এখানে মহাত্মা গান্ধী প্রবন্ধ রচনা ১০০, ২০০, ৩০০, ৪০০ শব্দে লিখে দেওয়া হলো। সেই সাথে গান্ধী জয়ন্তী উপলক্ষে বক্তৃতা লিখে দেওয়া হয়েছে।
মহাত্মা গান্ধী প্রবন্ধ রচনা ১০০ শব্দে
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের এক মহান ব্যক্তিত্ব হলেন মহাত্মা গান্ধী। তিনি আমাদের জাতির জনক। ১৮৬৯ সালের ২ অক্টোবর গুজরাটের পোরবন্দরে তাঁর জন্ম হয়। তাঁর পিতার নাম করমচাঁদ গান্ধী এবং মাতার নাম পুতলিবাই। বিলেত থেকে ব্যারিস্টারি পাশ করলেও তিনি পেশাগত জীবনে প্রবেশ না করে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে উৎসর্গ করেন। তিনি সত্যাগ্রহ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। আইন অমান্য আন্দোলনও তাঁর অসামান্য কীর্তির মধ্যে অন্যতম। তাঁর নেতৃত্বে ১৯৪২ সালে সংগঠিত হয় আগস্ট আন্দোলন, যা ভারত ছাড়ো আন্দোলন নামে পরিচিত। ‘করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে’ স্লোগানের মাধ্যমে তিনি মানুষের মধ্যে স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা এবং অধিকার আদায়ের স্পৃহা জাগিয়ে তোলেন। অবশেষে তাঁর নেতৃত্বে ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারত স্বাধীনতা লাভ করে। তবে, ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি নাথুরাম গডসের গুলিতে তিনি প্রাণ হারান। তিনি ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম চালিকা শক্তি। যাবতীয় অস্পৃশ্যতাকে তিনি ঘৃণা করতেন। সত্য, ন্যায় এবং অহিংসার প্রতীক হিসেবে মহাত্মা গান্ধী সারা বিশ্বে মহাত্মা ও বাপু নামে পরিচিত।
মহাত্মা গান্ধী প্রবন্ধ রচনা ২০০ শব্দে
ভূমিকা:
মহাত্মা গান্ধী ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের এক উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব। নিরস্ত্র ভারতবাসীকে সঙ্গে নিয়ে অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে তিনি ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেন। তাঁর নেতৃত্ব ও আত্মশক্তি সমগ্র জাতিকে স্বাধীনতার পথে পরিচালিত করেছিল।
জন্ম ও শিক্ষা:
মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ১৮৬৯ সালের ২ অক্টোবর গুজরাটের পোরবন্দরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম করমচাঁদ গান্ধী এবং মাতার নাম পুতলিবাই। ছোটবেলা থেকেই সত্য ও ধর্মের প্রতি তাঁর গভীর আগ্রহ ছিল। প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি বিলেতে ব্যারিস্টারি পড়তে যান। ১৮৯১ সালে ব্যারিস্টারি পাশ করে তিনি ভারতে ফিরে আসেন এবং মুম্বাই হাইকোর্টে আইন ব্যবসা শুরু করেন।
স্বাধীনতা সংগ্রামে ভূমিকা:
গান্ধীজী দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন। পরে ভারতে ফিরে এসে তিনি অহিংস ও সত্যাগ্রহের মাধ্যমে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা আন্দোলন গড়ে তোলেন। তাঁর নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলন, লবণ সত্যাগ্রহ ও ভারত ছাড়ো আন্দোলন সংগঠিত হয় ।
তাঁর ‘করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে’ স্লোগানটি দেশের মানুষকে স্বাধীনতার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিল। তাঁর সংগ্রামের মুখে একসময় ব্রিটিশ সরকার আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।
উপসংহার:
১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি গান্ধীজি নাথুরাম গডসে নামক এক আততায়ীর গুলিতে প্রাণ হারান। তবুও, তাঁর অহিংসা, সত্য এবং মানবপ্রেমের আদর্শ আজও সমগ্র বিশ্বে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয়। ভারতবাসীর কাছে তিনি ‘জাতির জনক’ হিসেবে চিরস্মরণীয়।
