এখানে নরহরি দাস প্রশ্ন উত্তর শেয়ার করা হলো। ক্লাস 4 বাংলা / পাতাবাহার চতুর্থ শ্রেণী / নরহরি দাস উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী প্রশ্ন ও উত্তর সমাধান চতুর্থ শ্রেণি
চতুর্থ শ্রেণী
বিষয়: বাংলা
নরহরি দাস হাতেকলমে প্রশ্ন উত্তর
১. উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর লেখা তোমার একটি প্রিয় বইয়ের নাম লিখ।
উত্তর: উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর আমার প্রিয় একটি বইয়ের নাম টুনটুনির বই।
২. তার লেখা গল্প অবলম্বনে তৈরি কোন সিনেমা তুমি দেখেছো?
উত্তর: তার লেখা গল্প অবলম্বনে তৈরি গুপী গায়েন বাঘা বায়েন সিনেমাটি আমি দেখেছি।
৩. একটি বাক্যে উত্তর দাও:
৩.১ “হ্যাঁ গো তুমি কি খাও” -ছাগলছানা ষাঁড়কে কী ভেবে এমন প্রশ্ন করেছিল?
উত্তর: ছাগলছানা ষাঁড়ের শিং দেখে তাকে ছাগল মনে করেছিল, তাই সে তাকে এমন প্রশ্ন করেছিল।
৩.২ গল্পে বাঘ হলো শিয়ালের মামা, আর ‘নরহরি দাস’, নিজেকে কার মামা বলে দাবি করল?
উত্তর: ‘নরহরি দাস’ নিজেকে সিংহের মামা বলে দাবি করল।
৩.৩ ছাগলছানা কেন ষাড়ের সঙ্গে বনে গিয়েছিল?
উত্তর: ছাগলছানা ভালো ঘাস খাওয়ার লোভে ষাড়ের সঙ্গে বনে গিয়েছিল।
৩.৪ ছাগলছানা সেদিন রাত্রে কেন বাড়ি ফিরতে পারেনি?
উত্তর: ছাগলছানা সেদিন রাতে বনের মধ্যে ভালো ঘাস দেখে লোভ সামলাতে না পেরে এত ঘাস খেলো যে তার চলার শক্তি রইল না, তাই সেদিন রাতে সে বাড়ি ফিরতে পারেনি।
৩.৫ অন্ধকারে শিয়াল ছাগলছানা কে কি মনে করেছিল?
উত্তর: অন্ধকারে শিয়াল ছাগলছানাকে রাক্ষস, টাক্ষস মনে করেছিল।
৩.৬ বাঘ শিয়ালকে ফিরতে দেখে আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিল কেন?
উত্তর: বাঘের বাড়ি নিমন্ত্রণ খেয়ে ফিরে যাবার পর আবার শিয়ালকে ফিরতে দেখে বাঘ আশ্চর্য্য হয়ে গিয়েছিল।
৩.৭ শিয়াল কোন শর্তে বাঘের সঙ্গে ফিরতে চেয়েছিল?
উত্তর: বাঘ শিয়াল কে তার লাজের সঙ্গে বেঁধে নিয়ে যাবে- এই শর্তে শিয়াল বাঘের সঙ্গে ফিরতে চেয়েছিল।
৩.৮ ছাগলের বুদ্ধির কাছে শিয়াল কীভাবে হার মানল?
