স্বামী বিবেকানন্দ রচনা ১০০, ১৫০, ২০০, ৩৫০, ৫০০ শব্দের মধ্যে / ক্লাস 5, 6, 7, 8 এর জন্য

Spread the love

এখানে স্বামী বিবেকানন্দ সম্পর্কে রচনা ১০০, ১৫০, ২০০, ৩৫০, ৪০০ শব্দের মধ্যে শেয়ার করা হলো।

১. স্বামী বিবেকানন্দ রচনা ১০০ শব্দের মধ্যে

১। স্বামী বিবেকানন্দ ছিলেন একজন দার্শনিক, সন্ন্যাসী ও লেখক।

২। তিনি ১৮৬৩ খ্রিষ্টাব্দের ১২ জানুয়ারি কলকাতার সিমলা অঞ্চলের দত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

৩। তাঁর পিতার নাম ছিল বিশ্বনাথ দত্ত এবং মাতার নাম ভুবনেশ্বরী দেবী।

৪। শৈশবে তাঁর নাম ছিল নরেন্দ্রনাথ দত্ত এবং ডাকনাম ছিল বিলে।

৫। তিনি ছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের প্রিয় শিষ্য।

৬। শ্রীরামকৃষ্ণের দীক্ষা গ্রহণের পর তাঁর নাম হয় স্বামী বিবেকানন্দ।

৭। তিনি কলকাতায় রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন।

৮। ১৮৯৩ সালে আমেরিকার শিকাগো ধর্ম মহাসভায় তাঁর বক্তৃতা বিশ্বকে মুগ্ধ করে।

৯। ১৯০২ খ্রিষ্টাব্দের ৪ জুলাই তিনি বেলুড় মঠে মহাসমাধি লাভ করেন।

১০। তাঁর আদর্শ ও চিন্তা আজও ভারত তথা বিশ্ববাসীকে অনুপ্রাণিত করে।

২. স্বামী বিবেকানন্দ রচনা ১৫০ শব্দের মধ্যে

জন্ম:

স্বামী বিবেকানন্দ ছিলেন একজন ভারতীয় হিন্দু সন্ন্যাসী, সমাজসেবক, বর্মীয় শিক্ষক ও দেশাত্মপ্রাণ।
তিনি ১৮৬৩ খ্রিষ্টাব্দের ১২ জানুয়ারি কলকাতার সিমলা অঞ্চলের দত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

বংশ পরিচয়:

তাঁর পিতার নাম ছিল বিশ্বনাথ দত্ত এবং মাতার নাম ভুবনেশ্বরী দেবী।
শৈশবে তাঁর নাম ছিল নরেন্দ্রনাথ দত্ত (ডাকনাম – বিলে)। ছেলেবেলায় তিনি দুষ্টু হলেও পড়াশোনায় ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী।

শিক্ষা:

নরেন্দ্রনাথ ছিলেন অসাধারণ মেধাবী ছাত্র।
তিনি কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে বি.এ পাশ করেন। পরে কিছুদিন শিক্ষকতা করেন।
এই সময়ে তাঁর পরিচয় ঘটে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের সঙ্গে। ক্রমে তিনি তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন এবং সন্ন্যাসজীবনে প্রবেশ করে নাম গ্রহণ করেন স্বামী বিবেকানন্দ।

খ্যাতি:

শ্রীরামকৃষ্ণদেবের মহাপ্রয়াণের পর স্বামী বিবেকানন্দ ছয় বছর ধরে সমগ্র ভারত ভ্রমণ করেন এবং দরিদ্র মানুষের দুঃখ-দুর্দশা প্রত্যক্ষ করেন।
তিনি বলতেন— “জীবে প্রেম করে যে জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।”
১৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি আমেরিকার শিকাগো শহরের বিশ্বধর্ম সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে তাঁর ঐতিহাসিক বক্তৃতার মাধ্যমে সারা বিশ্বে পরিচিত হন।
মানবসেবার জন্য তিনি ১৮৯৮ খ্রিষ্টাব্দে বেলুড় মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন।
তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ হলো— জ্ঞানযোগ, রাজযোগ, কর্মযোগ, পরিব্রাজক প্রভৃতি।

মৃত্যু:

১৯০২ খ্রিষ্টাব্দের ৪ জুলাই মাত্র ৩৯ বছর বয়সে এই মহাপুরুষ পরলোকগমন করেন।
কিন্তু তাঁর আদর্শ ও বাণী আজও মানবজাতির কাছে অমর হয়ে আছে।