মহাত্মা গান্ধী প্রবন্ধ রচনা ৩০০ শব্দে
ভূমিকা:
ভারতবর্ষ শান্তিকামী দেশ। এই ভারতবর্ষ প্রায় ২০০ বছর ইংরেজদের অধীনে ছিল। পরাধীন ভারতকে ইংরেজদের শাসন থেকে মুক্ত করতে যাঁরা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী তাঁদের অন্যতম। অস্ত্রবিহীন ভারতবাসীকে সঙ্গে নিয়ে তিনি স্বাধীনতা আন্দোলন পরিচালনা করেছিলেন। তাই তিনি শুধু ভারতবর্ষের নয়, সারা বিশ্বের একজন মহামানব।
জন্ম পরিচয়:
মহাত্মা গান্ধী ১৮৬৯ সালের ২ অক্টোবর গুজরাটের পোরবন্দর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পুরো নাম মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। পিতার নাম করমচাঁদ গান্ধী, তিনি ছিলেন ন্যায়নিষ্ঠ ও তেজস্বী পুরুষ। মাতার নাম পুতলি বাই, যিনি ছিলেন ধর্মপ্রাণা।
শিক্ষা:
ছোটবেলা থেকেই গান্ধীজী ধর্ম ও সত্যের প্রতি অনুরাগী ছিলেন। তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা দেশীয় বিদ্যালয়ে শুরু হয়। ১০ বছর বয়সে তিনি রাজকোটের উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৭ বছর বয়সে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভবন ১০-এর শ্যামল দাস কলেজে ভর্তি হন। পরে ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য ১৮৮৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর, ১৯ বছর বয়সে, লন্ডনে যান এবং সেখান থেকে ব্যারিস্টারি পাশ করে ভারতে ফিরে আসেন।
কর্মজীবন:
১৮৯১ সালে গান্ধীজী ভারতে ফিরে মুম্বাই হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার নাটালে যান। সেখানে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের ওপর ইংরেজদের অত্যাচার দেখে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন। দীর্ঘ দুই বছর নাটালে কাটানোর পর তিনি ভারতে ফিরে আসেন। দেশে ফিরে গান্ধীজী ভারতবর্ষের স্বাধীনতার জন্য অহিংসা আন্দোলন গড়ে তোলেন। তাঁর নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলন, আইন অমান্য আন্দোলন, লবণ সত্যাগ্রহ আন্দোলন ও ভারত ছাড় আন্দোলন গড়ে ওঠে। তাঁর “করো না হলে মরো” স্লোগান পুরো দেশবাসীকে উদ্বুদ্ধ করেছিল। তাঁর বিরামহীন সংগ্রামের ফলে একসময় ইংরেজ সরকার নতিস্বীকার করতে বাধ্য হয়।
মানবপ্রেম:
মহাত্মা গান্ধী ছিলেন মানবপ্রেমের প্রতীক। তিনি অস্পৃশ্যতার মতো সামাজিক অভিশাপ দূর করার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি অস্পৃশ্যদের হরিজন নামে অভিহিত করেছিলেন এবং সমাজের শোষিতদের কল্যাণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।
উপসংহার:
গান্ধীজি সারাজীবন ন্যায়, সত্য ও সেবার আদর্শ প্রচার করে গেছেন। দুঃখজনক হলো, ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি নাথুরাম গডসে নামক এক আততায়ীর গুলিতে তিনি প্রাণ হারান। কিন্তু তাঁর আদর্শ চিরঞ্জীব। তিনি ভারতবাসীর কাছে জাতির জনক হিসেবে সর্বদা পরিচিত থাকবেন।
মহাত্মা গান্ধী প্রবন্ধ রচনা ৪০০ শব্দে
ভূমিকা:
যে সমস্ত মহান ব্যক্তি পৃথিবীতে এসে তাঁদের মহাজীবনের উজ্জ্বল আলো দিয়ে মানুষের জীবনে কল্যাণের পথ উদ্ভাসিত করেন, মহাত্মা গান্ধী তাঁদের অন্যতম। তিনি ভারতবাসীকে এক নতুন মন্ত্রে দীক্ষিত করেছিলেন। তাই তিনি জাতির জনক। তাঁর অপরাজেয় আত্মশক্তি সমগ্র দেশের প্রাণশক্তিকে জাগ্রত করেছিল। শুধু ভারতবর্ষ নয়, সারা বিশ্বের কাছেও তিনি একজন মহামানব।
জন্ম ও শিক্ষা:
১৮৬৯ সালের ২রা অক্টোবর গুজরাটের পোরবন্দরের এক সম্ভ্রান্ত বণিক পরিবারে মহাত্মা গান্ধীর জন্ম হয়। তাঁর পুরো নাম মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। তাঁর পিতার নাম করমচাঁদ গান্ধী এবং মাতার নাম পুতলিবাঈ। তাঁর পিতা ছিলেন ন্যায়নিষ্ঠ ও তেজস্বী, এবং মাতা ছিলেন অত্যন্ত ধর্মপরায়ণা।
গান্ধীজী শৈশবে ভীরু ও লাজুক প্রকৃতির ছিলেন। তাঁর শিক্ষা শুরু হয় দেশীয় বিদ্যালয়ে। দশ বছর বয়সে তিনি রাজকোটের উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং সতের বছর বয়সে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভবন নগরের শ্যামল দাস কলেজে ভর্তি হন। তবে কলেজে তাঁর বেশি দিন পড়া হয়নি। তের বছর বয়সে কস্তুরীবাঈয়ের সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়।
প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ১৮৮৮ সালে ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য তিনি বিলেত যান এবং ১৮৯১ সালে ব্যারিস্টারি পাশ করে স্বদেশে ফিরে আসেন। মদ্যপান ও মাংস ভোজন থেকে নিজেকে বিরত রাখার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন তিনি, যা তিনি বিলেতে অবস্থানকালে অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিলেন।
কর্মজীবন:
প্রথমে বোম্বাই, পরে রাজকোটে আইন ব্যবসা শুরু করলেও তাঁর লাজুক স্বভাবের কারণে তিনি সফল হতে পারেননি। ১৮৯৩ সালে একটি মামলার দায়িত্ব নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার নাটালে যান। যদিও মামলাটি মীমাংসা হয়ে যায়, তিনি সেখানেই থেকে গেলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতীয়দের প্রতি বর্ণবিদ্বেষী আচরণ দেখে তিনি প্রবাসী ভারতীয়দের একত্রিত করে ‘নাটাল ইন্ডিয়ান কংগ্রেস’ প্রতিষ্ঠা করেন এবং তাঁদের অধিকার রক্ষার জন্য আন্দোলন শুরু করেন। এর ফলে তিনি নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন, তবে তিনি কখনও হাল ছাড়েননি। এখান থেকেই তাঁর সত্যাগ্রহ আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল।
স্বাধীনতা সংগ্রামে ভূমিকা:
মহাত্মা গান্ধী ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম প্রধান নেতা। ১৯১৫ সালে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতে ফিরে আসেন এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর নেতৃত্বে অহিংসা ও সত্যাগ্রহকে ভিত্তি করে ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন নতুন মাত্রা পায়। ১৯১৯ সালের রওলাট আইন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৩০ সালের লবণ আইন ভঙ্গ আন্দোলন (দাঁড়ি মার্চ) এবং ১৯৪২ সালের ভারত ছাড়ো আন্দোলন ছিল তাঁর নেতৃত্বাধীন স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
তিনি সবসময় শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তাঁর ‘করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে’ স্লোগান দেশবাসীকে উদ্বুদ্ধ করেছিল। অবশেষে, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট তাঁর নেতৃত্বে ভারত ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
উপসংহার:
গান্ধীজীর জীবনদর্শন ও তাঁর শাশ্বত বাণী আজও আমাদের পথ দেখায়। ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি নাথুরাম গডসের গুলিতে তাঁর নশ্বর দেহের অবসান ঘটে। তবে তাঁর আদর্শ ও কাজ আজও চিরঞ্জীব। ভারতের যে অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে, তা তাঁর প্রদর্শিত পথেই এগিয়ে চলার ফল।
মহাত্মা গান্ধী প্রবন্ধ রচনা // গান্ধী জয়ন্তী বক্তৃতা: ১