উত্তর: বুদ্ধিমান ছাগলের কথায় বাঘ ভয় পেয়ে ভাবল শিয়াল তাকে ফাঁকি দিয়ে ছাগলের আহার্য বস্তু হিসেবে নিয়ে এসেছে- এভাবেই বাঘ ছাগলের বুদ্ধির কাছে হার মানল।
৪. নীচের এলোমেলো বর্ণগুলি সাজিয়ে শব্দ তৈরি করো:
উত্তর:
য়া ন ভ ক = ভয়ানক।
শ র্ব স না = সর্বনাশ।
ত রা রা সা = সারারাত।
র ন্ধ অ কা = অন্ধকার।
ম ণ নি ন্ত্র = নিমন্ত্রণ।
না গ ল ছা ছা = ছাগলছানা।
৫. নিজের ভাষায় বাক্য সম্পন্ন করো:
৫.১ সেখানে মাঠের পাশে বন আছে ______________
উত্তর: সেখানে মাঠের পাশে বোন আছে সেখানে মাঠের ধারে মস্ত পাহাড়ের গর্তের ভিতর একটি ছাগল ছানা থাকতো ।
৫.২ সেই বনের ভিতর ____________________
উত্তর: সেই বনের ভিতর খুব খাস ছিল।
৫.৩ ছাগলছানা টা __________
উত্তর: ছাগলছানা টা খুব বুদ্ধিমান ছিল।
৫.৪ বাঘ শিয়াল কে ____________
উত্তর: বাঘ শিয়াল কে নিজের লেজের সঙ্গে বেঁধে নিয়ে চলল।
৫.৫ বাঘ ভাবে _________________
উত্তর: বাঘ ভাবে শিয়াল তাকে মিথ্যা কথা বলে নরহরি দাসের খাবার হিসেবে নিয়ে এসেছে।
৬. একই অর্থের শব্দ পাশের শব্দ ঝুড়ি থেকে খুঁজে নিয়ে পাশাপাশি লেখ:
বন, ছাগল, আশ্চর্য, সাজা, তৃণ
উত্তর: বন = জঙ্গল
তৃণ = ঘাস
ছাগল = অজ
সাজা = শাস্তি
চতুর্থ শ্রেণী
বিষয়: বাংলা
নরহরি দাস হাতেকলমে প্রশ্ন উত্তর
৭. বর্ণ বিশ্লেষণ করে নিচের ফাঁকা ঘর গুলি ভর্তি করো:
উত্তর:
পাহাড় = প+আ+হ+আ+ড় ।
মস্ত = ম+অ+স্+ত+অ।
সন্ধ্যে = স+অ+ন+ধ+য+এ।
অন্ধকার = অ+ন+ধ+অ+ক+আ+র।
পঞ্চাশ = প+অ+ন+চ+আ+শ।
ব্যস্ত = ব+য+অ+স+ত+অ।
নিশ্বাস = ন+ই+শ+ব+আ+স।
৮. নীচের কথাগুলির মধ্য কোনটি বাক্য কোনটি বাক্য নয় চিহ্নিত করো:
উত্তর: মাঠের পাশেই বন
তাও কি হয়
নরহরি দাস এসে
আমি সেখানে গেলে
ছাগলছানা বাড়ি ফিরে এলো
৯. এলোমেলো শব্দগুলিকে সাজিয়ে বাক্য তৈরি করো:
৯.১ গর্তে থাকত একটা ভিতরে ছাগলছানা।
উত্তর: গর্তের ভিতর একটা ছাগলছানা থাকতো।
৯.২ করি বাঘের দশ দিলুম তোকে।
উত্তর: তোকে দশ বাঘের করি দিলুম।
৯.৩ কিছুতেই আর রাগ গেল সে না।
উত্তর: সে রাগ আর কিছুতেই গেল না।
৯.৪ লাফে এই দুই তুমি তাহলে পালাবে তো।
উত্তর: তাহলে তুমি তো দুই লাফে পালাবে।
৯.৫ সারা রাত সারা করে ছুটোছুটি এমনি করে হলো।
উত্তর: এমনি করে সারারাত ছুটোছুটি করে সারা গেল।
১০. বাক্য রচনা করো:
মস্ত- বাবা বাজার থেকে একটা মস্ত বড় কাতলা মাছ কিনে এনেছেন।
জন্তু- জন্তু জানোয়ারেরা জঙ্গলে থাকে।
চমৎকার- মামা আমার জন্য একটা চমৎকার পুতুল এনেছেন।
বুদ্ধিমান- বুদ্ধিমান ব্যক্তি জীবনের সাফল্য লাভ করেন।
নিমন্ত্রণ- রবিবার বুবুনের বাড়ি নিমন্ত্রণ আছে।
১১. এলোমেলো ঘটনাগুলিকে সাজিয়ে লেখ:
উত্তর: ১. ছাগলছানা সঙ্গে যেতে চাইলো।
২. একথা শুনে
তাকে নিয়ে গেল।
৩. খেয়ে তার পেট এমন ভারি হল যে সে আর চলতে পারে না।
৪. সেদিন রাতে একটা গর্তের ভিতরে একটা ছাগল ছানা থাকলো।
৫. সেই গর্তটা ছিল শিয়ালের।
৬. শিয়াল ফিরেছে গর্তে থেকে ঢুকেছে তা জানতে চাইল।
৭. ছাগলছানা ভারী বুদ্ধিমান ছিল, সে বললে পঞ্চাশ বাঘে মোর এক এক গ্রাস।
৮. শিয়াল গেল বাঘের কাছে নালিশ জানাতে।
৯. শিয়াল বাঘের সঙ্গেও সেই গর্তের কাছে যেতে ভয় পাচ্ছিল।
১০. বাঘ তো শিয়ালকে বেশ করে লেজে সঙ্গে বেঁধে নিয়েছে।
১২.১ এই গল্পে কাকে তোমার বুদ্ধিমান বলে মনে হয়েছে? তোমার এমন মনে হওয়ার কারণ কী?