৩. স্বামী বিবেকানন্দ রচনা ২০০ শব্দের মধ্যে

ভূমিকা:

হে বীর, সাহস অবলম্বন করো! সদর্পে বল– “আমি ভারতবাসী, ভারতবাসী আমার ভাই।”
এই বাণী যার কণ্ঠে জাতিকে জাগ্রত করেছিল, তিনি ভারত আত্মার মূর্ত প্রতীক, বীর সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দ।
ভারতীয় ধর্ম ও আদর্শকে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেছিলেন তিনি। গুরু শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস ছিলেন তাঁর প্রিয়তম ঠাকুর, আর তিনি ছিলেন ঠাকুরের শ্রেষ্ঠ শিষ্য।

জন্মপরিচয়:

স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম ১৮৬৩ খ্রিষ্টাব্দের ১২ জানুয়ারি কলকাতার সিমলায় দত্ত পরিবারে।
তাঁর পিতার নাম বিশ্বনাথ দত্ত এবং মাতার নাম ভুবনেশ্বরী দেবী।
শৈশবে তাঁর নাম ছিল নরেন্দ্রনাথ দত্ত (ডাকনাম বিলে)।

শিক্ষা:

নরেন্দ্রনাথ ছেলেবেলা থেকেই ছিলেন সাহসী, ধর্মপ্রাণ এবং অত্যন্ত মেধাবী। তিনি ছিলেন মনোযোগী ছাত্র এবং বিএ পাশ করার পর অর্থকষ্টে ভুগতে থাকেন।
এই সময়ে তাঁর পরিচয় ঘটে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসের সঙ্গে।
ক্রমে তিনি রামকৃষ্ণদেবের প্রতি গভীর আকর্ষণ অনুভব করেন এবং দক্ষিণেশ্বরে নিয়মিত যাতায়াত শুরু করেন।
অবশেষে তিনি রামকৃষ্ণদেবকে গুরুরূপে গ্রহণ করেন।

জীবন ও আদর্শ:

সন্ন্যাস গ্রহণের পর নরেন্দ্রনাথের নাম হয় স্বামী বিবেকানন্দ।
শ্রীরামকৃষ্ণের মহাপ্রয়াণের পর তিনি পরিব্রাজক সন্ন্যাসী হয়ে সমগ্র ভারত ভ্রমণ করেন।
এ সময় তিনি দরিদ্র ও অসহায় মানুষের দুঃখকষ্ট প্রত্যক্ষ করেন এবং মানবসেবায় আত্মনিয়োগ করেন।
১৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দে আমেরিকার শিকাগো শহরে অনুষ্ঠিত ধর্ম মহাসভায় তাঁর ঐতিহাসিক বক্তৃতা সমগ্র বিশ্বকে মুগ্ধ করে।
সেই বক্তৃতায় তিনি মানবধর্ম ও ভ্রাতৃত্ববোধের বাণী প্রচার করেছিলেন।
পরে তিনি রামকৃষ্ণ মিশন ও বেলুড় মঠ প্রতিষ্ঠা করেন।
তাঁর রচিত বহু গ্রন্থ আজও মানবকল্যাণের পথপ্রদর্শক।

উপসংহার:

স্বামী বিবেকানন্দ ছিলেন সত্যিকার অর্থে বীর সন্ন্যাসী ও মানবসেবক। তাঁর বাণী আজও তরুণ সমাজকে জাগ্রত করে—
“উঠ, জাগো, আর লক্ষ্য না পাওয়া পর্যন্ত থেমো না।”

৪. স্বামী বিবেকানন্দ রচনা ৫০০ শব্দের মধ্যে

স্বামী বিবেকানন্দ ছিলেন উনিশ শতকের একজন প্রখ্যাত হিন্দু সন্ন্যাসী, দার্শনিক, সমাজসেবক ও আধ্যাত্মিক নেতা। তিনি শুধু ভারতবর্ষেই নয়, সমগ্র বিশ্বে বেদান্ত ও যোগ দর্শনের প্রচার করেছিলেন। আধুনিক ভারতে জাতীয়তাবাদ ও সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে তাঁর ভূমিকা অসামান্য।

জন্ম ও পরিবার:

স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দের ১২ জানুয়ারি কলকাতার সিমলা অঞ্চলের এক সম্ভ্রান্ত দত্ত পরিবারে। তাঁর আসল নাম ছিল নরেন্দ্রনাথ দত্ত। পিতার নাম বিশ্বনাথ দত্ত, যিনি একজন আইনজীবী ছিলেন। মায়ের নাম ছিল ভুবনেশ্বরী দেবী। শৈশবে তাঁর ডাকনাম ছিল “বিলে”। তিনি ছিলেন চঞ্চল, সাহসী ও বুদ্ধিমান শিশু।

