আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার প্রশ্ন উত্তর / মাধ্যমিক বাংলা

এখানে আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার প্রশ্ন উত্তর শেয়ার করা হলো। শঙ্খ ঘোষ

আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার প্রশ্ন উত্তর
সেট: ১

আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্নমান: ১

১. ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় ‘আমাদের’ বলতে কাদের কথা বলেছেন?

উত্তর: কবি শঙ্খ ঘোষ তাঁর কবিতায় ‘আমাদের’ বলতে দেশকালের সীমা অতিক্রম করে সাম্রাজ্যবাদী ও হানাদারি শত্রুর হাতে আক্রান্ত সাধারণ মানুষদের বুঝিয়েছেন।

২. আমাদের ডান পাশে ও বাঁ পাশে কী আছে বলে মনে করেন?

উত্তর: ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় কবি বলেছেন, আমাদের ডান পাশে ধস এবং বাঁ পাশে গিরিখাদ আছে।

৩. ‘ডান পাশে ধস’ ও ‘বাঁয়ে গিরিখাদ’ বলতে আসলে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?

উত্তর: কবি ‘ডান পাশে ধস’ ও ‘বাঁয়ে গিরিখাদ’ বলতে মানুষের জীবনের পদে পদে বিপদ এবং পতনের আশঙ্কার কথা ব্যক্ত করেছেন।

৪. ‘আমাদের ডান পাশে ধস’—’ধস’ শব্দটির আক্ষরিক অর্থ কী?

উত্তর: ‘ধস’ শব্দটির আক্ষরিক অর্থ খসে পড়া। কবিতায় এটি মানুষের চলার পথে বিপদের সম্ভাবনাকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে।

৫. ‘আমাদের বাঁয়ে গিরিখাদ’—’গিরিখাদ’ শব্দটির আক্ষরিক অর্থ কী?

উত্তর: ‘গিরিখাদ’ শব্দের আক্ষরিক অর্থ হলো দুই পর্বতের মাঝে সৃষ্ট গভীর খাদ। এটি মানুষের জীবনের বিপদের গভীরতাকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে।

৬. ‘আমাদের ডান পাশে ধস, বাঁয়ে গিরিখাদ’—আমাদের মাথায় ও পায়ে কী আছে?

উত্তর: কবিতায় কবি বলেছেন, আমাদের মাথায় বোমারু এবং পায়ে পায়ে আছে হিমানীর বাঁধ।

৭. ‘আমাদের মাথায় বোমার’ বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?

উত্তর: ‘আমাদের মাথায় বোমার’ বলতে বোঝানো হয়েছে যুদ্ধবাজ সাম্রাজ্যবাদী শক্তির অতর্কিত আক্রমণ। এর ফলে মানুষের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে।

৮. ‘আমাদের পথ নেই কোনো’ বলার কারণ কী?

উত্তর: বর্তমান পৃথিবীতে মানুষ বড় অসহায় ও নিরুপায়। প্রতিনিয়ত তার চলার পথে প্রতিকূলতা ও দিশাহীনতা আছে—এই কারণেই কবি এমন বলেছেন।

৯. ‘আমাদের পথ নেই।’—কবি সেক্ষেত্রে কী করতে বলেছেন?

উত্তর: কবি বলেছেন, মানুষের চলার পথে প্রতিকূলতা এলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকতে হবে। একসঙ্গে থেকে প্রতিকূলতাকে জয় করতে হবে।

১০. ‘ছড়ানো রয়েছে কাছে দূরে।’—কী ছড়ানো রয়েছে?

উত্তর: কবিতায় বলা হয়েছে, কাছে ও দূরে ছড়ানো রয়েছে শিশুদের শব।

১১. ‘আমাদের শিশুদের শব’ কোথায় ছড়ানো রয়েছে?

উত্তর: ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতা অনুসারে, শিশুদের শব কাছে ও দূরে ছড়ানো রয়েছে। এটি পৃথিবীজুড়ে হিংসা, যুদ্ধ ও সন্ত্রাসের ভয়াবহতাকে বোঝায়।

১২. ‘আমাদের শিশুদের শব’ বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?

উত্তর: কবি বোঝাতে চেয়েছেন যে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও হিংসার ফলে শিশুদের জীবন বিপন্ন হয়েছে। এটি যুদ্ধ ও সন্ত্রাসের নিষ্ঠুর চিত্র।

১৩. ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় কবি কী বার্তা দিতে চেয়েছেন?