উত্তর: ‘নরহরি দাস’ গল্পে ছাগলছানাটিকে আমার বুদ্ধিমান বলে মনে হয়েছে।
আমার মতে ছাগলশিশুটি বিপদের সময় ভয় না পেয়ে নিজের উপস্থিত বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়েছে। শেয়ালের কাছে সে ‘নরহরি দাস’ হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়েছে। পরিচিত কোনো জন্তু হিসেবে নিজেকে উপস্থিত করলে ধূর্ত শেয়াল তার চালাকি বুঝে যেতে পারত। কিন্তু নরহরি দাস শেয়ালের কাছে একেবারে অপরিচিত একটি প্রাণী। তাই নরহরি দাস, পঞ্চাশ বাঘে যার এক গ্রাস, সে তার গর্তে আশ্রয় নিয়েছে বুঝে ভয়ে শেয়ালটি পালিয়ে যায়।
একইভাবে মাথা খাটিয়ে সে বাঘমামাকেও তাড়িয়েছিল। এই কারণেই আমার মতে আলোচ্য গল্পের সবচাইতে বুদ্ধিমান চরিত্র হল ছাগলছানাটি।
১২.২ ‘বুদ্ধি যার বল তার’-এই কথাটির সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে এই গল্পে। এরকম অন্য কোনো গল্প তোমার জানা থাকলে লেখো।
উত্তর: একটি শেয়াল একদিন এক সারসকে তার বাড়িতে নিমন্ত্রণ করেছিল। সারস খেতে বসলে শেয়াল অনেকখানি ঝোল একখানি পাথরের ওপর ফেলে দেয়। শেয়ালের সেটা খেতে কোনো অসুবিধে হয় না। সে দিব্যি চেটে চেটে খেয়ে ফেলে। কিন্তু সারসের ঠোঁট লম্বা ও সরু। সেটা দিয়ে পাথরের ওপর ফেলে দেওয়া খাবার খাওয়াটা অসম্ভব। তাই দুঃখ মনে এক পেট খিদে নিয়েই সারস ফিরে আসে।
এরপর অনেকদিন কেটে গেছে। একদিন সারস তার বাড়িতে শেয়ালকে নিমন্ত্রণ করে। শেয়ালও সেজেগুজে এসে হাজির হয়। খেতে দেওয়ার সময় দেখা যায় কোনো পাথরে বা চ্যাপটা পাত্রে নয়, সারস কুঁজোর মতো সরু মুখওয়ালা পাত্রে তার অতিথিকে খেতে দিয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত সরু মুখবিশিষ্ট পাত্রে শেয়ালের মুখ ঢোকে না। সারস অনায়াসে ঠোঁট নামিয়ে খেয়ে ফেললেও শেয়ালটি অভুক্ত থাকে।
সবশেষে শেয়ালকে বিদায় দেওয়ার সময় সারস তাকে বলে, কিছু মনে কোরো না ভাই, এ ভদ্রতা আমি তোমার কাছেই শিখেছি।
চতুর্থ শ্রেণী
বিষয়: বাংলা
নরহরি দাস হাতেকলমে প্রশ্ন উত্তর
১৩. গল্প থেকে অন্তত পাঁচটি সর্বনাম খুঁজে নিয়ে লেখো এবং সেগুলি ব্যবহার করে একটি করে বাক্য লেখো।
উত্তর:
১. সে: সে এখানে আসবে শুনে দীপ বাড়ি থেকে বেরোল না।
২. তুমি: তুমি দোকানে যাবে বলেই তো আমি আজ আর বাজার করে ফিরিনি।
৩. তোমার: দীপ্তেশবাবুর মুখে তোমার অনেক প্রশংসা শুনে ভালো লাগল।
৪. তার: তার আর হারানোর কিছু নেই বলেই হয়তো শুভশ্রী একটা মরিয়া চেষ্টা চালাল।
৫. আমি: আমি আম খেতে ভালোবাসি জেনে সৌরভ মালদা থেকে অনেক আম এনেছে।
১৪. কারণ কী লেখো।
১৪.১ ছাগলছানা গর্তের বাইরে যেতে পেত না।
উত্তর: ছাগলছানা তখনও বড়ো হয়নি এবং গর্তের বাইরে ছিল হিংস্র জীবজন্তু।
১৪.২ ষাঁড় এসে বলল, ‘এখন চলো বাড়ি যাই।’
উত্তর: তাদের ঘাস খেতে খেতে সন্ধে হয়ে এসেছিল।
১৪.৩ সে (শেয়াল) ভাবল বুঝি রাক্ষস-টাক্ষস হবে।
উত্তর: তখন রাত হয়ে গিয়েছিল এবং ছাগলছানার গায়ের রংও কালো ছিল বলে শেয়াল স্পষ্ট করে দেখতে পায়নি গুহার ভেতরে কে।
১৪.৪ ‘বাবা গো!’ বলে সেখান থেকে (শেয়ালের) দে। ছুট।
উত্তর: ছাগলছানা শেয়ালের গর্তের ভেতর থেকে পশুরাজ সিংহের মামা নরহরি দাস হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়েছিল।
১৪.৫ বাঘ ভয়ানক রেগে বললে, ‘বটে, তার এত বড়ো আস্পর্ধা!’
উত্তর: শেয়াল বাঘমামার কাছে গিয়ে জানায় নরহরি দাস, যে কিনা পঞ্চাশখানা বাঘকে এক-এক গ্রাসে খেয়ে ফেলতে পারে বলে দাবি করেছে, সে তার গর্তেই আশ্রয় নিয়েছে।
১৫. নীচের বাক্যগুলিতে কোন্ কোন্ ভাব প্রকাশ পেয়েছে তা লেখো।
১৫.১ হ্যাঁগা, তুমি কী খাও?
উত্তর: হ্যাঁগা, তুমি কী খাও? – প্রশ্ন
১৫.২ আমাকে সেখানে নিয়ে যেতে হবে।
উত্তর: আমাকে সেখানে নিয়ে যেতে হবে। – নির্দেশ
১৫.৩ যাসনে! ভালুকে ধরবে, বাঘে নিয়ে যাবে, সিংহে খেয়ে ফেলবে।
উত্তর: যাসনে! ভালুকে ধরবে, বাঘে নিয়ে যাবে, সিংহে খেয়ে ফেলবে। – উপদেশ
১৫.৪ এখন চলো বাড়ি যাই।
উত্তর: এখন চলো বাড়ি যাই। – ইচ্ছা
১৫.৫ শুনেই তো শেয়াল, ‘বাবা গো!’ বলে সেখান থেকে দে ছুট।
উত্তর: শুনেই তো শেয়াল, ‘বাবা গো!’ বলে সেখান থেকে দে ছুট। – ভয়
১৫.৬ ‘কী ভাগনে, এই গেলে, আবার এখুনি এত ব্যস্ত হয়ে ফিরলে যে?’