শিক্ষা জীবন:

নরেন্দ্রনাথ অল্প বয়সেই অসাধারণ মেধার পরিচয় দেন। প্রথমে সিমলা মেট্রোপলিটন স্কুল থেকে পড়াশোনা করেন এবং পরবর্তীতে স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে দর্শনশাস্ত্রে স্নাতক (বি.এ) ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি পাশ্চাত্য দর্শনের পাশাপাশি ভারতীয় দর্শনের প্রতিও আকৃষ্ট ছিলেন। ছাত্রজীবনে তিনি যুক্তিবাদী ও প্রশ্নপ্রবণ স্বভাবের কারণে সমবয়সীদের মধ্যে আলাদা পরিচিতি পান।

আধ্যাত্মিক জীবন:

নরেন্দ্রনাথের জীবনে মোড় ঘুরে যায় যখন তিনি দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরে শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসের সংস্পর্শে আসেন। প্রথমে তিনি রামকৃষ্ণের মতবাদ নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন, কিন্তু ধীরে ধীরে তাঁর গভীর আধ্যাত্মিক জ্ঞান ও ভক্তিভাব নরেন্দ্রনাথকে প্রভাবিত করে। পরবর্তীতে তিনি রামকৃষ্ণের প্রধান শিষ্য হন এবং সন্ন্যাস গ্রহণের পর “স্বামী বিবেকানন্দ” নাম ধারণ করেন।

কর্মজীবন ও কীর্তি:

১৮৮৬ সালে রামকৃষ্ণ পরমহংসের মৃত্যুর পর বিবেকানন্দ শিষ্যদের নিয়ে বরানগরে একটি মঠ প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরে রামকৃষ্ণ মঠ নামে পরিচিত হয়। কয়েক বছর পরিব্রাজক সন্ন্যাসীর জীবন কাটিয়ে তিনি সারা ভারত ভ্রমণ করেন এবং দারিদ্র্যপীড়িত জনগণের অবস্থা প্রত্যক্ষ করেন।

১৮৯৩ সালে আমেরিকার শিকাগো শহরে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ধর্ম মহাসভায় তিনি ভারতীয় সংস্কৃতি ও হিন্দুধর্মের প্রতিনিধিত্ব করেন। তাঁর বিখ্যাত বক্তৃতা “Sisters and Brothers of America” দিয়ে সভা শুরু করলে পুরো বিশ্ব তাঁর মানবতাবাদী ও উদার চিন্তায় মুগ্ধ হয়। এর পরবর্তী সময়ে তিনি ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন স্থানে হিন্দুধর্ম, বেদান্ত ও যোগের প্রচার করেন।

ভারতে ফিরে এসে ১৮৯৭ সালে তিনি রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন। এই সংস্থার মূল লক্ষ্য ছিল শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং মানবসেবা। তাঁর মতে, “জীবে প্রেম করে যে জন, সে জন সেবিছে ঈশ্বর।”

সাহিত্যকর্ম:

স্বামী বিবেকানন্দ ছিলেন একজন দক্ষ বক্তা ও লেখক। তাঁর রচিত গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থগুলির মধ্যে রয়েছে – বর্তমান ভারত, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য, ভাববার কথা, জ্ঞানযোগ, কর্মযোগ ও ভক্তিযোগ। এসব গ্রন্থে তাঁর দর্শন, সমাজভাবনা ও আধ্যাত্মিক শিক্ষা প্রতিফলিত হয়েছে।

মৃত্যু:

১৯০২ খ্রিস্টাব্দের ৪ জুলাই স্বামী বিবেকানন্দ কলকাতার বেলুড় মঠে মাত্র ৩৯ বছর বয়সে মহাসমাধি লাভ করেন। স্বল্পায়ু হলেও তাঁর চিন্তা ও কর্ম আজও বিশ্বের কোটি কোটি মানুষকে অনুপ্রাণিত করে।

৫. স্বামী বিবেকানন্দ রচনা ৩৫০ শব্দের মধ্যে

সূচনা:

ভারতীয় ধর্ম, আদর্শ ও সংস্কৃতিকে যিনি বিশ্বের দরবারে প্রচার করেছিলেন এবং ভারতবর্ষকে বিশেষ সম্মানের অধিকারী করে তুলেছিলেন—তিনি হলেন শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণের যোগ্য প্রিয়তম শিষ্য, বীর সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দ।