উত্তর: কবি বার্তা দিয়েছেন যে মানুষের চলার পথে যত প্রতিকূলতাই আসুক না কেন, ঐক্যবদ্ধ থাকার মাধ্যমেই সব বিপদ জয় করা সম্ভব।

১৪. আমাদের পথ নেই আর’- কাদের পথ নেই?

উত্তরা ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় কবিকণ্ঠে ধ্বনিত হয়েছে সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর। তাই ‘আমাদের’ বলতে তিনি এ পৃথিবীর সমস্ত নিরন্ন, খেটে-খাওয়া ও নিরাপত্তাহীন অসহায় মানুষকেই বুঝিয়েছেন।

আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্নমান: ৩
১. ‘আমাদের পথ নেই কোনো।’ ‘পথ’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? কবির এমন আশঙ্কার কারণ ব্যাখ্যা করো।
অথবা, ‘আমাদের পথ নেই কোনো’—পথ না থাকার কারণ কী?

উত্তর: উদ্ধৃতিটি শঙ্খ ঘোষের ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতার অংশ। এখানে ‘পথ’ বলতে কবি মানুষের জীবনযাত্রার দিশাহীনতা ও অনিশ্চয়তার কথা বোঝাতে চেয়েছেন। কবি মনে করেন, বর্তমান সমাজে যুদ্ধ, হিংসা, সাম্রাজ্যবাদী শোষণ, দাঙ্গা, এবং সামাজিক অবক্ষয়ের কারণে মানুষের জীবনের সুস্পষ্ট পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে।

কবির আশঙ্কা এই যে, বিশ্বজুড়ে বিরাজমান অস্থিরতা, অন্যায়, ও বঞ্চনার ফলে মানুষ তার মানবিক গুণাবলি হারিয়ে ফেলছে। প্রতিবন্ধকতায় পূর্ণ এই সমাজে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে মানুষের সামনে শুধু বিপদ আর পতনের সম্ভাবনা। তাই, কবি মনে করেন, মানুষের জন্য কোনো নিরাপদ পথ বা ভবিষ্যৎ দিশা আর অবশিষ্ট নেই।

২. ‘পৃথিবী হয়তো বেঁচে আছে’—কার এবং কেন এই সংশয়?

উত্তর: ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় কবি শঙ্খ ঘোষ এই সংশয় প্রকাশ করেছেন।

বর্তমান পৃথিবী যুদ্ধ, দাঙ্গা ও সন্ত্রাসে বিধ্বস্ত। মানুষ আজ দিশেহারা, গৃহহীন ও অসহায়। কবি মনে করেন, এই প্রতিকূলতা এবং যুগযন্ত্রণার ক্ষত নিয়েই মানুষ বেঁচে আছে, তবে তা যেন কেবল অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রামে।

যুদ্ধবিধ্বস্ত পৃথিবীর ইতিহাসবিস্মৃত এবং নিরন্ন মানুষ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করতে ব্যর্থ। তাই কবির মনে গভীর সংশয় জন্মেছে—এই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে সত্যিই কি পৃথিবী বেঁচে আছে? এই সংশয় থেকেই আলোচ্য উদ্ধৃতিটি করেছেন।

৩. ‘আমাদের ইতিহাস নেই’—কে, কেন এ কথা বলেছেন?
অথবা, ‘এমনই ইতিহাস’—উদ্ধৃতাংশটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
অথবা, ‘আমাদের ইতিহাস নেই’—কাদের ইতিহাস নেই? তাদের ইতিহাস না থাকার কারণ কী?
অথবা, ‘আমাদের ইতিহাস নেই’—আমাদের ইতিহাস নেই কেন?

উত্তর: উদ্ধৃত অংশটি কবি শঙ্খ ঘোষের লেখা ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতার অন্তর্গত। এখানে কবি সমগ্র পৃথিবীর সাধারণ মানুষের প্রসঙ্গে এই কথা বলেছেন।

কবি মনে করেন, ইতিহাস সবসময় ক্ষমতাবানদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। সাধারণ মানুষের জীবনযন্ত্রণা, বঞ্চনা, এবং ত্যাগ-তিতিক্ষার কাহিনি সেই ইতিহাসে জায়গা পায় না। যুগের পর যুগ সাধারণ মানুষ শোষিত, বঞ্চিত এবং অবজ্ঞার শিকার হয়ে চলেছে। তাদের এই বঞ্চনা ও অবহেলার কথা কেউ লিপিবদ্ধ করেনি।