উত্তর: ‘কী ভাগনে, এই গেলে, আবার এখুনি এত ব্যস্ত হয়ে ফিরলে যে?’ – বিস্ময়
১৬. গল্পটিতে কে কোন্ সময় কী করেছিল তা লেখো।
উত্তর: ছাগলছানার মা বাইরে বেরিয়েছিল।
ছাগলছানা – গর্তের বাইরে বেরিয়ে চলে আসে।
ষাঁড় – ঘাস খাচ্ছিল।
শেয়াল – নেমন্তন্ন খেতে বাঘের বাড়ি যায়।
বাঘ – নেমন্তন্ন খেয়ে যাওয়া শেয়াল তাড়াতাড়ি করে আবার তার বাড়ি এলে অবাক হয়।
১৭. শক্তি, বুদ্ধি ও কাজের বিচারে বাঘ, শেয়াল ও ছাগলছানার আচরণ কেমন তা লেখো।
উত্তর:
শক্তির বিচারে:
- বাঘ: শেয়ালকে লেজে বেঁধে টেনে নিয়ে যাওয়া বাঘের শক্তির পরিচায়ক।
- শেয়াল: ছাগলছানার তুলনায় বেশি শক্তিশালী, তবু বোকা বনে যায়।
- ছাগলছানা: বাঘ ও শেয়ালের তুলনায় দুর্বল হলেও শেষে জয়ী হয়।
বুদ্ধির বিচারে:
- বাঘ: নরহরি দাসকে যাচাই না করেই ভয় পেয়ে পালানো তার নির্বুদ্ধিতার পরিচয়।
- শেয়াল: শুধু আওয়াজ শুনে নরহরি দাসের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে, যা তার বোকামির পরিচায়ক।
- ছাগলছানা: সবচেয়ে বুদ্ধিমান। ঘাবড়ে না গিয়ে বুদ্ধি দিয়ে বাঘ ও শেয়ালকে বোকা বানায়।
কাজের বিচারে:
- বাঘ: নরহরি দাসের আওয়াজে পালিয়ে যায়, যা তার ভীরুতার পরিচয়।
- শেয়াল: নিজের ভুল ধারণা দিয়ে বাঘকে প্রভাবিত করে।
- ছাগলছানা: শক্তি কম হলেও বুদ্ধি দিয়ে কাজ হাসিল করে এবং নিজের প্রাণ বাঁচায়।
১৭. উপযুক্ত ছেদ ও যতিচিহ্ন ব্যবহার করো:
খেয়ে তার পেট এমন ভারী হলো যে, সে আর চলতে পারে না। সন্ধে হলে ষাঁড় এসে বলল, ‘এখন চলো বাড়ি যাই।’ কিন্তু ছাগলছানা কী করে বাড়ি যাবে? সে চলতেই পারে না। তাই সে বলল, ‘তুমি যাও, আমি কাল যাব।’
চতুর্থ শ্রেণী
বিষয়: বাংলা
নরহরি দাস হাতেকলমে প্রশ্ন উত্তর
১৮. বিপরীতার্থক শব্দ লেখো:
মস্ত – ক্ষুদ্র
বাইরে – ভেতরে
লম্বা – বেঁটে
ব্যস্ত – স্থির
নিশ্বাস – প্রশ্বাস
সর্বনাশ – মঙ্গল
দূর – নিকট
২০. গল্পে কোন্ কোন্ প্রাণীর নাম খুঁজে পেলে? এদের খাদ্য, বাসস্থান এবং স্বভাব উল্লেখ করো।
উত্তর: ‘নরহরি দাস’ গল্পে ছাগল, শেয়াল, সিংহ, ষাঁড় ও বাঘ—এই পাঁচটি প্রাণীর নাম পাওয়া যায়।
প্রাণী | খাদ্য | বাসস্থান | স্বভাব |
---|---|---|---|
ছাগল | ঘাস, পাতা ইত্যাদি। ছাগল তৃণভোজী প্রাণী। | গৃহস্থের বাড়ি বা পাহাড়ি অঞ্চলে বাস করে। | ভীরু ও নিরীহ স্বভাবের। সহজেই পোষ মানে। |
শেয়াল | ইঁদুর, পাখি, ঘাসফড়িং প্রভৃতি। | ঝোপঝাড়ে বা গুহায় থাকে। নিশাচর প্রাণী। | ধূর্ত ও চঞ্চল প্রকৃতির। দ্রুত দৌড়াতে পারে। |
সিংহ | মাংসাশী। হরিণ, জেব্রা, জিরাফ প্রভৃতি প্রাণী শিকার করে খায়। | ঘাসের মধ্যে বা গুহায় থাকে। | শক্তিশালী ও আক্রমণাত্মক। নিজেদের দলের প্রতি খুবই রক্ষাকবচ। |
ষাঁড় | ঘাস, পাতা, দানা ইত্যাদি। | গৃহপালিত, সাধারণত বাড়িতেই থাকে। | নিরীহ স্বভাবের এবং পোষ মানানো সহজ। |
বাঘ | হরিণ, শুয়োর, চিতাবাঘ, এমনকি ভালুক ও অজগরও খায়। | বনে বা গভীর জঙ্গলে বাস করে। | আক্রমণাত্মক। লুকিয়ে থেকে শিকার ধরে। |
২১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো।
২১.১ ছাগলছানার মা তাকে কীভাবে সাবধান করত? তার ভয় কাটল কীভাবে?
উত্তর: ছাগলছানার মা তাকে সাবধান করে বলত, যদি সে বাইরে বেরোয়, তবে ভালুক, বাঘ বা সিংহ তাকে ধরে নিয়ে যাবে।
কিছুদিন পর ছাগলছানার বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার সাহস বাড়ল, আর তার ভয় কেটে গেল।
২১.২ বনে সন্ধে হয়ে এলে সেখানে কোন্ পরিস্থিতি তৈরি হল?
উত্তর: বনে সন্ধে হলে, পেটভর্তি ঘাস খাওয়া ছাগলছানা আর ষাঁড়ের সঙ্গে ফিরতে চাইল না। সে একটি ছোটো গর্ত দেখে সেখানেই রাত কাটানোর সিদ্ধান্ত নিল।
২১.৩ ছাগলছানাকে শেয়াল ভয় পেল কেন?
উত্তর: গর্তে কে আছে জানতে চাইলে ছাগলছানা বুদ্ধি করে বলল—
“লম্বা লম্বা দাড়ি
ঘন ঘন নাড়ি।
সিংহের মামা আমি নরহরি দাস,
পঞ্চাশ বাঘে মোর এক-এক গ্রাস!”
এই কথা শুনে শেয়াল ভয় পেয়ে পালিয়ে গেল।
২১.৪ বাঘের উপর শেয়ালের রাগ হওয়ার কারণ লেখো।
উত্তর: বাঘ নরহরি দাসের হুংকার শুনে ভয় পেয়ে পালাতে গিয়ে তার লেজে বাঁধা শেয়ালকেও টেনে নিয়ে দৌড়ায়। এতে শেয়াল আঘাত পায়, তার গায়ে কাঁটার আঁচড় লাগে, আর সে প্রায় মরার অবস্থায় পৌঁছায়।
বাঘের কারণে তাকে এত কষ্ট সহ্য করতে হওয়ায় শেয়াল বাঘের ওপর রেগে যায়।
চতুর্থ শ্রেণী
বিষয়: বাংলা
নরহরি দাস অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর
১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:
১.১ ছাগলছানা কোথায় থাকত?
উত্তর: ছাগলছানা প্রকাণ্ড পাহাড়ের মধ্যে ছোটো একটি গর্তে থাকত।
১.২ শেয়াল কার বাড়ি নিমন্ত্রণ খেতে গিয়েছিল?
উত্তর: শেয়াল তার বাঘমামার বাড়ি নিমন্ত্রণ খেতে গিয়েছিল।
২.সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাভিত্তিক প্রশ্নগুলির উত্তর:
২.১ “তা শুনে তার ভয় হত”-কী শুনে কে কেন ভয় পেত?