জন্ম-পরিচয়:

১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দের ১২ জানুয়ারি কলকাতার সিমলা অঞ্চলের অভিজাত দত্ত পরিবারে তাঁর জন্ম হয়। পিতা ছিলেন বিশ্বনাথ দত্ত, পেশায় আইনজীবী। মাতা ভুবনেশ্বরী দেবী ছিলেন ধর্মপরায়ণা মহিলা। তাঁর প্রকৃত নাম নরেন্দ্রনাথ দত্ত, আর ডাকনাম ছিল ‘বিলে’।

শৈশব জীবন:

শৈশবে নরেন্দ্রনাথ ছিলেন চঞ্চল, সাহসী ও কৌতূহলী। তাঁর প্রিয় খেলার মধ্যে ছিল ‘ধ্যান-ধ্যান খেলা’। ছোটোবেলা থেকেই তিনি স্পষ্টভাষী, সত্যনিষ্ঠ ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন।

শিক্ষাজীবন:

নরেন্দ্রনাথ চৌদ্দ বছর বয়সে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে তিনি স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে দর্শনশাস্ত্রে বি.এ ডিগ্রি লাভ করেন। আইনের পড়াশোনা শুরু করলেও পিতার মৃত্যুর কারণে আর্থিক সংকটে পড়েন এবং উচ্চশিক্ষা অসম্পূর্ণ থেকে যায়।

আধ্যাত্মিক জীবন:

যৌবনে নরেন্দ্রনাথ ছিলেন যুক্তিবাদী ও ঈশ্বর সম্পর্কে সন্দিহান। কিন্তু দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরে শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসের সংস্পর্শে এসে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হয়। ধীরে ধীরে তিনি রামকৃষ্ণের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন এবং সন্ন্যাস গ্রহণ করে “স্বামী বিবেকানন্দ” নামে পরিচিত হন।

কর্মজীবন ও কৃতিত্ব:

স্বামী বিবেকানন্দের মূল বক্তব্য ছিল—“জীবে প্রেম করে যে জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।” তিনি ধর্মীয় গোঁড়ামি, কুসংস্কার ও অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেন এবং মানবসেবাকে ধর্মের মূল বলে ঘোষণা করেন।

১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে আমেরিকার শিকাগো শহরে বিশ্ব ধর্ম মহাসভায় তিনি ভারতীয় ধর্ম ও দর্শনের প্রতিনিধিত্ব করেন। তাঁর ঐতিহাসিক বক্তৃতা বিশ্ববাসীকে মুগ্ধ করে এবং ভারতকে আন্তর্জাতিক মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করে। পরবর্তীতে তিনি আমেরিকা ও ইউরোপে বেদান্ত ও যোগ দর্শনের প্রচার করেন।

ভারতে ফিরে তিনি আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তুলতে উদ্যোগী হন এবং ১৮৯৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেন রামকৃষ্ণ মিশন ও পরবর্তীতে বেলুড় মঠ। এই প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও সমাজকল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

সাহিত্যকর্ম:

স্বামী বিবেকানন্দ বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য বইগুলির মধ্যে আছে— জ্ঞানযোগ, কর্মযোগ, ভক্তিযোগ, বর্তমান ভারত, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য প্রভৃতি। এগুলোতে মানবতাবাদ, আধ্যাত্মিকতা ও সমাজসেবার দর্শন সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।

মৃত্যু:

অত্যধিক পরিশ্রম ও দুঃসাহসিক কর্মযজ্ঞে তাঁর স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ে। ১৯০২ খ্রিস্টাব্দের ৪ জুলাই মাত্র ৩৯ বছর বয়সে তিনি কলকাতার বেলুড় মঠে পরলোকগমন করেন।

উপসংহার:

স্বামী বিবেকানন্দের জীবনের মূল মন্ত্র ছিল—“সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।” মানবসেবার মধ্য দিয়েই তিনি ঈশ্বরকে উপলব্ধি করতে চেয়েছিলেন। তাঁর জীবন ও আদর্শ আজও সমগ্র বিশ্বে মানুষের পথপ্রদর্শক হয়ে আছে।

আরও দেখো: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচনা
আমাদের ইউটিউব চ্যানেল: TextbookPlus
টেলিগ্রাম গ্রুপ: GhoshClass
Facebook Group: TextbookPlus
CLOSE

You cannot copy content of this page