বর্তমান যুগে, যুদ্ধ, দাঙ্গা, এবং সাম্রাজ্যবাদী শোষণের কারণে সাধারণ মানুষ গৃহহারা, দিশাহারা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করতেও অক্ষম। তাদের অস্তিত্ব যেন তুচ্ছ হয়ে গেছে, এবং তাদের ইতিহাস নেই বললেই চলে।

কবি এই কথা বলতে চেয়েছেন যে সাধারণ মানুষ ইতিহাসে নেই, কারণ তাদের জীবনসংগ্রাম, ত্যাগ এবং অবজ্ঞাকে অবহেলার আড়ালে ঢেকে রাখা হয়েছে। তাদের জীবনের ব্যথা-বেদনা ইতিহাসের পাতায় বিস্মৃত, আর এটাই কবিতার এই উদ্ধৃতাংশের মূল তাৎপর্য।

৪. ‘আমাদের ঘর গেছে উড়ে’—কাদের ঘর? ঘর উড়ে যাওয়া বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
অথবা, ‘আমাদের ঘর উড়ে যাওয়া’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তর: উদ্ধৃত অংশে ‘আমাদের’ বলতে কবি শঙ্খ ঘোষ যুদ্ধবিধ্বস্ত, নিরন্ন, এবং অসহায় সাধারণ মানুষের কথা বলেছেন।

কবি তাঁর ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় এই উক্তির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জীবনে ঘটে চলা ধ্বংসের চিত্র তুলে ধরেছেন। ঘর উড়ে যাওয়া বলতে বোঝানো হয়েছে মানুষের স্থায়ী আশ্রয় হারানো, উদ্বাস্তু হয়ে পড়া, এবং নিরাপত্তাহীনতার জীবনযাপন।

আজকের এই অবক্ষয়ের যুগে, যেখানে যুদ্ধ, দাঙ্গা, এবং সন্ত্রাস সাধারণ মানুষের জীবনে প্রতিনিয়ত আঘাত হানছে, সেখানে তারা আশ্রয়হীন হয়ে উদ্বাস্তু শিবিরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে। তাদের জীবনের এই অনিশ্চয়তা এবং বিপন্নতার কথাই ‘ঘর উড়ে যাওয়া’ রূপকে বোঝানো হয়েছে। কবি এই প্রতিকূলতাকে ফুটিয়ে তুলে মানুষের ঐক্য ও সংহতির প্রাসঙ্গিকতাকে জোর দিয়েছেন।

আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্নমান: ৩

১. ‘আমরাও তবে এইভাবে / এ-মুহূর্তে মরে যাব না কি?’—এমনটা মনে হচ্ছে কেন?

উত্তর: কবি শঙ্খ ঘোষ তাঁর ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় বর্তমান বিশ্বের ভয়াবহ সংকটময় পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন। কবির এই প্রশ্নটি সাধারণ মানুষের অস্তিত্বসংকট এবং দিশাহীন অবস্থাকে চিত্রিত করে।

পরিস্থিতির প্রেক্ষাপট:

রাষ্ট্রীয় নির্যাতন, সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন, রাজনৈতিক দুর্নীতি, ধর্মীয় সন্ত্রাস, এবং সামাজিক অবক্ষয়ের ফলে সাধারণ মানুষ আজ দিশেহারা। পৃথিবীর সর্বত্র যুদ্ধ, হিংসা, এবং রক্তপাত সাধারণ মানুষের জীবনকে বিপন্ন করে তুলেছে। শিশুরাও এই সহিংসতার বলি হচ্ছে।

কবির আশঙ্কা:

কবি চারিদিকে দেখছেন রক্তাক্ত মৃতদেহ, সন্তানহারা মায়ের আহাজারি, এবং মানুষের চরম অসহায়ত্ব। মানবতার এই পতন ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিশ্চিহ্ন হওয়ার সম্ভাবনা দেখে কবি গভীর শঙ্কায় প্রশ্ন তুলেছেন—মানুষ কি এই ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতির মধ্যে ধীরে ধীরে সম্পূর্ণরূপে বিলীন হয়ে যাবে?