সম্মানিত অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, শিক্ষক এবং প্রিয় সহপাঠীরা, সবাইকে স্বাগতম।
আজ ২রা অক্টোবর, আমরা মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গান্ধী জয়ন্তী উদযাপন করতে একত্রিত হয়েছি। প্রথমেই সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।
গান্ধী জয়ন্তী হলো ১৮৬৯ সালের ২রা অক্টোবর জন্মগ্রহণকারী মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর জন্মবার্ষিকী। এটি ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ছুটির দিন এবং সারা দেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়।
মহাত্মা গান্ধী ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নেতা এবং অহিংসা ও সত্যাগ্রহের প্রবক্তা। তাঁর নেতৃত্বে ভারতবর্ষের মানুষ অহিংসার পথে স্বাধীনতা সংগ্রাম করেছে।
১৯৩০ সালে লবণ করের প্রতিবাদে গান্ধীজি ডান্ডি অভিযানে নেতৃত্ব দেন এবং ১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সূচনা করেন। তাঁর নেতৃত্বে বিভিন্ন আন্দোলন ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অবসানের পথ সুগম করেছিল।
গান্ধীজির মানবপ্রেম ও সমাজসেবার লক্ষ্যে তিনি হরিজন আন্দোলন, নারী স্বাধীনতা এবং জাতিগত সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার জন্য অনুপ্রাণিত ছিলেন।
তিনি সারা জীবন সরল জীবনযাপন করতেন এবং চরকায় নিজের পোশাক বুনতেন। তাঁর জীবনদর্শন ছিল অহিংসা ও আত্মশুদ্ধির পথে মানুষের মুক্তির সাধনা।
আজকের এই বিশেষ দিনে আসুন আমরা শপথ নিই, জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে এক হয়ে একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ ভারত গড়ে তুলবো। ধন্যবাদ।
মহাত্মা গান্ধী প্রবন্ধ রচনা // গান্ধী জয়ন্তী বক্তৃতা- ২
উপস্থিত সম্মানীয় শিক্ষকমণ্ডলী, প্রিয় সহপাঠী এবং সকলকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। ২রা অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তী উপলক্ষে সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন।
মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী বা মহাত্মা গান্ধী ১৮৬৯ সালের ২ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন বিশিষ্ট ভারতীয় রাজনীতিবিদ এবং ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন। সত্যাগ্রহ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তিনি প্রভাবশালী আধ্যাত্মিক নেতা হয়ে ওঠেন। সারা ভারতজুড়ে তিনি ‘মহাত্মা’ নামে পরিচিত, এবং ভারতবাসী তাকে ‘জাতির পিতা’ হিসাবে সম্মানিত করেছে।
১৯৩০ সালে লবণ আইন ভঙ্গ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন তিনি। বিভিন্ন সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ভারতে আন্দোলন পরিচালনা করতে গিয়ে তিনি কারাবরণ করেন, তবে সব পরিস্থিতিতেই সত্যের ব্যাপারে তিনি দৃঢ় ও অটল ছিলেন। গান্ধীজী সাধাসিধে জীবনযাপন করতেন এবং একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতার ছয় মাসের মধ্যে, ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি, একটি প্রার্থনা সভায় যোগ দেওয়ার সময়, নাথুরাম গডসে নামে এক আততায়ীর গুলিতে তিনি প্রাণ হারান। ধর্ম, বর্ণ এবং শ্রেণী বিভাজনহীন এক ভারতের স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন, যদিও তা তিনি পূরণ করে যেতে পারেননি। আসুন, আজ আমরা তাঁর দেখানো পথে এক হয়ে এগিয়ে যাই।
শেষে, আমি সবাইকে আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আরও দেখো: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচনা