা ২০০ শব্দের মধ্যে
সুভাষচন্দ্র বসু ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩ জানুয়ারি (২৪ নয়) ওড়িশার কটক শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা জানকীনাথ বসু ছিলেন এক জন সরকারি উকিল এবং মাতা প্রভাবতী দেবী ছিলেন এক স্নেহশীলা ও ধর্মপ্রাণা নারী।
সুভাষচন্দ্র ছিলেন একজন মেধাবী ছাত্র। তিনি কটকের রেভেন্সা কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্সসহ বি.এ. পাশ করেন। পরবর্তীতে তিনি বিলেতে গিয়ে আই.সি.এস. (Indian Civil Service) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং উচ্চ স্থান অধিকার করেন।
কিন্তু তিনি ব্রিটিশ সরকারের অধীনে চাকরি নিতে অস্বীকার করেন। দেশে ফিরে তিনি চিত্তরঞ্জন দাসের সহযোগে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দেন।
সুভাষচন্দ্র বসু পরপর দু’বার ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। কিন্তু মহাত্মা গান্ধিজির সঙ্গে মতভেদ হওয়ায় তাঁকে পদত্যাগ করতে হয়। এরপর তিনি “ফরওয়ার্ড ব্লক” নামে একটি নতুন দল গঠন করেন।
তিনি পরে জার্মানি ও জাপান ভ্রমণ করেন এবং জাপানের সহযোগিতায় বন্দী ভারতীয় সেনাদের নিয়ে আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করেন। তাঁর বিখ্যাত স্লোগান ছিল —
“দিল্লি চলো” এবং “তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব।”
১৯৪৫ সালে একটি বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়, তবে তাঁর মৃত্যু আজও রহস্যাবৃত। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এক উজ্জ্বল ও মহান চরিত্র। ভারত সরকার ২০২১ সালে তাঁর জন্মদিন, ২৩ জানুয়ারি, “জাতীয় পরাক্রম দিবস” হিসেবে ঘোষণা করেছে।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু রচনা ২৫০ শব্দের মধ্যে
ভূমিকা :
“তোমার আসন শূন্য আজি,
হে বীর পূর্ণ করো।”
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই অমর পঙ্ক্তি যেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রতিই নিবেদিত। জীবনকে দেশমাতৃকার সেবায় উৎসর্গ করে কিছু বীর সন্তান ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। তাঁদের মধ্যে সর্বাগ্রে যাঁর নাম আসে, তিনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু — আপসহীন সংগ্রামী, চিরবিদ্রোহী দেশনায়ক।
ব্যক্তি পরিচয় ও শিক্ষা :
১৮৯৭ সালের ২৩ জানুয়ারি ওড়িশার কটকে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। পিতা জানকীনাথ বসু ছিলেন আইনজীবী, মাতা প্রভাবতী দেবী ধর্মপরায়ণা গৃহিণী। কটকের রেভেনশ কলেজিয়েট স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন সুভাষচন্দ্র। পরে প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হয়ে ব্রিটিশ অধ্যাপকের অপমানজনক মন্তব্যের প্রতিবাদে বহিষ্কৃত হন। পরে স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে বি.এ. পাস করে ১৯১৯ সালে বিলেতে যান এবং আই.সি.এস. পরীক্ষায় কৃতিত্ব অর্জন করেন। কিন্তু স্বাধীনতার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি চাকরি ত্যাগ করেন।
স্বাধীনতা আন্দোলনে ভূমিকা :
দেশে ফিরে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের নেতৃত্বে তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দেন। কংগ্রেসের প্রচার সচিব, কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র, এবং পরে কংগ্রেস সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। গান্ধিজির অহিংস নীতির সঙ্গে মতভেদ হওয়ায় তিনি ‘ফরওয়ার্ড ব্লক’ গঠন করেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশরা তাঁকে বন্দী করলে তিনি গৃহবন্দী অবস্থা থেকে পালিয়ে বিদেশে যান। জাপানের সহযোগিতায় “আজাদ হিন্দ ফৌজ” গঠন করেন এবং দেশবাসীকে আহ্বান জানান— “তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব।” তাঁর নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ ফৌজ মণিপুরের কোহিমায় ভারতের পতাকা উত্তোলন করে। ১৯৪৫ সালে বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যুর খবর প্রচারিত হলেও সেই রহস্য আজও অমীমাংসিত।