উক্তির তাৎপর্য:

এই পরিস্থিতে বেঁচে থাকাটাই যেন এক অসহনীয় বোঝা হয়ে উঠেছে। কবির কাছে জীবন এবং মৃত্যু সমান যন্ত্রণাদায়ক মনে হচ্ছে। তাই এই প্রশ্নের মাধ্যমে কবি বর্তমান যুগের চরম অসহায়তা এবং মানবিক বিপন্নতাকে তুলে ধরেছেন।

২. ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় কবি বেঁধে বেঁধে থাকার কথা বলেছেন কেন?

উত্তর: শঙ্খ ঘোষের ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় ‘বেঁধে বেঁধে থাকি’ বলতে কবি সংঘবদ্ধভাবে বেঁচে থাকার কথা বলেছেন। কবির মতে, বর্তমান পৃথিবী ক্ষমতাবান শাসক, সাম্রাজ্যবাদী শক্তি, এবং মৌলবাদী গোষ্ঠীর যৌথ ষড়যন্ত্রে বিধ্বস্ত। সাধারণ মানুষ আজ কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়েছে, তাদের অস্তিত্ব বিপন্ন।

সংঘবদ্ধতা ও ঐক্য:

মানুষের চলার পথ একের পর এক বিপদে পরিপূর্ণ, এবং তার মাথার উপরে কোনও ছায়া নেই। তারা নিজেদের এবং তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করতে অক্ষম। কবি এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সংঘবদ্ধতার প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে চেয়েছেন। মানুষের ঐক্য, একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ করার শক্তিই একমাত্র উপায়, যার মাধ্যমে তারা এই নৃশংসতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারে।

বেঁধে বেঁধে থাকার আদিম ভাবনা:

বেঁধে বেঁধে থাকার ধারণাটি আদিম সময়ের সমাজের কাছেও ছিল। বন্য প্রাণী থেকে নিজেদের রক্ষার্থে প্রাচীন মানুষ একত্রিত হয়ে বাস করার ধারণা শুরু করেছিল, যার মাধ্যমে গড়ে উঠেছিল পরিবার, পাড়া, গ্রাম, এবং রাষ্ট্র। এই সভ্যতার ভিত্তি ছিল একত্রিত থাকার শক্তি।

আজকের পৃথিবী:

এখন আর বন্য প্রাণী থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নয়, বরং সাম্রাজ্যবাদী, ক্ষমতাবান, এবং মৌলবাদী শক্তির নৃশংসতা থেকে রক্ষা পেতে সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কবি মনে করেন, সাধারণ মানুষের সংঘবদ্ধতা ছাড়া পৃথিবীর বর্তমান সংকট থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়।

এইভাবেই কবি মানুষের ঐক্য এবং সংঘবদ্ধতার মাধ্যমে ভবিষ্যতের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ এবং সুস্থ পৃথিবী গড়ার আহ্বান জানাচ্ছেন।

৩. আমরা ভিখারি বারোমাস। কোন্ পরিস্থিতিতে ‘আমরা’ বারোমাস ভিখারি? এই অবস্থায় কী দরকার বলে কবি মনে করেন?

উত্তর: কবি শঙ্খ ঘোষ তাঁর ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় অস্থির সময়ের মানুষের সংকটকে তুলে ধরেছেন। বর্তমান যুদ্ধবিধ্বস্ত ও রাজনৈতিক অস্থির পৃথিবীতে সাধারণ মানুষের অবস্থা অত্যন্ত সংকটপূর্ণ। এখানে ‘আমরা’ বলতে সাধারণ, শ্রমজীবী মানুষদের বোঝানো হয়েছে যারা প্রতিদিন বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করে।

কোণঠাসা পরিস্থিতি:

আজকাল রাজনৈতিক আদর্শহীনতা, সাম্রাজ্যবাদ, এবং ধর্মান্ধতা সমাজকে বিভক্ত এবং অস্থির করেছে। সমাজের সাধারণ মানুষ তাদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা বা প্রেরণা কোথাও থেকে পায় না। তাদের ইতিহাসও বিকৃত বা অবহেলিত, কারণ ক্ষমতাবানরা নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী ইতিহাস রচনা করে। ফলে ‘আমরা’ অর্থনৈতিক এবং সামাজিক দিক দিয়ে একেবারে ভিখারি, অর্থাৎ অবহেলা এবং দীন অবস্থায় জীবনযাপন করছি।

আশাবাদী আহ্বান:

এই সংকট থেকে মুক্তির জন্য কবি মনে করেন যে আমাদের সংঘবদ্ধ হয়ে, একত্রিত হয়ে দাঁড়াতে হবে। কবির মতে, সাধারণ মানুষদের ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের দুঃখ-কষ্টের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে এবং একে অপরকে সাহায্য করতে হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, যদি সাধারণ মানুষ একত্রিত হয়ে কাজ করে, তবে অন্ধকার পরিস্থিতি থেকে মুক্তির পথ তৈরি হবে।

এইভাবে, কবি সংঘবদ্ধতার প্রয়োজনীয়তা এবং একত্রিত হয়ে সংগ্রাম করার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে তারা একটি ভালো ভবিষ্যতের জন্য সংগ্রাম করতে পারে।

আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার প্রশ্ন উত্তর
সেট: ২

১। ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতাটি যে কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত, সেটি হল-
ক) বাবরের প্রার্থনা
খ) নিহিত গহন ছায়া
গ) জলই পাষাণ হয়ে আছে
ঘ) মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে

উত্তর: (গ) জলই পাষাণ হয়ে আছে

২। ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতাটি “জলই পাষাণ হয়ে আছে” কাব্যগ্রন্থের-
ক) ১ সংখ্যক কবিতা
খ) ১১ সংখ্যক কবিতা
গ) ২১ সংখ্যক কবিতা
ঘ) ৩১ সংখ্যক কবিতা

উত্তর: (ঘ) ৩১ সংখ্যক কবিতা

৩। “আমাদের ডান পাশে” রয়েছে-
ক) গিরিখাত
খ) হিমানীর বাঁধ
গ) ধস
ঘ) বোমারু

উত্তর: (গ) ধস

৪। আমাদের বাঁয়ে রয়েছে-
ক) ধস
খ) গিরিখাত
গ) বন
ঘ) ইতিহাস

উত্তর: (খ) গিরিখাত

৫। আমাদের মাথায় আছে-
ক) ঘরবাড়ি
খ) বোমারু বিমান
গ) বেঁচে থাকা
ঘ) পথ

উত্তর: (খ) বোমারু বিমান

৬। আমাদের পায়ে পায়ে রয়েছে-
ক) ভারী জুতো
খ) শেকল
গ) কাঁটাতার
ঘ) হিমানীর বাঁধ

উত্তর: (ঘ) হিমানীর বাঁধ

৭। ‘আমাদের পথ-
ক) নেই, হারিয়ে গেছে
খ) ফাঁকা পড়ে আছে
গ) তৈরি করতে হবে
ঘ) জনাকীর্ণ হয়ে আছে

উত্তর: (ক) নেই, হারিয়ে গেছে

৮। “আমাদের ঘর গেছে উড়ে” পঙক্তিটির মর্মার্থ হল-
ক) আকস্মিক বিপর্যয়ে ধ্বংস হয়ে গেছে
খ) দুনিয়াজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে
গ) ঘর ছেড়ে আমরা বেরিয়ে পড়েছি
ঘ) আমাদের কোনোদিনই ছিল না

উত্তর: (ক) আকস্মিক বিপর্যয়ে ধ্বংস হয়ে গেছে

৯। “ছড়ানো রয়েছে কাছে দূরে!” কাছে-দূরে কী ছড়ানো রয়েছে?
ক) কাটা গাছপালা
খ) অজস্র বোমারু বিমান
গ) গিরিখাত
ঘ) শিশুদের শব

উত্তর: (ঘ) শিশুদের শব

১০। “আমাদের পথ নেই আর” উদ্ধৃতাংশের পথ না থাকার অর্থ হল-
ক) কোন উপায় নেই
খ) কোন খাদ্য নেই
গ) বাসস্থান নেই
ঘ) কোন ইতিহাস নেই

উত্তর: (ক) কোন উপায় নেই

গুরুত্বপূর্ণ SAQ (সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর):

১। “আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি” কবিতায় ডান পাশে ও বাঁ পাশে কবি কিসের উল্লেখ করেছেন?

উত্তর: ডান পাশে ধস এবং বাঁ পাশে গিরিখাতের উল্লেখ করেছেন, যা প্রতীকী অর্থে ধ্বংস ও মৃত্যুর ইঙ্গিত বহন করে।

২। ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতার কথক- এর মাথার ওপরে কী উড়ে বেড়াচ্ছে?

উত্তর: কথকের মাথার ওপরে উড়ে বেড়াচ্ছে বোমারু বিমান।

৩। “আমাদের পথ নেই কোনো” – উদ্ধৃতাংশে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?

উত্তর: এখানে কবি বোঝাতে চেয়েছেন যে মানবিক মূল্যবোধ ও সমাজের স্থিতিশীলতা হারিয়ে গেছে। ফলে সাধারণ মানুষের জীবনে এগিয়ে যাওয়ার কোনো দিশা নেই।

৪। “আমাদের ঘর গেছে উড়ে” কথাটির অর্থ কী?

উত্তর: এই কথাটি আকস্মিক বিপর্যয়ে ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার প্রতীক। এটি প্রবল দুর্দশার ইঙ্গিত বহন করে।

৫। “ছড়ানো রয়েছে কাছে দূরে” – আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতায় কাছে দূরে কী ছড়ানো রয়েছে?

উত্তর: কবিতায় কাছে দূরে ছড়ানো রয়েছে নিষ্পাপ শিশুদের শব।

৬। ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ – বেঁধে বেঁধে থাকার উদ্দেশ্য কী?

উত্তর: বেঁধে বেঁধে থাকার উদ্দেশ্য হলো সম্মিলিতভাবে বিপদ প্রতিহত করার শক্তি সংগ্রহ করা।

৭। “আমাদের ইতিহাস নেই” – এ কথা বলা হয়েছে কেন?

উত্তর: সাধারণ মানুষের কথা কখনও ইতিহাসে স্থান পায় না। তারা সর্বদাই উপেক্ষিত ও অবহেলিত।

৮। “পৃথিবী হয়তো বেঁচে আছে/ পৃথিবী হয়তো গেছে মরে” – এ কথার অন্তর্নিহিত অর্থ কী?

উত্তর: সাধারণ মানুষ এতটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে যে, পৃথিবীর অস্তিত্ব তাদের জীবনে কোনো পার্থক্য সৃষ্টি করে না।

৯। “আমাদের কথা কে-বা জানে” – কাদের কথা কেউ জানে না?

উত্তর: দরিদ্র, ঘরহারা, নিপীড়িত মানুষের কথা কেউ জানে না বা তাদের খোঁজ রাখে না।

আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্নমান: ৫

১. “আমরাও তবে এইভাবে / এ মুহূর্তে মরে যাব কি?” – এমনটা মনে হচ্ছে কেন?

উত্তর: প্রশ্নোদ্ধৃতাংশ মন্তব্যটি কবি শঙ্খ ঘোষ রচিত “আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি” কবিতায় উল্লেখ করেছেন।
চারপাশের অরাজকতা, ধর্ম কিংবা রাজনীতি প্রতিটি ক্ষেত্রেই অসহিষ্ণুতা, সাম্রাজ্যবাদের সীমাহীন লোভ, পৃথিবীজুড়ে হত্যা আর ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে।
বেঁচে থাকাটাই যেন এক বিস্ময় হয়ে উঠেছে। শিশুরা পর্যন্ত এই ধ্বংসলীলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না। এই অবস্থায় প্রতিটি মানুষই যেন বেঁচে থাকার অনিশ্চয়তায় ভুগছে। সর্বোপরি, এই পরিজনহীন অবস্থায় বেঁচে থাকা যেন মৃত্যুর মতো যন্ত্রনাদায়ক। এ কারণেই কবি প্রশ্নে উল্লিখিত মন্তব্যটি করেছেন।

২. “আমাদের ইতিহাস নেই” বলেছেন? – কে, কেন এ কথা বলেছেন?

উত্তর: কবি শঙ্খ ঘোষ তাঁর রচিত “আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি” কবিতায় প্রশ্নের উদ্ধৃত অংশটির কথা বলেছেন।
ইতিহাস হল কোনো জাতির এবং সভ্যতার আত্মবিকাশের পথ ও পর্যায়ের কাহিনি। কিন্তু যখন
সেই ইতিহাস নিয়ন্ত্রিত হয় কোনো ক্ষমতাবান গোষ্ঠী, ধর্মসম্প্রদায় কিংবা রাজনীতির দ্বারা, তখন ইতিহাসের বিকৃতি ঘটে। ক্ষমতাবানরা নিজেদের স্বার্থে ইতিহাসকে নিজেদের মতো করে গড়ে তোলে। মানুষ একসময় ভুলে যায় তার প্রকৃত ইতিহাস, আর চাপিয়ে দেওয়া ইতিহাসকেই নিজের বলে মেনে নেয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে এখানে কবি বলেছেন, “আমাদের ইতিহাস নেই”।

৩. “আমাদের পথ নেই কোনো”- ‘পথ’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? কবির এমন আশঙ্কার কারণ ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: আলোচ্য অংশটি কবি শঙ্খ ঘোষ রচিত “আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি” কবিতার অন্তর্গত। এখানে ‘পথ’ বলতে অবক্ষয়ের যুগে আদর্শহীনতা ও অনিশ্চয়তার অন্ধকার থেকে বেরিয়ে নতুনভাবে বাঁচার উপায় বা দিশাকে বোঝানো হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ, দাঙ্গা, রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা মানুষকে দিশেহারা করে তুলেছে। মানুষ আজ সন্ত্রাস আর বঞ্চনার শিকার। জীবনের প্রতিপদে প্রতিবন্ধকতা তার অস্তিত্বকে বিপন্ন করে তুলেছে। তাই কবির আশঙ্কা এই অন্ধকারের আবর্ত থেকে বেরিয়ে এসে মানুষের সুস্থ জীবনযাপনের আর বুঝি কোনো উপায় নেই।

৪. “আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি”- ‘বেঁধে বেঁধে থাকা’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন এবং কাদের এভাবে থাকতে বলেছেন? কবি বেঁধে বেঁধে থাকার প্রয়োজনীয়তার
ওপর জোর দিয়েছেন কেন?

উত্তর: রবীন্দ্রোত্তর কালের অন্যতম প্রধান কবি শঙ্খ ঘোষ তাঁর “আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি” কবিতায় ‘বেঁধে বেঁধে থাকি’ বলতে সংঘবদ্ধভাবে বেঁচে থাকাকে বোঝাতে চেয়েছেন। বর্তমান বিশ্ব ক্ষমতাবান শাসক, সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও মৌলবাদীদের যৌথ ষড়যন্ত্রে বিধ্বস্ত। মানুষ আজ বিপন্ন, বড় অসহায়। প্রতি পদে পদে তার বিপদ। সাধারণ মানুষ প্রতিমুহূর্তে প্রাণসংশয়ের ভয়ে ভীত। তাই এভাবে ক্রমাগত শোষিত পৃথিবীর শান্তিকামী সাধারণ মানুষকে কবি বেঁধে বেঁধে একত্রিত হয়ে এই সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে বলেছেন।

সাম্রাজ্যবাদী, ক্ষমতাবান ও মৌলবাদী শক্তি তাদের নৃশংসতায় সাধারণ মানুষের সামনে অস্তিত্বের সংকট সৃষ্টি করেছে। এই সংকট থেকে রক্ষা পেতে ভাবী প্রজন্মের কাছে সুন্দর পৃথিবী রেখে যেতে হলে মানুষের প্রয়োজন সংঘবদ্ধতা। সুস্থ শান্তিকামী বিবেকবান মানুষের ঐক্যবদ্ধ অঙ্গীকারেই একমাত্র এ সভ্যতার সংকট মোচন সম্ভব। কবি এ কথাই বলতে চেয়েছেন।

আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার প্রশ্ন উত্তর
সেট: ৩

১. পায়ে পায়ে যা থাকে, তা হল:
ক. কঠিন রাস্তা
খ. গভীর খাদ
গ. হিমানীর বাঁধ
ঘ. অসমান মেঠো পথ

উত্তর: গ. হিমানীর বাঁধ

২. গিরিখাদ রয়েছে:
ক. আমাদের উত্তরে
খ. আমাদের দক্ষিণে
গ. আমাদের বাঁয়ে
ঘ. আমাদের পশ্চিমে

উত্তর: গ. আমাদের বাঁয়ে

৩. কাছে দূরে ছড়ানো রয়েছে:
ক. ভেঙে পড়া গাছপালা
খ. শিশুদের শব
গ. ছোট বড় পাথর
ঘ. জীবজন্তুর মৃতদেহ

উত্তর: খ. শিশুদের শব

৪. আমরাও তবে এইভাবে:
ক. হাসতে পারি
খ. গাইতে পারি
গ. মরতে পারি
ঘ. খেলতে পারি

উত্তর: গ. মরতে পারি

৫. আমাদের যা নেই তা হল:
ক. ভূগোল
খ. মানবিক সম্পর্ক
গ. ইতিহাস
ঘ. মূল্যবোধ

উত্তর: গ. ইতিহাস

৬. এমনই ইতিহাস আছে যেখানে আমাদের:
ক. চোখ মুখ ঢাকা
খ. চোখ মুখ নেই
গ. সঠিক বক্তব্য নেই
ঘ. সঠিক চেহারা নেই