উত্তর: দুরন্ত ছাগলছানা যাতে বাইরে না বেরোয়, তার জন্য ছাগলের মা বলত, বাইরে গেলে ভালুকে ধরবে, বাঘে নিয়ে যাবে এবং সিংহে খেয়ে ফেলবে। ছাগলছানার বয়স কম ছিল, তাই এসব কথা শুনে সে ভয় পেত।
২.২ “শেয়ালের সেদিন ভারি সাজা হয়েছিল।”-‘সেদিন’ বলতে কোন্ দিনের কথা বলা হয়েছে? শেয়াল কীরকম সাজা পেয়েছিল?
উত্তর: ‘সেদিন’ বলতে সেই দিনের কথা বলা হয়েছে যেদিন বাঘ তার লেজে শেয়ালকে বেঁধে নরহরি দাস কে দেখতে গিয়েছিল।
শেয়ালকে নিয়ে বাঘ দৌড়ানোর ফলে শেয়াল মাটিতে আছাড় খায়, কাঁটায় আঁচড় খায় এবং আলে ঠোক্কর খেয়ে খুব কষ্ট পায়। এটিই তার সাজা।
৩. নিম্নলিখিত বক্তব্যগুলির বক্তার নাম লেখো:
ক) ‘হ্যাঁগা, তুমি কী খাও?’ – ছাগলছানা
খ) ‘এখন চলো বাড়ি যাই।’ – ষাঁড়
গ) ‘মামা, আল মামা আল!’ – শেয়াল
৪. বিপরীত শব্দ লেখো:
বুদ্ধিমান – বোকা
কাছে – দূরে
কালো – সাদা
চতুর্থ শ্রেণী
বিষয়: বাংলা
নরহরি দাস অতিরিক্ত MCQ প্রশ্ন উত্তর
১. ছাগলছানা কোথায় থাকত?
ক) পাহাড়ের নিচে
খ) গাছের উপর
গ) গর্তের ভিতরে
ঘ) জঙ্গলের ধারে
উত্তর: গ) গর্তের ভিতরে
২. ছাগলছানার মা তাকে বাইরে যেতে নিষেধ করত কেন?
ক) জঙ্গলে সিংহ আছে বলে
খ) বাইরে ভালুক, বাঘ ও সিংহ আছে বলে
গ) বাইরে খাবার নেই বলে
ঘ) বাইরে শিয়াল থাকে বলে
উত্তর: খ) বাইরে ভালুক, বাঘ ও সিংহ আছে বলে
৩. ছাগলছানা কাকে দেখে প্রথমে অবাক হয়েছিল?
ক) সিংহ
খ) বাঘ
গ) ষাঁড়
ঘ) শিয়াল
উত্তর: গ) ষাঁড়
৪. শিয়াল কাকে গর্তে দেখে ভয় পেয়ে যায়?
ক) বাঘ
খ) ছাগলছানা
গ) নরহরি দাস
ঘ) ভালুক
উত্তর: খ) ছাগলছানা
৫. ছাগলছানা শিয়ালকে ভয় দেখাতে কী বলেছিল?
ক) ‘আমি নরহরি দাস, পঞ্চাশ বাঘে মোর এক-এক গ্রাস।’
খ) ‘আমি সিংহের মামা, তোমাকে খেয়ে ফেলব।’
গ) ‘আমি পাহাড়ের রাক্ষস।’
ঘ) ‘আমার লম্বা লম্বা দাড়ি।’
উত্তর: ক) ‘আমি নরহরি দাস, পঞ্চাশ বাঘে মোর এক-এক গ্রাস।’
৬. বাঘ শিয়ালকে কীভাবে নিয়ে গিয়েছিল?
ক) পিঠে করে
খ) লেজের সঙ্গে বেঁধে
গ) গর্তের মধ্যে ফেলে
ঘ) কাঁধে তুলে
উত্তর: খ) লেজের সঙ্গে বেঁধে
৭. বাঘ কেন পালিয়ে গিয়েছিল?
ক) ছাগলছানা তাকে ভয় দেখিয়েছিল বলে
খ) নরহরি দাসকে দেখে ভয় পেয়েছিল বলে
গ) শিয়াল তাকে ফাঁকি দেবে ভেবে
ঘ) শিয়ালের কথা শুনে ভয় পেয়ে
উত্তর: ক) ছাগলছানা তাকে ভয় দেখিয়েছিল বলে
৮. গল্পে শিয়ালের পরিণতি কী হয়েছিল?
ক) সে আহত হয়েছিল
খ) সে পালিয়ে গিয়েছিল
গ) সে ছাগলছানাকে খেয়েছিল
ঘ) সে বাড়ি ফিরে গিয়েছিল
উত্তর: ক) সে আহত হয়েছিল
৯. গল্পে ছাগলছানার চরিত্রের প্রধান গুণ কী ছিল?
ক) সাহস
খ) ধূর্ততা
গ) বুদ্ধি
ঘ) শক্তি
উত্তর: গ) বুদ্ধি
১০. গল্পে নরহরি দাস কে ছিল?
ক) আসল রাক্ষস
খ) ছাগলছানার দেওয়া নাম
গ) সিংহ
ঘ) শিয়ালের মামা
উত্তর: খ) ছাগলছানার দেওয়া নাম
চতুর্থ শ্রেণী
বিষয়: বাংলা
নরহরি দাস অতিরিক্ত MCQ প্রশ্ন উত্তর
১. ছাগলছানার মা তাকে কীভাবে সাবধান করত?
উত্তর: ছাগলছানার মা তাকে বলত, বাইরে গেলে ভালুক ধরে নিয়ে যাবে, বাঘে নিয়ে যাবে, আর সিংহে খেয়ে ফেলবে।
২. ছাগলছানার ভয় কাটল কীভাবে?
উত্তর: ছাগলছানার বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার ভয়ও কমে গেল এবং সে গর্তের বাইরে যাওয়া শুরু করল।
৩. ছাগলছানা কাকে দেখে মনে করেছিল যে, ভালো খাবার খেলে এত বড়ো হয়?
উত্তর: ছাগলছানা ষাঁড়কে দেখে ভেবেছিল যে ভালো খাবার খেলে এত বড়ো হওয়া যায়।
৪. শিয়াল কেন তার গর্তে ঢুকতে ভয় পেয়েছিল?
উত্তর: শিয়াল গর্তে ছাগলছানার গলার আওয়াজ শুনে ভয় পেয়েছিল। কারণ ছাগলছানা নিজেকে ‘নরহরি দাস’ বলে পরিচয় দিয়ে ভয় দেখিয়েছিল।
৫. বাঘ শিয়ালের সঙ্গে কীভাবে গর্তের কাছে গিয়েছিল?
উত্তর: বাঘ শিয়ালকে তার লেজের সঙ্গে বেঁধে গর্তের কাছে গিয়েছিল।
৬. ছাগলছানার কথায় শিয়াল ও বাঘ কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল?
উত্তর: ছাগলছানার হুংকার শুনে শিয়াল ও বাঘ ভয় পেয়ে পালিয়ে গিয়েছিল।
৭. শিয়াল বাঘের উপর রেগে গিয়েছিল কেন?
উত্তর: বাঘ শিয়ালকে লেজে বেঁধে ছুটতে গিয়ে শিয়ালকে আছাড় খাইয়ে আহত করেছিল। এজন্য শিয়াল বাঘের উপর রেগে গিয়েছিল।
৮. গল্পে ছাগলছানার বুদ্ধি কীভাবে কাজে লেগেছিল?
উত্তর: ছাগলছানা নিজের বুদ্ধি দিয়ে শিয়াল ও বাঘকে ভয় দেখিয়ে গর্ত থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছিল।
৯. নরহরি দাস নামে পরিচিতি পায় কে?
উত্তর: ছাগলছানা নিজের পরিচয় নরহরি দাস বলে দিয়েছিল, যা শিয়াল ও বাঘকে ভয় পাইয়ে দিয়েছিল।
১০. গল্পের শেষে ছাগলছানা কোথায় ফিরে গিয়েছিল?
উত্তর: গল্পের শেষে ছাগলছানা নিজের বাড়িতে ফিরে গিয়েছিল।