উপসংহার :
নেতাজির জীবন আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস। তাঁর জন্মদিন এখন “জাতীয় পরাক্রম দিবস” হিসেবে পালিত হয়। সত্যিকারের শ্রদ্ধা হবে তখনই, যখন আমরা তাঁর ত্যাগ, দেশপ্রেম ও আত্মনিবেদনের আদর্শে নিজেদের জীবনকে পরিচালিত করব।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু রচনা ৩৫০ শব্দের মধ্যে
ভূমিকা:
নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের এক অগ্রণী নেতা। পরাধীন ভারতবাসীর কাছে তাঁর আহ্বান ছিল, “তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব।” তরুণ ভারতবাসীর রক্তে স্বাধীনতার বীজ ছড়িয়ে দেওয়া এই প্রিয় নেতা সাহস, ত্যাগ, বীরত্ব ও দেশপ্রেমের এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন। তাঁর নেতৃত্ব, বুদ্ধিমত্তা ও আত্মত্যাগ আজও ভারতের ইতিহাসে অমর।
জন্ম ও পরিবার:
নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু জন্মগ্রহণ করেন ২৩ জানুয়ারি ১৮৯৭ সালে উড়িষ্যার কটক শহরে। তাঁর পিতার নাম জানকীনাথ বসু, যিনি একজন সরকারি উকিল ছিলেন। মাতার নাম প্রভাবতী দেবী, যিনি শিক্ষিত এবং সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
বাল্যকাল ও শিক্ষা:
শৈশব থেকেই নেতাজী ছিলেন মেধাবী ও তীক্ষ্ণ মনোভাবের। কটকের র্যাভেনশ কলেজিয়েট স্কুল থেকে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্সসহ বি.এ. পাশ করেন। বিলেত থেকে আই.সি.এস. পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান অধিকার করেও তিনি ব্রিটিশ সরকারের চাকরি গ্রহণ করেননি। স্বাধীনতার স্বপ্ন তাঁর জন্য ব্যক্তিগত স্বার্থের চেয়ে অনেক বড় ছিল।
কর্মজীবন ও রাজনৈতিক সংগ্রাম:
১৯২১ সালে দেশে ফিরে নেতাজী স্বদেশসেবাকে জীবনের লক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করেন। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের সহযোগী হিসেবে কাজ শুরু করেন। তাঁর নেতৃত্ব ও সংগঠনী ক্ষমতা দেখে ব্রিটিশ সরকার ভীত হয় এবং তাঁকে বহুবার কারাগারে নিক্ষেপ করে। কংগ্রেসে দুবার সভাপতি নির্বাচিত হন এবং কলকাতার মেয়রও হন। মহাত্মা গান্ধীর অহিংসা নীতি ও কংগ্রেসের নীতি নিয়ে মতবিরোধ থাকায় তিনি কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেন। সশস্ত্র সংগ্রামের পথ বেছে নিয়ে তিনি ফরওয়ার্ড ব্লক প্রতিষ্ঠা করেন।
গ্রন্থ ও দেশপ্রেম:
নেতাজীর রচিত গ্রন্থগুলোতে দেশের প্রতি তাঁর চেতনা ও স্বাধীনতার আকাঙ্খা প্রতিফলিত হয়। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: Ideas of a Nation, On to Delhi: Speeches and Writings, এবং বাংলায় লেখা তরুণের স্বপ্ন। এছাড়া তিনি বঙ্গীয় জাতীয় কলেজ, বঙ্গীয় প্রাদেশিক কমিটি, দেশবন্ধুর স্বরাজ দল ও ফরওয়ার্ড পত্রিকার মাধ্যমে দেশের জন্য অবদান রেখেছেন।
আজাদ-হিন্দ-ফৌজ গঠন:
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশদের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি জাপান, জার্মানি ও সোভিয়েত ইউনিয়ন ভ্রমণ করেন। প্রবাসী ভারতীয় ও জাপানবন্দী ভারতীয়দের নিয়ে তিনি আজাদ-হিন্দ-ফৌজ গঠন করেন এবং নেতৃত্ব প্রদান করেন। দিল্লি চলো ডাক দিয়ে বার্মা সীমান্ত অতিক্রম করে ইম্ফলে প্রবেশ করেন। প্রথমবার ভারতভূমিতে বলেছিলেন, “Give me your blood, I will give you freedom.” জাপানের পরাজয়ের কারণে তাঁকে আজাদ-হিন্দ-ফৌজ আত্মসমর্পণ করতে হয়। এরপর নেতাজীর নিখোঁজ হওয়া ইতিহাসে একটি রহস্য হিসেবে থেকে গেছে।
উপসংহার:
নেতাজীর মৃত্যুর রহস্য আজও অমীমাংসিত। দেশবাসী তাঁর সাহস, ত্যাগ ও বীরত্বকে স্মরণ করে। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু এক উজ্জ্বল ও মহান চরিত্র হিসেবে চিরস্মরণীয়। ২০২১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাঁর জন্মবার্ষিকী জাতীয় পরাক্রম দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু রচনা ৪০০ শব্দের মধ্যে