উত্তর: ক. চোখ মুখ ঢাকা

৭. আমরা যেখানে ফিরেছি তা হল:
ক. দোরে দোরে
খ. বাড়িতে বাড়িতে
গ. দোকানে দোকানে
ঘ. শহরে নগরে

উত্তর: ক. দোরে দোরে

৮. ‘আমাদের ঘর গেছে উড়ে’- ছত্রটি কোন ঘটনার ইঙ্গিতবাহী?
ক. উদ্বাস্তু জীবনের
খ. বন্যার
গ. ধ্বংসের
ঘ. কোনোটিই নয়

উত্তর: ক. উদ্বাস্তু জীবনের

৯. ‘আমাদের ইতিহাস নেই’- যাদের ইতিহাস নেই:
ক. সাধারণ মানুষের
খ. কবিদের
গ. লেখকের
ঘ. ভারতবাসীর

উত্তর: ক. সাধারণ মানুষের

১০. ‘আমরা ভিখারি বারোমাস’- উদ্ধৃতাংশে আমরা হলো:
ক. শ্রমজীবী সাধারণ মানুষ
খ. বাংলার মানুষ
গ. ভারতের জনগণ
ঘ. সবকটি ঠিক

উত্তর: ক. শ্রমজীবী সাধারণ মানুষ

আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্নমান: ১

১. ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?

উত্তর: ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতাটি ‘জলই পাষাণ হয়ে আছে’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। (২০০৪ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত)।

২. ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় ধ্বস ও গিরিখাদ কোথায় আছে?

উত্তর: কবি শঙ্খ ঘোষের লেখা ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় কবি জানিয়েছেন আমাদের ডান দিকে ধ্বস এবং বাঁয়ে গিরিখাদ রয়েছে।

৩. আমাদের মাথার উপরে কি থাকে?

উত্তর: কবি শঙ্খ ঘোষের লেখা ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় কবি লিখেছেন আমাদের মাথার উপরে থাকে বোমারু যা মৃত্যুর প্রতীক।

৪. ‘আমাদের ঘর গেছে উড়ে’- একথা বলার কারণ কী?

উত্তর: কবি শঙ্খ ঘোষের লেখা ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় সাম্রাজ্যবাদী শক্তির লোভের কারণে আমাদের ঘর উড়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন।

৫. ‘ছড়ানো রয়েছে কাছে দূরে’- কাছে দূরে কি ছড়ানো রয়েছে?

উত্তর: কবি শঙ্খ ঘোষের লেখা ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় কালাঙ্কিত প্রহরে দেখা যায় আমাদের কাছে দূরে শিশুর শব ছড়ানো রয়েছে।

আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্নমান: ৩

১. ‘আমাদের পথ নেই কোন’- পথ না থাকার কারণ কী?

২. ‘আমরাও তবে এইভাবে, এই মুহূর্তে মরে যাব নাকি’- উক্তিটির তাৎপর্য লেখ।

৩. ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’- প্রথম স্তবক থেকেই বেঁচে থাকার কথা বলা হয়েছে কেন?

৪. ‘আমরা ফিরেছি দোরে দোরে’- কারা দোরে দোরে ফিরেছেন? তাদের দোরে দোরে ফেরার কারণ কী?

৫. ‘আমাদের ইতিহাস নেই’- কাদের ইতিহাস নেই? কবি কেন এই করেছেন?

আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্নমান: ৫

১. ‘আমাদের শিশুদের শব/ ছড়ানো রয়েছে কাছে দূরে’- কোন প্রসঙ্গে এই উক্তি? এই উক্তিটির মধ্যে যে বহুমাত্রিক যন্ত্রণার প্রতিচ্ছবি ধরা পড়েছে তার স্বরূপ উন্মোচন করো।

২. ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় কবির যে সমাজ ভাবনা প্রকাশ ঘটেছে তা নিজের ভাষায় লেখ।

৩. ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতাটির নামকরণ কতদূর সার্থক হয়েছে সে বিষয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করো।

আরও দেখো: অসুখী একজন কবিতার প্রশ্ন উত্তর
CLOSE

You cannot copy content of this page