ভূমিকা:
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে বহু মহাপুরুষের নাম অমর হয়ে আছে। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। তিনি ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক বিরল প্রতিভা ও অনন্য বীরযোদ্ধা। স্বচ্ছল পরিবারের সন্তান হয়েও তিনি বিলেতি চাকরির বিলাসিতাকে ত্যাগ করে দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য আত্মনিবেদন করেন। তাঁর অমর বাণী — “তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব” আজও প্রতিটি দেশপ্রেমিকের হৃদয়ে অনুপ্রেরণা জাগায়।
জন্ম ও শিক্ষাজীবন:
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩ জানুয়ারি ওড়িশার কটক শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা জানকীনাথ বসু ছিলেন কটকের একজন প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী এবং মাতা প্রভাববতী দেবী ছিলেন ধর্মপরায়ণা ও স্নেহশীলা গৃহিণী।
কটকের রেভেনসো কলেজিয়েট স্কুলে তাঁর শিক্ষাজীবনের সূচনা হয়। প্রবেশিকা পরীক্ষায় তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। এরপর কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন। সেখানে অধ্যাপক ওটেনের ভারতবিদ্বেষী মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে তিনি স্কটিশ চার্চ কলেজে ভর্তি হয়ে দর্শনশাস্ত্রে অনার্সসহ বি.এ. পাশ করেন।
পরবর্তীতে তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য ইংল্যান্ডে যান এবং আই.সি.এস. পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান অর্জন করেন। কিন্তু দেশের দুঃখে তিনি চাকরির প্রলোভন ত্যাগ করে স্থির করেন, তাঁর জীবন হবে কেবল দেশের স্বাধীনতার জন্য উৎসর্গিত।
রাজনৈতিক জীবন:
দেশে ফিরে সুভাষচন্দ্র বসু যোগ দেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের নেতৃত্বে। দেশবন্ধুর সহযোগী হয়ে তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা নেন এবং একটি শক্তিশালী সেচ্ছাসেবক বাহিনী গড়ে তোলেন।
১৯২১ সালে গান্ধীজির নেতৃত্বে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। সেই সময় নেতাজি তাঁর নেতৃত্বদানের অসাধারণ ক্ষমতা প্রদর্শন করেন। ফলে ইংরেজ সরকার ভয় পেয়ে তাঁকে বারবার কারাবন্দি করে।
১৯২২ সালের উত্তরবঙ্গের ভয়াবহ বন্যায় তিনি নিঃস্বার্থভাবে আর্ত মানুষের সেবা করেন। দেশবন্ধুর মৃত্যুর পর তিনি জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন, কিন্তু পরে গান্ধীজির সঙ্গে মতভেদ দেখা দিলে তিনি ফরওয়ার্ড ব্লক নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন।
তিনি বিশ্বাস করতেন যে স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব কেবল সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে।
ভারত ত্যাগ ও আজাদ হিন্দ বাহিনী:
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নেতাজি গৃহবন্দি অবস্থায় ছিলেন। ১৯৪১ সালে তিনি ইংরেজ সরকারের চোখে ধুলো দিয়ে কাবুলির ছদ্মবেশে দেশ ত্যাগ করেন।
জার্মানি হয়ে জাপানে পৌঁছে রাসবিহারী বসুর সহযোগিতায় তিনি গঠন করেন আজাদ হিন্দ সরকার ও আজাদ হিন্দ বাহিনী। তাঁর আহ্বানে বহু ভারতীয় সৈনিক যোগ দেন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল ভারতকে সশস্ত্র লড়াইয়ের মাধ্যমে মুক্ত করা।
তাঁর নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ বাহিনী বার্মা সীমান্ত পর্যন্ত অগ্রসর হয়। কিন্তু জাপানের পরাজয়ের ফলে সেই সংগ্রাম ব্যর্থ হয়।
উপসংহার:
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে ১৯৪৫ সালের আগস্ট মাসে তিনি তাইহোকু (বর্তমান তাইওয়ান) যাওয়ার পথে বিমান দুর্ঘটনায় পতিত হন বলে জানা যায়। তাঁর মৃত্যুর রহস্য আজও অমীমাংসিত।
তবুও নেতাজি আজও বেঁচে আছেন কোটি কোটি ভারতবাসীর হৃদয়ে। তাঁর দেশপ্রেম, ত্যাগ ও সাহস আমাদের চিরকাল অনুপ্রেরণা দেবে।
“তোমার আসন শূন্য আজি,
হে বীর পূর্ণ করো।”